22/03/2025
১৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে নিয়োগ ২৩ হাজার
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধুমাত্র পুলিশেই নিয়োগ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৩ জন। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশই এএসপি, এসআই, সার্জেন্ট ও কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য। এই ১৫ বছরে কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষক হিসেবে এই সময়ে নিয়োগ পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৮৫ জন। যা কোটায় মোট নিয়োগ পাওয়াদের প্রায় অর্ধেক। পরিসংখ্যান ঘেটে দেখা গেছে সহকারী ও প্রধান শিক্ষক পদে প্রতি জেলায় অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ জন কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হাসিনা সরকার পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই গত ১৫ই আগস্ট সরকারি চাকরিতে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে এই পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া জনবলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়ে সকল মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রার্থীর নাম, পিতার নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ, শ্রেণি নম্বর ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ঠিকানা ও সনদ-গেজেট নম্বর চাওয়া হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, পরিদপ্তরসহ মোট ৬১টি প্রতিষ্ঠানে পৃথকভাবে এই চিঠি পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চিঠি পেয়ে ওই বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল মন্ত্রণালয় ও তাদের আওতাধীন দপ্তরগুলো থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়া সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য ডাকযোগে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৮৬ জন। সূত্র বলেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো ওই তালিকা পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই চলছে। ইতিমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ যাচাই-বাছাই কাজ শেষ করেছে মন্ত্রণালয়। যাচাই করা তথ্যে দেখা গেছে, কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের ৬০ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি।