সাজ্জাদ

সাজ্জাদ Nothing can do anything...

টিকটক ভিডিওর নেশা — তরুণদের ভয়ংকর পরিণতি ও আমাদের করণীয়সম্প্রতি চট্টগ্রামে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে,...
05/21/2025

টিকটক ভিডিওর নেশা — তরুণদের ভয়ংকর পরিণতি ও আমাদের করণীয়

সম্প্রতি চট্টগ্রামে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, কিছু তরুণ ভালো ক্যামেরা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এক ফটোগ্রাফারকে হত্যা করেছে, শুধুমাত্র টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য। এ ঘটনা আমাদের সমাজে "টিকটক মহামারী" বা "ডিজিটাল নেশা"র ভয়াবহ বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

কি হচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজে?

ভিউসের পেছনে জীবন নষ্ট: হাজার হাজার লাইক, ফলোয়ার আর ভাইরাল হবার নেশায় তারা ভুলে যাচ্ছে বাস্তবতা, মূল্যবোধ এবং মানবিকতা।

সহিংসতা ও অপরাধে জড়িয়ে পড়া: সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব এতটাই গভীর হয়েছে যে, ভালো ভিডিও বানাতে খুন পর্যন্ত করতে পিছপা হচ্ছে না কেউ কেউ।

পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে: অধিকাংশ কেসে দেখা যায়, পরিবার এই আসক্তি সম্পর্কে অবগত নয় বা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।

আমাদের করণীয় কী?

১. অভিভাবকদের সচেতনতা: সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কার সঙ্গে মিশছে — এসব নিয়মিত খোঁজ রাখা খুব জরুরি।

২. ডিজিটাল গাইডলাইন তৈরি: পরিবার, স্কুল ও সমাজ মিলে অনলাইনের ব্যবহার সম্পর্কে নীতিমালা তৈরি করা ও তা শেখানো দরকার।

৩. টেক প্ল্যাটফর্মের দায়িত্ব: টিকটকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিকে কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণে আরও কড়া হতে হবে।

৪. আইন প্রয়োগ: এ ধরনের অপরাধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যরা শিক্ষা নেয়।

৫. সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন: স্কুল, কলেজ ও কমিউনিটিতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সেমিনার ও ক্যাম্পেইন আয়োজন করতে হবে।

শেষ কথা: সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে ভালো কিছু শেখার ও প্রকাশের জায়গা, যদি আমরা তা সচেতনভাবে ব্যবহার করি। কিন্তু যদি তা নেশায় পরিণত হয়, তবে তা ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। সময় এসেছে—নিজেদের, আমাদের সন্তানদের এবং সমাজকে এই ডিজিটাল নেশা থেকে রক্ষা করার।

#টিকটকআসক্তি #সোশ্যালমিডিয়া_সচেতনতা #তরুণসমাজ #সচেতনথাকুন #মানবিকতা_বাঁচান

একেই কি বলে কপাল😜
05/08/2025

একেই কি বলে কপাল😜

আজ ব্যাঙ বলে 🐸
04/03/2025

আজ ব্যাঙ বলে 🐸

ভালোই তো, এখানে এসে অন্তত তো তারা জোট গঠন করলো🐸
03/02/2025

ভালোই তো, এখানে এসে অন্তত তো তারা জোট গঠন করলো🐸

দুইজন মিলে নখ কেটে দিচ্ছে। আরেকজন পায়ের তলা পরিষ্কার করছে। কার? একজন কাস্টমারের। এই হল তথাকথিত নারী স্বাধীনতার বাস্তবতা।...
01/23/2025

দুইজন মিলে নখ কেটে দিচ্ছে। আরেকজন পায়ের তলা পরিষ্কার করছে। কার? একজন কাস্টমারের।

এই হল তথাকথিত নারী স্বাধীনতার বাস্তবতা। নিজের স্বামীর জন্য রান্না-বান্না করা, নিজের ঘর পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করা ও নিজ সন্তানের লালন- পালন করাকে পরাধীনতা মনে করে। অথচ পর পুরুষের পায়ের তলা পরিষ্কার করা আর ময়লা, দুর্গন্ধময় নখ কেটে দেয়াকে নিজেদের স্বাধীনতা মনে করে।
বাস্তবতা হল- পশ্চিমাদের বানানো নারী স্বাধীনতা নিছক্ ধোঁকা ছাড়া কিছুই না। ঠিক মরীচিকার মতো; দূর থেকে দেখতে পানি জ্বলমল করছে মনে হলেও কাছে গেলে বিভীষিকাময় শুষ্ক মরুভূমির বালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না।
অথবা বলতে পারো- ঠিক মরুভূমির চোরা বালির মত। ভরসার মনে করে পা' দিবে তো অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে।
হ্যাঁ, তথাকথিত নারী স্বাধীনতার এটাই বাস্তবতা।

স্কুলজীবনে The monkeys paw গল্পটা অনেকেই হয়তো পড়েছেন, যারা পড়েননি তাদের জন্য .....এক খনি শ্রমিক কয়লা খাদানে পেয়েছিল শু...
12/10/2024

স্কুলজীবনে The monkeys paw গল্পটা অনেকেই হয়তো পড়েছেন, যারা পড়েননি তাদের জন্য .....

এক খনি শ্রমিক কয়লা খাদানে পেয়েছিল শুকিয়ে যাওয়া একটা বাঁদরের থাবা । অজ্ঞাত কারণে সেটাকে ফেলে না দিয়ে যত্ন করে রেখে দিয়েছিল । এটা দেখে কোন এক তান্ত্রিক বলেছিল থাবাটা মন্ত্রপূত এবং এর কাছে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যাবে ! যদিও এটা সে কোনদিন পরীক্ষা করেনি ।
কেটে গেছে অনেক বছর , শ্রমিকটি অবসর নিয়েছে আর তার ছেলে বেছে নিয়েছে একই পেশা।

একবার দারুন অর্থ সংকটে পড়লো বুড়ো । কোথাও কিছু না পেয়ে যখন হতাশ তখনই তার মনে পড়লো সেই থাবার কথা । এক দুপুরে আলমারী থেকে বের করে সবাইকে লুকিয়ে ওটা নিয়ে সটান ছাদে .... উঁচু করে তুলে ধরে চীতকার করে বললো, একলাখ ফ্রাঁ !
মুহূর্তের জন্যে মনে হলো হাতের মাঝে জীবন্ত হয়ে উঠলো থাবাটা আর তারপর .......
দিনের শেষে কড়া নাড়ার শব্দে দরজা খুললো বুড়ো । দেখে সামনে দাঁড়িয়ে খনি ম্যানেজার , নীচু স্বরে বললো আজ দুপুরে খনির দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছে তার ছেলে । ক্ষতিপূরণ স্বরূপ যে খামটা এগিয়ে দিলো তাতে ছিলো ঠিক একলাখ ফ্রাঁ !

আমাদের জীবনেও বোধহয় রয়ে গেছে অদেখা সেই থাবার প্রভাব আর তাই একদিকের অপূর্ণতা পূরণ হয় নিঃস্ব করে দিয়ে অন্যদিক । সুখের খোঁজে হারানোর ভয়ে শুধু উদভ্রান্তের মতো ছুটে চলা ...... হেথা নয় হোথা নয় অন্য কোথা অন্য কোনোখানে !

Collected

12/02/2024

বাংলাদেশের হিরো আলম তো আরো ভালো অভিনয় করতে পারতো🤣😂

নোম চমস্কি—মিডিয়ার মাধ্যমে “মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার ১০টি কৌশল”এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে, নির্বুদ্ধিতাকে উৎসাহিত করা, অপরাধবো...
10/28/2024

নোম চমস্কি—মিডিয়ার মাধ্যমে “মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার ১০টি কৌশল”

এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে, নির্বুদ্ধিতাকে উৎসাহিত করা, অপরাধবোধ তৈরি করা, বিভ্রান্ত করা বা মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া এবং কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করে এরপর যাদুকরি ভাবে সেগুলির সমাধান প্রস্তাব করা।
বিশ্বখ্যাত সমালোচক, এমআইটি’র আজীবন ভাষাতত্ত্ববিদ ও গত এক দশকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভিন্নমতের অন্যতম সেরা কণ্ঠ নোম চমস্কি মিডিয়ার মাধ্যমে কারসাজি করে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের মন ও মগজ নিয়ন্ত্রণের ১০টি কমন কৌশলের তালিকা করেছেন।

ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখা যায়, গণমাধ্যম জনমত নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। মিডিয়ার নানা ধরনের লেখালেখি ও প্রচারণার ফলে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে, অন্যায্য যুদ্ধ ন্যায্যতা পেয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা গোপন হয়েছে, নানা আদর্শিক আন্দোলন অনুপ্রেরণা পেয়েছে, এমনকি গণমাধ্যম সামষ্টিক চেতনায় বাস্তবতার উৎপাদক হিসাবেও কাজ করেছে।

কিন্তু নিজেদের অজান্তে আমরাও অংশ নেই, এমন মনস্তাত্ত্বিক টুলগুলি বোঝার জন্য সবচেয়ে কমন কৌশলগুলি আমরা কীভাবে শনাক্ত করব?

সৌভাগ্যক্রমে, চমস্কি নিজেই তার কাঁধে এই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। তিনি এই প্র্যাকটিসগুলির সংশ্লেষণ এবং মুখোশ উন্মোচন করেছেন। এসবের কিছু আছে খুবই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এবং কিছু আছে গোপন। তবে সবগুলিই সমানভাবে কার্যকর এবং বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে হীনকরও বটে।

এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে, নির্বুদ্ধিতাকে উৎসাহিত করা, অপরাধবোধ তৈরি করা, বিভ্রান্ত করা বা মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া এবং কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করে এরপর যাদুকরি ভাবে সেগুলির সমাধান প্রস্তাব করা।

১. মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া

জনসাধারণের মন ও মগজ নিয়ন্ত্রণের একটি মৌলিক কৌশল হল বিভ্রান্তির কৌশল বা মানুষের মনোযোগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কৌশল।

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অনবরত সংবাদ প্রকাশ করে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অভিজাতরা নিজেদের স্বার্থে যেসব পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, সেগুলি থেকে জনগণের নজর ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এই কৌশলে।

বিজ্ঞান, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান এবং সাইবারনেটিক্সের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের প্রতি জনগণের আগ্রহ প্রতিরোধ করার জন্যও মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করার এই কৌশল ব্যবহার করা হয়।

“জনসাধারণের মনোযোগ সত্যিকারের সামাজিক সমস্যা থেকে দূরে সরে গেছে, প্রকৃতপক্ষে কোনো গুরুত্ব নাই এমন জিনিস নিয়ে তাদেরকে ব্যস্ত রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে ব্যস্ত, ব্যস্ত, ব্যস্ত, ভাবার সময় নাই, খামার এবং অন্যান্য প্রাণীদের কাছে ফিরে যাও এমন ভাবে রাখতে হবে।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

২. সমস্যা সৃষ্টি করে সমাধান প্রস্তাব করা

এই পদ্ধতিকে ‘সমস্যা-প্রতিক্রিয়া-সমাধান’ পদ্ধতিও বলা হয়।

এই পদ্ধতিতে একটি সমস্যা তৈরি করা হয় এমন একটা ‘পরিস্থিতি’ তৈরি করে, যা জনসাধারণের মধ্যে কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, সুতরাং আপনি যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে চান সেসবের মধ্যে এটিই প্রধান। উদাহরণস্বরূপ: শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে যেতে ও তা তীব্রতর হতে দেওয়া বা রক্তাক্ত হামলার ব্যবস্থা করা, যাতে জনগণ নিজেরাই তাদের স্বাধীনতা খর্ব করে নিরাপত্তা আইন এবং নীতি বাস্তবায়নের আবেদন জানায়। অথবা, অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে দরকারি মন্দকাজ হিসেবে সামাজিক অধিকার এবং সরকারের জনসেবামূলক কর্মসূচী স্থগিত করার প্রেক্ষাপট তৈরি করা।

৩. ধীরে ধীরে গ্রহণ করানোর কৌশল

অগ্রহণযোগ্য জিনিসকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সেটি ধীরে ধীরে একটানা কয়েক বছর ধরে প্রয়োগ করা। এই কৌশলেই মূলত ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে নতুন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা (নিওলিবারেলিজম) আরোপ করা হয়েছিল, যার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো—রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ শিথিল, বেসরকারিকরণ, অনিশ্চয়তা, নমনীয়তা, ব্যাপক বেকারত্ব, কম মজুরি এবং ভাল আয়ের গ্যারান্টি না থাকা।

ধীরে ধীরে এতগুলি পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছিল বলে আমাদের চোখে লাগে নি। কিন্তু সেগুলি যদি একবারে প্রয়োগ করা হতো, তাহলে তা একটি বিপ্লব হিসেবে গণ্য হত।

৪. সময়ক্ষেপণ কৌশল

কোনো অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করানোর আরেকটি উপায় হলো সেটিকে সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন না করে ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের কথা বলা এবং ভবিষ্যতের জন্য ‘বেদনাদায়ক ও প্রয়োজনীয়’ হিসাবে উপস্থাপন করা।

তাৎক্ষণিক ভাবে জবাই হওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার বদলে ভবিষ্যতের উৎসর্গ মেনে নেওয়া সহজ।

প্রথমত, কারণ তাৎক্ষণিকভাবে তা ব্যবহার করা হয় নি। তারপরে, জনসাধারণ, জনগণের মধ্যে সবসময় নির্লিপ্ত ভাবে এই প্রত্যাশা করার প্রবণতা আছে যে, ‘আগামিকাল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে’ এবং যে ক্ষতি প্রয়োজন, তা হয়তো এড়ানো যাবে।

এই কৌশলের মাধ্যমে জনসাধারণকে পরিবর্তনের ধারণায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয় এবং যখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময় আসে, তখন বিনা প্রতিরোধে গ্রহণ করার জন্য মানসিকভাবে তৈরি করা হয়।

৫. অবুঝ শিশু হিসেবে জনসাধারণের কাছে যাওয়া

সাধারণ মানুষের প্রতি বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনে বক্তৃতা, যুক্তি, মানুষ এবং বিশেষত বাচ্চাদের স্বরভঙ্গি ব্যবহার করা হয়। প্রায়শই দুর্বলতার কাছাকাছি, যেন দর্শক এক ছোট বাচ্চা বা তার মানসিক ভাবে ঘাটতি রয়েছে।

দর্শককে প্রতারিত করার জন্য একজন যতই বেশি চেষ্টা করে, ততই সে তাকে শিশু হিসেবে উপস্থাপন করার পদ্ধতি অবলম্বন করে।

কেন?

“যদি কোনো ব্যক্তি কারো কাছে গিয়ে তাকে মাত্র ১২ বছর বয়সী বা তার চেয়ে ছোট শিশু গণ্য করার ভাব দেখায়, তখন যার কাছে যাওয়া হয়েছে সেই মানুষটিও নিজের অজান্তেই নিজেকে শিশুই ভাবা শুরু করে এবং কোনো বিচার-বিবেচনামূলক প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

৬. বুদ্ধির চেয়ে আবেগের দিকটি বেশি ব্যবহার করা

যুক্তিসঙ্গত বিশ্লেষণে শর্ট সার্কিট তৈরির জন্য আবেগের অস্ত্র ব্যবহার করা একটি ক্ল্যাসিক কৌশল। যার মাধ্যমে ব্যক্তির সমালোচনামূলক বোধকেও দাবিয়ে দেওয়া যায়। এছাড়া আবেগের ব্যবহার করে অবচেতন মনের দরজা খুলে তাতে নানা ধারণা, আকাঙ্ক্ষা, ভয় এবং উদ্বেগ, অযৌক্তিক আচরণের তাড়না বা প্ররোচনার বীজ বপণ করে দেওয়া হয়।

৭. জনগণকে অজ্ঞ ও জ্ঞানগতভাবে অবিকশিত অবস্থায় রাখা

নিয়ন্ত্রণ ও দাসত্বের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও পদ্ধতির বুঝ সম্পর্কে জনসাধারণকে অজ্ঞ করে রাখা। “সমাজের নিচুতলার মানুষদেরকে দেওয়া শিক্ষার মানও নিচু করে রাখা, যাতে নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে জ্ঞানের যে পার্থক্য আছে, তা অতিক্রম করা নিম্ন শ্রেণীর পক্ষে সবসময়ই অসম্ভব হয়েই থাকে।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

৮. মাঝারি মান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে জনগণকে উৎসাহিত করা

জনগণকে বিশ্বাস করতে প্ররোচিত করা যে, সত্য হলো বোকা, অশ্লীল এবং অশিক্ষিত…।

৯. নিজেকে দোষ দেয়ার প্রবণতাকে শক্তিশালী করা

জনগণের মধ্যে তাদের দুর্ভাগ্যের জন্য তাদের নিজেদের বুদ্ধিমত্তার ব্যর্থতাকে, তাদের সক্ষমতা এবং তাদের প্রচেষ্টাকে দোষ দেওয়ার প্রবণতাকে শক্তিশালী করা। সুতরাং, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরিবর্তে জনসাধারণ অসহায়ত্ব এবং অপরাধবোধে নিমজ্জিত হয়ে যায়, যা হতাশার সৃষ্টি করে, যার প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল তার মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা সৃষ্টি করা। আর সক্রিয়তা ছাড়া কোনো বিপ্লব হয় না!

১০. লোকে নিজেকে যতটা জানে, তার চেয়েও তাকে বেশি জানা

গত ৫০ বছরে অ্যাকসিলারেটেড সায়েন্সে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তার ফলে জনসাধারণের জ্ঞান এবং ক্ষমতাবান অভিজাতদের জ্ঞানের মধ্যে এমন এক ফারাক তৈরি হয়েছে, যা উত্তোরত্তর বেড়ে চলেছে। জীববিজ্ঞান, স্নায়ুজীববিজ্ঞান এবং প্রায়োগিক মনোবিজ্ঞানের দরুন এই সিস্টেম শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকে মানবসত্তার এক দারুণ এবং উন্নত বুঝ অর্জন করেছে। এই সিস্টেম সাধারণ মানুষকে তাদের নিজেদের চেয়ে বেশি চেনে, বোঝে এবং জানে।

এর অর্থ হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, সিস্টেমটি ব্যক্তির ওপর ব্যক্তির নিজের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করে।

The unknown facts of

okey🐸
08/18/2024

okey🐸

বাড়িতে চোর ঢুকেছে! গাধা ও কুকুর পাশাপাশি বসে আছে। গাধা ভাবছে কুকুর হয়তো চোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, না। কুকুর ...
03/27/2024

বাড়িতে চোর ঢুকেছে! গাধা ও কুকুর পাশাপাশি বসে আছে। গাধা ভাবছে কুকুর হয়তো চোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, না। কুকুর চুপচাপ বসে আছে। কুকুরের নীরবতায় গাধার মনে সন্দেহ দেখা দিল। সে কুকুরের কাছে এসে বললো ভাই, একটা কিছু করো, চোর তো গুদাম ঘরের তালা ভাঙ্গা শুরু করে দিয়েছে।
গাধার কথায় কুকুর কর্ণপাত না করে বসে রইল। হঠাৎ গাধা চেয়ে দেখল কুকুরের সামনে হাড্ডি। হাড্ডির সাথে মাংসও আছে।
গাধা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।
এ কি দেখছে সে ?
বাড়ির একমাত্র পাহারাদার তার প্রিয় কুকুর ভাই কি শেষ পর্যন্ত ঘুষ খাওয়া শিখে ফেলেছে ?
তাও আবার চোরের মত বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, নিকৃষ্ট প্রাণীর কাছ থেকে ? ছিঃ! ছিঃ! ছিঃ!
এদিকে চোরেরা তালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
গাধা আর চুপ থাকতে পারল না,
সে গগন বিদারী চেঁচামেচি শুরু করে দিল।
তার চিৎকারে বাড়ির মালিকের ঘুম ভেঙ্গে গেল। মালিক খুব বিরক্ত হলো। সে ঘর থেকে বের হয়ে দেখলো কুকুর নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে, আর গাধা লাফাচ্ছে। মালিক ভাবলো হয়তো গাধাকে জ্বিনে ধরেছে অথবা পাগল হয়ে গেছে। তাই সে রাগান্বিত হয়ে লাঠি দিয়ে গাধার পিঠে বেশ কয়েকটা আঘাত করল। এতে গাধা খুবই ব্যথিত হল।
এখন গাধা কোথায় যাবে? মালিকের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে উল্টো মার খেতে হলো। অবশ্য চোর ধরা যার দায়িত্ব ছিল, সে ঘুষ খেয়ে চুপ থেকেছে।
আর গাধা অন্যের দায়িত্ব মাথায় নিয়ে অপরাধী হয়েছে।
অগত্যা গাধা মনে মনে ভাবছে- দায়িত্বশীলরা নষ্ট হয়ে গেলে করার কিছুই থাকেনা। এ সময় কিছু করতে যাওয়া বোকামী ছাড়া আর কিছুই না।
গল্পটা এখানেই শেষ।
কিন্তু আমার ভাবনা এখান থেকেই শুরু।
আমরা যারা চোরদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছি, তাদের অবস্থাও ওই গাধার মত। কথা বলে অপরাধী হচ্ছি। আর কুকুররা টোপ গিলছে এবং শত কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হচ্ছে।
তাই চোর ও কুকুরের গলাগলি যতদিন থাকবে- ততদিন আমাদের মত গাধাদের চোখ বুজে সহ্য করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ।
তবে একথা সত্য যে,
"চোরের দশ দিন, গেরস্তের একদিন।"

কথায় বলে
"পাপ বাপকেও ছাড়ে না।"

*উচ্চ শিক্ষিত অবিবাহিত নারী ভয়ংকর: ৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট ত...
03/21/2024

*উচ্চ শিক্ষিত অবিবাহিত নারী ভয়ংকর:

৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট তৈরী করেছে যে আগামী ৫ বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থাকবে৷

আর মানানসই পাত্রস্থ করতে না পেরে, ক্যারিয়ার গড়তে না পেরে এদের অধিকাংশ দাম্পত্য জীবনে বিষাক্ত থেকে যাবে।

তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ,ভালোবাসা হারানোর ফলে স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েই সংসারে দরকষাকষি করবে৷ আর স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য, কোমলত্ব,নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তখন এই সংসার টিকানো অসম্ভব। কারণ তার স্ত্রী টা ৩০ টা বছর পুরুষের ফিতরাতে টেক্কা দিয়ে সে নিজেই পুরুষে বিবর্তিত হয়ে গেছে। তার আস্ত দেহটাই নারীর বৈশিষ্ট্য হলেও সে মানসিক ভাবে পুরুষ।

স্বামী তাকে দৈহিক ভাবে নারী পেলেও সে মেন্টাল ভাবে পুরুষ। আর পুরুষের মতই তার স্ত্রী অনুভূতিহীন। সে স্বামীকে প্রেমের জগতে নয় ভোগবাদের জগতেই দেখতে চায়।

সামনে এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে যেখানে মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে। বঞ্চিত হবে সংসার থেকেও। বঞ্চিত হবে আখিরাতের মুক্তি থেকেও।

এরা একটা পর্যায়ে কট্টর নারীবাদী হয়েই দুনিয়া ত্যাগ করবে। আর এই পুঁজিবাদী সমাজের আড়ালেই দা''জ্জা'''ল তার সিংহভাগ নারী অনুসারী তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে।

এই ভোগান্তি অভিভাবক দুনিয়াতে যেমন পাবে। আখিরাতেও লাঞ্চিত হয়ে জা''হা''ন্না''মে যাবে৷
এটাই শেষ জামানার ভয়াবহ অন্ধকারের ফি'''তনা৷

সংগৃহীত

১. নরম মানেই নিরাপদ নয়। কতো নরম শামুকের মুখ, কিন্তু তার আছে ২৫ হাজার দাঁত !২. গতি দিয়েই বীর হওয়া যায় না। একটি নোংরা মাছি...
03/07/2024

১. নরম মানেই নিরাপদ নয়।
কতো নরম শামুকের মুখ,
কিন্তু তার আছে ২৫ হাজার দাঁত !

২. গতি দিয়েই বীর হওয়া যায় না। একটি নোংরা মাছিও মিনিটে ৮ কিলোমিটার উড়তে পারে!

৩.দু’ একটি বিশেষত্বই কাউকে মহান করে না। মানুষের চেয়ে
২৮,০০০ গুণ অধিক ঘ্রাণশক্তি থাকা সত্তেও কুকুর কুকুর হয়ে আছে!

৪.কেবল সংখ্যাধিক্য দিয়েই ক্ষমতা লাভ হয় না। পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই পোকামাকড়!

৫.কোনো কারণে যাকে তুচ্ছ ভাবা হচ্ছে, ভিন্ন কারণে সে হয়তো মূল্যবান।১৫০ টি বাদুড় বছরে যে পরিমাণ ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে,তাতে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের ফসল রক্ষা পায়!

৬.উটপাখিদের থেকে শেখার আছে। সংসারের সামান্য কাজকেও তারা একার উপর চাপিয়ে দেয় না। নিজেদের ডিমে তা দিতেও করে ভাগাভাগি। দিনের বেলায় স্ত্রী উটপাখি ডিমে তা দেয়, রাতের বেলায় দেয় পুরুষ উটপাখি।

৭.সৃষ্টিকর্তা যাকে যেভাবে সাজিয়েছেন, তাতে খুশি না থাকলে পিঁপড়াদের দিকে তাকাও! পৃথিবীতে পিঁপড়া আছে প্রায় ১০ কোয়াড্রিলিয়ন এর মত। [১ কোয়াড্রিলিয়ন = ১০,০০,০০০ বিলিয়ন] তারা আকারে আরেকটু বড় হলে পৃথিবী পিঁপড়াদের দখলে চলে যেতো!

৮.লাফ দিতে হয় এগিয়ে যাবার জন্য, মাথা দেখানোর জন্য নয়। লাফ দিয়ে ব্যাঙ নিজের থেকে ২০ গুণ উচ্চতা অবধি উঠতে পারে। কিন্তু সে যতই উপরে উঠতে চায়, ততই কমে যায় সামনে যাবার শক্তি!

৯.অতিমাত্রায় যৌনতার চর্চা গর্বের হলে গর্ব করার বেশি অধিকার ইঁদুরের। ইঁদুরজগতে যৌনতা ও প্রজণন এতো বেশি যে, মাত্র ১৮ মাসে একজোড়া ইঁদুর থেকে ১০ লাখের বেশি স্বজন তৈরি হতে পারে।

১০.সৌন্দর্য দেখেই মজে যেতে নেই। জেলিফিশ দেখতে খুবই সুন্দর। কিন্তু তার বিষাক্ত শুঁড় ৩৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

১১. শক্তির ব্যবহারে হিসেবী হতে হয়। বিষের অপচয়ের ভয়ে এনাকোন্ডা সাপ কামড়ের বদলে শিকারকে চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে সময় নিয়ে মারে!

১২.অন্যকে কষ্ট দিয়ে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। বাড়িতে ভনভন করা মাছি বেঁচে থাকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ!

১৩.দুর্বলের সাথে দুর্বলের ঐক্য থেকে জন্ম নিতে পারে নতুন শক্তি। দুর্বল চুলের সাথে চুল একত্রিত হয়ে জন্ম নিয়েছে গণ্ডারের মাথার সামনের দিকে থাকা অত্যন্ত শক্তিশালী শিং। এতে না আছে কোনো হাড়, না অন্য কোনো পদার্থ।

১৪.যারা বিপজ্জনক, তাদের দেখার শক্তিই আলাদা। চোখ বন্ধ করলেও সাপ দেখতে পায়।

১৫.প্রয়োজন যেখানে যেমন, প্রাকৃতিকভাবে যোগ্যতার সরবরাহ সেখানে অনুরূপ। হাতির প্রবলভাবে চাই পানি। অতএব পানি প্রায় ১২ মাইল দূরে থাকলেও হাতি তা বুঝতে পারে!

১৬.বাহ্যিক দৃশ্য দেখেই কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়া ভুল। হাতিরা পরস্পরে শুড় নাড়াচাড়া করছে দেখে অনেকেই ভাবে ঝগড়া হতে যাচ্ছে। আসলে তারা দেখা হলে শুড় দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়!

১৭.পরিবেশের কাছে হেরে গেলে চলে না, তাকে নিজের অনুকূলে ব্যবহারের পথ করে নিতে হয়। ব্যাঙ পানিতে থাকে, কিন্তু পানি পান করে না। শরীরে যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তা ত্বকের সাহায্যে শুষে নেয়।

১৮.তোমার কিছু একটা নেই। সে জন্য থেমে যেয়ো না। যা নেই, এর বিকল্প সামনে আসবেই। পিঁপড়ার কান নেই। শোনার জন্য এরা ভূমির কম্পাঙ্ক ব্যবহার করে ।

১৯.আরো চাই আরো চাই ভালো না। খাদ্য পেটে থাকলে কিং কোবরার মতো সাপ শক্তি ও সুযোগ থাকার পরেও প্রায়ই এক মাস পর্যন্ত শিকার করে না!

২০.নিয়মিত নিজেকে নবায়ন করা ভালো। কিন্তু যা কিছু পুরাতন, তাও পরিহারের নয়। ব্যাঙ প্রায় প্রতি ১ সপ্তাহ পরে নিজের গায়ের চামড়া বদলায়। নতুন চামড়া গজালে পুরনো চামড়া নষ্ট হতে দেয় না, সাধারণত খেয়ে ফেলে!

২১.অদম্য ইচ্ছা ও প্রয়াস অসম্ভব থেকে ‘অ’কে সরিয়ে দেয়। থাকে শুধু সম্ভব। সকল প্রাণী কমবেশি ঘুমালেও পিঁপড়া একদমই ঘুমায় না! কাজের নেশা কেড়ে নিয়েছে তার ঘুমের আয়োজন !

২২.শামুক হার মেনেছে ঘুমের নেশার কাছে। একটানা তিন বছর ঘুমাতে পারে সে। শামুকের জীবন আছে, কিন্তু বলার মতো তেমন কাজ নেই জীবনে!

২৩.একেবারে নিদ্রাত্যাগ মানুষের কাজ নয়। নিদ্রা চাই, কিন্তু যতটা আবশ্যক, ততটা। হরিণের প্রতি লক্ষ্য করুন। প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিটের মতো ঘুমালেই তার চলে!

২৪.সৃষ্টি হচ্ছে বিধাতার শিল্পকর্ম। কোনো কিছুতেই একঘেয়েমি নেই, আছে বৈচিত্র। ধরুন, কানের অবস্থান। ফড়িং এর কান রাখা হয়েছে তার হাঁটুতে!

২৫.চালাক লোকেরা তৃতীয় চোখের বাহাদুরি করে। তাদের জানা উচিত প্রজাপতির চোখের সংখ্যা ১২ হাজার!

২৬.স্বাদ আস্বাদনের জন্য যারা জীবন যাপন করে, তারা কি জানে, প্রজাপতি স্বাদ আস্বাদন করে তার পা দিয়ে?

২৭.নিজের কদমকে মজবুত করো। বাঘ মরে যাবার পরেও আপন পায়ের উপর খাড়া থাকতে পারে!

২৮.শক্তি দেখিয়ে বেড়ানোর জিনিশ নয়। একমাত্র শিকারের মুহূর্ত ছাড়া বাঘ সবসময় নিজের নখরকে গুটিয়ে রাখে!

২৯.জোর দিয়েই সব করা যায় না। শক্তি হিসেবে কৌশল সবচে’ উপাদেয় । শিকারের প্রয়োজনে বাঘকে কুকুর, বিড়াল, হরিণ কিংবা বানরের ডাক নকল করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়!

৩০.ক্ষুদ্র লক্ষ্য জীবনের অপচয় ডেকে আনে। পুরুষ মাছি তার ১৪ দিনের জীবন কাটিয়ে দেয় স্ত্রী মাছির মনোরঞ্জনে, যেখানে সে প্রায়ই ব্যর্থ হয়!

৩১.কাজ যতোই করা হবে, বাড়তে থাকবে কর্মশক্তি। ‘কাজের লোক’ পিঁপড়া নিজের ওজনের প্রায় ১০ গুণ ভারি জিনিস বহন করতে পারে, যা পারে না অন্য কোনো প্রাণী!

৩২.জিরাফের ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করে সিংহ যখন তার উপর হামলে পড়ে, জিরাফ তখন হিংস্র হয়ে উঠে। তখন তার একটি শক্ত লাথিতে নিমেষেই মারা যেতে পারে একটি সিংহ!

৩৩.অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা বাঘের বাঘ হওয়ার অন্যতম কারণ। অন্ধকারে মানুষের চেয়ে ছয়গুণ বেশি দেখতে পারে বাঘ।

৩৪.পরস্পরের শক্তি দিয়ে পরস্পরের দুর্বলতা ঢেকে দেয়াই বন্ধুত্ব। উটপাখি ও জেব্রা ভালো বন্ধু। শিকারী থেকে বাঁচার জন্য উটপাখির দৃষ্টিশক্তি জেব্রাকে সহায়তা করে, কারণ দৃষ্টিশক্তিতে জেব্রা দুর্বল। জেব্রার ঘ্রাণ ও শ্রবণশক্তি উটপাখিকে সহায়তা করে। কারণ ঘ্রাণ ও শ্রবণের শক্তিতে উটপাখি দুর্বল।

৩৫.যেখানে যে প্রথা, তাকে সমীহ করতে হয়। বাঘেরা লেজ নাড়াচাড়া করে পরস্পরে ভালোবাসা বিনিময় করে!

৩৬.মর্যাদায় বড় হতে হলে মনেও বড় হতে হয়। একটি বাঘের শিকার করা খাবারে শেয়াল, হায়েনা ও শকুনেরা ভাগ বসায়। বাঘের এতে আপত্তি থাকে না।

৩৭.একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া ৯দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ মাথা ছাড়া কাটিয়ে দেয় পুরো জীবন!

৩৮.লক্ষ্য ও পরিকল্পনাহীন ঘুম জীবনকে নিরর্থক করে, লক্ষ্য ও পরিকল্পনাহীন জাগরণ জীবনকে করে হত্যা। সিডকা পোকা একটানা ১৭ বছর মাটির নিচে ঘুমায়। তারপর মাটি থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করতে করতে ৩ দিনের মাথায় মারা যায়!

৩৯.অধিক উৎপাদন অধিক মান নিশ্চিত করে না। টিকটিকি একসাথে ডিম পাড়ে ত্রিশটি। প্রাণীদের মধ্যে সে অনুল্লেখ্যপ্রায়। কিন্তু উটপাখি ডিম দেয় একটি, পাখিদের রাজা হয়ে সে টিকে আছে ১২০ মিলিয়ন বছর ধরে !

৪০.বর্ষায় শুধু পুরুষ ব্যাঙ চিৎকার করে বলে পুরুষদের প্রতি বিরক্ত হয়ো না। মানুষকে কখনো পুরুষ মশা কামড়ায় না। মানুষের রক্তচোষা মশাটি হয় নারী। নারী-পুরুষের কেউ একাই দোষে নেই!

৪১.শুধু গর্জনেই বাঘ হওয়া যায় না। পরিকল্পনা করে বাঘ যখন শিকারকে ফাঁদে ফেলে দেয়, তারপর দেয় গর্জন। বাঘের গর্জনেই অধিকাংশ শিকার হতবুদ্ধি কিংবা প্যারালাইজড হয়ে যায়!

৪২.কিছু সিংহ নিজেকে হারিয়ে ফেলে। যখন আক্রান্ত হয়, নিজেকে খোঁজে পায়, আবারো সিংহ হয়ে যায়!

৪৩.জন্মের পর বাচ্ছা বাঘ অন্ধ থাকে একসপ্তাহ, সিংহ থাকে দুই সপ্তাহ। বাঘ ও সিংহের জীবন যাপনে তাদেরকে প্রথমেই যা অর্জন করতে হয়, সেটা হচ্ছে প্রখর দৃষ্টিশক্তি!

৪৪.যে কাজের নয়, তাকে দিয়েও বড় কাজ হতে পারে। বাঘ তার প্রশ্রাব দিয়ে নিজের সীমানা চিহ্নিত করে নেয়!

৪৫.শুধু সামাজিক না হবার কারণে সিংহের কাছে বনের রাজার মর্যাদা হারিয়েছে বাঘ!

৪৬.যে মৌমাছির মুখে মধু আছে, তার পেছনের হুলে আছে বিষ! একটি আরেকটিকে দিয়েছে পূর্ণতা।

৪৭.দাঁড়িয়ে থাকা মানেই জাগ্রত থাকা নয়। ঘোড়ার মতো প্রাণীও দাঁড়িয়ে ঘুমায়!

৪৮.যেখানে সমস্যা প্রবল, সেখানে আছে সমানমাত্রার সম্ভাবনা। বাঘের জিহ্বা এতোই রুক্ষ্ম, তা দিয়ে মানুষকে চাটলে গায়ের চামড়া ছিলে যায়, কিন্তু বাঘের লালায় আছে রোগের নিরাময়!

৪৯.যাকে নিরর্থক ভাবছো, হয়তো ভাবনার পেছনে আছে নিজের সীমাবদ্ধতা। বাঘের লেজ নাড়ানোকে লোকেরা ভাবে অর্থহীন। কিন্তু লেজ নাড়িয়ে বাঘেরা ভাববিনিময় করে!

৫০.অন্যের জন্য ভয়ঙ্কর হলেই টিকে থাকা যায় না।টিকে থাকতে হলেও যোগ্যতা লাগে।

Address

New York, NY

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সাজ্জাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share