02/05/2025
জাবের বিন সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা কি ছাগলের মাংস খেয়ে ওযু করব? তিনি বললেন, যদি চাও তো করতে পার। বলা হল, আমরা উটের মাংস খেয়ে কি ওযু করব? তিনি বললেন, “হ্যাঁ। (সহীহ মুসলিম)
তিনি আরও বলেন, “উটের গোশত খেলে তোমরা ওযু করো।(মুসনাদ আহমদ, সুনান আবূদাঊদ, সুনান তিরমিযী, সুনান ইবনে মাজাহ্, সহীহুল জামে ৩০০৬ নং)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ছাগলের মাংস খেয়ে ওযু করার বিষয়টি মানুষের ইচ্ছাধীন রেখেছেন, তখন বুঝা যায় উটের গোস্ত খেয়ে ওযুর ব্যাপারে মানুষের কোন ইচ্ছা স্বাধীনতা নেই। অবশ্যই ওযু করতে হবে।
অতএব উটের গোস্ত কাঁচা হোক বা পাকানো হোক কোন পার্থক্য নেই, গোস্ত লাল বর্ণ হোক বা অন্য বর্ণ খেলেই ওযু ভঙ্গ হবে। উটের নাড়ী-ভুঁড়ি, কলিজা, হৃতপিণ্ড, চর্বি, মোটকথা উটের যে কোন অংশ ভক্ষণ করলে ওযু ভঙ্গ হবে। কেননা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য বর্ণনা করেন নি। অথচ তিনি জানতেন মানুষ উটের সব অংশ থেকেই খেয়ে থাকে।
অজু ভঙ্গ হয়ে যাবার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ, হযরত ইসহাক বিন রাহাওয়াই রহঃ, হযরত ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া,, আবু বকর বিন মুনজির, ইবনে খুজাইমা,ইমাম বায়হাকী প্রমুখ। এবং মুহাদ্দিসগণ থেকেও আমভাবে বর্ণিত। একদল সাহাবা রাজিআল্লাহু আনহুম আজমাঈন থেকেও তা বর্ণিত। [ সহীহ মুসলিম, ইমাম নববীকৃত-৪/৪৮-৪৯]
যেসব হাদীসে উটের গোস্ত খেলে অজু করার কথা এসেছে। এর জবাব দু’টি। যথা-
১. এসব হাদীস ইসলামে প্রথম যুগের। পরবর্তীতে এ বিধান রহিত হয়ে গেছে। [ সহীহ মুসলিম, ইমাম নববীকৃত-৪/৪৩,ইলাউস সুনান-১/১৭২,]
২. দ্বিতীয় জবাব হল,অজু করার দ্বারা উদ্দেশ্য হল,মুখ ও উভয় হাত ধৌত করা। [ সহীহ মুসলিম, ইমাম নববীকৃত-৪/৪৩,ইলাউস সুনান-১/১৭২]
উটের বা অন্যান্য হালাল প্রাণীর গোস্ত খাবার পর অজু করার নির্দেশের দ্বারা উদ্দেশ্য কী? তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরেকটি হাদীস দ্বারা পরিস্কার হয়ে যায়।
হযরত ইকরাশ রাঃ থেকে একটি লম্বা হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যার শেষের দিকে এসেছেঃ
উটের গোশত খাওয়ার পর ওযুর কারণঃ
রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ
'উট শয়তান থেকে সৃষ্টি হয়েছে'।
[ইবনু মাজাহঃ ৭৬৯]
অন্যত্র তিনি বলেছেনঃ
'প্রত্যেক উটের পৃষ্ঠে শয়তান থাকে। সুতরাং তোমরা তাতে আরোহণের সময় বিসমিল্লাহ বল'।
[আহমাদঃ ছহীহা