Daybook of Lima

Daybook of Lima Hi, i am Lima who is a bangladeshi women live in Sweden. I am a homemaker and a proud mother of my 2 kids. I will share a glimpse of my life here. stay with me.
(7)

Thank you!🙂

07/06/2025

বুঝলে বেনীমাধব-
ভেতরকার অদৃশ্য সুতোয় টান পড়লে আমরা বুঝতে পারি, কোন মানুষে আমরা কতখানি জড়িয়ে 🫀

আজ বাইরে বাচ্চাদের খেলতে নিয়ে গিয়ে মহাজাগতিক বিস্ময়কর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। আকাশের দিকে তাকিয়েই এই দৃশ্য চোখে পরলো...
13/05/2025

আজ বাইরে বাচ্চাদের খেলতে নিয়ে গিয়ে মহাজাগতিক বিস্ময়কর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। আকাশের দিকে তাকিয়েই এই দৃশ্য চোখে পরলো।দেখে অদ্ভুত মনে হওয়াতে ছবি তুলে নিলাম। বাসায় ফিরে গুগলকে ছবি টি দেখিয়ে জানতে চাইলাম কি জিনিস এটা। গুগল জানালো এটাকে বলে 'Sun halo'.

গুগল আরো যা জানালো-

এই Sun’s halo আসলে কী? কীভাবেই বা তৈরি হয়?

সূর্যের চারপাশে যে halo তৈরি হয়েছিল তা আসলে ২২ ডিগ্রির একটি রিং বা বৃত্ত। এই বৃত্ত মূলত আলোর বিচ্ছুরণের ফলেই তৈরি হয়। আকাশের একদম উচ্চস্তরে (আপার স্কাই) যেখানে বরফকণা (আইস ক্রিস্টাল) থাকে, সেখান দিয়ে সূর্যালোক স্থানান্তরের সময় বিচ্ছুরিত হয়। আর তার ফলেই এই Sun’s halo তৈরি হয় এবং তার মধ্যে বিভিন্ন রঙের মিশেল দেখা যায়। Illinois- এর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে এই halo আসলে একটি আলোর বৃত্ত। সূর্য কিংবা চাঁদের সঙ্গে ২২ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থানে থাকে এই রঙিন বৃত্ত। ষড়ভূজাকার আইস ক্রিস্টালের উপর আলো পড়লে, তা বিচ্ছুরিত হয়ে এই ‘কমন টাইপ’ সার্কেল রেনবো রিং তৈরি হয়।

মেঘের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্রাকৃতির বরফ কণা থাকে। এইসবের মধ্যেই সূর্যালোক পড়লে তা বিচ্ছুরিত হয়, ভেঙে যায়, প্রতিবিম্বও তৈরি করে। আর তার থেকেই রামধনু বৃত্ত তৈরি হয়। ২২ ডিগ্রি halo- র ক্ষেত্রে বরফ কণার একদিক দিয়ে আলো প্রবেশ করে। অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। দু’ক্ষেত্রেই আলোরশ্মি প্রতিক্ষিপ্ত হয়। প্রবেশ এবং প্রস্থানের দু’টি আলাদা জায়গায় আলোকরশ্মি প্রতিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে ২২ ডিগ্রি রিং তৈরি হয়। তারপর সেটা সূর্য বা চাঁদের চারপাশে অবস্থান করে।

চাঁদের চারপাশে এইরকম বৃত্ত তৈরি হলে, সেক্ষেত্রে কোনও রঙের আধিক্য দেখা যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রঙ-ই দেখা যায় না। তার ফলে খুব একটা উজ্জ্বল হয় না এই বৃত্ত। কিন্তু সূর্যের ক্ষেত্রে তার চারপাশের এই বলয়ে একধিক রঙ দেখা যায়। সেই সঙ্গে এই বলয় উজ্জ্বলও হয়। গত বছরও বেঙ্গালুরুতে সূর্যের চারপাশে এই ধরনের রঙ দেখা গিয়েছিল। একই সঙ্গে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমেও দেখা গিয়েছিল এই মহাজাগতিক ঘটনা।

আজ ১৩ই মে ২০২৫,সুইডেনের কালমার শহরে sun halo দেখা গিয়েছে।।

kalmar city, sweden.
captured by S Sabrin Jahan.

সত্য কি তেতো?জীবনের মত!
08/05/2025

সত্য কি তেতো?
জীবনের মত!

মানসিক চাপ নেয়ায় অপরিপক্ক, মানসিক টানাপোড়েন সমাধানে অনভিজ্ঞ,এবং আবেগের বহিঃপ্রকাশকে অগুরুত্বপূর্ণ ভাবা এই প্রজাতির জন্যে...
07/05/2025

মানসিক চাপ নেয়ায় অপরিপক্ক,
মানসিক টানাপোড়েন সমাধানে অনভিজ্ঞ,
এবং আবেগের বহিঃপ্রকাশকে অগুরুত্বপূর্ণ ভাবা এই প্রজাতির জন্যে আমার যথেষ্ট সিম্প্যাথি হয়।

সবাই হয়ত না৷ কিন্ত বেশিরভাগই এমন। ইমোশন ওভাররুলড হয় একশন দিয়ে৷ এদের সিদ্ধান্ত সে জন্যে সব সময় ধ্বংসাত্মক হয়। মেরে ফেলবে, মরে যাবে, চলে যাবে, ছেড়ে দেবে, সিন ক্রিয়েট করবে - ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ সমাধান হয়ত ছিল, সামান্য কিছু সুন্দর কথার মধ্যেই। একটু ব্যালান্স, একটু বোঝাপড়া, একটু নিজেকে বদলের মধ্যে।

পুটি মাছ না কুটতে চাওয়ায় বউকে মেরে ফেলা স্বামী, বা মা-বউ এর মধ্যে দ্বন্ধে পড়ে নিজেকে হত্যা করা স্বামী - তারা কেউই তো সিচুয়েশনটা ভালো ভাবে বুঝে উঠতে চায় নি। পরিনাম কি দু:খজনক হয়েছে।

সংসার করতে করতে একটা নারী বাচ্চা হতে মরবে, স্বামীর মার খেয়ে মরবে, শাশুড়ী আগুন লাগিয়ে মারবে, যৌতুকের জন্যে মরবে, অবহেলায় জীবন দেবে, সন্তান না হলে নদীতে ঝাপ দেবে, স্বামীর মরনে সহমরনে যাবে - এই সব তো মেনে নেয়াই যায়! কিন্ত এত স্বাধীনতা, এত সুযোগ, এত ক্ষমতার পরেও পুরুষ কেন সাফার করবে?!
মানব জীবনের এত অপচয় কেন হবে!
😢

তাহাদের ফেসবুক আইডি বা পেজ নিজের। কিন্তু তাতে সেয়ার হয় অন্যের বক্তব্য, আর দুকলম নিজে লিখলেও তার পুরোটায় অন্যকে হেও,তুচ্ছ...
06/05/2025

তাহাদের ফেসবুক আইডি বা পেজ নিজের। কিন্তু তাতে সেয়ার হয় অন্যের বক্তব্য, আর দুকলম নিজে লিখলেও তার পুরোটায় অন্যকে হেও,তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বা সমালোচনা করে লিখা। পরার্থে জীবন কাটানো একেই বলে বুঝি🤗

সুইডেনের প্রেক্ষিতে কিছু ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ—বিদেশে আসা মানুষের সবার গল্প একরকম নয়—পথও একরকম না। আমি দেখেছি, কেউ এসেছেন...
20/04/2025

সুইডেনের প্রেক্ষিতে কিছু ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ—

বিদেশে আসা মানুষের সবার গল্প একরকম নয়—পথও একরকম না। আমি দেখেছি, কেউ এসেছেন সত্যিকারের যোগ্যতা আর সংগ্রামের মাধ্যমে। আবার কেউ এসেছেন নানা ফাঁকফোকর খুঁজে, কোনো নিয়মের গ্যাপে ঢুকে পড়ে, কখনো কারো কাঁধে ভর করে। কেউ নিজের যোগ্যতায় যেকোনো দেশে সেটেল্ড হবার ক্ষমতা রাখেন, আবার কেউ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সুযোগ তৈরি করে নেন।

আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি—অনেকেই নিজের সীমাবদ্ধতা বা ভুলগুলো আড়াল করতে চান। সিস্টেমের সুযোগ নিয়ে সুবিধা নেন, তারপর আবার সিস্টেমের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হন। এটাও একটা বাস্তবতা।

আমার মনে হয়, এসব বৈচিত্র্যের মধ্যেই একটা অভিজ্ঞতা গড়ে ওঠে। কেউ হেরেও শিখে, কেউ জিতে গিয়েও হারিয়ে যায়। সবাই আসলে নিজের জায়গা থেকে পথ খোঁজে। তবে—যাঁরা সংগ্রাম করে এখানে দাঁড়িয়েছেন, সত্যিই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা। যারা জিতে গিয়েও টিকে থাকেনি, তাঁরা আবার শুরু করতে পারেন।

সবশেষে বলি—বিদেশ মানেই সফলতা না, আর দেশে থাকা মানেই পিছিয়ে থাকা না। মানুষ, মূল্যবোধ, আর সততা—এইগুলো নিয়েই আসল পরিচয় তৈরি হয়। সফল হওয়ার চেয়ে মানুষ হওয়া বেশী জরুরি।

'সুইডেনে আসার দুই বছর হলো' এমন একটি স্টাটাস আমার ফেসবুক প্রোফাইলে দিয়েছিলাম। সেখানে লাস্ট লাইনে লিখেছিলাম "সুইডেন আমাকে ...
17/04/2025

'সুইডেনে আসার দুই বছর হলো' এমন একটি স্টাটাস আমার ফেসবুক প্রোফাইলে দিয়েছিলাম। সেখানে লাস্ট লাইনে লিখেছিলাম "সুইডেন আমাকে দিতে কিছু কি বাকি রেখেছে?” আলহামদুলিল্লাহ লাইন টা কিঞ্চিৎ গর্ব করেই লিখেছিলাম।

স্টাটাস টা দেখার পর সুইডেনে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুসের ই মনে হবে ফাউ কথা বা মিথ্যা কথা বলেছি। তাদের ধারনা যুক্তিসংগত তা আমি বিশ্বাস করি। কারন সুইডেন যতই উন্নত দেশ,সুখি দেশ হোক না কেনো এখানে বেশিরভাগ মানুসকে এসে সেটেল হতে নাকানি চুবানি খেতে হয় কমপক্ষে চার পাচ বছর বা তারও অধিক। তো সেই স্টাটাস দেখে এক আপু নক করে জিজ্ঞেস করলো কিভাবে কি আপু একটু বলবেন? প্রথমেই জিজ্ঞেস করে আমার প্রফেশন কি! হোম মেকার শুনে বলেই বসলো একজন জব করে লিভিং কস্ট ম্যানেজ করা দুরহ বেপার স্টকহোমের মত শহরে আপনারা কিভাবে সব ম্যানেজ করলেন?

উনার এই প্রশ্নে ভেতরে ভেতরে গিলটি ফিল হতে লাগ্লো আমার এই স্টাটাস টা না জানি উনার বিষন্নতার কারন হয়ে যায়। আমি সহজে ফেবুতে কিছু লিখিনা কারন আমার অতি সামান্য হ্যাপিনেস সেয়ারে যদি অন্য কেউ কস্ট পায়, হতাস হয় বা জেলাস! তারপর উনার সাথে কিছুক্ষন কথা হয়ে জানলাম উনারা মাত্রই এসেছেন স্টুডেন্ট ভিসা তে সেল্ফ ফান্ডে। হাসবেন্ড ওয়াইফ কেউ ই জব ম্যানেজ করতে পারেনি সেজন্য খুব ই প্রেসার এ আছেন তারা। নতুন যারা আসেন এই দেশে তাদের অনেক কিছুর সাথে যুদ্ধ করে সারভাইভ করা লাগে এই দেশে যেমন আবহাওয়া,আবাসন,চাকুরি,ভাষা ইত্যাদি।।
আমি নেগেটিভ কিছু না বলে যতটা সম্ভব মোটিভেট করার চেস্টা করেছি আপু টাকে তারপর কথা শেষ করেছি।

এবার আসি আসল কথায়,এই যে বলেছিলাম সুইডেন কিছু দিতে কি বাকি রেখেছে এটার মানে সুইডেনে এসে দুই বছরে বিলিয়নিয়ার হয়ে গেছি এমন টা মিন করিনি। হাসবেন্ডের একটা স্থায়ী জব, জব শেষে পেনসন সুবিধা,সুইডেনে নিজেদের একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট, আমার কলিজার টুকরা ছেলের জন্ম সুইডেনের মাটিতে, তাকে জন্ম দেয়ার কারনে বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাওয়া,আমার মেয়েটার একটা চমৎকার স্কুলে পড়াশুনার সুযোগ পাওয়া এই ছোট ছোট প্রাপ্তি গুলোর জন্যই বলা সুইডেন কিছু দিতে বাকি রাখেনি।।

তবে হ্যা আজকের এই স্বচ্ছলতার পিছনে রয়েছে আমার প্রিয় মানুস টার সারাজিবনের অক্লান্ত পরিশ্রম,অধ্যাবসায় আর 15 বছরের প্রফেশনাল ক্যারিয়ার।।আর বিগত 9 বছর ধরে তাকে আমার দেয়া মানুসিক সাপোর্ট। সৎ পথে এক দুই দিনে সাকসেসফুল হওয়া যায়না এই দুনিয়াতে। লেগে থাকতে হয়।।

ছোট থেকে শারীরিক খুঁত গুলো খুঁজে খুঁজে যারা খোঁচা মেরে কথা বলেছেন, তাদের কারো কিন্তু ঐ খুঁত গুলোর সঙ্গে কোনো সরাসরি সম্প...
14/04/2025

ছোট থেকে শারীরিক খুঁত গুলো খুঁজে খুঁজে যারা খোঁচা মেরে কথা বলেছেন, তাদের কারো কিন্তু ঐ খুঁত গুলোর সঙ্গে কোনো সরাসরি সম্পর্ক ছিল না, লাভ ক্ষতির হিসাবও না। মানে আমি কালো হই বা মোটা তাতে ঐ সব মানুষের কিছু যেত আসতো না। তারপরেও তারা শুধু বলার আনন্দে বলতেন, যেন তাদের মাথা ব্যথার শেষ নেই। একটা অপরিণত বাচ্চা মেয়ের মানসিক ভাবে কুঁকড়ে যাওয়াটা মনে মনে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন। লাভ বলতে এইটুকুই ।

আমি মেয়ে বলে আক্রমণ ছিল একদিক দিয়ে। ছেলেদের ধাক্কা দেওয়া হয় আরও অন্য দিক দিয়ে। যে যে কথায় বিদ্ধ হয়, বিদ্ধস্ত হয় তাকে সেই কথা গুলো ছুঁড়তে হয়। এটাই এদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরম্পরা... যাই নাম দিন। এটা চলে আসছে।

সমস্ত বাল্য, কৈশোর শুনে এলাম, আমি ভয়ানক কালো। ঠারেঠোরে মা বাবাকে শোনানো হত, এর বিয়ে মুশকিল। বাড়ির অন্য মেয়েরা টকটকে রঙ নিয়ে টকটক করতে করতে শ্বশুরবাড়ি চলে যাবে।

তা এতে শাপে বরই হল। বান্ধবী বা অন্যান্য বোনদের মত সাজসজ্জায় বা হবু শ্বশুরবাড়ির কল্পনায় মন লাগলো না কোনোদিন। কখনো রঙিন পোশাকও পরিনি। শুধু সাদা। মানায় না তো কিছুই। তাই ওসব নিয়ে সময় নষ্ট না করাই ভালো। প্রেমেও পড়লাম নাচ, গান, রবীন্দ্রনাথ আর পাহাড়ের। যারা কোনোদিন আমার আমিকে নিয়ে তামাশা করবে না। করেনি।

সেই আমার অনাবশ্যক মানুষদের পাত্তা না দেওয়ার শুরু।
আজও যেচে যেচে লোকজন বলে যান। আমার অতিরিক্ত ওজন যেন তাদেরই পয়সায় খেয়ে পরে হয়েছে। কিম্বা আমার ওজনের জন্য তাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
আমি একগাল হেসে আরো দুটো রসমালাই পুরি মুখে।

একদিন আমাকে একজন বলল, কোনো মানুষকে এক সেকেন্ডের মধ্যে কী করে ডিপ্রেসড করে দেওয়া যায় বলোতো?
বললাম, কী করে?
বলল, যেই দেখা হবে, বলবে, ওমা! তোমার কি শরীর খারাপ? এত চেহারা খারাপ হয়ে গেছে কেন? চোখের তলায় কালি, ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে। কিম্বা কেউ খুব সেজেগুজে ঘুরে বেড়ালে বলতে হয়, শরীরের দিকে খেয়াল করো। কী মোটাই না লাগছে। ব্যাস অমনি এরা চুপসে যায়।
বলতে বলতে তার চোখ গুলো খুনীর মতো চকচক করে উঠলো। হ্যাঁ, খুনীর মতো।
আমি বললাম, আমাকে এসব বলে এত জ্ঞান অপাত্রে দান কোরো না। আমার কাজ ডিপ্রেশন তাড়ানো, ডিপ্রেশনে ফেলা নয়। তোমার আনন্দ নিয়ে তুমি থাকো।

মনে পড়ল একটি ঘটনার কথা।
একটি সেমিনারে একজন নামী সঙ্গীতশিল্পী বক্তব্য রাখছেন। তাঁর আগে যিনি বক্তব্য রেখেছেন তিনি দীর্ঘকায় । মাইকটাও সেই উচ্চতায় ছিল। সঙ্গীত শিল্পী একটু গলা উঁচু করে মাইকে কথা বলতে লাগলেন। পোডিয়ামের কারণে তাঁকে অনেকটাই দেখা যাচ্ছিল না। কথার মাঝখানে বিঘ্ন ঘটিয়ে
দর্শক আসন থেকে কেউ বলে উঠলেন, দেখা যাচ্ছে না।
সঙ্গীত শিল্পী একটুও বিচলিত না হয়ে বললেন, আমি দেখার নই, শোনার। শুনতে পাচ্ছেন তো? তাহলেই হল।

20/02/2025

আম্বানীর ছেলের বিয়ের ভিডিও/রিলস-ও মনে হয় এত সামনে আসে নাই গত ২/৩ দিনে রাজশাহীর ঐতিহাসিক বিয়ের যে সকল ভিডিও সামনে আসছে। বলি, বিয়ে কি এই ভিডিও করার জন্যই করছে নাকি.?🤣

08/02/2025
এগারো বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে, তার মা-বাবাকে ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে। বিষয়টা হয়তো অনেকের কাছে  হাসির খোরাক দিলেও, এটা কিন্তু ভা...
04/02/2025

এগারো বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে, তার মা-বাবাকে ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে। বিষয়টা হয়তো অনেকের কাছে হাসির খোরাক দিলেও, এটা কিন্তু ভাববার বিষয়। এটা ঠিক না ভুল, এই বিচার করার বয়স তার হয়নি! সে কেবল বুঝে, মা-বাবা যা নিষেধ করেন তা সবই ভুল! এই যে বাচ্চা মেয়েটা বেরিয়ে পড়ল, এটা তার ভুল নয়, এটা সময়ের প্রভাব। অনেকেই আপনারা আপনাদের ছোটোবেলার কথা বলছেন, তার চেয়ে আপনারা অনেক ভালো ছিলেন ইশারাতে বোঝাতে চাচ্ছেন। ওই বয়সে আপনারা খেলতেন, দলবেঁধে স্কুলে যেতেন,পুতুলের বিয়ে দিতেন। কিন্তু আপনি বিচার করুন, তার বেড়ে ওঠার পরিবেশ আর আপনার পরিবেশ কি এক? আপনি গ্রামে থেকেছেন, একান্নবর্তী পরিবার পেয়েছেন, গ্রামের বিভিন্ন আত্মীয় পেয়েছেন, এক জগড় পরিচিত খেলার সঙ্গী পেয়েছেন। তাদের সাথে সারা দিন কাটালেও মা-বাবা চিন্তা করতেন না কারণ সবাই সবার কোনো না কোনোভাবে পরিচিত। আপনার অবসর কাটানোর জন্য বিভিন্ন উপায় পেয়েছেন। কিন্তু বাচ্চাটা? সে তো এসব কিছুই পায়নি, পাওয়া বলতে মুঠোফোনে পুরো পৃথিবী পেয়েছে, যেখানে সব দেখা যায় কিন্তু স্নেহের স্পর্শ পাওয়া যায় না। জীবিকার জন্য মা-বাবাকে শহরে একটা খুপড়ি বাসা নিতে হয়েছে, আশেপাশে যাদের পেয়েছে তারা সবাই ফেইক মানুষজন, যারা কালে-ভদ্রে প্রশংসাটা করলেও সেটা ফেইক। বাচ্চা মেয়েটার মা-বাবার বাইরে আর কোনো ভালো বন্ধু পায়নি। তাই বারবার সে ভার্চুয়াল জগৎকেই বেছে নিয়েছে। মা-বাবা বাচ্চার হাতে মোবাইল দিয়ে তারা মুক্তি নিয়েছে! এখানে সে হয়তো ভাবছে, আমার নিজের একটা জগৎ আছে যা মা-বাবার নিষেধ থাকবে না। প্রথমেই বলেছি, এটা সময়ের প্রভাব। এই প্রভাব থেকে আপনার, আমার বাচ্চারাও মুক্ত নয়। কারণ তাদের বেড়ে ওঠার গল্পটা কিন্তু একই!

এমন না যে, এ দেশীয় কালচারে এ বয়সে কারো বিয়ে হয়নি! অনেক হয়েছে, এই তো দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই এই বয়সে অনেকের সন্তানও হয়েছে। আমাদের মা,চাচি,দাদি,নানি এ বয়সের কাছাকাছি তাদেরও বিয়ে হয়। আমাদের উনিশ শতক বা বিশ শতকের অনেক লেখকের বউ ও মেয়েদের বিয়ে অল্প বয়সেই হয়েছিল এ কথা প্রায় সবারই জানা। বাঙালিরা প্রথম জানল ইংরেজরা আসার পর থেকে, মেয়েদের বিয়ের বয়স বেশি হলেও সমস্যা নেই। উনিশ শতকে বাংলায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্য ছিল শেক্স পিয়রের 'রোমিও-জুলিয়েট' অনুবাদ গ্রন্থটি। তখনকার সময়ে কোনো বাঙালি মানুষ যদি 'রোমিও-জুলিয়েট' না পড়ত তাহলে তাকে শিক্ষিত বাঙালি হিসেবে কেউ ধরতো না, বলা যায় সে সময় ট্রেন্ডিং বই ওটা। ওই বইয়ে নায়িকা জুলিয়েট এর বয়স ছিল সতেরো। বাঙালি এটা পড়ার পরেই বিভিন্ন কথা সাহিত্যিক তাদের গল্পে নায়িকাদের বয়স বাড়াতে শুরু করল!

যা বলতে চাই,
বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, ডিপ্রেশনে, সুইসাইড করে। বিশ্বে, বছরে গড়ে দশ লক্ষাধিক। যা মহামারি, যুদ্ধ, অ্যাক্সিডেন্ট থেকেও বেশি। এর কারণ কী! এর কারণ, আমরা দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছি। বয়স বিশ হওয়ার পরেই আমাদের সব আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সব কৌতূহল পূরণ হয়ে গেছে, কিছুই বাকি নেই, জানার, বোঝার। আঠারো হওয়ার আগেই পাঁচাখানা সম্পর্ক হয়ে গেছে। তারপর সব বোর লাগে, বিরক্ত লাগে, ওভার থিংকিং হয়! একটা জিনিস ভাবুন, আগের সময়ে এগারো বছরে বিয়ে হয়ে সংসার করতো এমনকি বাচ্চা পালনও করত। কিন্তু এখন পঁচিশ বছরে বিয়ে হওয়ার পরও অনেকের সংসার হচ্ছে না। কারণ কী! কারণ সময়ের প্রভাব।

কারণ খোঁজার চেষ্টা করি,

দেখুন, গত পনেরো বছরে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা একটা বিরাট পরিবর্তন। যা পাঁচশো বছরেও হয়নি। মুঠোর মধ্যে সারা পৃথিবী থাকার ফলে আমরা এখন সবচেয়ে বেশি তথ্যের আঘাত পাচ্ছি। এখনকার মা-বাবারা এখনও আয়ত্ত করতে পারেনি, এই বিপুল তথ্য পাওয়া বাচ্চাগুলোকে কীভাবে পরিচালনা করতে হবে! এখনকার মা-বাবারা তাদের বাচ্চাদের বয়সে এত তথ্যের ভান্ডার পায়নি। পেপার, পত্রিকা পড়ে যা জানত তা খুবই অল্প। কিন্তু এখন একটা বাচ্চা চ্যাট জিপিটি দিয়ে মুহূর্তে সব জেনে যাচ্ছে। এত বিপুল পরিমাণ তথ্য পাওয়া বাচ্চাদের মা-বাবারাও হিমশিম খাচ্ছে সামলাতে কারণ, তারাও এই বিপুল তথ্য দ্বারা আক্রান্ত। উভয়ের মধ্যে বাচ্চারাই বেশি, কারণ ভালো-মন্দ বিচার করার মতো বয়স তাদের হয়নি, তারা বিবেক বা মূল্যবোধ দিয়ে নয় বরং ফ্যান্টাসি দিয়েই সব বিচার করে। আর সর্বনাশটা ঘটে এখানেই!

আজকে যে বাচ্চাকে নিয়ে আমরা ট্রল বা সাইবার বুলিং করছি, মনে রাখবেন, আপনার বাচ্চাও কিন্তু হুমকিতে। তাই কারোর খারাপ সময়ে নির্লজ্জের মতো মজা না নিয়ে, আপনি আপনার পরিবারের শিশুটির ওপর মনোযোগ দিন। কারণ আপনার শিশুও ওইভাবে বেড়ে উঠছে। যে বাবার শিশুটি ঘর ছেড়ে বেরিয়েছে, সেই বাবার জায়গায় নিজেকে বসান। মোবাইলের স্ক্রিনে বাচ্চাকে ছেড়ে না দিয়ে, নিজেও স্ক্রিনের মুখ গুঁজে না দিয়ে বাচ্চাক সময় দিন। তা না হলে, ভালোবাসা পাওয়ার জন্য,আগ্রহ পাওয়ার জন্য, মনোযোগ পাওয়ার জন্য, মোস্তাক সাহেবের মতো একজন বেশি বয়সী মানুষকে, তিশার মতো বাচ্চা একটা মেয়ে বেছে নিতে দ্বিধা করবে না। সবার মঙ্গল হোক, শুভ বোধ উদয় হোক!

copied

যখন আপনার আত্মসম্মানবোধ টনটনে হবে তখন আপনার বন্ধু কমে যাবে। মেরুদণ্ডহীন মানুষের বন্ধু বেশি হয়। কারণ সে তার নিজের সম্মান ...
29/01/2025

যখন আপনার আত্মসম্মানবোধ টনটনে হবে তখন আপনার বন্ধু কমে যাবে। মেরুদণ্ডহীন মানুষের বন্ধু বেশি হয়। কারণ সে তার নিজের সম্মান রক্ষা করবার জন্য নিজেই আওয়াজ তুলতে পারে না। আপনি পারেন। মানুষ "পারা" মানুষকে পছন্দ করে না।
যতক্ষণ আপনি অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকবেন ততক্ষণ লোকে আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবে। যে মুহুর্ত থেকে আপনি স্বনির্ভর এবং স্পষ্টভাষী হয়ে যাবেন, দেখবেন শরীর থেকে এক্সট্রা মেদ ঝরে যাবার মতো কিছু এক্সট্রা বন্ধু আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে।
শরীরে এক্সট্রা মেদ ঝরে যাওয়া যেমন উপকারী তেমনি এক্সট্রা বন্ধু ঝরে যাওয়া ও সমান উপকারী।।

Adress

Stockholm

Webbplats

Aviseringar

Var den första att veta och låt oss skicka ett mail när Daybook of Lima postar nyheter och kampanjer. Din e-postadress kommer inte att användas för något annat ändamål, och du kan när som helst avbryta prenumerationen.

Kontakta Affären

Skicka ett meddelande till Daybook of Lima:

Dela