16/06/2025
যাস্ট সৌদি আরবের জায়গায় সিঙ্গাপুর বসায়া দেন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশি বনাম ফিলিপিনো। কে কীভাবে এগিয়ে?
বাংলাদেশিরা কাজ খোঁজে। ফিলিপিনোরা কাজ শেখে।
একই দেশ, একই রাস্তায়, একই পাসপোর্ট কালার বাদে সব এক। তবু পার্থক্য থেকে যায় ব্যবহারে, দৃষ্টিভঙ্গিতে, আর ফলাফলে।
বাংলাদেশি প্রবাসী সৌদিতে আসে, প্রথমেই “চাকরি আছে নাকি?” প্রশ্নটা করে।
ফিলিপিনো প্রবাসী সৌদিতে আসে,
প্রথমেই “আপনার কোম্পানিতে কোন স্কিল দরকার?” জিজ্ঞেস করে।
একজন কাজ খোঁজে। আরেকজন কাজ তৈরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখে।
বাংলাদেশি গার্ড চাকরি করে ১০ বছর, তবু নিজের সিভি বানাতে জানে না।
ফিলিপিনো গার্ড ১ বছরের মধ্যে কম্পিউটার কোর্স করে, MS Word শেখে, আর বলে “আমি কাস্টমার সার্ভিসে যেতে চাই।”
বাংলাদেশি কর্মী যখন অফিসে ঢোকে, সে ভাবে: “বেতন ঠিক মতো দিচ্ছে তো?”
ফিলিপিনো যখন অফিসে ঢোকে, সে ভাবে: “আজ নতুন কী শিখতে পারি?”
একজন প্রবাসে এসে সন্ধ্যাবেলায় চায়ের দোকানে গিয়ে দেশের রাজনীতি নিয়ে তর্ক করে।
আর একজন প্রবাসে এসে সন্ধ্যায় Udemy খুলে কোর্স করে।
একজনের হাত ফোন, তবে সেটা Pubg বা ফেসবুকে।
আরেকজনের হাতেও ফোন, তবে সেখানে LinkedIn অপেন করা।
বাংলাদেশিরা গোপন করে। যদি এক ভাই কিছু শিখে, সে আরেক ভাইকে সেটা শিখতে দেয় না, কারণ সে ভাবে, “সে শিখে ফেললে আমি পিছিয়ে যাব।”
ফিলিপিনোরা গোষ্ঠীবদ্ধ হয়। একজন নতুন কোনো কোর্স পেলে গ্রুপে শেয়ার করে, পাস করে সবাই মিলে সেলিব্রেশন করে।
বাংলাদেশি প্রবাসী দোকান দেয়, নাম রাখে “Al Noor Super Market” লোগো বানায় Google থেকে “Halal Logo PNG” নামিয়ে। সাইনবোর্ডে থাকে ইংরেজি হরফে লেখা ৩ লাইনের নাম কিন্তু ভিতরে কেউ ইংরেজি বলতে পারে না।
ফিলিপিনো প্রবাসী ছোট একটা সালুন দেয়, নাম রাখে “Glow Studio,” একটা মিনিমাল লোগো বানায় Canva-তে। আর কাস্টমার ঢুকলে ইংরেজিতে বলে Hello sir, how would you like your cut today?
এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো ফিলিপিনোরা নিজের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিজে নেয়। বাংলাদেশিরা সেই দায়িত্ব “ভাই বলেছে”, “কফিল ভালো না”, “লেখাপড়া কম” এইসব বাক্যে ছেড়ে দেয়।
তাই আজ ৭০০,০০০+ ফিলিপিনো সৌদিতে কাজ করে
সেইম আইনে, সেইম কফিল সিস্টেমে কেউ নার্স, কেউ কাস্টমার সার্ভিস এক্সপার্ট, কেউ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার।
আর বাংলাদেশিরা এখনো ভাবে “নিরাপত্তা প্রহরী চাকরি পেলে হজ্ব হবে ইনশাআল্লাহ।”
ফিলিপিনোরা বিদেশে গিয়ে “নিজেকে বিক্রি করে” স্কিলে, চেষ্টায়, ব্যবহারে।
বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে “নিজেকে খরচ করে” সময়ে, সুযোগে, অবহেলায়।
একজন নিজের জীবন বানাতে চায়। আরেকজন নিজের দেশে ফিরে “আমি অনেক কষ্ট করেছি” এই ডায়লগ বলতে চায়।
আমি সত্যিই দুঃখিত এসব লেখার জন্য।
Mahmud Hasan Tabib