11/05/2025
নিউ ইয়র্কের নতুন মেয়র — জোহরান মামদানী (Zohran Mamdani)
👶 জন্ম ও শৈশব
জোহরান মামদানী জন্মগ্রহণ করেন ১৮ অক্টোবর ১৯৯১ সালে, উগান্ডার কাম্পালা শহরে।
ছোটবেলায় তিনি পরিবারসহ নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলে আসেন, তখন তাঁর বয়স প্রায় ৭ বছর।
তিনি দ্য ব্রঙ্কস হাই স্কুল অব সায়েন্স থেকে পড়াশোনা শেষ করে Bowdoin College (মেইন রাজ্যে) থেকে Africana Studies-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
🏛️ রাজনৈতিক জীবন
মামদানী ২০২১ সাল থেকে নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির ৩৬তম জেলা (Astoria, Long Island City — কুইন্স) প্রতিনিধিত্ব করছেন।
২০২৫ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হন।
জুলাই মাসে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পান এবং নভেম্বর ৪, ২০২৫-এর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
তিনি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
🕌 ইতিহাস গড়া
জোহরান মামদানী হচ্ছেন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র।
তিনি গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে তরুণ মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর এই বিজয় মার্কিন রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের প্রতীক — তরুণ, অভিবাসী, প্রগতিশীল নেতৃত্বের উত্থান।
📋 তাঁর প্রধান নীতিমালা
1. 🏠 আবাসন সংকট সমাধান — ভাড়ার বাড়ির দাম নিয়ন্ত্রণ ও সাশ্রয়ী হাউজিং প্রকল্প বাড়ানো।
2. 🚇 ফ্রি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট — বাস ভাড়া ছাড় ও মেট্রো সেবার উন্নয়ন।
3. 💰 অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার — বড় কর্পোরেশন ও ধনীদের উপর কর বাড়িয়ে শ্রমজীবী মানুষের জন্য সুবিধা বৃদ্ধি।
4. ⚖️ সামাজিক ন্যায়নীতি — নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে (যেমন যৌনকর্ম) ডিক্রিমিনালাইজেশনের প্রস্তাব — যদিও এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
⚠️ চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা
অনেক প্রতিষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শুরুতে তাঁর প্রতি সন্দিহান ছিলেন।
তাঁর কিছু বক্তব্য ও নীতিকে অনেকেই “অতিরিক্ত উদারপন্থী” বলে সমালোচনা করেছেন।
এখন তাঁর সামনে বড় দায়িত্ব — নিউ ইয়র্কের অপরাধ, দারিদ্র্য, হাউজিং ও পরিবহন সংকট মোকাবিলা করা।
🌆 তাঁর নির্বাচনের তাৎপর্য
নিউ ইয়র্ক এখন পাচ্ছে এক তরুণ, বৈচিত্র্যময় ও আদর্শবাদী নেতা।
এটি প্রমাণ করে, অভিবাসী ও মুসলিম সম্প্রদায় এখন যুক্তরাষ্ট্রের মূল রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে এটি আশা, পরিবর্তন ও প্রতিনিধিত্বের প্রতীক।