Quranic Teacher NY

Quranic Teacher NY Learn the holy Quran with easy way Good

10/26/2025

এক লোক রাতে বাড়িতে এসে দেখেন, তার সন্তানরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'ওরা নামায পড়েছে'?

স্ত্রী বললেন, 'বাড়িতে কোনো খাবার ছিলোনা। সবাই ক্ষুধায় কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। নামায পড়েনি'।

'ওদেরকে জাগিয়ে দাও। ওরা নামায পড়ুক'।

'ওদেরকে জাগিয়ে উঠালে খাবার না পেয়ে ওরাতো ক্ষুধায় আবার কান্না-কাটি করবে'।

'ওদেরকে জাগিয়ে দিতে বলেছি জাগিয়ে দাও। আমার আদেশ পালন করো। তাদের রিজিকের দায়িত্ব আমার না। রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআ'লার উপর'।

আল্লাহ তাআ'লা বলেছেন,

আর তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের নির্দেশ দাও এবং তাতে অবিচল থাকো। আমরা তোমার কাছে রিযিক চাই না; আমরাই তোমাকে রিযিক দিই, আর [সর্বোত্তম] পরিণতি হলো তাকওয়ার।

"তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও এবং তার উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে কোন রিযিক চাইনা আমিই তোমাদেরকে রিযক দান করি। শুভ পরিণাম তো শুধুমাত্র মুত্তাকীদের জন্য"।

(১৩২ - সূরা ত্বহা)

একথা শুনে স্ত্রী তৎক্ষণাৎ সন্তানদের জাগিয়ে নামায়ে দাঁড় করিয়ে দিলেন। নামায শেষ করে যখন তারা উঠলো। এমন সময় দরজার বাইরে থেকে সালামের আওয়াজ ভেসে আসলো। দরজা খুলে দেখা গেলো, এক লোক তার কাধে অনেক খাবার। লোকটি বললো, 'এগুলো আপনার পরিবারের জন্য। গ্রহণ করুন'।

লোকটি কৈফিয়তের সুরে আরো বললো, ' শহর থেকে একজন নেতা আমার বাসায় মেহমান হয়ে এসেছিলেন। তার সামনে আমি খাবারগুলো পরিবেশন করলাম। কিন্তু খাবার শুরু করার পূর্বেই আমাদের মাঝে প্রচন্ড কথা কাটাকাটি হয়ে গেলো।

মেহমান রাগান্বিত হয়ে কিছু না খেয়েই চলে গেলেন। অতঃপর আমি খাবারগুলো নিয়ে বের হলাম। ভাবলাম, আল্লাহ যেদিকেই নেন, যেখানে নেন সেখানে খাবারগুলো দিয়ে আসবো।

আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, হাঁটতে হাঁটতে আমি আপনার দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলাম। আমি বুঝতে পারছিনা, কে আমাকে আপনার দরজার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিলো'

10/24/2025

নবী করিম ﷺ যে আয়াতগুলো রুকইয়াহ হিসেবে পড়েছিলেন, সেগুলোর সম্পূর্ণ বিবরণ, আরবি আয়াত, বাংলা অনুবাদ, ও সূরা–আয়াত নম্বরসহ সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিচ্ছি।

🌙 ১️⃣ সূরা আল-ফাতিহা (সূরা ১, আয়াত ১–৭)

﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ۝ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ۝ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ۝ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ۝ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ۝ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ ۝ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ﴾

বাংলা অনুবাদ:
পরম দয়ালু, অতি দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্বজগতের পালনকর্তা। তিনি পরম দয়ালু, অতি দয়াময়। প্রতিদান দিবসের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য চাই। আমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত কর — সেইসব লোকদের পথে, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছো; তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।

🌙 ২️⃣ সূরা আল-বাকারা – প্রথম ৪ আয়াত (আয়াত ১–৪)

﴿الم ۝ ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ ۝ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ ۝ وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ﴾

বাংলা অনুবাদ:
আলিফ লাম মীম। এই কিতাব, এতে কোনো সন্দেহ নেই — এটি মুত্তাকিদের জন্য পথনির্দেশ। যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যারা বিশ্বাস করে যা তোমার প্রতি নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি নাযিল হয়েছে, এবং পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।

🌙 ৩️⃣ সূরা আল-বাকারা – আয়াত ১৬৩

﴿وَإِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَـٰنُ الرَّحِيمُ﴾

বাংলা অনুবাদ:
আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি পরম দয়ালু, অতি দয়াময়।

🌙 ৪️⃣ আয়াতুল কুরসী – সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫৫

﴿اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ…﴾

বাংলা অনুবাদ (সংক্ষেপে):
আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বপালনকর্তা। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না… তাঁর আরশ আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টন করেছে, আর সেগুলোর হেফাজতে তিনি অক্ষম নন। তিনি সর্বোচ্চ, মহান।

🌙 ৫️⃣ সূরা আল-বাকারা – শেষ তিন আয়াত (২৮৪–২৮৬)

এই আয়াতগুলোতে আছে ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া ও তাওয়াক্কুলের শিক্ষা — এগুলো রুকইয়াহ ও আত্মিক সুরক্ষার জন্য বিশেষ উপকারী।

🌙 ৬️⃣ সূরা আলে ইমরান – আয়াত ১৮

﴿شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ…﴾

বাংলা অনুবাদ:
আল্লাহ সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানীরা ন্যায়ের সাথে একথা সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

🌙 ৭️⃣ সূরা আল-আ‘রাফ – আয়াত ৫৪–৫৬

এই আয়াতগুলোতে আল্লাহর সৃষ্টিশক্তি, আসমান-জমিনের মালিকানা, এবং রহমত প্রার্থনার দোয়া আছে।

🌙 ৮️⃣ সূরা আল-মু’মিনুন – আয়াত ১১৬

﴿فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ…﴾

বাংলা অনুবাদ:
অতএব, মহান আল্লাহ, সত্যিকারের রাজাধিরাজ। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি মহামহিম আরশের মালিক।

🌙 ৯️⃣ সূরা আল-জিন – আয়াত ৩১

﴿وَأَن لَّوِ اسْتَقَامُوا عَلَى الطَّرِيقَةِ…﴾

বাংলা অনুবাদ:
যদি তারা সরল পথে অবিচল থাকত, তবে আমি অবশ্যই তাদের প্রচুর পানি (রিযিক) দিতাম।

🌙 🔟 সূরা আস-সাফফাত – আয়াত ১–১০

﴿وَالصَّافَّاتِ صَفًّا ۝ فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا…﴾

এখানে ফেরেশতাদের শপথ, শয়তানদের তাড়ানো ও আল্লাহর মহিমা বর্ণিত হয়েছে।

🌙 ⓫ সূরা আল-হাশর – শেষ তিন আয়াত (২২–২৪)

﴿هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ…﴾

বাংলা অনুবাদ (সংক্ষেপে):
তিনি আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্য সব জানেন, তিনি দয়ালু, পরম করুণাময়… তাঁরই সব সুন্দর নাম; আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবই তাঁর তাসবীহ পাঠ করে।

🌙 ⓬ সূরা আল-ইখলাস (সূরা ১১২)

﴿قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ۝ اللَّهُ الصَّمَدُ…﴾

বাংলা অনুবাদ:
বলুন: তিনি আল্লাহ, এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি, এবং তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

🌙 ⓭ সূরা আল-ফালাক (সূরা ১১৩)

🌙 ⓮ সূরা আন-নাস (সূরা ১১৪)

এই দুটি সূরা নবী ﷺ নিয়মিত পড়তেন নিজের সুরক্ষার জন্য — এগুলোকে একত্রে বলা হয় “মু‘আউযাতাইন” (দুই আশ্রয়ের সূরা)।

💎 সারকথা:

এই সমস্ত আয়াতগুলোর সম্মিলিত পাঠে
➡️ আল্লাহর তাওহীদ, সৃষ্টিশক্তি, রহমত, ক্ষমা ও সুরক্ষা-এর বাণী আছে।
➡️ এগুলো দিয়ে নবী ﷺ অসুস্থকে সুস্থ করেছিলেন।
➡️ তাই মুসলমানরা এসব আয়াত রুকইয়াহ, আত্মিক শান্তি ও সুরক্ষার জন্য পড়তে পারেন।

আপনি কি চান আমি এই সব আয়াতগুলো আরবি হারাকাতসহ সুন্দরভাবে সাজিয়ে (যেমন খুতবা বা দাওয়াতের জন্য) একটি PDF বা পোস্টার আকারে তৈরি করে দিই?

10/16/2025

হানাফি মাযহাব অনুযায়ী নামাযের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব ও মাকরূহ—

🕌 ১. নামাযের ফরজ (Farā’iḍ – Obligatory acts)

অর্থ: যে কাজগুলো নামাযের মধ্যে না করলে নামায বাতিল হয়ে যায়।

ফরজ ৬টি:
1. তাকবিরে তাহরিমা বলা – “Allāhu Akbar” বলা।
(Saying the opening takbīr: “Allāhu Akbar”)
2. কিয়াম – দাঁড়িয়ে নামায পড়া (যদি সক্ষম হন)।
(Standing while praying, if able)
3. কিরাআত – কুরআন তেলাওয়াত করা (কমপক্ষে একটি আয়াত)।
(Reciting any portion of the Qur’an)
4. রুকু – কোমর পর্যন্ত নত হওয়া।
(Bowing – Rukūʿ)
5. দুই সিজদাহ – মাটিতে কপাল লাগিয়ে দুইবার সিজদা করা।
(Performing two prostrations)
6. শেষ কা’দা বা কা’দায়ে আখিরা – শেষ বৈঠক।
(Final sitting – Qa‘dah al-Ākhirah)

🌟 ২. নামাযের ওয়াজিব (Wājibāt – Necessary acts)

অর্থ: নামাযের এমন অংশ, যা ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিলে নামায বাতিল নয় কিন্তু অসম্পূর্ণ হয়; সেজদায়ে সাহু (ভুল সেজদা) দিতে হয়।

ওয়াজিব ১৪টি (প্রধান):
1. সূরা ফাতিহা পড়া।
2. ফাতিহার পর অন্য সূরা বা আয়াত পড়া।
3. দুই রাকাতে ফাতিহা ও সূরা উভয় পড়া।
4. রুকু ও সিজদায় অন্তত তিনবার “সুবহানাল্লাহ” বলা।
5. দ্বিতীয় রাকাতে আগে বসা না করে সরাসরি উঠা।
6. তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাৎ) পড়া।
7. নামাযের ক্রমানুসার রক্ষা করা।
8. সালাম দেওয়া (ডান-বাম দিকে)।
9. প্রথম কা’দা (দুই রাকাতের পর বসা)।
10. কুরআন তেলাওয়াত ধীরে ও স্পষ্ট করে পড়া।
11. তাকবিরে কুনূত বলা (উইত্র নামাযে)।
12. কুনূতের দোয়া পড়া।
13. ঈদের নামাযের অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলা।
14. সিজদার সাত অঙ্গ মাটিতে রাখা।

(These are necessary elements; omission by mistake requires Sajdah Sahw.)

🌿 ৩. নামাযের সুন্নাত (Sunnah acts)

অর্থ: রাসুল ﷺ নিয়মিত করতেন, কিন্তু কখনো ছেড়ে দিয়েছেন। করলে সওয়াব, না করলে গুনাহ নয়, তবে পূর্ণতা নষ্ট হয়।

সুন্নাতগুলো উদাহরণ:
1. নামাযের আগে হাত তুলে “Allāhu Akbar” বলা।
2. ডান হাত বাম হাতের ওপর রাখা।
3. তাকবিরের সময় কিবলার দিকে মুখ করা।
4. রুকু থেকে উঠার পর “سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ” বলা।
5. সিজদা থেকে উঠার পর “رَبِّ اغْفِرْ لِي” বলা।
6. তাশাহহুদের পর দরূদ ও দোয়া পড়া।

(Acts the Prophet ﷺ did regularly but sometimes left out.)

💧 ৪. মুস্তাহাব (Mustahabb – Recommended acts)

অর্থ: করলে সওয়াব, না করলে ক্ষতি নেই।

উদাহরণ:
1. সুন্দর পোশাক পরে নামায পড়া।
2. সুবাস ব্যবহার করা।
3. কিবলার দিকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
4. কুরআনের সুন্দর তেলাওয়াত করা।
5. জামাতে আগে আগে উপস্থিত হওয়া।

(Recommended practices that beautify prayer.)

⚠️ ৫. মাকরূহ (Makrūh – Undesirable acts)

অর্থ: করলে নামাযে ঘাটতি আসে, তবে নামায বাতিল হয় না।

উদাহরণ:
1. চোখ বন্ধ করে নামায পড়া (অপ্রয়োজনীয় হলে)।
2. আঙ্গুল চটকানো বা খেলা করা।
3. নামাযে বারবার জামা ঠিক করা।
4. সামনে দৃষ্টি ঘোরানো।
5. জোরে কাশি দেওয়া বা হাসা।

(Discouraged actions that reduce the reward of prayer.)

10/15/2025

“ডিজিটাল মার্কেটিং জায়েয কি না”
এর হুকুম নির্ভর করে কোন পদ্ধতিতে ও কোন পণ্য/সেবা প্রচার করা হচ্ছে তার উপর। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা….

🌿 ১. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মৌলিক রূপ

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে অনলাইনে কোনো পণ্য, সেবা, বা প্রতিষ্ঠানকে প্রচার ও বিক্রি করার কার্যক্রম বোঝায় — যেমন:
• সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
• গুগল/ইউটিউব বিজ্ঞাপন
• ইমেইল মার্কেটিং
• ওয়েবসাইট SEO ইত্যাদি

এগুলো মূলত “প্রচার” বা “বিজ্ঞাপন” — আর ইসলাম বিজ্ঞাপন বা প্রচার হারাম করেনি, বরং শর্ত সাপেক্ষে বৈধ রেখেছে।

✅ যখন ডিজিটাল মার্কেটিং জায়েয (হালাল)

যদি নিচের শর্তগুলো পূরণ হয়, তাহলে এটি পুরোপুরি বৈধ (হালাল):
1. হালাল পণ্য বা সেবা প্রচার করা হয়
যেমন: পোশাক, বই, শিক্ষা, হালাল খাবার, সফটওয়্যার ইত্যাদি।
2. প্রচার পদ্ধতিতে মিথ্যা না থাকে
যেমন: অতিরঞ্জিত দাবি, প্রতারণা, ভুয়া রিভিউ, বা লোভনীয় মিথ্যা অফার নয়।
3. বিজ্ঞাপনে অনৈতিক ছবি বা অশালীনতা না থাকে
বিশেষ করে মেয়েদের ছবি, সঙ্গীত, নাচ ইত্যাদি ব্যবহার করা হারাম।
4. রিবা (সুদ), জুয়া, অ্যালকোহল, হারাম ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত না থাকা।

❌ যখন ডিজিটাল মার্কেটিং হারাম (নিষিদ্ধ)
• যদি হারাম পণ্য (যেমন: মদ, জুয়া, অশ্লীল কনটেন্ট) প্রচার করা হয়।
• যদি মিথ্যা ও প্রতারণামূলক অফার ব্যবহার করা হয়।
• যদি বিজ্ঞাপনে অশ্লীলতা বা পর্দা ভঙ্গ করা হয়।

📖 ইসলামী দৃষ্টিকোণ

🔹 আল্লাহ তাআলা বলেন:

“وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ”
“পাপ ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পর সহযোগিতা করো না।”
— (সূরা মায়িদাহ ৫:২)

অর্থাৎ যদি কোনো মার্কেটিং কাজের মাধ্যমে হারাম কিছুতে সহযোগিতা হয়, তা নিষিদ্ধ হবে।

🟢 সারসংক্ষেপ

✅ হালাল পণ্য
✅ সত্য ও ন্যায্য প্রচার
✅ অশালীনতা বা প্রতারণা নেই
➜ তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং জায়েয (হালাল)।

10/05/2025

Address

New York, NY

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Quranic Teacher NY posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Quranic Teacher NY:

Share