আশিক ট্রেডার্স

আশিক ট্রেডার্স ৫০ বছর ধরে আপনার কৃষি ডাক্তার!
প্রোপাইটার : মোহাম্মদ আনু মিয়া
লোকেশন: বাঙ্গুরা বাজার

10/21/2025

✅ ১ শতক জমিতে চাষ করুন সারাবছরের শাক-সবজি

এই মডেল চাষ করলে 👉 ৩-৪ জনের একটি পরিবারের জন্য সারা বছর আপনার পছন্দনীয় প্রায় সব গুলো সবজি চাষ করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও নিরাপদভাবে 🌿

🥬 সারাবছরের সবজি গুলোকে দুই সিজনে ভাগ করা হয়েছে –
☘️ গ্রীষ্মকালীন
☘️ শীতকালীন

📐 জমির মডেল আকার ➝ ২৪ ফিট × ২৪ ফিট

🌱 বিন্যাস:
🌿 বেড হবে উত্তর-দক্ষিণ মুখি
🌿 বেডের মাঝখানে থাকবে ১০ ইঞ্চি চওড়া নালা
🌿 মোট থাকবে ৭ টি বেড
👉 মাঝের ৫ টা হবে সবজির বেড
👉 দুই মাথায় থাকবে মাচার বেড

📏 মাঝের ৫ বেড ➝ ১৬ ফিট লম্বা, ২ ফিট ৪ ইঞ্চি চওড়া
📏 দুই মাথার মাচা ➝ ২৪ ফিট লম্বা, ৩ ফিট চওড়া

🥒 গ্রীষ্মকালীন সবজি
🌿 পূর্ব দিকের মাচায় ➝ ঝিঙ্গা, কাকরোল, পটল, বরবটি
🌿 প্রথম বেড ➝ টমেটো + বেগুন
🌿 দ্বিতীয় বেড ➝ মিষ্টি আলু + কচু
🌿 তৃতীয় বেড ➝ কাঁচা মরিচ
🌿 চতুর্থ বেড ➝ ডাটা শাক + পাট শাক
🌿 পঞ্চম বেড ➝ ঢেঁড়স (ভেন্ডি)
🌿 পশ্চিম দিকের মাচায় ➝ মিষ্টি কুমড়ো + শসা
🌿 উত্তর ও দক্ষিণ মাথায় ➝ ৩+৩ = ৬ টি পেপে গাছ

🥦 শীতকালীন সবজি
🌿 পূর্ব দিকের মাচায় ➝ লাউ + খীরা
🌿 প্রথম বেড ➝ টমেটো + বেগুন
🌿 দ্বিতীয় বেড ➝ মূলা + গাজর
🌿 তৃতীয় বেড ➝ কাঁচা মরিচ
🌿 চতুর্থ বেড ➝ লাল শাক + পালং শাক
🌿 পঞ্চম বেড ➝ ফুলকপি + বাঁধাকপি
🌿 পশ্চিম দিকের মাচায় ➝ শিম + উস্তা করলা
🌿 পেপে গাছের গোড়ায় ➝ পুদিনা + ধনিয়া

🟢 অবশ্যই জমি চাষের সময় ভার্মি-কম্পোস্ট সার ব্যবহার করুন
🟢 জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করুন
🔴 রাসায়নিক সার/কীটনাশক ব্যবহার না করাই উত্তম

🥗 বিষমুক্ত নিরাপদ শাক-সবজি খান, সুস্থ থাকুন 🌿

#সবজি #শীতকালীন #গ্রীষ্মকালীন #জৈবচাষ The natural beauty

08/29/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

🐂 ৩ মাসে একটি গরুর মোটাতাজাকরণে আয়-ব্যয়ের হিসাব!!👉 গরু মোটাতাজাকরণ লাভজনক উদ্যোগ, যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়।👉 যেহ...
08/29/2025

🐂 ৩ মাসে একটি গরুর মোটাতাজাকরণে আয়-ব্যয়ের হিসাব!!

👉 গরু মোটাতাজাকরণ লাভজনক উদ্যোগ, যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়।
👉 যেহেতু আপনার গোয়ালঘর, খড় ও ঘাস আগে থেকেই আছে – তাই এখানে শুধু গরু কেনা থেকে বিক্রি পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের আনুমানিক হিসাব দেওয়া হলো।

📌 ১. প্রাথমিক বিনিয়োগ

🐄 গরু ক্রয় মূল্য: ৫৫,০০০ টাকা (গড়ে)

🚚 পরিবহন খরচ: ৭৫০ টাকা

💉 টিকা/চিকিৎসা: ৭৫০ টাকা
✅ মোট প্রাথমিক বিনিয়োগ = ৫৬,৫০০ টাকা

📌 ২. তিন মাসের খাবার ও পরিচর্যা খরচ (খড়+ঘাস নিজস্ব)

🥣 ১ম মাস
দানাদার খাদ্য: ২,৪০০ টাকা
পানি/ভিটামিন/বিদ্যুৎ: ২০০ টাকা
👉 মোট: ২,৬০০ টাকা

🥣 ২য় মাস
দানাদার খাদ্য: ৩,০০০ টাকা
পানি/ভিটামিন/বিদ্যুৎ: ২০০ টাকা
👉 মোট: ৩,২০০ টাকা

🥣 ৩য় মাস
দানাদার খাদ্য: ৩,৬০০ টাকা
পানি/ভিটামিন/বিদ্যুৎ: ২০০ টাকা
👉 মোট: ৩,৮০০ টাকা

✅ ৩ মাসে মোট খরচ = ৯,৬০০ টাকা
📌 ৩. মোট ব্যয়
প্রাথমিক বিনিয়োগ: ৫৬,৫০০ টাকা
খাবার ও পরিচর্যা: ৯,৬০০ টাকা
👉 মোট = ৬৬,১০০ টাকা

📌 ৪. প্রত্যাশিত আয়
🐄 গরুর ওজন: ১২০ কেজি (শুরু) + ১০০ কেজি (বৃদ্ধি) = ২২০ কেজি
💰 বিক্রয় মূল্য: ২২০ × ৩৭৫ টাকা = ৮২,৫০০ টাকা

📌 ৫. সম্ভাব্য লাভ
বিক্রয় মূল্য: ৮২,৫০০ টাকা
মোট খরচ: ৬৬,১০০ টাকা
👉 লাভ = ১৬,৪০০ টাকা

(খড় + ঘাস খরচ ৪,৫০০ – ৫,০০০ টাকা ধরলে 👉 ৯,০০০ – ১০,০০০ টাকা লাভ সম্ভব 🐂💰)

✨ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

✅ কোরবানির ঈদ লক্ষ্য করলে লাভ বেশি 💹

✅ রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত ভেট ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে 🩺

✅ ভালো মানের খাবার দিলে ওজন দ্রুত বাড়ে 🥗

✅ বাজার ভালোভাবে বুঝে গরু কেনা-বেচা করতে হবে 📊

✅ একসাথে একাধিক গরু মোটাতাজাকরণে খরচ কমে যায় 🐂🐂

🗣️ শেষ কথা:
👉 নিজের ঘাস ও খড় ছাড়া গরু মোটাতাজাকরণ কষ্টকর।
👉 পরিশ্রম + সঠিক সময় + সঠিক পরিচর্যা = ইনশাআল্লাহ লাভ নিশ্চিত।
কৃষি ভিত্তিক আরও তথ্যের জন্য আমাদের পেইজ ফলো করুন।।

08/21/2025
আসলামুআলাইকুম, আন্তর্জাতিক মানসম্পর্ণ সরকার অনুমোদিত ধানের বীচ সংগ্রহনের জন্য যোগাযোগ করুন!আপনার ক্ষেতের ফসল দ্বিগুন হবে...
07/24/2025

আসলামুআলাইকুম,
আন্তর্জাতিক মানসম্পর্ণ সরকার অনুমোদিত ধানের বীচ সংগ্রহনের জন্য যোগাযোগ করুন!
আপনার ক্ষেতের ফসল দ্বিগুন হবে ইনশাআল্লাহ!
আশিক ট্রেডার্স, মালাই বাঙ্গুরা বাজার
প্রোপাইটর মোহাম্মাদ আনু মিয়া

07/02/2025

১৩ দিনে পেয়াজ গাছ

আসলামুআলাইকুম,যেকোনো ধরনের কৃষি সমস্যা সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন আশিক ট্রেডার্স, মালাই বাঙ্গুরা বাজার প্রোপাইটর মোহাম্ম...
07/02/2025

আসলামুআলাইকুম,
যেকোনো ধরনের কৃষি সমস্যা সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন আশিক ট্রেডার্স, মালাই বাঙ্গুরা বাজার
প্রোপাইটর মোহাম্মাদ আনু মিয়া

06/20/2025

আসলামুআলাইকুম,
যেকোনো ধরনের কৃষি সমস্যা সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন আশিক ট্রেডার্স, বাঙ্গুরা বাজার
প্রোপাইটর মোহাম্মাদ আনু মিয়া

৫০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কৃষি ডাক্তার

পোকামাকড়ের পাশাপাশি আগাছাও ফলের শত্রু।আগাছা দমন না করলে ফসল ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি।পোকামাকড়ের সাথে সাথে আগাছাও ফসল নষ্টের জন্য প্রায় ৪০ শতাংশ দায়ী।তাই ফসল ফলাতে গেলে নিয়মিত আগাছা দমন করতে হবে।

আগাছা নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ আসলেই সবার আগে রাসায়নিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণের চিন্তাভাবনা আমাদের মাথায় আসে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই জমিতে আগাছা দেখলেই ‘রাসায়নিক আগাছানাশক’ (Chemical weedicide/herbicide) প্রয়োগ করেই কৃষকবন্ধুরা এগুলি দমনের চেষ্টা করেন। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত বাছবিচারহীন ও মাত্রাতিরিক্ত ‘কৃষিবিষ’ প্রয়োগের বহু কুফল আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

বাংলাদেশের যে সমস্ত আগাছানাশক বেশ পরিচিতি লাভ করেছে তার মধ্যে রিফিট ৫০০ ইসি, লগরান ৭৫ ডব্লিউজি, লেজার ১০ ডব্লিউপি, গ্রামোক্সোন ২০ এস এল ইত্যাদি অন্যতম।

আগাছার শ্রেণী সাধারণত তিন ধরনের :
১) ঘাস জাতীয়
২) মুথা জাতীয়
৩) চওড়া পাতা জাতীয়

বেশ কয়কটি পদ্ধতিতে আগাছা দমন করা যায়। তারই কয়েক সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

পরিচর্যা পদ্ধতি (W**d Control):
বর্ষাকালে আগাছা থেকে বাঁচতে গেলে চাষি ভাইদের দ্রুত ফলন হয় এমন ফসলের চাষ করা উচিত। মরসুম অনুযায়ী সবসময় চাষাবাদ করা উচিত। কখনো জমি ফেলে রাখা উচিত নয়, এতে আগাছা বেড়ে ওঠে। খুরপি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার জমি ভালো রাখার অন্যতম প্রাচীন উপায়। লাঙল, হুইল, উইডার, কালটিভেটর যন্ত্রাদির মাধ্যমে ক্ষতিকর আগাছা মাটিতে মিশিয়ে দেওয়াও অন্য আরও এক রকম পদ্ধতি।

এছাড়াও আরও যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়:

#যে সমস্ত সবজী খুব দ্রুত বৃদ্ধিদশা অতিক্রম করে (Fast growing crop), তারা সহজেই তাদের শাখা প্রশাখা বিস্তারের মাধ্যমে জমিতে আগাছার প্রকোপ কম করতে পারে।
যেমন- বরবটি, শিম, ভেন্ডি, ফরাস বিনস্ প্রভৃতি।

# একই জমিতে একই গোত্রীয় ফসল বারবার চাষ না করে আলাদা আলাদা পরিবারভুক্ত ফসল চাষ করলে জমিতে আগাছার বাড়-বৃদ্ধি হ্রাস পায়। তাই শস্য আবর্তন (Crop rotation) খুবই জরুরী।
উদাহরনস্বরূপ – প্রতি বছর একই জমিতে টমেটো, মরিচ, বেগুন জাতীয় সবজী চাষ না করে শিম্বী গোত্রীয় ফসল চাষ করা যেতে পারে।

# কিছু কিছু শাকজাতীয় স্বল্পমেয়াদী সবজীর বীজ যেমন, লাল শাক, পুঁই, পালং, কলমি, মেথি ঘন (Dense/ Closer seed sowing) করে বুনলে জমিতে আগাছার বিস্তার অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়।

# কম সময় ব্যবধানে ও অগভীরভাবে জমি কর্ষণ করলে বা লাঙল দিলে বার্ষিক আগাছাগুলিকে অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

# জমিতে মূল ফসলের সাথে অন্তর্বর্তী/ সাথী ফসল (Intercrops) চাষ করলে অনেকাংশে আগাছা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যেমন, বেগুন, টমেটো, বাঁধাকপি যেগুলির সারি ও গাছ প্রতি ব্যবধান বেশী, সেখানে মুলা বা পালং জাতীয় সবজী অন্তর্বর্তী ফসল হিসাবে চাষ করা যাতে পারে।

# মটরের বীজ বপনের সময় কিছুটা বিলম্বিত করলে বথুয়া বা ক্যানারি ঘাস (Phalaris minor) ইত্যাদি আগাছার থেকে অনেকাংশে রেহাই মেলে।

# বীজ বপন বা প্রতিস্থাপনের পর থেকেই সবজী ফসলে সুষম পুষ্টি সরবরাহ সম্ভবপর হলে ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সময়মতো রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। স্বাস্থ্যবান চারাগাছ আগাছার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

# মূল জমিতে ফসল লাগানোর আগে মাটির সৌরকরণ (Soil solarization) করলে আগাছার বিস্তার অনেক কম করা সম্ভব হয়।

আগাছা দমনের জৈব পদ্ধতি (W**d control In Biological method):
জৈবিক পদ্ধতিতেও আগাছা দমন করা যায়। আগাছার প্রাকৃতিক শত্রু বিভিন্ন রোগ পোকা অথবা অন্যান্য প্রাণীর মাধ্যমেও আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দুধিকানি, বিছুটি, ঘেটু হলদের মতন ফসলের মতন ক্ষতিকর আগাছাকে, মোজাইক ভাইরাস জব্দ করতে পারে। বিশেষ এক শ্রেণীর স্পাইডার মাইট ক্ষেতের আগাছা উত্তম উপায়ে দমন করতে সক্ষম। বাজারেও বিভিন্ন রকমের জৈব আগাছা নিয়ন্ত্রণ আজকাল পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলি ব্যবহার করলেও আগাছা ভালোই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে।

যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (Mechanical methods):
আগাছা নিয়ন্ত্রণের সুপ্রাচীনতম ও অন্যতম একটি পদ্ধতি হল, হাত দিয়ে, নিড়ানি দিয়ে বা খুরপি দিয়ে আগাছা তোলা। জমির পরিমাণ অল্প হলে খুব সহজেই এই পদ্ধতিতে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সাধারণত ফসলের উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন ২ থেকে সর্বোচ্চ ৪ টি হাত নিড়ানি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া লাঙল, উইডার, কালটিভেটর ইত্যাদির মাধ্যমেও আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জৈব ও অজৈব দু ধরণের উপাদান দিয়ে মালচিং করেও আগাছার প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। জৈব উপাদান যেমন খড়, কচুরিপানা, শুকনো পাতা, তুষ, ভুষি ইত্যাদি ও অজৈব উপাদানের মধ্যে প্লাস্টিক ফিল্ম ও বিভিন্ন রঙের পলিথিন দিয়েও মালচিং করা হয়ে থাকে।

আগাছা দমনে রাসায়নিক পদ্ধতি (W**d control in Chemical method):
রাসায়নিক দিয়েও সহজে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রাসায়নিক, ফসল অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করলে আগাছার দমন ঘটানো সম্ভব। তবে নিয়ম না মেনে ভুলভাল রাসায়নিক প্রয়োগে, ক্ষেতের মাটি থেকে শুরু করে, পশু-পাখি এমনকি মানুষের সমূহ বিপদের আশংকা থাকে।

নির্বাচিত এবং অনির্বাচিত- দুই ধরনের আগাছা নাশক মূলত দেখা যায়। নির্বাচিত আগাছা নাশক প্রয়োগ করলে নির্দিষ্ট কিছু আগাছাকে মেরে দেয়। অনির্বাচিত আগাছা নাশক জমির সমস্ত গাছকে মেরে ফেলে।

আগাছা নাশক, গুঁড়ো আর তরল এই দুইরকমের মূলত হয়। বালি অথবা পানি- এদের দুইয়ের সাথে মিশিয়েই আগাছা নাশক ক্ষেতে প্রয়োগ করা উচিত। মূলত বীজ বোনার আগে, বীজ বোনার পর ও আগাছা জন্মানোর আগে এবং আগাছা জন্মানোর পর এই তিন আলাদা আলাদা সময়ে আগাছা নিয়ন্ত্রক ব্যবহার করা যায়।

কখনোই চোরা বাজার থেকে নিষিদ্ধ আগাছা নাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করা উচিত নয়। নিষিদ্ধ আগাছা নাশকে আখেরে ক্ষতি হবে চাষ যোগ্য জমিরই।

# নির্বাচিত আগাছানাশক (Selective herbicide) – এগুলি কেবল মাত্র বিশেষ বিশেষ আগাছা মারতে সক্ষম (ঘাসজাতীয় অথবা চওড়া পাতা)।
যেমন – পেন্ডিমেথালিন, অ্যালাকলর, অক্সাডিয়াজোন, সিমাজাইন, মেট্রিবুজিন ইত্যাদি।

# অনির্বাচিত আগাছানাশক (Non selective herbicide) – এরা প্রজাতি নির্বিশেষে জমির সমস্ত গাছকে মেরে ফেলে বা তাদের বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
যেমন – ডাইকুয়াট, প্যারাকুয়াট, গ্লাইফোসেট।

# স্পর্শজনিত আগাছানাশক (Contact herbicide) – এগুলি আগাছার সংস্পর্শে এসে আগাছাগুলিকে মেরে ফেলে।

# সর্বাঙ্গবাহী আগাছানাশক (Systemic herbicide) – এই আগাছানাশকগুলি প্রয়োগের পর আগাছার পাতা বা শিকড় দ্বারা শোষিত হয় ও সমগ্র প্ল্যান্ট সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে আগাছাগুলি মারা যায়।
যেমন – ২, ৪-ডি, সিমাজাইন।

৫০ বছর ধরে আপনার কৃষি ডাক্তার!
প্রোপাইটার : মোহাম্মদ আনু মিয়া
লোকেশন: বাঙ্গুরা বাজার

কোন সার কোন কাজে লাগে🥰 #ইউরিয়া: 👇ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং ...
06/05/2025

কোন সার কোন কাজে লাগে🥰

#ইউরিয়া: 👇
ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং প্রদান করে। এর নাইট্রোজেন পাতার সবুজ কণিকা বা ক্লোরফিলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং উদ্ভিদের প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে।

#টিএসপি: 👇
টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের ফসফরাস গাছের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া উদ্ভিদের জীবকোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে এবং গাছের মূল বা শিকড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া সময় মতো গাছকে ফুল ও ফলে শোভিত করে এবং ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে।

#পটাশ: 👇
এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে। এই সার নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক এবং পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে গাছকে রক্ষা করে। এই সার গাছের খরা সহিঞ্চুতা বাড়ায়, গাছকে মজবুত করে।

#জিপসাম: 👇
জিপসাম সারের মধ্যে থাকা সালফার নাইট্রোজেন আত্মকরণে সহায়তা করে। এই সার প্রোটিন প্রস্তুতিতে অংশ গ্রহণ করে, তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সালফার ভিটামিন ও কো-এনজাইমের উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

#জিংক_সালফেট: 👇
জিংক সালফেটের জিংক প্রোটিন প্রস্তুতিতে সহায়তা করে এবং হরমোনের কার্যকারিতার জন্য সহায়তা করে।

#বোরন 👇
বোরন সার ফলের বিকৃতি রোধ করে এবং ফুল ফল ধারণে সাহায্য করে। তেল জাতীয় ফসল চাষে বোরন সার ব্যবহার করলে শতকরা ১৯.৮-২৩.০ ভাগ পযর্ন্ত ফলন বৃদ্ধি পায়।
©️

লেবু চাষে প্রতিরোধ ও রোগবালাই ব্যবস্থা।আমাদের দেশে নানা ধরনের লেবু পাওয়া যায়। যেমন- জাড়ালেবু, গন্ধরাজলেবু, কাগজিলেবু,...
06/01/2025

লেবু চাষে প্রতিরোধ ও রোগবালাই ব্যবস্থা।

আমাদের দেশে নানা ধরনের লেবু পাওয়া যায়। যেমন- জাড়ালেবু, গন্ধরাজলেবু, কাগজিলেবু, মোসম্বী, সর্বতিলেবু, কমলালেবু ইত্যাদি। অপরিপক্ক অবস্থায় লেবুজাতীয় ফল ঝরে পড়া এক ধরনের জটিল সমস্যা। এক সমীক্ষাতে দেখা গেছে, ফল তোলার ৩-৪ মাস আগে থেকে লাল মাল্টার ৫৭.২ শতাংশ এবং মোসম্বীতে ৫৪.৯ শতাংশ ফল ঝরে পড়ে।

লেবু জাতীয় গাছের ফল অনেক কারণে ঝরে পড়তে পারে। এর মধ্যে হরমোনজনিত, খাদ্যজনিত, রোগজনিত এবং পোকাজনিত কারণই প্রধান। গাছের বৃদ্ধি এবং ফল-ফুল দেওয়ার জন্য সুষম হারে খাদ্যের প্রয়োজন। গাছের প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন, ফসফেট ও পটাশ জাতীয় খাদ্য ছাড়াও গাছের নানা ধরনের অনুখাদ্যের প্রয়োজন। এ অনুখাদ্য খুব কম পরিমাণে দরকার হয় যদিও সময়মত এসব প্রয়োগ না করার ফলে বা গাছ অনুখাদ্য না পাওয়ার জন্য অপরিপক্ক অবস্থায় অনেক ফল ঝরে পড়ে। নানা রোগের কারণে লেবুজাতীয় গাছে অপরিপক্ক অবস্থায় ঝরে যায়। যেমন- ক্যাঙ্কার, স্বেব, গামোসিস, এ্যানথ্রাকনোজ, গ্রিনিং এবং শ্লো ডিক্লাইন বা ধীরে ধীরে গাছ মরে যাওয়া রোগ হয়। গাছে এসব রোগ হলে ফুল-ফল কম ধরে এবং ফুল-ফল শুকিয়ে ঝরে পড়ে।

লেবুজাতীয় গাছের অপরিপক্ক অবস্থায় ফল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল পোকার আক্রমণ। নানাবিধ পোকার মধ্যে ডাল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, সাইলা, মিলিবাগ, লিফমাইনার, ফল ছিদ্রকারী পোকা এবং ফল শোষক পোকার আক্রমণের ফলে ফল ঝরে পড়ে। লেবুর ডাল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা ডাল এবং কাণ্ডের ভেতরে প্রবেশ করে ভেতরের অংশ কুরে কুরে খায়। এদের আক্রমণের ফলে শাখা বা গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় এবং ডালে এর আক্রমণ হয় সে ডালটিতে হওয়া ফুল এবং ফল ঝরে পড়ে। লেবুর পাতা ছিদ্রকারী পোকা বা লিফমাইনার পোকার শূককীট পাতায় ঢুকে উপরেরও নিচের ত্বকের মধ্যে থাকা সবুজ অংশ খেয়ে নেয়। পাতার উপর ত্বকে সাদা রূপালি আঁকাবাঁকা রেখা দেখা যায়। আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায় এবং এ ধরনের গাছে হওয়া ফল ঝরে পড়ে।

সাইলা পোকা লেবুজাতীয় গাছের কচি ডাল এবং পাতাতে আক্রমণ করে এবং রস শুষে খায়। রস শুষে নেওয়ার সময় এ পোকা গাছে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ ঢুকিয়ে দেয়। এর আক্রমণের ফলে ডালগুলো শুকিয়ে যায় এবং সে ডালগুলোর ফুল এবং ফল ঝরে পড়ে।

মিলিবাগ পোকার প্রাপ্তবয়স্ক মাতৃপোকা মাটিতে ডিম পাড়ে এবং সে ডিম থেকে বের হওয়া শূককীট ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গাছে উঠে। গাছে উঠে পোকাগুলো কচি ডালের রস চুষে খায় এবং হওয়ার সময় সেগুলো বা ফলধারক ডালটির রস খায়। ফলে ফল ঝরে পড়ে। এ পোকা পাতার উপর এক ধরনের মিষ্টিরস নিঃসরণ করে এবং এ রসের উপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মে থাকে। তাই পাতার উপরে এক কালো আস্তরণ পড়ে এবং গাছের খাদ্য প্রস্তুত করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ফল ঝরে পড়ে এবং যেগুলো ফল গাছে থাকে তা পুষ্ট হয় না। ফল চোষক পোকা লেবুজাতীয় ফলের রস চুষে খায়। রস চোষার সময় তার মুখ থেকে নির্গত পদার্থ ফলের ভেতরে প্রবেশ করে। এর ফলে ২-৩ দিনের মধ্যে ফল ঝরে পড়ে। রস চোষা অংশে বাদামী রঙের দাগ দেখা যায়।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা: লেবুজাতীয় গাছের অপরিপক্ক অবস্থায় ফল ঝরে পড়া বন্ধ করার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে-

১. গাছে সুষম হারে সার প্রয়োগ করতে হবে;

২. গাছে অনুখাদ্যের অভাবের লক্ষণ দেখা দিলে অনুখাদ্যের মিশ্রণ প্রয়োগ করা দরকার। বাজারে পাওয়া তৈরি অনুখাদ্য যেমন- মাল্টিপ্লেকস, এগ্রোমিন, ট্রেসেল-২, প্লাই এইড, এগ্রোমর বা প্লান্টফিড প্রভৃতির যেকোনো একটি পরিমাণমত প্রয়োগ করতে হবে;

৩. হরমোন জাতীয় কারণে ফল ঝরে পড়লে গাছে হরমোন স্প্রে করা দরকার। এর জন্য ২,৪-ডি নামক হরমোন ১০ পিপিএম গাছে ২ বার স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার আগস্ট মাসে এবং পরের বার অক্টোবর মাসে স্প্রে করা দরকার। এ ওষুধ বাজারে পাওয়া না গেলে ১০-১২ পিপিএম শক্তিযুক্ত প্লেনোফিকস হরমোন ফুল আসার সময় এবং একবার একমাস পর স্প্রে করতে হবে;

৪. বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য সময়মত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না তা দেখতে হবে। গাছের গোড়ায় আঠা নিঃসরণ হতে দেখলে অর্থাৎ গামোসিস রোগ হলে সে অংশ পরিষ্কার করে তাতে বর্ডোমলম লাগাতে হবে। ক্যাঙ্কার এবং এ্যানথ্রাকনোজ রোগ হলে আক্রান্ত কচি ডালপালা, পাতা ছেটে ফেলে দূরে নিয়ে ধ্বংস করতে হবে। পরে গাছে ব্লাইটকস/ফাইটোলান (৪ গ্রাম/লিটার পানি) অথবা ইন্দোফিল এম-৪৫ (২.৫ গ্রাম/ লিটার পানিতে) স্প্রে করতে হবে;

৫. গাছে ডাল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হলে আক্রান্ত ডালগুলো কেটে ধ্বংস করতে হবে। কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার প্রাপ্তবয়স্ক পোকা এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বের হয়ে গাছে বসে। সে সময় এগুলো ধরে মেরে ফেলা উচিত। কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার গর্তে পেট্রোল বা কেরোসিন ডুবানো কার্পাস তুলো ঢুকিয়ে তা কাদামাটি দিয়ে ঢেকে দিলে পোকা ভেতরে মরে যাবে।

ফল খাওয়া পোকা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফল মার্বেলের মত সাইজ হওয়ার সময় এন্ডাসালফান ওষুধ ০.০৭ শতাংশ স্প্রে করে প্রথম স্প্রে করার ৭ দিন পরপর ফলের বৃদ্ধির সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্প্রে করতে হবে। ফলের মাছি এবং ফল চোষা পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে সেখানে কিছু কমলালেবুর রস মিশিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পোকা এ গুড় মিশ্রিত রস খেয়ে মরে যাবে। পোকা আক্রান্ত ফলগুলো সংগ্রহ গর্তে পুঁতে রাখলে পরবর্তী ফসলে পোকার আক্রমণ কম হবে। এ ব্যবস্থাসমূহ নিয়ে লেবুর ফল ঝরে পড়ে যাওয়া সমস্যা অনেকাংশে বন্ধ করা সম্ভব

Address

New York, NY

Telephone

+17184062889

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আশিক ট্রেডার্স posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share