02/10/2025
ছবিটিতে যে দুজনকে দেখতে পাচ্ছেন তাদের একজন বাংলাদেশি ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম ও অপরজন কট্টরপন্থী ইহুদি নেতা অ্যালেক্স সরোস। শহীদুল আলমকে ইতোমধ্যে আপনারা সকলেই চিনেছেন, গাঁজা অভিমুখে পরিচালিত হওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া একমাত্র বাংলাদেশি।
এবার অ্যালেক্স সরোসের পরিচয়টা দিই। অ্যালেক্স সরোস জর্জ সরোসের পুত্র। ইসরায়েলের আজকের আধিপত্য যাদের কারণে তৈরি হয়েছে জর্জ সরোস তাদের একজন। গাঁজায় গণহত্যা চালানোর পরও আমেরিকা যাদের কারণে ইসরায়েলকে নীরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তাদের একজন জর্জ সরোস। বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদ প্রতিষ্ঠায় জর্জ সরোস ও তার পরিবার বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এমনকি গাঁজায় গণহত্যা চালাতেও সরোস পরিবারের অর্থায়ন কম নয়।
দেশে-দেশে সমকামীতা ছড়িয়ে দিতেও জর্জ সরোস ব্যয় করেছে বিলিয়ন ডলার। তিউনিসিয়া-মিশর-লিবিয়া-ইরাক-আফগানিস্তান-সিরিয়াসহ বহু দেশে সরকার পতন ও পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলো জর্জ সরোস। এসব কাজে অর্থায়ন করেছে তার নিজস্ব এনজিও Open Society Foundation এর মাধ্যমে। শহীদুল আলমের সাথে যাকে দেখছেন, অ্যালেক্স সরোস, তিনি এই Open Society Foundation এর প্রধান। একইসাথে Bend the Arc Jewish Action নামে একটি ইহুদিবাদী আন্দোলনের প্রবক্তা৷
বাংলাদেশের সাথে ইহুদিদের কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশিরা ইহুদিদের দেশে যায় যায় না, ইহুদিরাও বাংলাদেশে আসে না বললেই চলে। সেখানে অ্যালেক্স সরোস এই বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরে আসে এবং শহীদুল আলমের এনজিও Drik Gallery পরিদর্শনে যায়। শুধু তাই নয়, সরোসের Open Society Foundation শহীদুল আলমের Drik Gallery তে ফান্ডিংও করেছে।
বাংলাদেশে ড. মুহম্মদ ইউনুসের পরে আমেরিকা, সমকামিতা ও ইহুদিবাদের দ্বিতীয় কোনো পরীক্ষিত বন্ধু থাকলে সেটা শহীদুল আলম। একেবারে সরোসের টাকা খাওয়া বন্ধু। গুগলে সার্চ করলেই জানতে পারবেন। বাংলাদেশে এতো লোক থাকতে সরোসের টাকা খাওয়া শহীদুল আলমকেই কেনো পশ্চিমারা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় সাথে নিলো, যেখানে ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় শত্রুদের একজন জর্জ সরোস? ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটা পোস্ট করলেও যেখানে আইডির রিচ ডাউন হয়ে যায় সেখানে Open Society Foundation এখন পর্যন্ত শহীদুল হকের Drik Gallery তে ফান্ডিং বন্ধ করে দেয় নি।
কি ভাবছেন, ব্যাপারটা কাকতালীয়? পশ্চিমারা কাকতালীয়ভাবে কিছু করে না। তারা প্রথমে তাদের বিশ্বস্ত কাউকে হিরো বানায়, তারপর তাকে সামনে রেখে উদ্দেশ্য সাধন করে নেয়। আর আমরা সেই জাতি, যারা ফিলিস্তিনে গণহত্যায় অর্থায়নের অভিযোগে কোকাকোলা বর্জন করি, অথচ গণহত্যায় প্রকাশ্যে অর্থায়ন করা সরোসের বন্ধু শহীদুল আলমকে ফিলিস্তিনের ত্রাণকর্তা মনে করি!