13/12/2022
পুটিখালী ভূইয়াদম পাড়া চুরাশি হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন উপলক্ষে উদ্বোধনী সঙ্গীত।https://youtu.be/aXG0FPIMJGo
Man for man, life for life, a little compassion.
Operating as usual
পুটিখালী ভূইয়াদম পাড়া চুরাশি হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন উপলক্ষে উদ্বোধনী সঙ্গীত।https://youtu.be/aXG0FPIMJGo
সুখ তারাই লাভ করে যাদের মন প্রদীপের মত উজ্জ্বল,
শান্তি তারাই লাভ করে যাদের মন স্থির ও এককেন্দ্রিক।
সতর্কতা অবলম্বন মানুষকে অমরত্ব পর্যন্ত পার করে দেয়,
শ্রদ্ধা মানুষ কে বিশ্বাস স্থাপন করে দেয়।
স্মৃতি সকল বিপদ থেকে সুরক্ষা প্রদান কের।
প্রজ্ঞা যাবতীয় বিষয় জ্ঞাত বা প্রকাশ করে দে।
শীল লোকের হিংসা হতে দূরত্ব করে দেয় এবং মৈত্রী চিন্তা উদয় করে।
নানিয়ার চর এলাকাবাসীর উদ্যোগে তীর্থ স্থান রাজ বন বিহারে মহাসংঘ দান সুসম্পূর্ণ হয়।
নতুন ধর্মীয় গান,
মানুষ কখনো কখনো এমন ভুল করে, যার ফলে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। পুত্র বিনা যেমন ঘর শূন্য হয়, তেমনি নীতিহীন জীবনও মহৎ হয় না। সাপ একবার মাত্র মানুষকে দংশন করে, কিন্তু পাপীব্যক্তি বারাংবার ধ্বংস করে।
— পূজ্য বনভন্তে
মাউরুমদোর আন্তর্জাতিক বন ভাবনা কেন্দ্র,
সুন্দর দৃশ্য গুলো।
ধন্য তুমি প্রভু জন্ম নিয়েছ বুদ্ধ শাসনে।
গুরু শিক্ষা অন্তরে রেখে করেছ দুলর্ভ মানব জন্ম স্বার্থক।
Lyrics✍amaratna Monk singer Rubel chakma
অসাধারণ ধর্মীয় গান। https://youtu.be/le7xur8gwG8
Lyricist Buddha jyoto bhikkhucomposer ananya chakma singer ananya end rubel chakma
&গীতিকার প্রছন্দ কুমার চাকমা&সুর অনন্যা চাকমা&শিল্পী রুবেল ও অনন্যা চাকমা
পটিখালী নিচ পাড়া মাউরুম দোর কতুকছড়ি রাঙ্গমাটি,
আগামী ২৯তারিখ, শনিবার দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উক্ত অনুষ্ঠানে সবাইকে ধর্মীয় সভায় আমন্ত্রিত করা হইল।
সব্বে সত্ত সুখীতা হোন্তু।
রত্নাংকুর বন বিহার কঠিন চীবর দানের সকাল পর্বে ধর্মীয় গান, https://youtube.com/channel/UCap9AiDbsXmTkLRcM9o7WDw
এই শিশুগুলোর প্রতিভা সত্যি অসাধারণ। শুভ কামনা রইল ভবিষ্যতের জন্য।
কাঁঠালটি ঐ গর্ত থেকে তুলে আনো
একপর্যায়ে জনৈক মহিলা বনভন্তের প্রতি বেশ ধর্মানুরাগী হয়ে উঠলেন। ভন্তের প্রতি অচলা শ্রদ্ধা উৎপন্ন হল তার। সময় ও সুযোগ মিললে বনভন্তের কুটিরে গিয়ে ধর্মদেশনা শ্রবণ করেন, সামর্থ অনুসারে দানও দেন। একসময় তাদের বাড়ির আঙিনায় পেঁপেগাছে দু’টি পেঁপে পাকলো। পেঁপে দু’টি ছিঁড়ে বাড়ীতে আনলেন। দু’টির মধ্যে একটি বেশ বড়। মনে মনে ঠিক করলেন, বড় পেঁপেটি আগামীকাল বনভন্তেকে দান করে আসবো। কারণ দান করার সময় উৎকৃষ্টবস্তুই দান করা উচিত। কিছুতেই উৎকৃষ্টবস্তু রেখে নিকৃষ্টবস্তু দান করা ঠিক নয়। দান করতে হয় গ্রহীতার প্রতি শ্রদ্ধা ও গৌরবের সাথে উৎকৃষ্টবস্তুটি। এতে বেশী করে পুণ্য অর্জিত হয়। পরদিন খুব ভোরে উঠে সিয়্যং রান্না করলেন। ‘বনভন্তেকে সিয়্যং দান করতে যাবো’ ভাবতে ভালো লাগলো তার মনে। আনুষাঙ্গিক সবকাজ তাড়াতাড়ি সেরে নিলেন। এরপর সিয়্যং ও বড় পেঁপেটি হাতে করে ঘর থেকে বের হলেন। ঠিক সেসময় তার ছেলে কোথা হতে বাড়ী ফিরছেন। দেখলেন, তার মা সিয়্যং ও বড় পেঁপেটি হাতে করে বনভন্তের কুটিরের দিকে যাচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে ডেকে বললেন, ‘মা, ও মা, বড় পেঁপেটি রেখে যাও। বনভন্তে একাই সেটি খেয়ে ফুরাবেন না। ছোট পেঁপেটি নিয়ে যাও, সেটি দান কর গে।’ ছেলের কথা শুনে ধক করে উঠল তার মন। আহত মনে ভাবলেন, কী লক্ষ্মীছাড়া ছেলে রে! এ ছেলেটা এমন ছোট মনের অধিকারী হল কীভাবে? গত বছরও এ-রকম করেছিল একবার। না জানি, বনভন্তে এটা কীভাবে নিবেন? নাকি আগের মতো করবেন? সে-রকম হলে তো...। বেশ রাগ হল তার ছেলের প্রতি। তবুও ছেলের কথায় পাত্তা না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চললেন। আর দূরু দূরু বুকে কুটিরে গিয়ে উপস্থিত হলেন। বনভন্তে তাকে দেখে বলে উঠলেন, তোমার কি দয়া-মায়া নেই। প্রশ্ন শুনে থতমত খেয়ে গেলেন। কী উত্তর দিবেন বুঝে উঠতে পারলেন না। মিটমিট করে বললেন, ভন্তে, আছে তো। অমনি ভন্তে বললেন, তাহলে পেঁপেটি এখানে রাখো, আর কাঁঠালটি ঐ গর্ত থেকে তুলে আনো। কাঁঠালের কথা শুনে মহিলাটি একদিকে যেমন লজ্জায় মাথা হেট করলেন, অন্যদিকে তেমনি বিস্ময়ে হতবাকও হলেন। কারণ গত বছরের সেই কাঁঠালটি কী আর সেখানে থাকবে? পচে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে না এতোদিনে? কিছুক্ষণ থ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। কী করবেন ভাবতে পারছেন না যেন। ভন্তের কথা তো না মেনে চলা যায় না। তাই ভোজনশালা থেকে একটা কোদাল নিয়ে আসলেন আর গর্তটি খুঁজতে লাগলেন। যেই গর্তে এক বছর আগে কাঁঠালটি পুতে রেখেছিল। কিন্তু গর্তের কোনো চিহ্ন তো সেখানে নেই। ছোট ছোট অনেক গাছ গজিয়ে উঠেছে সেস্থানে। শেষমেশ অনুমান করে এক জায়গায় কোপ বসাতে লাগলেন। কী আশ্চর্য! কয়েক কোপ দিতেই কাঁঠালটি বের হল অক্ষতভাবে। তার যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না; একবছর আগে পুতে রাখা কাঁঠাল এভাবে পাওয়া গেল। বেশ উত্তেজনা নিয়ে কাঁঠালটি হাতে করে ভন্তের কুটিরে ফিরে আসলেন। ভন্তে বলে উঠলেন, ঐ কুয়া থেকে ধুয়ে এনে ভোজনশালায় যাও। সেখানে কাঁঠালটি ভেঙে প্লেটে করে নিয়ে আসো। ভন্তের কথামতো কুয়া থেকে ভালোভাবে ধুয়ে নিলেন। এরপর ভোজনশালায় গেলেন, দা দিয়ে কেটে নিয়ে ভাঙলেন কাঁঠালটি। কী
বিস্ময়কর ঘটনা! কাঁঠালটি সেই গাছপাকা অবস্থায় রয়েছে। সুন্দর রং, সুন্দর গন্ধ, সুন্দর সব কোয়া। যেন বিশ্বাস করার মতো নয়! কিন্তু বিশ্বাস না করেও তো উপায় নেই। সবকিছু তো নিজের চোখের সামনে ঘটছে। এটা কী করে অবিশ্বাসও করবেন! অমনি দ্রুত কাঁঠালের কোয়া প্লেটে সাজিয়ে নিয়ে ভন্তের কাছে আসলেন। একদিকে বিস্ময়ভরা অন্যদিকে আনন্দিত মনে ভন্তের হাতে কাঁঠালের প্লেটটি নিবেদন করলেন সভক্তি চিত্তে। ভন্তেও বেশ আগ্রহভরে খেতে লাগলেন কাঁঠালের কোয়া। এ সময় কুটিরে আরো দুজন উপাসিকা উপস্থিত রয়েছেন। তারা এতোক্ষণ পর্যন্ত তাকে এ কাজ করে যেতে দেখছেন মাত্র, তেমন কিছুই বুঝতে পারলেন না। অল্পক্ষণ পরে তারা কৌতূহলী হয়ে পুরো ঘটনাটি জানতে চাইলেন। মহিলাটি বলতে শুরু করলেন, “গত বছর আমাদের কাঁঠালগাছে একসাথে দু’টি কাঁঠাল পাকে। কাঁঠাল দু’টি গাছ থেকে পেরে নিয়ে আসি বাড়ীতে। দু’টি কাঁঠালের মধ্যে একটি বড়, অপরটি ছোট। সঙ্গে সঙ্গে আমার মন আনন্দে ভরে যায়। আমি মনস্থির করি, বড় কাঁঠালটি ভন্তেকে (তখন শ্রামণ) দান করবো। অমনি বড় কাঁঠালটি হাতে করে ভন্তের কুটিরের দিকে রওনা হই। আমাকে সেভাবে আসতে দেখে আমার ছেলে ডেকে উঠে- “মা, ও মা, তুমি কেন বড় কাঁঠালটি নিয়ে যাচ্ছো। শ্রামণ একা একা কী এতো বড় কাঁঠল খেতে পারবেন? কাজেই ছোট কাঁঠালটি নিয়ে যাও, বড়টি নয়।” আমি তাকে ধমক দিয়ে বড় কাঁঠালটি নিয়ে কুটিরের দিকে আসতে থাকি। কুটিরে পৌঁছতেই ভন্তে একজন লোক দিয়ে আমাকে থামিয়ে দেন। আর সেখানেই কাঁঠালটি মাটিতে পুতে ফেলতে নির্দেশ প্রদান করেন। আমিও অনন্যোপায় হয়ে তাই করি। সেদিন যেই কাঁঠালটি গ্রহণ করেন নি, আজ সেই কাঁঠালটি মাটি থেকে বের করায়ে খাওয়া শুরু করছেন।” পুরো ঘটনা বলে তিনি যেমন বিস্ময়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন, তেমনিভাবে বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে নিশ্চুপ থাকলেন উপস্থিত দু’জন উপাসিকাও।
সাধু সাধু সাধু,
শ্রাবক বুদ্ধ বন ভন্তে বই থেকে সংগৃহীত।
রাজা বিম্বিসারের ধর্মজ্ঞান ও দীক্ষালাভ
ভগবান স্বচিত্তে ওই মগধবাসী ব্রাহ্মণ-গৃহপতিদের চিত্তপরিবিতর্ক জেনে তাঁদের পর্যায়ক্রমে ধর্মকথা বলতে লাগলেন। যথা : দানকথা, শীলকথা, স্বর্গকথা। ভগবান কামের উপদ্রব, অবকর, সংক্লেশ এবং নৈষ্ক্রম্যের সুফল প্রকাশ করলেন। যখন জানতে পারলেন যে তাঁদের চিত্ত সুস্থ, কোমল, আবরণমুক্ত, প্রফুল্ল ও প্রসন্ন হয়েছে, তখন তিনি বুদ্ধদের সংক্ষিপ্ত উৎকৃষ্ট ধর্মদেশনা ব্যক্ত করলেন। যথা : দুঃখ, দুঃখসমুদয়, দুঃখনিরোধ ও দুঃখনিরোধের উপায়। যেমন শুদ্ধ ও ময়লাহীন কাপড় সম্যকভাবে রং গ্রহণ করে, তেমনই রাজা বিম্বিসার প্রমুখ মগধবাসী এক লক্ষ দশ হাজার ব্রাহ্মণ-গৃহস্থদের সেই আসনে বিরজ, বিমল ধর্মচক্ষু উৎপন্ন হলো; ‘যা-কিছু সমুদয়ধর্মী সেসবই নিরোধধর্মী।’ দশ হাজার ব্যক্তি ভগবানের উপাসকত্ব গ্রহণ করেছেন বলে জানালেন।
তখন মগধরাজ শ্রেণিক বিম্বিসার ধর্ম প্রত্যক্ষ করে, ধর্মতত্ত্ব লাভ করে, ধর্ম জেনে, ধর্মে প্রবেশ করে এবং ধর্মে সন্দেহমুক্ত হয়ে, ধর্মে বৈশারদ্য প্রাপ্ত হয়ে, বুদ্ধের শাসনে আত্মবিশ্বাস লাভ করে ভগবানকে বললেন, ‘ভন্তে, কুমার অবস্থায় আমার পাঁচটি কামনা ছিল, তা এখন পূর্ণ হলো। প্রথম, আমি রাজ্যে অভিষিক্ত হবো; দ্বিতীয়, আমার রাজ্যে অর্হৎ সম্যকসম্বুদ্ধ অবতীর্ণ হবেন; তৃতীয়, আমি সেই ভগবানের পর্যুপাসনা করব; চতুর্থ, ভগবান আমাকে ধর্মোপদেশ দেবেন; পঞ্চম, আমি ভগবানের ধর্মোপলব্ধি করব। ভন্তে, কুমার অবস্থায় আমার এই পঞ্চ কামনা ছিল যা এখন পূর্ণ হয়েছে।’
‘ভন্তে, অতি সুন্দর! অতি মনোহর! যেমন কেউ নিচের দিকে মুখ করে থাকা পাত্রটাকে ওপরের দিকে মুখ করে, পথ-হারানো ব্যক্তিকে পথ দেখায়, আঁধারে বাতি জ্বালিয়ে দেয় যাতে চক্ষুষ্মান ব্যক্তি দৃশ্য বস্তুগুলো দেখতে পায়, সেরূপ ভগবান অনেক প্রকারে ধর্ম প্রকাশিত করেছেন। আমি ভগবান বুদ্ধের, তাঁর প্রচারিত ধর্মের ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংঘের শরণ গ্রহণ করছি। ভগবান আজ থেকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আমাকে আপনার শরণাগত উপাসক হিসেবে গ্রহণ করুন। ভন্তে, আগামীকালের জন্য ভিক্ষুসংঘসহ আপনি আমার বাড়িতে অন্নভোজন করতে সম্মত হোন।’ ভগবান মৌনভাবে সম্মতি জানালেন
এরপর রাজা শ্রেণিক বিম্বিসার ভগবান সম্মত হয়েছেন জেনে, আসন হতে উঠে, ভগবানকে বন্দনা করে এবং তাঁকে সামনে রেখে ডান পাশ দিয়ে ধীরপদে চলে গেলেন।
রাজগৃহবাসী লোকদের মধ্যে যাঁরা বুদ্ধকে দেখেছিলেন এবং যাঁরা দেখেননি পরদিন সকালে সবাই বুদ্ধকে দেখার ইচ্ছায় রাজগৃহ হতে তাল-অরণ্য (মতান্তরে যষ্টিবনে) এলেন। সমগ্র উদ্যানে আর কোথাও তিল ধারণের জায়গা রইল না। ভগবানের বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণ, আশিটি অনুব্যঞ্জন ইত্যাদি এবং রূপশ্রী ও দৈহিক মাঙ্গল্য লক্ষণ এবং শ্রীমণ্ডিত অবয়ব পুনঃপুন দেখেও দর্শনার্থী নরনারীগণ তৃপ্তি মেটাতে পারল না। দর্শনেচ্ছু লোকদের চাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলে উদ্যানভূমি হতে বের হওয়ার পর পথ বন্ধ হয়ে আসল।
রাজা বিম্বিসার সেই রাতের শেষে উত্তম খাদ্যভোজ্য প্রস্তুত করালেন। তিনি আগের দিনের নিমন্ত্রণ অনুযায়ী শ্রাবকসংঘসহ বুদ্ধকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে আমার জন্য একজন মন্ত্রীর মাধ্যমে ভগবানকে সময় জানালেন, ‘ভন্তে, এখন ভোজনের সময়, অন্ন প্রস্তুত হয়েছে।’ ভগবান সকালবেলায় বাইরে বের হবার উপযোগী চীবর পরে ভিক্ষাপাত্রটা হাতে নিয়ে রাজগৃহে প্রবেশ করলেন, সঙ্গে বৃহৎ ভিক্ষুসংঘ-এক হাজারসংখ্যক ভিক্ষু, যাঁরা আগে জটিল ছিলেন।
দর্শনেচ্ছু জনগণের চাপে উদ্যানভূমি হতে বের হওয়ার পথ বন্ধ হলে বুদ্ধ শ্রাবকসংঘসহ রাজপ্রাসাদে গিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারবেন না, তাঁদের আহারের ব্যাঘাত হবে, তাই দেবরাজ ইন্দ্রের আসন উত্তপ্ত হয়ে উঠল। এর কারণ জেনে তিনি মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে দৈবশক্তি বলে এসে তথাগত বুদ্ধের সামনে বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের গুণকীর্তন করতে করতে পথ ধরে চলতে লাগলেন এবং নিম্নোক্ত গাথা ভাষণ করলেন :
দান্ত সঙ্গে দান্ত পূর্ব-জটিলের দল,
বিমুক্তের সঙ্গে যাঁরা বিমুক্ত সকল।
সুবর্ণবিগ্রহরূপে হয়ে শোভমান,
রাজগৃহে প্রবেশিছে ভন্তে ভগবান।
শান্ত সঙ্গে শান্ত পূর্ব-জটিলের দল,
বিমুক্তের সঙ্গে যাঁরা বিমুক্ত সকল।
সুবর্ণবিগ্রহরূপে হয়ে শোভমান,
রাজগৃহে প্রবেশিছে ভন্তে ভগবান।
তীর্ণ সঙ্গে তীর্ণ পূর্ব-জটিলের দল,
বিমুক্তের সঙ্গে যাঁরা বিমুক্ত সকল।
সুবর্ণবিগ্রহরূপে হয়ে শোভমান,
রাজগৃহে প্রবেশিছে ভন্তে ভগবান।
দশ আর্যবাসে বাস, দশবলধর,
দশধর্মবিদ, দশগুণে গুণধর।
দশশত-পরিবৃত বুদ্ধ সুমহান,
রাজগৃহে প্রবেশিছে ভন্তে ভগবান।’
দান্তা (দমনকারী) দান্ত (দমিত প্রাচীন জটিল সন্ন্যাসী) দ্বারা পরিবৃত হয়ে ভগবান বুদ্ধ রাজগৃহে প্রবেশ করলেন। এ গাথা সুমধুর আকারে ভাষণ করে দেবরাজ ইন্দ্র ভগবান বুদ্ধের গুণকীর্তন করতে করতে সমাগত জনতার মাঝে পথ করে নগরের অভিমুখে চললেন। অপার বিভূতিসম্পন্ন তথাগত বুদ্ধের শরীর হতে ষড়্রশ্মি বিকীর্ণ করে মহিমান্বিত বুদ্ধলীলায় সহস্র শ্রাবকের আগে আগে রাজপ্রাসাদের দিকে অগ্রসর হলেন।
মানবরূপী দেবরাজ ইন্দ্র তথাগতের গুণগান করতে করতে অগ্রসর হতে থাকলে সমবেত জনতা এই অদৃশ্যপূর্ব মানবের রূপসৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে ভাবলেন, ‘আমরা এর আগে এরূপ সুপুরুষ কখনো দেখিনি।’ তখন অনেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কে এবং কোথা থেকে এসেছেন?’
তার উত্তরে দেবরাজ ইন্দ্র গাথায় বললেন :
‘যেবা জ্ঞানী আত্মজয়ী সংযম তার পর
যাঁর সমতুল্য নেই, যেবা লোকোত্তর
অর্হৎ সুগত যিনি ভুবন ভেতর—
অধম সেবক আমি তাঁর অনুচর।’
এই বলে দেবরাজ ইন্দ্র নিজের পরিচয় দিলেন।
সমাগত জনতা তথাগত বুদ্ধের প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধান্বিত হয়ে বিভিন্নভাবে পূজায় নিরত হলে বুদ্ধ ছদ্মবেশী ইন্দ্রের অনুসরণ করে রাজপ্রাসাদের কাছাকাছি হলে দেবরাজ ইন্দ্র অন্তর্হিত হলেন। রাজা বিম্বিসার প্রাসাদ হতে নেমে কিছুদূর এগিয়ে এসে পথিমধ্যে বুদ্ধের চরণবন্দনা ও অভ্যর্থনা করে শ্রাবকসংঘসহ বুদ্ধকে রাজপ্রাসাদে আনলেন।—উরুবেলায় ঋদ্ধি প্রদর্শন, মহাস্কন্ধ, মহাবর্গ
সাধু সাধু সাধু
মহামানব গৌতম বুদ্ধ বই থেকে সংগৃহীত।
বনভন্তের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
আজ ১৯ এপ্রিল ১৯৯৭ ইং, রোজ শনিবার। পুরো বিহার এলাকা সাজ সাজ রব। কারণ এদিনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেব-মানবের পূজ্য অর্হৎ সর্বজন শ্রদ্ধেয় বনভন্তের সাথে সাক্ষাৎ ও দেশের জন্য মঙ্গল, সুখ, সমৃদ্ধি প্রার্থনা করতে রাজবন বিহারে আসছেন। এ উপলক্ষে ইতিমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী, স্পেশাল ফোর্স- এর লোকজন এসে পুরো রাজবন বিহার এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে রাখলেন। বিগত কয়েকটা দিন ধরে এসব বাহিনী একাধিকবার রাজবন বিহারে এসে নানা প্রস্তুতিমূলক কাজের মহড়ায় ব্যস্ত ছিলেন। অন্যদিকে গতকাল দুয়েকজন মন্ত্রী এসে সব ব্যবস্থাদি পরিদর্শন করে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পূজ্য ভন্তের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য স্থান নির্ধারিত হল- দেশনালয়ে। নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বনভন্তের সাক্ষাৎ করবেন, তখন যেন বেশী লোকজন জমায়েত না হয় রাজবন বিহারে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূজ্য বনভন্তের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসছেন এ কথা শুনে অনেকেই রাজবন বিহারে ভিড় জমালেন। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমন বার্তায় তারা সবাই বেশ খুশি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পূজ্য বনভন্তেকে সম্মান প্রদান করার এ দৃশ্য সচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে উৎসুক হয়ে উঠলেন তারা। শেষমেশ নিরাপত্তাবাহিনীকে বাধ্য হতে হল শতাধিক লোকজনকে মূল বিহার কমপ্লেক্স-এ ঢুকতে দিতে। অবশ্য তজ্জন্য মেটল ডিটেকটর যন্ত্রের পরীক্ষায় মুখোমুখি হতে হল তাদেরকে। এসব ঝক্কি-ঝামেলা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতে পেরেও মহা খুশি তারা। সাড়ে বারটার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ী মূল বিহার কমপ্লেক্স-এ ঢুকে পড়ল। এ সময় সাংসদ বাবু কল্পরঞ্জন চাকমা, (তৎকালীন) পৌর চেয়ারম্যান বাবু মনিস্বপন দেওয়ান, রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের কর্মকর্তাগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগতম জানালেন, বরণ করে নিলেন ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইনও উপস্থিত রয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সোজা দেশনালয়ে নিয়ে আসা হল। দেশনালয়ে এসে তিনি নির্দিষ্ট আসনে (নিচু পায়াওয়াল টুলের ওপর ফোমের আসন) বসলেন। অল্পক্ষণ পরে পূজ্য বনভন্তে তাঁর আবাসিক ভবন হতে দেশনালয়ে এসে উপস্থিত হলেন। এ সময় সমবতে দায়ক-দায়িকাদের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দাঁড়িয়ে গিয়ে ভন্তেকেসম্মান প্রদর্শন করলেন। বনভন্তে গজেন্দ্র গমনে এগিয়ে গিয়ে সুসজ্জিত আসনে উপবিষ্ট হলেন। ভন্তের আসন গ্রহণ করা শেষ হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভন্তেকে অভিবাদন জ্ঞাপন করলেন। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পূজ্য ভন্তের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হল। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও তাঁর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কিছু দানীয়সামগ্রী পূজ্য বনভন্তের হাতে অর্পণ করলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য এবং তার নিজের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন। আশীর্বাদ প্রার্থনান্তে প্রধানমন্ত্রী আসন গ্রহণে মনোযোগী হলেন। তবে তিনি এবার তাঁর নির্ধারিত আসনের পরিবর্তে ফ্লোরে কাপড় বিছানো আসনে বসে পড়লেন। অমনি বনভন্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিকে তাকিয়ে মৃদুস্বরে অনেকটা পরিচিতজনের ভঙ্গিমায় প্রশ্ন করলেন, আপনার পিতা কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন? ভন্তের মুখ থেকে এমন প্রশ্ন শুনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালো গেলে গেল। তাঁর চোখে-মুখের অভিব্যক্তিতে সেটা ফুটে উঠল-অন্ততপক্ষে। বেশ বিস্মিত ও উচ্ছ্বসিত কন্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলে উঠলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। হয়ত প্রধানমন্ত্রী ভাবতেই পারেননি, বনভন্তে এভাবে তাঁর পিতা জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমানের কথা জানতে চাইবেন। প্রধানমন্ত্রীর উত্তর শুনে পূজ্য ভন্তে বললেন, তাহলে তো আমার থেকে মাস দুয়েকের ছোট ছিলেন। আমার জন্ম ১৯২০ সালের জানুয়ারি মাসে।
এবার দেব-মনুষ্যের পূজ্য অর্হৎ বনভন্তে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ধর্মদেশনা প্রদান শুরু করলেন। তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ তেজস্বিতা কন্ঠে বলতে লাগলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হলে জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশলের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। যেই রাষ্ট্রপ্রধানের জ্ঞান, বুদ্ধি কৌশল থাকবে, তাঁর পক্ষে সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হবে। আর যেই রাষ্ট্রপ্রধানের জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশল থাকবে না তাঁর পক্ষে সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হলে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা চাই। যেনতেন প্রকারে পরিচালনা করলে রাষ্ট্রের ও জনসাধারণের তেমন মঙ্গল হয় না। মনে রাখবেন, সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা এত সহজ কাজ নয়। জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশলের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে আপনাকে। তাহলে রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলকাম হবেন। ব্রিটিশদের জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশল ছিল বলে তারা প্রায় আড়াই শত বছর পর্যন্ত উপমহাদেশ শাসন করতে পেরেছিল। ব্রিটিশরা এই উপমহাদেশে বাঙালীকে দিয়ে বাঙালীদের, হিন্দুকে দিয়ে হিন্দুদের, চাকমাকে দিয়ে চাকমাদের শাসন করেছিল। সেটা হাতিকে দিয়ে হাতি বেঁধে ফেলা সদৃশ। তাদের সেই কৌশল বেশ কাজ দিয়েছিল সন্দেহ নেই। রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য বড় বড় ডিগ্রীর চেয়ে বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞান ও উপায় কৌশলী হওয়াই আসল কথা।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে সব জনসাধারণের কথা ভাবতে হবে। তাদের সুখ, মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে নিরলসভাবে। আপনার কাছে হতে হবে সব জনগণ সমান। প্রত্যেক জনগণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ বিধান ও তাদের ভাগ্যোন্নয়ন করা একজন প্রধানমন্ত্রীর কাজ। দেশ ও জনগণের উন্নতি, সমৃদ্ধির কাজ যেমন করতে হবে, তেমনি জনগণের নিরাপত্তা বিধানও করতে হবে আপনাকে। মনে রাখবেন, রাজা বা সরকার দুর্বল হলে শত্রুপক্ষ শক্তিশালী হয়। কিন্তু রাজা বা সরকার শক্তিশালী হলে শত্রু দুর্বল হতে বাধ্য। অন্যদিকে সুখ, শান্তি অর্জনের জন্য জ্ঞান ও সত্যের কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অন্যের বা অন্য রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বীয় জ্ঞান, মেধাশক্তি ও দক্ষতাকে পুজি করে চলাই ভালো। দেশের মানুষ মূর্খ, অসাধু হয়ে গেলে অধপতনে যেতে হয়। বাংলাদেশের মানুষ যদি মূর্খ না হয়ে পণ্ডিত, অসাধু না হয়ে সাধু হতো তাহলে সর্বদিকে সুখ, শান্তি বয়ে আসতো। কাজেই দেশের মানুষকে পরিবর্তন করার উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে। কী পরিবর্তন? খারাপ স্বভাব ও দুষ্কৃতিকর্ম পরিত্যাগ করায়ে ভালো স্বভাব ও সুকৃতি কর্মে উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত এবং প্রতিষ্ঠিত করা। সেটা করতে পারলে দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় থাকবে আর সর্বদা দেশ উন্নতি, শ্রীবৃদ্ধির দিকে ধাবিত হবে সুনিশ্চিতভাবে। আপনি তো প্রধানমন্ত্রী-আপনাকে জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশলের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। তাহলে দেখবেন, দেশের ও জনগণের উন্নতি, শ্রীবৃদ্ধি সাধনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবেন। দেশও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে। অন্যদিকে জ্ঞান, বুদ্ধি, কৌশল থাকলে নিজেকে অনেক ভুল-ভ্রান্তির উর্ধ্বে রাখা সম্ভব হবে। এটুকু বলে ভন্তে তাঁর সংক্ষিপ্ত ধর্মদেশনা সমাপ্ত করলেন। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে দুয়েক মিনিট বক্তব্য রেখে পূজ্য বনভন্তের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে রাজবন বিহার ত্যাগ করলেন। স্পেশাল ফোর্সসহ অন্যান্য কর্মকতাগণ অনুসরণ করলেন তাঁকে।
পূজ্য বন ভন্তের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় যে ছবি ছিল তা আমার কাছে নেই সেই জন্য দিতে পারলাম না।
সাধু সাধু সাধু
শ্রাবক বুদ্ধ বন ভন্তে বই থেকে সংগৃহীত
লেখক ভদন্ত ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির ভন্তে
WELCOME
Be the first to know and let us send you an email when মাউরুম দোর আন্তর্জাতিক বন ভাব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
১।বুদ্ধের উৎপত্তি দুর্লভ, ২মনুষ্য জন্ম গ্রহণ করা দুর্লভ। ৩।শ্রদ্ধা সম্পত্তি দুর্লভ, ৪।প্রব্রজ্যা গ্রহণ করা দুর্লভ ও ৫।সদ্ধর্ম শ্রবণ করা দুর্লভ।
Ja poribw bekkunottun new Buddhist damma song https://youtube.com/channel/UC3qJpF5KYgh14HGSdNPt36Q এবং সেই সাথে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকার অনুরোধ রইল
অপ্পামদেনা সম্পাদেথা, সতর্কতার সহিত আমার দ্বারা দেশিত ধর্ম আচরণ কর। সমথ ও বিদর্শন ভাবনা দ্বারা শীল সমাধি প্রজ্ঞা ভাবনায় নিরত থাকলে প্রকৃত বুদ্ধকে দর্শন করা হয়। যত দিন লোকে এই দেশিত ধর্ম আচরণ করবে ততদিন জগতে অর্হত শূন্য হবে না। বুদ্ধের অন্তিম বাণী 👇 https://youtube.com/channel/UC3qJpF5KYgh14HGSdNPt36Q
নঅ ধর্ম গান শিল্পী রুবেল চাকমার কন্ঠে পুরো গান্নো শুনিলে ক্লিক করুন। https://youtu.be/65C6eQdnK0I
https://youtube.com/channel/UC3qJpF5KYgh14HGSdNPt36Q উত্তর মরাচেঙ্গী প্রয়াত হলধর চাকমার সাপ্তাহিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে অসাধারণ একটি ধর্মীয় গান শিল্পী রুবেল চাকমা
🙏বেক্কুনরে হুজুলি তেল পেইজ সো লাইক গুরি দিবাত্তেই। https://www.facebook.com
https://youtube.com/channel/UC3qJpF5KYgh14HGSdNPt36Q পঞ্চস্কন্ধ দুগর ভুদী বেগর আগে লগে গুরি অসাধারণ একটি ধর্মীয় গান শিল্পী রুবেল লক্ষ্মীদেবী ও মানকুমারী।
নিজর লাভ চিনিনেই গুনর হাম বাজি লনেই &&গানটি বারি দোল জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী রুবেল! https://youtu.be/kW7U6oe2BWU
বুদ্ধর ধর্মর সংঘর লনে তিনান নাঙ & শিল্পী অনন্যা চাকমার কন্ঠে খুব ভালো লাগার একটি অসাধারণ ধর্মীয় গান। https://youtu.be/kW7U6oe2BWU
😭মা হারানো নিয়ে একটি চোখের জল আসার মত গান।https://youtu.be/kW7U6oe2BWU
দানং দনান্তু সাদ্দাযা সীলং রাক্খন্তু সব্বদা ভাবনা বিরতা হোন্তু। বাবু রুবেল চাকমার কন্ঠে অসাধারণ একটি ধর্মীয় গান, ইউটিউব চ্যানেলের লিংক https://youtube.com/channel/UC3qJpF5KYgh14HGSdNPt36Q
https://youtube.com/channel/UC3qJpF5KYgh14HGSdNPt36Q ইউটিউব চ্যানেলটি লিংক
মায়ানমারের এক গরু আর সাথে ভন্তের উপাসক-উপাসিকা মিলে বন্দনা করতেছে,জয় হোক মানবতার দেখুন ভিডিও গুলো না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সাধু সাধু সাধু। ভিডিও মিয়ানমারের এক পেইজ থেকে সংগ্রহীত।
কয়েল চাকমার কন্ঠে অসাধারণ একটি ধর্মীয় গান। https://youtu.be/ZhvHt6-gvZU