
06/23/2025
হানিমুন মার্ডার!
মেঘালয়ে স্বামীকে খুন
গত ১১ মে ইন্দোরে বিয়ে হয়েছিল সোনম ও রাজা রঘুবংশীর। হানিমুনে তাঁরা মেঘালয় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ২০ মে কামাখ্যা হয়ে শিলং পৌঁছন নবদম্পতি।
গত ২৩ মে সোহরা বা চেরাপুঞ্জি বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যান দু’জনে। ১১ দিন পর একটি খাদ থেকে উদ্ধার হয় পরিবহণ ব্যবসায়ী রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ। উদ্ধার হয় একটি চপারও। তবে নববধূর কোনও খোঁজ মেলেনি।
সিট গঠন থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা, স্নিফার ডগ, ড্রোন—সোনমকে খুঁজতে কিছুই বাদ রাখেনি মেঘালয় পুলিস। তাঁকে অপহরণ করে বাংলাদেশে পাচারের জল্পনা ছড়ায়।
কিন্তু এদিন সোনমের খোঁজ পাওয়ার পর যা জানা গেল, তা হার মানাবে থ্রিলার সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজকেও।
মেঘালয় পুলিস জানাল, ‘রাজাকে খুনের মাস্টারমাইন্ড স্বয়ং সোনম! প্রেমিকের সঙ্গে প্ল্যান করেই সে খুন করেছে স্বামীকে।’
রবিবার রাতে গাজিপুরের ওই ধাবা থেকে ফোন পেয়ে সোনমের খোঁজে হাজির হয় পুলিস।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গ্রেপ্তার হন সোনম। ইন্দোর এবং ললিতপুর থেকে পাকড়াও করা হয় সোনমের ‘প্রেমিক’ রাজ সিং কুশওয়া (২২) ও আরও তিনজনকে। সোনমদের পারিবারিক ব্যবসায় কর্মরত রাজ। তার বাড়ি ইন্দোরেই। সে আর সোনম মিলে রাজাকে খুনের জন্য ১৯ বছরের আকাশ রাজপুত এবং ২২ বছর বয়সি বিশাল সিং চৌহানকে ‘ভাড়া’ করেছিল বলে অনুমান পুলিশের।
মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলসের পুলিস সুপার বিবেক সেইয়েম অবশ্য দাবি করেছেন, পুলিসি তৎপরতার চাপে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন সোনম। যদিও মেঘালয় থেকে সোনম কীভাবে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছলেন, কেনই বা বাড়িতে ফোন করলেন, সেসব নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। সোনম অবশ্য জানিয়েছেন, স্বামীকে খুনের পর তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। সোনমকে আনতে উত্তরপ্রদেশে রওনা দিয়েছে মেঘালয় পুলিসের একটি দল।
(c)