GRID Net

GRID Net We monitor Govt Orgs, Officials & Influential Persons and open them for people if required.

বিমান বাহিনী না 'ঠোংগা' বাহিনী-১ঃ 'মাসুদরা কী ভালো হবে না?'-----জুলাইয়ের ২১ তারিখের এই মর্মান্তিক বিমান দূর্ঘটনাটি নিঃস...
07/27/2025

বিমান বাহিনী না 'ঠোংগা' বাহিনী-১ঃ
'মাসুদরা কী ভালো হবে না?'
-----

জুলাইয়ের ২১ তারিখের এই মর্মান্তিক বিমান দূর্ঘটনাটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের বিমান দূর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটা নিকৃষ্টতম অধ্যায় হয়ে থাকবে। আল্লাহ যেন আহত-নিহত সবাইকে মাফ করে দেন এবং সংশ্লিষ্ট সকল আত্মীয়স্বজনদের ধৈর্যধারণের তৌফিক দেন সে দু'আকে সামনে রেখে চলুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে আলোকপাত করা যাক।

স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশের মানুষজন সেনাবাহিনী এবং তাদের কার্যক্রম, কাজের ধরনের সাথে যতটা পরিচিত; নৌ এবং বিমান বাহিনীর কার্যক্রমের ব্যাপারে ঠিক ততটাই অজ্ঞাত। বিশেষ করে, যেহেতু আমাদের বিমান বাহিনী একটি অতি আধুনিক (!) কারিগরি বাহিনী, বেসামরিক জনজীবনে এর পদযাত্রা কম/নেই বললেই চলে (ত্রাণ কার্যক্রমের ছবি প্রদর্শন ব্যতীত), তাই জনমনে বিমান বাহিনী নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা-গুজব-পৌরাণিক কাহিনীর প্রচলন থাকাটা স্বাভাবিক।

আসুন খুঁজে দেখি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই করুণ দুর্দশার পেছনে দায়ী কী/কারা।আজকের ঘটনাটাই কি প্রথম? অতীতের কোন ঘটনা থেকে বিমান বাহিনী শিক্ষা নিয়েছে কি? বা নিয়ে থাকলে কতটুকু নিয়েছে??

বলা হয়, Prevention is better than cure- প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ উত্তম। তবে, আমাদের দেশের মানুষ হোক কিংবা আমাদের বাহিনীগুলোই হোক, ঠ্যালা না খেলে কেন যেন আমাদের টনক নড়ে না। এই যেমন ধরেন - ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরসহ অনেক নিরীহ নিষ্পাপ শিশুসহ বহুলোকের প্রাণ গেল, স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এই সামরিক বিমান দূর্ঘটনার পরও দেখবেন - আমাদের বিমান বাহিনীর টিকিটাও নড়বে না। হয়ত সাময়িক কিছু লোক দেখানো পরিবর্তন হবে, কিন্ত কাজের কাজ আদৌ হবে কী?

মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে কয়েকটা বিষয় আপনাদের জেনে রাখা জরুরীঃ

১। এই মূহুর্তে বিমান বাহিনীর 'ফাইট' করার মত ফাইটার বা যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ২০ এরও কম(!), অন্যান্য বড় বড় সংখ্যা যা দেখছেন, এগুলোর সংখ্যা শুধুই আইওয়াশ।

২। এখন এই ২০-৩০ টা সেকেন্ড /থার্ড জেনারেশনের ফাইটার দিয়ে আপনি এই জামানার কোন যুদ্ধে কার সাথে কীভাবে লড়াই করে জিতবেন? যেখানে আপনার আশেপাশের দেশগুলোর টাকা থাকুক বা না থাকুক, বুকপকেটে কয়েকশো ফোর্থ/ফিফথ জেনারেশন ফাইটার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়!

৩। ঢাকার উপরে ট্রেনিং কার্যক্রম চলবে কি চলবে না সে ব্যাপারে বলার আগে আরেকটা বিষয় জেনে রাখেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যুদ্ধবিমানের পাইলট দের ট্রেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় মাত্র দুটো বিমান ঘাঁটি থেকে: ঢাকার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার আর চট্টগ্রামের বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক। এগুলো বাদে কক্সবাজারের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ, স্ট্র‍্যাটেজিক একটি এয়ারফিল্ডকে প্রায় অলসই বসিয়ে রাখা হয়েছে বলা চলে। এছাড়াও সিলেট, রাজশাহী, সৈয়দপুর সহ বহু মানসম্পন্ন এয়ারফিল্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের নানা প্রান্তে। সেগুলো নিয়ে সরকার বা বিমান বাহিনীর কোন মাথাব্যথা আছে কি? অবশ্য থাকলে তো সমস্যা, ঢাকার বাইরে পোস্টিং এ চলে যেতে হবে যে!

৪। তাও এদিকে যা দু-একটা বিমান ঘাঁটি আছে, দেশের উত্তর আকাশসীমা কিন্ত এই মূহুর্ত পর্যন্ত এক্কেবারে অরক্ষিত। ম্যাপ খেয়াল করলে দেখবেন, বাংলাদেশের উপরের অর্ধেক অংশে, অর্থাৎ উত্তরের বড় একটা এরিয়া জুড়ে না আছে কোন বিমান ঘাঁটি, আর না আছে কোন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার! বিমান বাহিনীর রাডারগুলোর যে ছবি/ভিডিও আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেন, সেগুলোর এক-একটা ভাই জাদুঘরের মাস্টারপিস! এক পা খোড়া তো দুই পা কানা এমন আর কি!

৫। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর কথা তো দূরে থাক, আপনি প্রতিবেশী ভারত, মায়ানমার আর পাকিস্তানের এয়ার বেজগুলোর দিকে তাকান। রাজধানী ঢাকার সামরিক ও স্ট্র‍্যাটেজিক গুরুত্ব বিবেচনায় ঢাকায় তো এয়ার বেজ থাকতেই হবে, কোন সন্দেহ নেই। তবে ওদের মত করে আমাদের কিছু এয়ার বেজগুলোকে কী যুদ্ধকালীন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকার বাইরেও করা যেত না? সাথে কিছু প্রশিক্ষণ আর অপারেশনাল কার্যক্রম? সবকিছু শুধুই রাজধানী কেন্দ্রিক কেন হতে হবে ভাই? সিলেট, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, সৈয়দপুর, কুমিল্লা... এগুলা কী দোষ করল? সীমানা ঘেঁষে এয়ার বেজ করতে চাইলে এত্ত বাঁধা আর অনীহা কেন?

ও আচ্ছা, রাজধানীতে এয়ার বেজ থাকার একটা বড় সুবিধা আছে, বলতে ভুলে গেসিলাম। কোন সমস্যা হলে যাতে খুনি হাসিনার মত ডাইনিদেরকে অনায়াসে সীমানা পার করে নিরাপদে পৌঁছে দিয়ে আসা যায়, তাই আর কী....

আসুন এবারের এই দূর্ঘটনার পেছনের আরও কিছু ঘটনার প্রতি মোটাদাগে আলোকপাত করিঃ

১। ২০১২ সালের পর 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' নামক হাস্যকর একটা ভারতীয় মদদপুষ্ট সামরিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে খুনি হাসিনা সরকার, যার সিকিভাগ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারেনি (কিংবা অন্যভাবে বললে, ইচ্ছাকৃতভাবেই করেনি) হাসিনার সাংগপাংগরা। সেটার বিস্তারিত গল্প, গলদগুলোসহ সামনে কোন একদিন বলব হয়তো ইনশা আল্লাহ।

২। গত ১৭ বছরে মাত্র ১ টা স্কোয়াড্রন (মোটেমাটে মাত্র ১৬ টা) নামমাত্র ফাইটার বিমান কিনল তারা, যেগুলোর 'ফাইট' করার সামর্থ্য নিয়েও আছে নানান রকমের ব্যঞ্জনা!

৩। রাশিয়া থেকে নেয়া লোন এর টাকায় YAK-130 ক্রয় করা হলো সেবার। কিন্ত পরবর্তীতে দেখা গেল, চুক্তিসংক্রান্ত অদূরদর্শীতা এবং মানসম্পন্ন যন্ত্রাংশের অভাবে মেইন্টেন্যান্সের চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা!ফলাফল - এক নাগাড়ে একটার পর একটা YAK-130 এর ক্র‍্যাশ, বিভিন্ন রকমের ঘটনা-দূর্ঘটনা। বলি কারা? বিমান বাহিনীর উদ্যমি, দক্ষ পাইলটেরা।

৪। শুধু তাই-ই নয়, YAK-130 এর ওভারহলিং এর উচ্চ ও অস্বাভাবিক খরচও কিন্ত একটা বড়সড় তদন্তের দাবীদার। বলে রাখা ভালো, এখন কিন্ত বাংলার আকাশে একটা YAK-130 ও আর ওড়ে না!

৫। বয়োবৃদ্ধ ওভারহাইপড F-7 সিরিজের ব্যাপারে কী-ই আর বলব! ওভারহলিং আর নাম মাত্র মেইন্টেন্যান্স এর নামে জোড়াতালি দিয়ে পাইলটদের মরতে পাঠানো হচ্ছে আর কী গেল কয়েক বছর ধরে।

৬। একদিকে নামমাত্র দামে বিমান বাহিনীর পরিবহন বহরে C-130 জুলিয়েট বিমানের বাহিরের খোল কেনার স্ক্যাম চলে আর অন্যদিকে, AN-32 বিমানের পুরো বয়সকালে মাথায় একটাও ছাদ জুটে না! ফলে সব বিমান হ্যাংগারে লুকাও আর এক কুমিরের ছানা সাতবার দেখাও! এভাবে আর কত ভাই?

৭। রাশিয়ার তৈরী Mi-17 হেলিকপ্টারের জাল নম্বরযুক্ত ও মানহীন যন্ত্রাংশ ক্রয়ের গল্পটা আবার অনেক ইন্টারেস্টিং। এটাও অন্য সময়ের জন্য তোলা থাক (যার দরুন ২০১৫ সালে স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত মারা গিয়েছিলেন হেলিকপ্টার ক্র‍্যাশে)

৮। MiG‑29 যুদ্ধবিমান, কুমিরের আরেক ছানা; ২০০০ সালে একবার কেনার পর থেকে কয়েক হাজারবার প্রদর্শন করে যা দিয়ে বিমান বাহিনী ফ্লেক্স নিয়ে আসছে বরাবরই। রাশিয়া থেকে ১৯৯৯ সালে ৮টি MiG‑29 কেনা হয় প্রায় ~৭০০ কোটি টাকায়, যেখানে উচ্চ পদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কমিশন গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তো ওঠার পরে কী হলো? আমরা কিছুই জানি না। জানবই বা কেন? পরে তো সমস্যা হবে!

৯। বুড়ো হাড়ের F‑7 বিমান কেনায় অস্বচ্ছতা ও অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রসঙ্গ আসে ২০০৪–০৬ সালে, ১৬টি F‑7 কেনার সময় চুক্তিতে মূলত 93.6M ডলার বলা হলেও পরবর্তীতে মূল্য বেড়ে 117.9M ডলার হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় 9M অস্বচ্ছ ব্যয় হিসাবে গণ্য হয়েছে। কোথায় গেল এই টাকাগুলা?

১০। Yak‑130 প্রশিক্ষণ বিমান ক্রয়ে দুর্নীতি (২০১৫–১৬): রাশিয়ার Rostec থেকে Yak‑130 কেনার জন্য প্রায় 1 বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে কমিশন ও দামবৃদ্ধির অভিযোগ ওঠেছিল সেবার। ওই ও পর্যন্তই। এরপরে অভিযোগগুলোর কথা কেন যেন সবাই বেমালুম ভুলেই গেল।

১১। K‑8W Karakorum বিমান কেনায় কমিশন লেনদেন (২০১৪–১৮): চীন-পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি এ বিমান কেনাতেও মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে অতিরিক্ত কমিশন বিতরণের অভিযোগ রয়েছে। হাজার হোক, আওয়ামী বাংগালীর রক্ত, মানুষ কী এত্ত সহজে হবে বলেন?

১২। এর বাইরেও বিভিন্ন বছরে চীন থেকে কেনা পুরনো PT‑6 প্রশিক্ষণ বিমানগুলো কেনাকাটার সময় অতিরিক্ত দাম ও জাল হিসাবের অভিযোগও আছে। এখন দেখেন, যেটা ভালো মনে করেন।

১৩। Yak‑130 ও MiG‑29 যুদ্ধবিমানের মেইন্টেন্যান্স এর সময় জাল ভাউচার ও বিলিং: বিমানের খুচরা যন্ত্রাংশে অত্যধিক দাম দেখানো ও কল্পিত খরচ দেখানোর অভিযোগ উঠলো। এরপর?

১৪। Su‑30SME যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব আসল একবার। ওখানে বাদ দিল না, প্রস্তাবিত প্রতিটি Su‑30SME যুদ্ধ বিমানের দাম যেখানে গড়ে 60M ডলার, সেখানে কিছু আওয়ামী রাজনৈতিক নেতা/তৃতীয় পক্ষ থেকে 120M ডলার কমিশন আদায়ের অভিযোগে চুক্তি বাতিল হয়। একই বিমান একই সময়ে মায়ানমার অনেক কম দামে কিনে নেয়, যা দিয়ে এখন আমাদের ওপরে চোখ রাঙায়, তক বুঝলেন না ব্যাপারটা?

১৫। চট্টগ্রামে Yak‑130 দুর্ঘটনার পর বিমান রক্ষণাবেক্ষণ মান বজায় না রাখায় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা বরখাস্ত হন। অভিযোগ ছিল অনিয়ম, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও জাল রিপোর্ট তৈরীর। বাংগালী!

১৬। খুনি হাসিনা আপার জিহবা তো অনেক বড়, আবার তিনি তো দয়ারও সাগর, যা খান মিলমিশ করে খান। তাই উনার ভাই-বেরাদরদের নিয়ে বিমান বাহিনীর MiG‑29 যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর ফ্রিগেট কেনার ক্ষেত্রে প্রায় 126M ডলারের দুর্নীতি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তারা। পরে অবশ্য সবকিছু ধামাচাপাও দিয়ে দিয়েছিলেন কিনা কে জানে!

১৭। এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রায় ~৩০০০ কোটি টাকা একাই নিয়ে আত্মসাত করে গেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে,৷ ব্যাংক হিসাব-সম্পত্তি জব্দ হয়েছে, বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পালিয়ে আছেন বিদেশেই!

এখন হিসাব করেন তো, তার পকেটমানির টাকায় কয়টা ফাইটার বিমান কিনতে পারতাম আমরা?

শেষ করার আগে আসুন বেশি না, সামান্য একটু পেছনে ফিরে তাকাইঃ

১। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ, ২০১৫ সালে একটি চাইনিজ F-7 যুদ্ধবিমান নিয়ে পুরো বিমানসহ বংগপসাগরে বিদধস্থ হন বিমানের কারিগরি ত্রুটির কারণে। বিমানের ধংসাবশেষের অল্প কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া গেলেও সাহসী সেই বৈমানিকের লাশ উদ্ধার করা যায়নি।

[বিস্তারিতঃ Pilot missing after BAF fighter jet crashes in Bay https://share.google/EEA2r0OYwSroLmnA3]

২। স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত, ২০১৫ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি রাশিয়ান Mi-17 হেলিকপ্টার ক্র‍্যাশে মারা যান। কথিত আছে, মানহীন যন্ত্রাংশের সংযোজনই নাকি সেই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার প্রধান কারণ, যার ফল হিসেবে প্রাণ গিয়েছিল স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েতের।

[বিস্তারিতঃ https://www.risingbd.com/english/BAF-helicopter-crash-in-Ctg-Injured-pilot-dies/25130]

৩। স্কোয়াড্রন লিডার এনায়েত ও স্কোয়াড্রন লিডার সিরাজ, ২০১৮ সালে একটি K-8 Basic Jet Trainer যুদ্ধবিমান নিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে যশোর বিমান ঘাঁটির পার্শ্ববর্তী একটি লেকে মারাত্মকভাবে ক্র‍্যাশ করেন, যার ফলে তাদের দেহাবশেষ কিংবা বিমানের ধংসাবশেষ, কোনটাই আস্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে সেই পাইলটদের দেহের কিছু কিছু টুকরো অংশ পানির গভীর তলদেশ থেকে নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সহায়তায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।

[বিস্তারিতঃ Two Air Force pilots killed as jet crashes in Jessore https://share.google/yXp0F5ZlSWNBdArDg]

৪। উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দীপু, ২০১৮ সালে টাংগাইলের রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে F-7 যুদ্ধবিমান নিয়ে Air-to-Ground ফায়ারিং এর সময় ডেট এক্সপায়ার্ড (!) রকেট, গোলাবারুদ ও বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিশ্রী রকমের একটা দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার লাশটিও একত্রে পুরোটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

[বিস্তারিতঃ Air Force pilot killed in crash in Tangail https://www.dhakatribune.com/bangladesh/161599/air-force-pilot-killed-in-crash-in-tangail]

৪। স্কোয়াড্রন লিডার আনিস, ২০১৯ সালে যশোর বিমান ঘাঁটিতে একটি L-39 Basic Jet Trainer বিমানের ইনজেকশন সিটের গোলযোগের কারণে On ground এ দূর্ঘটনাবশত Eject হয়ে প্রায় ৫০-৭০ ফিট উঁচু থেকে উনার নিজ+সিট+প্যারাসুট সম্বলিত প্রায় ৩০০ কেজি ওজন নিয়ে সরাসরি ভূমিতে আছড়ে পড়েন! হাসপাতালে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হলেও বেশিদিন বেচে থাকতে পারেননি তিনি।

৫। স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ, ২০২৪ সালের মে মাসে একটি Yak-130 Advanced Jet Trainer যুদ্ধবিমান নিয়ে Low level Aerobatics প্রদর্শনী অনুশীলনের সময় দূর্ঘটনায় পতিত হন। তিনি ও তার সাথে থাকা উইং কমান্ডার সোহান, দুজনে সফলভাবে Eject করে বেরিয়ে আসতে পারলেও শেষমেশ কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে মৃত্যু হয় তার। জানা যায়, যুদ্ধবিমানের পাইলটদের পরিহিত Automatic Mae Waist (Life Jacket এর মত, যা পানির স্পর্শ লাগার সাথে সাথেই ফুলে ওঠার কথা) ঠিকঠাক ফুলে ওঠেনি; ডেট নাকি এক্সপায়ার হয়ে গিয়েছিল অনেকদিন আগেই!

[বিস্তারিতঃ squadron leader asim jawad crash https://g.co/kgs/6WqQG2B]

৬। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির, ২০২৫ সালের ২১ জুলাই, FT-7 BG সিরিজের একটি যুদ্ধবিমান নিয়ে তার প্রথম একক উড্ডয়ন (Solo Flight) মিশনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ ও কিন্ডারগার্টেন ভবনে আছড়ে পড়েন। শেষ মুহুর্তে Eject করে বেরিয়ে এলেও হাসপাতালে পরবর্তীতে মৃত্যু হয় তার। সাথে মাইলস্টোন কলেজের নিষ্পাপ, নিরপরাধ শিশু, অভিভাবক, শিক্ষক সহ অগণিত বেসামরিক জনগণ মারাত্মকভাবে আহত ও নিহত হন। বিস্তারিত তো আপনাদের সবারই জানা।

দেখেন এগুলো বেশিদিন আগের না, মাত্র ১০ বছরের কিছু 'বড় বড়' দূর্ঘটনার কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এমন হাজারো ছোটখাট ঘটনা-দূর্ঘটনা বিমান বাহিনীতে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে, আপনার আমার অজ্ঞতার কারণে যেগুলোর প্রায় কোন কিছুই আমরা জানতাম না। এগুলোও হয়তবা বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ চেপে যেত, যদি না এগুলো বেসামরিক এলাকা বা আপনার আমার 'মাথায়' না পড়ত!?

আচ্ছা, এসব ঘটনাগুলোর মধ্যে 'কমন' কিছু খুঁজে পান কী? বুদ্ধি করে বলেন তো দেখি কয়েকটা?

বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শয়তান ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বিমান বাহিনীকে বলতে ইচ্ছে হয়, "মাসুদ! তুমি কি ভালো হবে না?"

--------


যেকোন তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন এই ঠিকানায়:
টেলিগ্রাম : https://t.me/gridnetbot
ইমেইল : [email protected]

আমাদের সাথে যুক্ত হোন :
টেলিগ্রাম -
https://bit.ly/3ZwrMb1
হোয়াটসঅ্যাপ -
https://bit.ly/41tHsi3
ফেসবুক -
https://bit.ly/3D8GeyF
ওয়ার্ডপ্রেস -
gridnetbd.wordpress.com

07/14/2025

GRID Net:
---

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক জোট
______

বাংলাদেশে সর্বমোট ৪৫টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক দল দুটি—
১. বিএনপি এবং
২. আওয়ামী লীগ।
বাকি দলগুলো এ দুটি দলের ছায়াসঙ্গী। এমনকি এ দলগুলোর সৃষ্টির ইতিহাসও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দমন-পীড়নের ফলেই হয়েছে।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মতাদর্শ সম্পূর্ণ বিপরীত। সে কারণে জামায়াতে ইসলাম যাতে চিরতরে হারিয়ে যায়, সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ তাদের বিরোধী দল নির্ধারণ করে রাজনৈতিক ছক তৈরি করেছিল বিগত ১৭ বছর যাবৎ। যদিও বিএনপি ও জামায়াতের মতাদর্শ এক নয়, তবুও আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে ও ক্ষমতার পালাবদল ঘটাতে দীর্ঘ সময় ধরে জোটবদ্ধ ছিল তারা।

রাজনৈতিক মেরুকরণের ফলে একে অপরের বিরুদ্ধে সাংঘর্ষিক বক্তব্য রাখছে, বন্ধুত্ব ভুলে। এতসব মেরুকরণের মাঝেও প্রশ্ন থাকে— কেমন নির্বাচন হওয়া উচিত? কেমন জোট হওয়া উচিত? আগামীর বাংলাদেশ গড়তে...

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
বাংলাদেশের জনগণ মূলত পাওয়ার পলিটিক্স করে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন তার পক্ষে সাফাই গায়, সে দলের রঙে মিশে যায়, ন্যায়–অন্যায়ের কোনো পার্থক্য করে না। বিগত ১৭ বছর সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের সাথে মিশে যাবতীয় অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। একটা দেশের জনগণ বিপক্ষে থাকলে কখনো এত অনাচার–অরাজকতা করতে পারতো না আওয়ামী লীগ। এ দায় এ দেশের জনগণের। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে বারবার বলা হচ্ছে— এ দেশে ৪০% লোক আওয়ামী লীগ করে। কিন্তু বাস্তবে তাদের জনসমর্থন এখন অনেকটাই কমে গেছে। এই সমীকরণ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ পাওয়ার পলিটিক্সে অভ্যস্ত হওয়ার কারণেই। ধরে নেওয়া যাক এখনো ২০–৩০% কর্মী–সমর্থক রয়েছে, যারা মাঠে সক্রিয় না হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধীরে ধীরে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে।

এত বড় একটা জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কোনো দেশে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। এতে গণতন্ত্রের কাঠামো বিনষ্ট হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং বহির্বিশ্বের সমর্থন পেতে আওয়ামী লীগকেও এ নির্বাচনে প্রয়োজন। কিছু পরাশক্তির দেশ এই নির্বাচন নিয়ে আপত্তি তুলবে, যদি আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করে।

আওয়ামী লীগের উচিত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা— তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে।

শর্তসমূহ হলোঃ
১. সরকার পতনের পর যেসব রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
২. শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আসতে দিতে হবে।
৩. সভা–সমাবেশের অনুমতি প্রদান করতে হবে।

কলমে ও মাঠের রাজনীতি এক নয়। উপরোক্ত ভাবনার বাস্তবতা নিষ্ঠুর, কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রশাসনের কিছু জায়গায় এমনভাবে চারাগাছ রোপণ করেছে, সেই চারাগাছের বিশালতা আমরা ধারণা করতে পারছি না বলে তা চোখে পড়ছে না। কিন্তু পরিচর্যা করলে তা ফলন দেবে। এসব অসম্ভব মনে হলেও অবাস্তব নয়। বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সে জন্য শ্রেণিবিভাজন করা সহজ। আওয়ামী লীগের বাস্তবতা বলার দরুণ আমাকে কেউ আওয়ামী ভাবতে পারেন। বিএনপির বাস্তবতায় যেমন খুব সহজেই ‘জামায়াত’ বলা যায়।

বিগত নির্বাচনগুলোতে আমরা ১৪ দলীয় জোট দেখলেও, আওয়ামী লীগ যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে তাদের সঙ্গী হিসেবে কাউকে শতচেষ্টা করেও পাবে না। কোনো দলই বা এত অপরাধের দায় নিয়ে আওয়ামী লীগের পাপকে হালকা করবে, আর কেনই বা নিজেদের নিঃশেষ করবে? কিন্তু দল টিকিয়ে রাখা এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য তাদের এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা উচিত। আওয়ামী লীগেরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখা উচিত— তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়া কেমন নির্বাচন বাংলাদেশে হয়। রাজনীতি পরীক্ষার মাঠ— তাই তাদের উচিত এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা। নইলে তারা গণতন্ত্র চায় না, কর্মীর কথা চিন্তা করে না, কেবল ক্ষমতার রাজনীতি করে। মানে, যখন পাশ করার অবস্থা হবে তখন আসবে নির্বাচনে।

আমাদের বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশেরও বয়স বাড়ে, দেশও বৃদ্ধ হয়, গণতন্ত্রও বৃদ্ধ হয়, সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক কৌশল শিখে ফেলে— রহস্য থাকে না। আপনি গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করবেন কিন্তু কুফল ভোগ করবেন না— তা কেমন করে হয়?

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রজন্ম জামায়াতকে স্বাধীনতা বিরোধী–যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিনে এসেছে। তারা তাদের মূলনীতি ও মতাদর্শ কখনোই স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেনি। ৯২% মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতকে নিঃশেষ করা অত্যাবশ্যক ছিল। সত্যিই কি আমরা সেকুলার বাংলাদেশ পেয়েছিলাম? বাংলাদেশে যদি একজন মানুষও এই দল করতে চায়, আওয়ামী লীগের উচিত ছিল তার স্বাধীনতা হরণ না করা। কিন্তু তাদেরকে কোণঠাসা ও পরাধীন করা হয়েছে। সেকুলারিজমের নামে আমাদের দেশে ভারতীয় প্রেসক্রিপশন চালু ছিল আওয়ামী লীগের শাসন আমলে। এই মুহূর্তে জামায়াতের উচিত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা। স্বাধীনতা সম্পর্কে তাদের তখনকার অবস্থানের জন্য সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করে জনগণকে আহ্বান করা দেশ গড়ার জন্য। বিএনপির ছায়াসঙ্গী থেকে

বেরিয়ে জামায়াত এখন তাদের ইতিহাসের সেরা অবস্থানে আছে। রাজনৈতিক মাঠ দখলে তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান জনগণ গ্রহণ করছে। জামায়াতের একটি ভোটব্যাংক রয়েছে। জামায়াত একটি পরিবার। ধরুন, একটি পরিবার ৬ সদস্য বিশিষ্ট এবং সকলেই শিক্ষিত। যদি পরিবারে বড় ছেলে জামায়াতের মতাদর্শে বিশ্বাস করে, তাহলে ধরে নেওয়া যায়— সকল সদস্যই জামায়াতকেই ভোট দেবে। মূলত জামায়াত একটি শিক্ষিত পরিবার। জামায়াতে দলীয় কোন্দল নেই; তারা ঐক্যবদ্ধ থাকতে বদ্ধপরিকর, যা জামায়াতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। অন্য কোনো দলে এমন ঐক্য নেই, এমন শিক্ষিত ভোটব্যাংকও নেই।

জোটের ক্ষেত্রে জামায়াতের উচিত সকল ইসলামপন্থী দলকে নিয়ে জোটবদ্ধ হওয়া— এমনকি এনসিপি ও গণ–অধিকার পরিষদকেও সঙ্গে নেওয়া। এককভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন হবে। জামায়াতের উপস্থিত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে, যা অন্যান্য দলগুলোর কম। এটা ইদানীং বহুলাংশে তৈরি হয়েছে। কারণ, মেধাভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। বিএনপির ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ফলে সাধারণ মানুষকে সহজেই নিজেদের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে অবহিত করতে পারছে। তাতে করে আজ না হোক, কাল জামায়াতের জন্য ক্ষমতার দুয়ার খুলবে— হয়তো এই নির্বাচনেই।

---
১ম পর্ব (অন্যান্য দলগুলোর অবস্থান, করণীয় ও জোট নিয়ে লেখা আসছে)

-ফাতিহ মেহমেদ
১৪ জুলাই, শনিবার ২০২৫
---

https://www.facebook.com/share/p/15g97qZXGW/

07/12/2025

\\বাংলাদেশের সমকালীন কিছু রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমে যে রাজনৈতিক দলের নাম আসে তা বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের জনগণের সামনে বিগত এক বছরে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন। খুব সহজেই আপনি পার্থক্য করতে পারবেন—২০০১ থেকে ২০০৬ সালের তারেক রহমানের সঙ্গে বর্তমানের তারেক রহমানের। মানুষ অতীতের করা ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, তারেক রহমান তাঁর অতীতকে ভয় পান। অতীতে তিনি চাঁদাবাজি, কমিশন, ঘুষ, দখল এসবের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি এসবের পরিণতি সম্পর্কে অবগত, সে কারণেই বারবার সতর্ক করে গেছেন। সতর্ক করার সময়ই আপনার বুঝতে অসুবিধা হবে না—তারেক রহমান কতটা পরিণত এখন। তাঁর এই ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করে বিএনপির উপরে থেকে নিচ পর্যন্ত সকলে চাঁদাবাজি, কমিশন, ঘুষ, দখলের সঙ্গে যুক্ত। বিএনপির কর্মীরা এসব কর্মকাণ্ডকে তাদের রাজনৈতিক অধিকার ভেবে করছে। সে জন্য তাদের কোনো ধরনের অনুশোচনা নেই। তারা নিজেদের করা এসব কর্মকাণ্ডকে বৈধ ভাবে এবং তার অপব্যাখ্যাও দিচ্ছে। যদি বিএনপির হাইকমান্ড এসব কর্মকাণ্ড এড়িয়ে যায় এবং কর্মীদের এসব কর্মকাণ্ডে দেখেও না দেখার ভান করে ‘উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে’ চাপানোর চেষ্টা করে, তাহলে জনমনে নেতিবাচক প্রশ্ন জন্ম নেবে—বিএনপির হাইকমান্ডও কি এসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত?

বিএনপি হাইকমান্ড এটাকে নিছকই জামায়াত–এনসিপি'র অপপ্রচার বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা করলেও ভুলে গেলে চলবে না, এটা রাজনীতি; প্রতিপক্ষ সুযোগের অপেক্ষায় উত পেতে আছে। এখানে কেউ আপনাদের ভুল ধরবে না—এটা ভাবার সুযোগ নেই। সবাই তো আর ফেরেশতা হয়ে রাজনীতিতে আসে না। সমাজের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল মানুষগুলোই রাজনীতি করে।

সম্প্রতিক কালে রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় করণীয়ঃ

১. চকবাজার থানার আওতাধীন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের সমস্ত কমিটি স্থগিত করে দিতে হবে।
২. নিহত সোহাগ যুবদলের কর্মী বলা হলেও বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো হয়নি। অতিসত্বর বিএনপি পরিবারের উচিত অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো।
৩. চাঁদা সংশ্লিষ্ট আর কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে, যদি কোনো এলাকায় চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়া যায়—সংশ্লিষ্ট থানার আওতাধীন সমস্ত কমিটি বাতিল করে দিতে হবে।
৪. বিএনপির পক্ষ থেকে নিজেদের ‘জনগণের দল’ বলা হলেও, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তাদের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা কমে গেছে। তাই জনগণের কথা শুনতে ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে একটি হেল্পলাইন চালু করুন।

আশা করি, জনমনে নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে বিশ্বাস ফিরে আসবে।

— ফাতিহ মেহমেদ
১২ জুলাই ২০২৫

---
https://www.facebook.com/61578578990004/posts/122093370104952633/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ ও 𝐂𝐓𝐓𝐂-এর ছায়াতলে গঠিত ধর্মীয়-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রCTTC ইউনিট গোপনে ইসলামী স্কলার, ধর্মপ্রাণ মুসল...
05/05/2025

ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ ও 𝐂𝐓𝐓𝐂-এর ছায়াতলে গঠিত ধর্মীয়-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

CTTC ইউনিট গোপনে ইসলামী স্কলার, ধর্মপ্রাণ মুসলিম, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী (বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াত), এবং স্বাধীন ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে বিভিন্ন ভুয়া সন্ত্রাস নামক মামলা সাজিয়ে তাদের দমন করত এবং ধ্রুব গোপ ছিল এই অপারেশনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তিনি নাজমুল সুমনের ছায়ায় থেকে এসব কাজ পরিচালনা করত। ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল), গাইবান্ধা হিসেবে কর্মরত আছেন। ব্যাচ: বিসিএস (পুলিশ) ৩৪। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডার হিসেবে সিটিটিসিতে কাজ করতেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে রয়েছেন।

১. সিটিটিসিতে অবস্থানকালে অপকর্ম:

ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, এডিসি নাজমুল ইসলাম এবং অন্যান্য অফিসারদের সহযোগিতায় CTTC ইউনিটে বিরোধীদলের নেতা, ফ্রিল্যান্সার, লেখক, ও ব্লগারদের টার্গেট করে ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালাতো।

সরকারবিরোধী মত প্রকাশকারীদের ফেসবুক ও অনলাইন পোর্টাল ট্র্যাক করে গ্রেফতার করা হতো।
নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে তথ্য আদায় এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হতো।
এছাড়াও টাকা, ডিভাইস, ব্যাংক একাউন্ট, ডিজিটাল সম্পদ লুটপাট করা হতো।

ভুক্তভোগীর জবানবন্দি:

একজন সাংবাদিক ও লেখকের ভাষ্যমতে, ধ্রুব ও নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে তার উপর ১১ দিনের গুম, ৫ দিনের রিমান্ড, এবং দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। তার ৪.৫ লাখ টাকা, কম্পিউটার, আইডি কার্ড, ফেসবুক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সবকিছু লুটপাট করা হয়। ফেসবুক একাউন্টও নিজের দখলে নিয়ে ব্যবহার করা হয়।

২. বিদেশ প্রশিক্ষণ ও 𝗜𝗦𝗞𝗖𝗢𝗡 সংশ্লিষ্টতা:

২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ধ্রুব গোপ তুরস্ক ও ভারতের উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ ও ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য ১৫ দিনের অবকাশকালীন ছুটিতে যান। সফরের ব্যয় বাংলাদেশ সরকার বহন করেনি এবং অনুমতি চিঠিতে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

সফরের জন্য বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতা ছিল না, তবুও তিনি অংশগ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণের আড়ালে তিনি ISKCON এর গোপন কর্মসূচিতে যুক্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার অর্থায়ন, তিনি ISKCON বা ভারত থেকে সরাসরি পেয়েছেন এমন ধারণা করা হচ্ছে।

৩. রাজনৈতিক হয়রানি ও পুরস্কার:

খালেদা জিয়ার রায় ঘিরে ২০১৮ সালে যেভাবে রাজধানীতে গণগ্রেফতার শুরু হয়, তার পেছনে ধ্রুব গোপসহ CTTC অফিসারদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

আওয়ামীলীগ বিরোধী কাউকে পেলেই সন্ত্রাস মামলায় ফাঁসানো হতো।
নিরীহ নাগরিকদের উপর চড়াও হয়ে মামলা সাজানো হতো।
এরপর এই অফিসারকে “সাইবার অপরাধ দমনে অসামান্য অবদান” বলে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল বিরোধী দমন ও স্বার্থপর অপারেশন পরিচালনার পুরস্কার।

৪. ISKCON সংশ্লিষ্টতা ও গোপন ধর্মীয় মিশন:

ধ্রুব গোপ ও তার পরিবার গোপনে ISKCON নামক একটি আন্তর্জাতিক হিন্দু ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এই গোষ্ঠী বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু তাদের কর্মপন্থা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন আছে।

তার বোন খণিকা গোপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকা অবস্থায় ৩৫৫ দিন বিনা অনুমতিতে বিদেশে অবস্থান করেন এবং ISKCON এর বৈদেশিক কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন।

ধ্রুব গোপের আরেক বোন মনিকা গোপ বাংলাদেশে ISKCON-এর বিভিন্ন প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

৫. প্রশাসনিক নিয়ম লঙ্ঘন ও বিদেশে প্রভাব বিস্তার:

ঢাবি সিন্ডিকেট খণিকা গোপের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে, তবুও দীর্ঘদিন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। পরিবারটি সরকারের এক শ্রেণির সহায়তায় বিদেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও প্রশাসনিক প্রভাব বিস্তার করছে।

৬. সামগ্রিক বিশ্লেষণ:

ধ্রুব গোপ ও তার পরিবারের কর্মকাণ্ড একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে সরকারকে ব্যবহার করে বিরোধী দমন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, ও ধর্মীয় উগ্র মতাদর্শ বিস্তারের কার্যক্রম চলেছে। এদের আইনের আওতায় আনা, তদন্ত, এবং সম্পদের উৎস যাচাই করা এখন সময়ের দাবি।

একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে ধ্রুব গোপ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই করা হোক।



যেকোন তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন এই ঠিকানায়:
টেলিগ্রাম : https://t.me/gridnetbot
ইমেইল : [email protected]

আমাদের সাথে যুক্ত হোন :
টেলিগ্রাম -
https://bit.ly/3ZwrMb1
হোয়াটসঅ্যাপ -
https://bit.ly/41tHsi3
ফেসবুক -
https://bit.ly/3D8GeyF
ওয়ার্ডপ্রেস -
gridnetbd.wordpress.com

এই ইসলাম বিদ্বেষী অধ্যাপক সাহেব দের এখন কি খবর?যতো দূর জানা গেছে তার স্ত্রী কিন্তু বর্তমানে আটক আলোচিত বিচারপতি কালা মান...
04/13/2025

এই ইসলাম বিদ্বেষী অধ্যাপক সাহেব দের এখন কি খবর?
যতো দূর জানা গেছে তার স্ত্রী কিন্তু বর্তমানে আটক আলোচিত বিচারপতি কালা মানিক এর আপন বোন।
৫ই আগষ্টের পর বিগত স্বৈরাচারের আমলের এই ধরনের ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী দোসর দের বর্তমানে কি খবর?
এদের বিগত স্বৈরাচারের আমলের সাড়ে ১৫বছরের দূর্নীতি, অনিয়ম, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান দের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের অনুসন্ধান করা জরুরী।
৫ই আগষ্টের পর তো অনেক দিন হলো, যারা রাজপথে রক্ত এবং জীবন দিয়েছে তাদের জন্য হলেও তো এদের বিগত স্বৈরাচারের আমলের সকল অপকর্মের অনুসন্ধান এবং বিচার নিশ্চিত করা দরকার ছিলো।
Muhammad Yunus Chief Adviser GOB স্যারের কাছে কিন্তু আমাদের অনেক কিছু বুক ভরা আশা এবং বিগত স্বৈরাচারের আমলের স্বৈরাচারের দোসরদের সকল অপকর্মের সুষ্ঠ বিচার নিশ্চিত করার আকাঙ্ক্ষা অনেক অনেক বেশি।
আমাদের কাজ হচ্ছে সকল অপকর্মের এবং অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করা এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছ পর্যন্ত তথ্য গুলো পৌঁছে দেয়া।
মহান আল্লাহপাক আমাদের দেশ এবং এই জাতি কে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের হাত থেকে রক্ষা করুন আমিন 🤲🏻



যেকোন তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন এই ঠিকানায়:
টেলিগ্রাম : https://t.me/gridnetbot
ইমেইল : [email protected]

আমাদের সাথে যুক্ত হোন :
টেলিগ্রাম -
https://bit.ly/3ZwrMb1
হোয়াটসঅ্যাপ -
https://bit.ly/41tHsi3
ফেসবুক -
https://bit.ly/3D8GeyF
ওয়ার্ডপ্রেস -
gridnetbd.wordpress.com

https://youtu.be/nh2OZYHaSq0?si=XC8Z4KQhJOM1EB37
04/08/2025

https://youtu.be/nh2OZYHaSq0?si=XC8Z4KQhJOM1EB37

ফিলিস্তিনের পক্ষে হারুন ইজহারসহ আলেম সমাজের বি/ক্ষো/ভ | Bangla EditionStay updated with the latest news, current affair...

বি'স্ফো'র'ণে'র ভয়াবহতায় আকাশে উড়ে যাচ্ছে গা'জা'র মানুষ
04/06/2025

বি'স্ফো'র'ণে'র ভয়াবহতায় আকাশে উড়ে যাচ্ছে গা'জা'র মানুষ

ি'স্ফো'র'ণে'র ভয়াবহতায় আকাশে উড়ে যাচ্ছে গা'জা'র মানুষ | Bangla EditionWelcome to Bangla Edition!Stay updated with the...

মনির-হাবিবের অতি আপন ফরিদা ইয়াসমিন হাসিনা আমলে সবসময় ডিএমপিতে ছিলেন।  অতিরিক্ত ডিআইজি হবার পর হাইওয়ে পুলিশে যান। হাসিনা ...
03/26/2025

মনির-হাবিবের অতি আপন ফরিদা ইয়াসমিন হাসিনা আমলে সবসময় ডিএমপিতে ছিলেন। অতিরিক্ত ডিআইজি হবার পর হাইওয়ে পুলিশে যান। হাসিনা পালানোর পর বিপ্লবী সেজে আবার ডিএমপিতে পোস্টিং বাগালেন। হায়রে বিপ্লবী!



যেকোন তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন এই ঠিকানায়:
টেলিগ্রাম : https://t.me/gridnetbot
ইমেইল : [email protected]

আমাদের সাথে যুক্ত হোন :
টেলিগ্রাম -
https://bit.ly/3ZwrMb1
হোয়াটসঅ্যাপ -
https://bit.ly/41tHsi3
ফেসবুক -
https://bit.ly/3D8GeyF
ওয়ার্ডপ্রেস -
gridnetbd.wordpress.com

প্রিয় ও সম্মানিত দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম,দেশের আপামর ছাত্রজনতা, রাষ্ট্র পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় ...
03/19/2025

প্রিয় ও সম্মানিত দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম,
দেশের আপামর ছাত্রজনতা, রাষ্ট্র পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় উপদেষ্টাগণ, সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের আওতাধীন যাবতীয় দপ্তর/সংস্থা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইলেকট্রনিক/প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সকলের প্রতি আন্তরিক সালাম ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন পূর্বক সার্বজনীন অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমার এই পোস্ট.....

এই পোস্টে বিমান বাহিনীর কয়েকজন 'Mirjafar' সামরিক কর্মকর্তাদেরকে দেখা যাচ্ছে; যারা ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিকভাবেই ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের কর্মী/সমর্থক ও শেখ পরিবারের সাথে লতাপাতায় আত্মীয় সম্পর্কের হওয়ায় বিমান বাহিনীতে চাকুরীরত থাকাকালীন পদ/পদবী ও ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক সীমাহীন চরম দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, বিমান বাহিনীর উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত রাষ্ট্রীয় তহবিলের অর্থ লুটপাট করে নামে/বেনামে বিদেশে পাচার করা, বিমান বাহিনীর মান বহির্ভূত বিভিন্ন মালামাল/সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে শেখ হাসিনার ও শেখ রেহানার মনোনীত সাপ্লাইয়ারদের সাথে যোগসাজশ করে কমিশন বাণিজ্য সহ আরো অনেক অপরাধ যেমন জুলুম, অত্যাচার, অপবাদ, অপদস্থ, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়ে বাহিনীর অনেক সদস্যকে চাকুরীহারা করা সহ খুনী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিমান বাহিনীর সদস্যের দিয়ে জোরপূর্বক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অর্থ পাচার, খুন, গুম ইত্যাদি অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত/ সহযোগীতা করার অপরাধে অপরাধী।

এদের মধ্যে ১ম জন হচ্ছে খাঁটি গোপালী (জিয়া), বাকীরা কেউ কোন না কোন ভাবে শেখ পরিবারের লতাপাতায় আত্মীয়, আবার কেউ ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিকভাবেই আওয়ামী লীগের পা চাটা কুকুর।
এদের মধ্যে একজন (সো:লী: রাজিব) বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় রাষ্ট্রীয় তহবিল লুট, কমিশন বাণিজ্য করে হাসিনা প্রশাসনের সুনজরে আসে; তারই পুরস্কার স্বরূপ ডিজিএফআইতে প্রমোশন পোষ্টিং হয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে অনেক বিচার বহির্ভূত খুন, গুম ইত্যাদির সাথে সরাসরি জড়িত হয়। আবার কয়েকজন (এনামুল বারী, ইয়াজদানী) বিমান বাহিনীর চাকুরী মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও শেখ হাসিনার অপরাধে সহযোগীতার করার পুরস্কার স্বরূপ পুনরায় বিভিন্ন সংস্থায় (সিভিল এভিয়েশন, ঢাকা ওয়াসা) গুরুত্বপূর্ন পদে চাকুরী পায়।

আমি সমগ্র দেশবাসী ও বিমান বাহিনীর নির্যাতিত সকল সদস্যের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও রাষ্ট্র পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় উপদেষ্টাগণ, সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের আওতাধীন সংস্থা সমূহ ও ইলেকট্রনিক/প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মরত সকলের প্রতি উল্লিখিত ছবিতে প্রদর্শিত বিমান বাহিনীর এই সব গোপালী/শেখ হাসিনা/রেহানা/আওয়ামী লীগের পা চাটা কুকুর/'Mirjafar' সামরিক কর্মকর্তাদের অপরাধের জন উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং তাদের কৃত অপরাধের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

সকলকে ধন্যবাদ ও সালাম...

এমসি-২ হাসনাত,
টিএস/১৯০৭.
২০৫ রক্ষনাবেক্ষন ইউনিট
বাবিবা ঘাঁটি KTL
ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা।


যেকোন তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন এই ঠিকানায়:
টেলিগ্রাম : https://t.me/gridnetbot
ইমেইল : [email protected]

আমাদের সাথে যুক্ত হোন :
টেলিগ্রাম -
https://bit.ly/3ZwrMb1
হোয়াটসঅ্যাপ -
https://bit.ly/41tHsi3
ফেসবুক -
https://bit.ly/3D8GeyF
ওয়ার্ডপ্রেস -
gridnetbd.wordpress.com

🔴১ম ছবিতে মোদী বিরোধী আন্দোলনে একজন মুসলমানের দাড়ি ধরে টান মারছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা।🔴২য় ছবিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সং...
03/08/2025

🔴১ম ছবিতে মোদী বিরোধী আন্দোলনে একজন মুসলমানের দাড়ি ধরে টান মারছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা।

🔴২য় ছবিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের মিছিলে
আওয়াজ তুলে মার্চ ফর খেলাফা প্রতিষ্ঠা করছেন ঐ একই ভারতীয় ডান্ডিয়াদের মুখোশধারী মিরজাফোর শকুন।

〽️বি. দ্র.: এই ধরনের ভারতীয় ডান্ডিয়াদের মুখোশধারী শকুন দের শনাক্ত করে এবং বিভিন্ন এলাকায় যেসব রাজনৈতিক দলের লোভী শ্রেণীর লোকজন পলাতক স্বৈরাচারের জুলাই বিপ্লবের গণহত্যার সাথে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে ওদের শনাক্ত করে সব গুলো কে আধা ভাঙা দিয়ে সেনাবাহিনী/ পুলিশ এর হাতে সোপর্দ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কারণ এই সব লোকজন সমগ্র বাংলাদেশ কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রের সাথে সরাসরি জড়িত।


যেকোন তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন এই ঠিকানায়:
টেলিগ্রাম : https://t.me/gridnetbot
ইমেইল : [email protected]

আমাদের সাথে যুক্ত হোন :
টেলিগ্রাম -
https://bit.ly/3ZwrMb1
হোয়াটসঅ্যাপ -
https://bit.ly/41tHsi3
ফেসবুক -
https://bit.ly/3D8GeyF
ওয়ার্ডপ্রেস -
gridnetbd.wordpress.com

Address

New York, NY

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GRID Net posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share