04/06/2025
৯ই জিলহজ্জ ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা হজের রুকন এবং ইয়াওমে আরাফাহ (عرفہ) নামে পরিচিত। এটি হিজরি সালের জিলহজ্জ মাসের ৯ম দিন, এবং এর বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে।
নিচে এর কিছু ফজিলত উল্লেখ করা হলো:
---
🌟 ৯ই জিলহজ্জ (ইয়াওমে আরাফাহ) এর ফজিলত:
১. আরাফার দিন রোযা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
> “আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, আরাফাহর দিনের রোযা এক বছর পূর্বের এবং এক বছর পরের গুনাহ মাফ করিয়ে দেয়।”
— (সহীহ মুসলিম: ১১৬২)
২. হজের অন্যতম প্রধান দিন
হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
> "الحج عرفة" — "হজ হলো আরাফা।"
— (তিরমিযি: ৮৯১)
অর্থাৎ এই দিনে আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন।
৩. এই দিনে আল্লাহ তাআলা সর্বাধিক বান্দাদের ক্ষমা করেন
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন:
> “আল্লাহ আরাফার দিনে যত মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, অন্য কোনো দিনে তত দেন না।”
— (সহীহ মুসলিম)
৪. দোআ কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়
হাদিসে এসেছে:
> “আরাফার দিন সবচেয়ে উত্তম দোয়া হলো আরাফার দিনের দোয়া।”
— (তিরমিযি)
৫. এই দিনটিতে জিকির ও তাকবিরের বিশেষ গুরুত্ব
সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আরাফার দিনসহ প্রথম দশ জিলহজ্জে উচ্চস্বরে "তাকবির", "তাহলিল", "তাহমিদ" পাঠ করতেন:
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
---
🔹 করণীয়:
রোযা রাখা (যদি হজে না থাকেন)
তওবা ও ইস্তিগফার করা
বেশি বেশি দোআ করা
কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির করা
তাকবির, তাহলিল, তাহমিদ পাঠ করা
---
যারা হজ করছেন না, তারাও এই দিনটি সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন। এটি বছরের সেরা দিনগুলোর একটি।
-