
10/10/2025
কিডনী রুগী আব্দুস সাত্তার ভাল হলো সুইপারের লতাগাছের মালা নিয়ে
*************************************
চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা উনিয়নের
চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার কিডনীজনিত রোগে হাত- পা ফুলে মৃত্যু পথের যাত্রী ছিলেন।স্থানীয়ভাবে চাটমোহরে চিকিৎসার পর পাবনা চিকিসা করান, কিন্তু কোন ফল পান নাই।অবশেষে রাজাশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় একমাস চিকিৎসা গ্রহণ করেও কোন ফল পাচ্ছিলেন না। হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থা দেখে হাসপাতালের ঝাড়ুদার কাম সুইপার দীপক রাণী তাকে দেখে তার অসুস্থ্যতার কারন জানতে চান। একপর্যায়ে তাকে বাবা বলে ডাকেন।কিছুদিন আগে দীপক রাণীর বাবা মারা যাওয়ার কারন বলে তাকে ধর্ম বাবা বলে ডাকেন। দীপক রাণী তাকে একটি লতাগাছের মালা গলায় এবং পায়ে দিতে চান।এ ছাড়া রাবারের একটি বালা তার হাতে দিতে চান। এতে আব্দুস সাত্তার রাজি হন।দীপক রাণী আব্দুস সাত্তারের গলায়,পায়ে লতার গাছের মালা এবং হাতে রাবারের বালা পড়িয়ে দেন। হাসপাতালের ডাক্তার আব্দুস সাত্তারের গলায়,পায়ে লতাগাছ প্যাচানো দেখে বিরক্ত হন এবং আব্দুস সাত্তারকে রিলিজ করে দেন।অবশেষে দীপক রাণী ১৪/১৫ দিন তার বাসায রেখে চিকিৎসা দেন। হাত- পায়ের ফুলা ধীরে ধীরে শুকিয়ে সাভাবিক হতে থাকে।আবদুস সাত্তার ১০/ ১২ দিন হলো চরপাড়ার বাড়িতে আসেন। বর্তমানে সে সাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারছেন।কয়েকদিন আগে পীপক রাণী পরিবারের অন্যান্যদের সাথে নিয়ে আব্দুস সাত্তারকে চরপাড়া এসে তাকে দেখে যান। দীপক রাণী গাছটির গুনাগুন স্বপ্নে জানতে পেরেছেন। আব্দুস সাত্তার ২/৩ দিনের মধ্যেই গাছ খুলে ফেলবে। ডাক্তারির পরীক্ষায় আব্দুস সাত্তারের কিডনী প্রায় সম্পূর্ণ ভাল বলে রিপোর্ট পেয়েছেন। গত ৯ অক্টোবর চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাটে এলাকায় আব্দুস সাত্তারের সাথে কথা বলে বর্ণিত তথ্য জানা যায়। ছবিতে গাছ পরিহিত আব্দুস সাত্তার।