07/07/2025
সুন্দরবন একটি ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর পলি জমে এই বনাঞ্চল গঠিত হয়েছে। প্রায় ২০০ বছর আগে সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১৬,৭০০ বর্গকিলোমিটার, যা বর্তমানে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী বসবাস করে, যার মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সুন্দরবনের নামকরণ নিয়ে মতভেদ থাকলেও, "সুন্দর গাছ" থেকে এই নামকরণ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।
নামকরণ:
সুন্দরবনের নামকরণ সম্ভবত "সুন্দর গাছ" থেকে হয়েছে, যা এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জন্মায়।
জীববৈচিত্র্য:
সুন্দরবন রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, বানর, কুমির, সাপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল।
স্বীকৃতি:
১৯৯২ সালে সুন্দরবনকে রামসার সাইট হিসেবে এবং ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
বিভাগ:
ভারত ভাগের পর সুন্দরবনের একাংশ (৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার) বাংলাদেশ অংশে পড়ে।
মুঘল আমল:
মুঘল সম্রাটরা সুন্দরবনের ভূমি স্থানীয়দের কাছে ইজারা দিতেন
অবস্থান: খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত পৃথিবীর একক বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন হচ্ছে আমাদের সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে এ বন অবস্থিত।
পরিমাণ: প্রায় ৬,০১,৭০০ হেক্টর যা দেশের আয়তনের ৪.১৩% এবং বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির ৩৮.১২%।
উদ্ভিদ প্রজাতি: সুন্দরী, গেওয়া, কেওড়া, পশুর, বাইন, কাকড়া ইত্যাদি এ বনের প্রধান প্রধান বৃক্ষ প্রজাতি।
বন্যপ্রাণী: এ বনের উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, শুকর, কুমির, ডলফিন, গুইসাপ, অজগর, হরিয়াল, বালিহাঁস, গাংচিল, বক, মদনটাক, মরালিহাঁস, চখা, ঈগল, চিল মাছরাঙা ইত্যাদি।
নদী/খাল: এ বনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত প্রধান প্রধান নদীগুলো হলো- পশুর, শিবসা, বলেশ্বর, রায়মংগল ইত্যাদি। তাছাড়া শত শত খাল এ বনের মধ্যে জালের মতো ছড়িয়ে আছে।
মাছ: শুধু বৃক্ষসম্পদ নয়, এ বন মৎস্য সম্পদেরও এক বিরাট আধার। ইলিশ, লইট্টা, ছুরি, পোয়া, রূপচাঁদা, ভেটকি, পারসে, গলদা, বাগদা, চিতরা ইত্যাদি মাছ পাওয়া যায়।
বিশ্ব ঐতিহ্য: সুন্দরবনের ৩ টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য নিয়ে গঠিত ১,৩৯,৭০০ হেক্টর বনাঞ্চলকে ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করেছে।