03/12/2025
এয়ারপোর্টে স্যুটকেস ভাঙা সমস্যার সহজ সমাধান !
পৃথিবীর প্রতিটি এয়ার লাইন্স কে কিছু আইন কানুন মেনে চলতে হয়। এর মধ্যেই রয়েছে যে , প্রতিটি যাত্রীর সুটকেস সঠিকভাবে সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়া। কিন্তু আজকাল প্রায়ই ফেসবুকে পোস্ট দেখি যে , স্যুটকেস ভেঙে নাকি মাল চুরি হয়েছে। আসলে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু ই নেই। আপনি সকল মালের জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন যদি আপনি আইন কানুন বুঝে থাকেন।
আসুন আগে সমস্যাগুলি জানি
১. স্যুটকেস দেরিতে পাওয়া বা না পাওয়া
২. স্যুটকেস ভাঙা পাওয়া
৩. স্যুটকেস এর ভিতরের মাল হারিয়ে যাওয়া।
উপরের ৩ টি সমস্যার জন্য আপনি যথেষ্ট পরিমানে ক্ষতিপূরণ এর টাকা পাবেন। তবে তারnজন্য আপনাকে আগে থেকেই কিছু কাজ করতে হবে।
১. স্যুটকেস এ জামা কাপড় , সাবান , শ্যাম্পু থেকে শুরুর করে যাই ঢুকাবেন। সেগুলি কেনার রশিদ রাখবেন নিজের কাছে বা নিজের ইমেইল এ। স্যুটকেসে কি কি ঢুকাচ্ছেন তার ছবি বা ভিডিও তুলে রাখবেন।
২. এয়ারপোর্টে যাবার পরে , স্যুটকেস এর সামনে পিছনে এমনকি নিচের চাকা সহ সব দিকের ছবি বা ভিডিও তুলে রাখবেন। এটি অবশ্যই এয়ারপোর্টে করবেন। সম্ভব হলে এয়ারপোর্টে বিশেষ কোন দোকান বা ঘড়ির সামনে বা টিভির সামনের এলাকায় এই ছবি বা ভিডিও করবেন স্যুটকেস এর , যাতে বুঝা যায় যে , এয়ারপোর্টে আপনার স্যুটকেসটি জমা দেবার সময় ভাঙা ছিল না।
৩. আপনার স্যুটকেসটি জমা দেবার পরে যে "ট্যাগ" টি দিবে, সেটি + বোডিং কার্ডের ছবি তুলে রাখুন।
৪. ঢাকা এয়ারপোর্টে এর বেল্টে যদি স্যুটকেস দেরিতে পান , ভাঙা পান বা ভিতরের কিছু মাল কম মনে হয়। তাহলে সাথে সাথে "লস্ট এন্ড ফাউন্ড" ডিপার্টমেন্টে গিয়ে রিপোর্ট করুন। "লস্ট এন্ড ফাউন্ড" ঢাকায় বেল্টের শেষে , এয়ারপোর্ট মেজিস্ট্রেট অফিসের পাশেই আছে।
৫. "লস্ট এন্ড ফাউন্ড" এ গিয়ে আপনি যা বলবেন , তার লিখিত ডকুমেন্ট বা কাগজটি নিন। স্যুটকেসটি ভাঙা পেলে সেটির ছবি বা ভিডিও তুলুন "লস্ট এন্ড ফাউন্ড" অফিসের সামনে থেকে। স্যুটকেস হারিয়ে গেলে শুধু "লস্ট এন্ড ফাউন্ড" অফিস থেকে লিখিত কপিটি নিন।
৬. আপনি যে এয়ারলাইন্স এ করে দেশে গিয়েছেন , উনাদের ওয়েব সাইটে ফর্ম ফিলাপ করুন। সাথে সকল ছবি বা ভিডিও আপলোড করে দিবেন।
আশাকরি সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যেই ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।
৭. যারা ভিসা বা মাস্টার কার্ড দিয়ে টিকিট কেটেছেন অথবা যাদের বিশেষ ইন্সুরেন্স কেনা আছে , উনারা আরো অতিরিক্ত টাকা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
৮. যথাযত প্রমান দিতে পারলে , অনেক টাকা পাওয়া সম্ভব। তবে আপনি যদি উপরের কোন ধাপ না মেনে থাকেন , তবে কোন ক্ষতিপূরণ নাও পেতে পারেন।
৯. অবৈধ বা মাদক পরিবহন করবেন না। অবৈধ কোন কিছু স্যুটকেস এ থাকলে আপনি কোন ক্ষতিপূরণ পাবেন না বরং শাস্তি পেতে পারেন। অপরিচিত কারো দেয়া কোন প্যাকেট বা কোন কিছু বহন করবেন না।
১০. দামী গহনা , মোবাইল ইত্যাদি দামী জিনিস চেক ইন লাগেজে না দিয়ে , কেবিন লাগেজ বা হাতের ব্যাগে নিয়ে ভ্রমন করুন। বর্তমানে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে অনেক এয়ারলাইন্স এর নিজস্ব আইন আছে। সেটি মেনে চলুন।
আশাকরি এরপর থেকে আর এয়ারপোর্টে কান্না কাটি করবেন না বা ভয় পাবেন না। যাত্রা পথে আপনার জান এবং মালের দ্বায়িত্ব এয়ার লাইন্স এর , তাই কোন ক্ষতি হলে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ পাবেন , এটি আপনি আইনগত অধিকার।
Credit: Forhad Prodhan