11/16/2025
আমেরিকায় F1 স্টুডেন্টদের জব পাওয়া নিশ্চিতভাবে মার্কিন নাগরিকদের তুলনায় অনেক অনেক কঠিন, কিন্তু একেবারে অসম্ভব নয়—প্রতি বছর অনেক F1 স্টুডেন্ট গ্র্যাজুয়েশনের পর যুক্তরাষ্ট্রে কাজ পায়। মূল বিষয় হলো কেন এটি কঠিন এবং কীভাবে আগেই প্রস্তুতি নিলে সফল হওয়া যায়—সেটা বুঝে নেওয়া।
আমি সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি।
1. F-1 ছাত্রদের জন্য “চাকরি পাওয়া” বলতে কী বোঝায়?
ডিগ্রি শেষ করার পর স্বাভাবিক পথটি হলো:
OPT (Optional Practical ট্রেনিং)—আপনার সাবজেক্ট বা মেজর এর সাথে সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১২ মাস কাজ করার অনুমতি পাবেন।
যদি আপনার ডিগ্রি STEM হয়, তাহলে আপনি ২৪-মাসের STEM OPT এক্সটেনশন পেতে পারেন (মোট প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত কাজের অনুমতি)।
অর্থাৎ প্রথম “চাকরি” বলতে সাধারণত আপনার বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি OPT চাকরি | তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয় | OPT- তে ৯০ দিনের বেকারত্ব সীমা আছে | অর্থাৎ আপনি ৯০ দিনের বেশি বেকার থাকলে আপনার ভিসা স্টেটাস হারাবেন |
2. বাস্তবে কতটা কঠিন?
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের সামগ্রিক চাকরির বাজার ভীষণ রকম চ্যালেঞ্জিং |
আন্তর্জাতিক বা F1 স্টুডেন্টদের জন্য জন্য এটি আরও কঠিন, কারণ:
কোম্পানিগুলো ভিসা ও স্পনসরশিপ নিয়ে চিন্তিত থাকে | সাধারণত ডোমেস্টিক ক্যান্ডিডেট পেলে কোম্পানিগুলো ছাত্রদের Hire করতে চান না |
বর্তমানে শুধুমাত্র সেই সমস্ত ছাত্ররাই (সংখ্যাই খুবই কম ) জব পায় যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন থেকে পড়াশোনা ঠিক রাখেন, পড়াশোনার বাইরে স্কিলসেট তৈরী করেন, মেজর এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সার্টিফিকেশন করেন, কমিউনিকেশন ডেভেলপ করেন এবং সর্বোপরি একটা ভালো নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করতে পারেন |
বাংলাদেশে যে সমস্ত বাবা মা মনে করেন আপনাদের সন্তান কাজ করে টিউশন ফী, থাকা খাওয়ার খরচ ম্যানেজ করবে তাদের পক্ষে পড়াশুনা শেষ করে জব পাওয়া একটি ভীষণ কঠিন কাজ হবে | বলে রাখা ভালো এখানে জব বলতে আমি প্রফেশনাল জব বোঝাচ্ছি | তাই কাজ করে হয়তো কোনো রকমে সার্টিফিকেট পেতে পারেন কিন্তু জব পাওয়া প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি |