02/07/2021
#বাংলাদেশ_নিয়ে_আমার_সব_বুঝা_শেষ_🙄!
👉সকালে ৭ হাজার টাকার বালিশে মাথা রেখে ৮৫ হাজার টাকা দামের বই পড়ছিলাম। হঠাৎ মেঘের গুড়গুড় শব্দ শুনে ৩৭ লাখ টাকা দামের জানালার পর্দা সরিয়ে দেখলাম বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বালিশের পাশে রাখা ১৫ লক্ষ টাকা দামের টেলিফোন টি বেজে ওঠলো। ফোন রিসিভ করার পর ওপাশ থেকে বন্ধু বললো, দোস্ত ৪০০ কোটি টাকার স্যাটেলাইটের কল্যাণে বিটিভি এখন ভারতে।
একথা শুনে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে জ্ঞান হারালাম। জ্ঞান ফিরে দেখি, আমি হাসপাতালের ২ কোটি টাকা দামের লিফটের ভিতরে ট্রলিতে শুয়ে আছি। আমাকে লিফট থেকে নামিয়ে হাসপাতালের একটি কেবিনে নিয়ে শুইয়ে দিয়ে ডাক্তার আমার হৃদস্পন্দন মাপছেন ১ লাখ ১২ হাজার টাকার হেডকার্ডিয়াক স্টেথোস্কোপ দিয়ে আর বলছেন ৫২ লক্ষ টাকা দামের এসি টা ছাড়তে। ডাঃ সাহেবের কথা শুনে আমার ব্লাড পেসার বেড়ে গেলো। তখন জরুরী ভিত্তিতে ভিজিল্যান্স টিম এসে ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকার ডিজিটাল ব্লাড পেসার মেশিন দিয়ে রক্তচাপ পরিক্ষা করে ৩ লক্ষ টাকা দামের ল্যাপটপ থেকে রিপোর্ট বের করে দিলেন।
মেশিনের এবং ল্যাপটপের দাম শুনে আমি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় পড়লাম। ডাক্তার দ্রুত ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার অক্সিজেন জেনারেটিং প্ল্যান্ট এনে মাস্ক মুখে লাগিয়ে দিলেন। এমন সময় আত্নীয় স্বজনরা ফল নিয়ে আমাকে দেখার জন্য রুমে প্রবেশ করে ১২ লক্ষ টাকা দামের টেবিলের উপরে ফলের ব্যাগটি রেখে, ৫০ হাজার টাকা দামের চেয়ারের উপর পা তুলে বসে আয়াকে বল্লেন ফল কাটার জন্য বটি, প্লেট,চামচ নিয়ে আস। আয়া ১০ হাজার টাকা দামের বটি,১ হাজার টাকা দামের প্লেট,১ হাজার টাকা দামের কাটা চামচ এবং সকালের নাস্তা ১ হাজার টাকা দামের ১ হালি কলা, ১ হাজার টাকা দামের ১ হালি সেদ্ধ ডিম দিয়ে গেলেন এবং ময়লা ফেলার জন্য ১০ হাজার টাকা দামের ১ টি ছোট্ট ড্রাম দিয়ে গেলেন। দাম শুনে এবার আমার হাটবিট গেল বেড়ে। এমন সময় গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন আসল বললো বন্যার পানিতে বাড়ি ঘর থই থই। ঝড়ে আমার ৬১ লক্ষ টাকা দামের নারিকেল গাছ ভেঙে টিনের চালের উপর পড়ে ঘর ভেঙে গেছে। যে টিনের প্রতি ভানের দাম ছিল ৭ লক্ষ টাকা। এখন ঘরের মালামাল সরানোর জন্য আমার ৭ লক্ষ টাকা দামের কলা গাছ কেটে ভেলা বানিয়েছে। এই কথা শুনে এবার আমার হাট বিট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে ডাঃ আমাকে দ্রুত আই সিউতে নিয়ে যান। ৩ দিন পরে আমি সুস্হ হলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ৭ লক্ষ টাকার একটি বিল আমার এক স্বজনকে ধরিয়ে দিলে সে ও অজ্ঞান হয়ে গেলে আমি তাকে নিয়ে ঐ অবস্হায়ই গ্রামের বাড়ি চলে আসি। আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ৪.৫ জি গতির ইন্টারনেটে ফেসবুক ব্রাউজ করছি আর দুর্নীতি ও লুটপাটের খবর পড়ছি।
*ভাল লাগছে তাই কপি পোষ্ট।।