30/04/2024
🌴চারেদিকে গাছ রোপনের হিড়িক পরেছে, কেউ বুঝে আবার কেউ নাবুঝেই, কেউ প্রচারণার জন্য সস্তা গাছ লাগাচ্ছে কেউ আবার ট্রেন্ডিং এর কারনে।
🍃গাছ বা বন কে বলা হয় পরিবেশের রক্ষাকবচ। তবে এই গাছেই আবার হয়ে উঠতে পারে পরিবেশের জন্য বিপদজনক কারন সব গাছেই যে অক্সিজেন দেয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে ব্যপারটা কিন্তু এমন নয়।
এমন অনেক গাছ আছে যারা পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করাসহ আরো নানা ভাবে অনেক ক্ষতিকরে থাকে। যেমন:- ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, রেইনট্রি ইত্যাদি ইত্যাদি
আপনারা যারাই গাছ রোপণ কিংবা বিতরণ করবেন তারা অবশ্যই ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি এবং রেইনট্রি চারা বাদে রোপণ করার চেষ্টা করবেন। সস্তায় গাছ লাগিয়ে পরিবেশের বিপদ টেনে আনবেন না প্লিজ।
🌵ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের ক্ষতিকর প্রভাব অনেক। ইউক্যালিপটাস গাছ প্রচুর অক্সিজেন শোষণ করে এবং নাইট্রোজেন ত্যাগ করে। প্রচুর পানি শোষণ করার ফলে এই গাছ আশ পাশের জমির পানি শুষে নেয়। এই গাছের আশ পাশে অন্য প্রজাতির গাছ জন্মাতে পারে না। এ গাছ মাটিকে শুষ্ক করে ফেলে, ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। আর এ গাছ কেটে ফেললেও মাটির উর্বরতা ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে।
🍀তাই চেষ্টা করবেন কিছু টাকা বাড়িয়ে ফলজ এবং ঔষধি গাছ রোপণ করতে, এক্ষেত্রে- আম গাছ, নীম গাছ, তাল গাছ আদর্শ হতে পারে.......
☘বিশেষজ্ঞারা বলছেন, তালগাছে কার্বনের স্তর বেশি থাকায় তা বজ্রপাত নিরোধে সহায়তা করে। কারণ, তালগাছের বাকলে পুরু কার্বনের স্তর থাকে। তালগাছের উচ্চতা ও গঠনগত দিক থেকেও বজ্রপাত নিরোধে সহায়ক। তালগাছের পাশাপাশি নারকেল গাছ, সুপারি গাছের মতো উচ্চতা সম্পন্ন গাছ বজ্রপাত নিরোধে বেশ কার্যকর।
🌿বেশি বেশি শেয়ার করুন সবাইকে সচেতন করে দিন