Velki News

Velki News velkinews.com is one of the most popular Bangla news portal based in Bangladesh. Follow:velkinews.com

Velki News is one of the most popular Bangla news portals based in Bangladesh. Latest & breaking news of home and abroad, entertainment, lifestyle, special reports, politics, economics, culture, education, information technology, health, sports, columns, and features are included in it.

ফেসবুকের সাবেক সিওও-র কাছে শিখুন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের ৭ টিপস:-ফেসবুকের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ শ...
11/06/2025

ফেসবুকের সাবেক সিওও-র কাছে শিখুন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের ৭ টিপস:-
ফেসবুকের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ শুধু প্রযুক্তি জগতের সফল নারীই নন, তিনিই এমন এক নেতৃত্বের প্রতীক যিনি দল পরিচালনা, সময় ম্যানেজমেন্ট ও কাজের ভারসাম্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।

তার সাক্ষাৎকার ও বক্তৃতায় পাওয়া যায় কার্যকর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের অসাধারণ কিছু শিক্ষা। জেনে নিন এমন ৭টি টিপস, যা আপনার কর্মজীবনকে আরও গতিশীল ও সফল করে তুলবে।

১. কাজের মাঝে খোলামেলা যোগাযোগ রাখুন
স্যান্ডবার্গ সবসময় বলেন, যদি কেউ আপনাকে চ্যালেঞ্জ না করে, তবে তারা বেড়ে উঠছে না।
অর্থাৎ, দলে এমন পরিবেশ তৈরি করুন যেখানে সবাই নিজের মতামত বলতে পারে। এতে সমস্যা আগেভাগেই ধরা পড়ে, আর প্রজেক্টের গতি থাকবে ঠিকঠাক।

২. কাজ নিখুঁত না, সম্পূর্ণ করাটাই আসল লক্ষ্য
স্যান্ডবার্গ এর বিখ্যাত উক্তি — কাজ সম্পূর্ণ করা নিখুঁত কাজ করার চেয়ে ভালো।
একটি প্রজেক্টে সময়সীমা ও ফলাফল দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। নিখুঁত হওয়ার অপেক্ষায় থেকে সময় নষ্ট না করে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

৩. যোগ্য মানুষকে সুযোগ দিন
স্যান্ডবার্গের মতে, অভিজ্ঞতা নয়, শেখার ক্ষমতাই আসল।
প্রজেক্টের দলে এমন মানুষ রাখুন যারা শিখতে চায়। কারণ, নতুন ভাবনা ও উদ্যমই কাজকে এগিয়ে নেয়। তাই অনেক ক্ষেত্রে শেখার আগ্রহ ও ক্ষমতা ব্যক্তির অভিজ্ঞতার চেয়ে বেশি কাজে আসে।

৪. সুযোগ দেখলে ভয় না পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন
তার আরেক উক্তি — আপনাকে যদি রকেট শিপে বসার সুযোগ দেওয়া হয়, জিজ্ঞেস করবেন না ‘কোন সিট’?
অর্থাৎ, বড় কোনো সুযোগ এলে ভয় না পেয়ে কাজে নামুন। কীভাবে সামলাতে হয় – তা শিখে নিতে পারবেন। প্রতিযোগিতার এই যুগে সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।

৫. নেতৃত্ব মানে শোনা
শেরিল বলেন, একজন ভালো নেতা সবসময় শুনতে জানে।
প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে নিজের মত চাপিয়ে না দিয়ে দলীয় সদস্যদের ভাবনা শুনুন, তবেই কাজের মান বাড়বে। আপনার দলের সদস্যরা যখন নিজেদের কথা আপনাকে বলতে পারবে, তখনই নতুন কিছু করা সম্ভব।

৬. কাজ-জীবনের ভারসাম্য রাখুন
স্যান্ডবার্গ নিজে প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর অফিস ছাড়তেন। বলতেন, কাজ যেমন জরুরি, তেমনি নিজের জীবনও।
দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য পেতে হলে বিশ্রাম, পরিবার ও ব্যক্তিগত সময়কেও প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ভাবতে হয়।

৭. ভুলকে শেখার অংশ মনে করুন
স্যান্ডবার্গের মতে, প্রত্যেক ভুলই একেকটা শেখার সুযোগ। প্রজেক্টে ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, সেখান থেকেই বোঝা যায় - পরেরবার কীভাবে আরও ভালো করা যায়। অর্থাৎ সাফল্যের জন্য কাজ করা ও ব্যর্থতাকে গ্রহণ করতে পারার মধ্যেই প্রকৃত সাফল্য আছে।

আজকের কর্পোরেট দুনিয়ায় প্রজেক্ট মানেই শুধু টাস্ক লিস্ট নয়, বরং নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা। বিশ্বজুড়ে এখন ‘হাইব্রিড ওয়ার্ক কালচার’-এর যুগ, যেখানে টিমের সদস্যরা একেক দেশে থেকেও একই লক্ষ্যে কাজ করছে।

তাই ৭ নভেম্বরের আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়— শেরিল স্যান্ডবার্গের মতো একজন দক্ষ প্রজেক্ট ম্যানেজার শুধু কাজের দিকনির্দেশই দেন না, তিনি দলের আবেগ, চ্যালেঞ্জ আর উদ্যমেরও ভারসাম্য রাখেন।

11/06/2025

আলহামদুলিল্লাহ বিকে ফ্যাশানের মালামাল উদ্ধার BK Fashion Bk_Liton MD Liton Hosain

10/31/2025
ক্যাপশন ছবিতে😁
10/29/2025

ক্যাপশন ছবিতে😁

10/20/2025

কথাগুলো আসলেই সঠিক বলেছে। এরকম মন মাইন্ড যদি আমার ইয়াং বয়সের সব ভাই বোনের থাকতো,, তাহলে সবাই এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেঁচে যেত।

আজকের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ কোটি কোটি ডলারে! হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ...
10/19/2025

আজকের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ কোটি কোটি ডলারে! হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে, যা প্রায় একশ ২১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সমান। এই ক্ষতি অনেক দেশের পুরো জিডিপির থেকেও বেশি।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র সরাসরি আর্থিক ক্ষতি নয়, আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে কাঁচামালের অভাবে অর্ডার বাতিল, অতিরিক্ত ব্যয় ও সময়ের অভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা প্রবল।
এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যবসায়িক লেনদেনে এই আগুনের প্রভাব থেকে দ্রুত মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের জরুরি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
#বাংলাদেশ #অগ্নিকান্ড #শাহজালালবিমানবন্দর #কার্গোভিলেজ #বাণিজ্যক্ষতি #আমদানি_রপ্তানি #তৈরি_পোশাক #বাংলাদেশঅর্থনীতি #বিপদসংকেত #বাণিজ্যজগত #বাণিজ্যসংবাদ #দ্রুতসংগ্রাম

আমরা সবাই এই ১৯ বছর বয়সী জুলাই যোদ্ধা আতিকুল ইসলামের মুখে হাসি দেখেছিলাম। আতিকুল বলেছিলেন, ‘এক হাত কেটে ফেলতে হয়েছে তো ক...
10/17/2025

আমরা সবাই এই ১৯ বছর বয়সী জুলাই যোদ্ধা আতিকুল ইসলামের মুখে হাসি দেখেছিলাম। আতিকুল বলেছিলেন, ‘এক হাত কেটে ফেলতে হয়েছে তো কী হয়েছে, আরেকটা হাত আছে। জীবনটাও আছে। অনেকে তো জীবনটাই হারিয়ে ফেলছেন। আর দেশের প্রয়োজনের সময় কিছু একটা করতে পারলাম, এইটাই তো অনেক।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সেদিন বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার কাছে আতিকুলের হাতে গুলি লাগে। সেদিন তাঁকে নিয়ে প্রথমে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন এবং পরে স্বজনেরা পাঁচটি হাসপাতাল ঘোরেন। একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর হাতের গুলিটি বের করেন। ৬ আগস্ট দুপুরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) তাঁকে ভর্তি করা হয়। আর ৭ আগস্ট অস্ত্রোপচার করে হাতটি কেটে ফেলতে হয়।
সেই আতিকুলের উপরে আজকে হামলা করে তার সেই কৃত্রিম হাতটাতেও পুলিশ পিটিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে।
যাদের ত্যাগ আর রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে আজকে এই সরকার তাদের সাথেই এই আচরণ সরকারের। ধিক এই সরকারকে। ধিক প্রফেসর ইউনুস।

10/16/2025

দীর্ঘ ৮ বছর পর আয়না ঘর থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ইবনে সিনা হাসপাতালে ব্যারিস্টার আরমানের আগমনের হৃদয়বিদারক ফুটেজ এটি। এটা সেই হাসপাতাল যা তার বাবা শহীদ মীর কাসেম আলী আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে তৈরি করেছিলেন।

10/11/2025

"Unfolding the Truth"
গুম কমিশনের এই কন্টেন্ট প্রত্যেকটা পাবলিক প্লেসে প্রোজেকশন করে দেখানো দরকার।
সকল রাজনৈতিক দল আপনারা দায়িত্ব নিন প্লিজ।
এই ঘটনা গুলো সকল মানুষের জানা উচিত। রাস্তায় চলাচল করা রিকশা মামা, ভ্যান চালক, মুদি দোকানি কিংবা ফেরিওয়ালা। উনারা যখন এই নৃশংসতার কথা জানবে রাজপথে এরপর থেকে সাইকোর সাপোর্টদের মিছিল তারাই মোকাবিলা করবে নিজ থেকেই!
এই সাইকোপ্যাথ খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি এখন সময়ের দাবী।

10/09/2025

মাশাআল্লাহ

ডিভোর্সের পর ছোট বোনটা দশ মাসের বাচ্চা নিয়ে আমাদের বাসায় এসে উঠলো।  ভাবলাম বোনের বাচ্চাকে নিয়ে আমার স্ত্রী লুনার সময়টা এ...
10/08/2025

ডিভোর্সের পর ছোট বোনটা দশ মাসের বাচ্চা নিয়ে আমাদের বাসায় এসে উঠলো। ভাবলাম বোনের বাচ্চাকে নিয়ে আমার স্ত্রী লুনার সময়টা এবার হয়তো ভালোই কাটবে। বোনটাও আমার এ বাড়িতে একটু শান্তিতে থাকতে পারবে। আমাদের বিয়ের সাত বছরেও কোনো বাচ্চাকাচ্চা হলো না। বাবা বললেন আমি বৃদ্ধ হয়েছি তো কি হয়েছে? তোদের চার ভাইবোনকে খাইয়ে পরিয়ে এতো বড় করতে পারলে শেষ বয়সে আমার ছোট মেয়ের দায়িত্বও নিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

মাস তিনেক পর থেকেই আমার স্ত্রী লুনার সাথে বিথীর ঝামেলা হতে লাগলো। এ নিয়ে মা প্রায়ই আমার কাছে বিচার দিতেন। আমি লুনাকে বুঝানোর চেষ্টা করতাম যে আজ বিথীর অবস্থা যদি তোমার হতো তাহলে কি করতে?

একদিন অফিস থেকে এসে দেখি বিথী বারান্দায় বসে কাঁদছে। আমার স্ত্রী লুনা বললো, খালি তো বলো আমি খারাপ। তাইলে আজ দুপুরে মা কেন বিথীকে বকলো "বিয়ে দিয়েছি স্বামীর ঘর করার জন্য। নিজের খাসলতের কারণে স্বামীর ভাত খেতে না পেরে ভাই-ভাবীর ঘাড়ে এসে উঠেছিস। তুই মরতে পারিসনা?"

একটা মেয়ে তার এই চরম দুঃসময়ে নিজের মাকেই সবচেয়ে কাছে চায়, পাশে চায়। কিন্তু আমার বোনের বেলায় হলো সম্পূর্ণ উল্টা। মা কেনো জানি দিনকে দিন ওকে আর সহ্যই করতে পারছিলো না। রোজই কিছু না কিছু নিয়ে ঝামেলা হতো। আমার স্ত্রী লুনা মনেমনে তাতে বেশ খুশিই হতো। আমি হলাম মাঝখানে দিশাহারা। ছোট বোনের এমন বিপদে মাকে সামলাবো নাকি নিজের স্ত্রীকে সামলাবো!? কিন্তু মার আচরণে আমি দিনকে দিন অবাক হচ্ছি। নিজের মেয়ের এমন বিপদে মার এই আচরণ একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

বিথী রোজ রাতে বারান্দায় বসেবসে কাঁদে। আমার চার ভাইবোনের মধ্যে এই অসহায় বোনটা ছিল পরিবারের সবার চোখের মণি।তার প্রতি পরিবারের সবার আদরযত্ন ছিল অন্যরকম। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ সেই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত লাঞ্চিত।

আব্বার বয়স হয়েছে। বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। শুধু মুখটাই যা শক্ত আছে। আমার অন্য দুই ভাই বোন নিজের মতো করে আলাদা থাকে। আব্বা মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এখন অবসরে আছেন। পেনশনের টাকা আর আমার চাকরির যৎসামান্য বেতনে কোনরকম দিন চলে যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারের একটাই সমস্যা। তা হলো টাকা। তার উপর এখন নতুন যোগ হয়েছে ছোট বোনটা। প্রতি মাসে তার এবং তার বাচ্চার পেছনে বাড়তি অনেকগুলা টাকা খরচা হয়। মাঝেমাঝে আমি বেদিশা হয়ে যাই খরচ সামলাতে সামলাতে। তবুও যতই অভাবে থাকি নিজের মায়ের পেটের বোনকে ফেলে তো আর দেয়া যায়না। এব্যাপারটা মাও বুঝতে চায়না আমার স্ত্রীও বুঝতে চায়না।

ইদানিং বিথী আমার সামনে আসতে চায়না। সবসময় নিজেকে লুকিয়ে রাখে। আমি বুঝতে পারি ওর মধ্যে হয়তো অপরাধ বোধ কাজ করে। বর্তমান উর্ধগতির বাজারে টানাপোড়েনের সংসারে হুট করে দুজন মানুষের বাড়তি খরচ নেহাতই কম না।

মাস শেষে আজ বেতন পেলাম। বিথীকে ডেকে জিগ্যেস করলাম "কিরে কই থাকিস সারাদিন? সবসময় এমন মন মরা হয়ে থাকিস কেন? মা আর লুনা ছাদে গেছে শুকনো কাপড় আনতে। আমি বাজারে যাব কিছু লাগবে তোদের? লাগলে বল মা আর তোর ভাবি জানতে পারবেনা। "

বোনটার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। চেহারার কি হাল হয়েছে। চিন্তায় রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে চোখ দুটো কঠোরের ভেতর ঢুকে গেছে। চাঁদমাখা মুখটার কি শ্রী হয়েছে! দুধে আলতা গায়ের রঙ ছিল বোনটার। অথচ ডিভোর্সের এই কয়েক মাসে যেন পাতিলের তলায় রুপ নিয়েছে।

ও ঝরঝরে কেঁদে উঠলো। বললো ভাইয়া মেয়েটার জ্বর দুদিন থেকে। বুকের দুধ ছাড়া বাড়তি কোনো খাবার মুখে দিতে পারিনা ভয়ে। মা ফ্রিজ লক করে রাখে। ভাবিও নিষেধ করেছে ওনাকে না বলে যেন কোনো কিছু না ধরি। তার কান্না ভরা কন্ঠে কথাগুলো শুনে আমার চোখ ভিজে এলো। তাকে শান্তনা দিয়ে বললাম, চিন্তা করিস না বোন। মানুষের খারাপ সময় আজীবন থাকেনা। রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে। আমি বাজার থেকে তোর মেয়ের জন্য কিছু খাবারদাবার নিয়ে আসবো। তুই তোর খাটের নিচে লুকিয়ে রাখিস কেমন।

বাবার ভুলের খেসারত আজ বোনটাকে দিতে হচ্ছে। কত করে নিষেধ করেছি কোনো বিদেশি ছেলের কাছে বিথীকে বিয়ে দিও না। মার অতি চালাকি আর লোভের কারণে বাবা আমাদের ভাইবোনের কথা অগ্রাহ্য করে ছেলের কোনো খোঁজ খবর না নিয়েই তড়িঘড়ি করে বিয়ে দিয়ে দিল। বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারি ছেলের কোনো লেখাপড়া নেই তারউপর নেশা করে। সৌদি থেকে দেশে এসে কয়দিন রমরমা চললেও এখন ধারকর্জ করে নেশা করে। বিথী কিছু বললে গায়ে হাত তোলে। বিথীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। টাকার বিনিময়ে বাজে বন্ধুদের বাড়িতে এনে বিথীকে বলে তাদের মনোরঞ্জন করে খুশি করতে। বিথী রাজি না হওয়াতে তাকে মারপিট করে ডিভোর্স দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

গত মাসে একটা বড় কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। আজ এইচ আর থেকে ফোন করে কনফার্ম করলো। আগামী মাসে জয়েনিং। সেলারি বর্তমানের দিগুণ। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে প্রায় দিগুণ সেলারির জবটা বিথী আর বিথীর মেয়ের জন্যই হয়েছে। নাহয় গত বার বছরে আমি মনে হয় বারটা ইন্টারভিউ ফেস করেছি। অনেক ভালো ভালো ইন্টারভিউ দিয়েও টেন পার্সেন্ট বাড়তি সেলারিতে কোথায়ও ঢুকতে পারলাম না। অথচ এখন কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ ইন্টারভিউ ফেস করে চাকরি হয়ে গেল, তাও আবার দিগুণ সেলারিতে! অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অসহায় বোন ভাগ্নীর রিজিক হয়তো আল্লাহ আমার মাধ্যমেই পাঠাচ্ছেন। যাক, বাসায় গিয়ে বিথীকে বলবো আর যেন চিন্তা না করে। আগামী মাস থেকে হাতখরচ বাবত ওকে কিছু টাকা দেব যেন ওদের মা মেয়ের প্রয়োজন মিটাতে পারে। সে সাথে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিব। বিয়ের আগে যুব উন্নয়ন থেকে ওর সেলাইয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই যেন অনলাইনে একটা ছোটখাটো বিজনেস দাড় করাতে পারে। আমার বিশ্বাস বিথী বেশ খুশি হবে আমার পরিকল্পনা শুনে এবং একজন সফল উদ্দোক্তাও হতে পারবে নিজের শ্রম আর বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে।

এসব ভাবতে ভাবতে বাসের হেল্পার যখন আজমপুর আজমপুর বলে ডাকতে লাগলো তখন ভাবনায় আমার ছেদ পড়লো। বাস থেকে নেমে বনফুল থেকে দুই কেজি মিষ্টি নিলাম। ছোট বেলায় বিথীর মিষ্টি খুব ফেবারিট ছিল। তাছাড়া নতুন জবের সুসংবাদটা খালি মুখে দেওয়া বেমানান হবে। সারাদিনের ক্লান্তি আর ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে যখন বাসার সামনে আসি দেখি চেনা অচেনা অনেক মানুষের ভিড়। প্রতিবেশী কয়েকজনকে বলতে শুনলাম, এইতো মেয়ের ভাই এসেছে। বাসার সামনে লোকে লোকারণ্য। ভিড় ঢেলে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করতেই সবার কান্নাকাটির শব্দ কানে আসলো। বিথীর রুমের খোলা দরজায় চোখ পড়তেই দেখি বোন আমার ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। আমাকে দেখে বাবা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলেন খোকা তুই এসেছিস? এদিকে আমার যে সব শেষ হয়ে গেল রে বাবা। আমার সোনার ময়না পাখি উড়াল দিয়ে চলে গেল অচিন দেশে। দুপুরে বিথী মাছের পেটির পিসে কাঁটা কম সেজন্য পেটি খুটে ভাত খাইয়েছিল মেয়েকে। এ নিয়ে তোর মা আর বৌমা বিথীকে কথা শুনিয়েছে। তাতেই পাখি আমার অভিমান করে আত্নহত্যা করে ফেললো।

আমি যেন একমুহূর্তে পাথর মূর্তি হয়ে গেলাম। মাকে দেখলাম মেঝেতে বসে খাটে মাথা ঠেকিয়ে বিলাপ করে কাঁদতে। আমার স্ত্রী লুনা, বিথীর মেয়েকে কোলে নিয়ে কাঁদছে। আমার বাকি দুই ভাইবোন খবর পেয়ে বিকালেই চলে এসেছে। আমার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে অফ হয়ে গিয়েছিল তাই কেউ কিছু জানাতে পারেনি। লোকজন বলাবলি করছে, থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।

আমি তাকিয়ে দেখি বোন আমার ছাতক পাখির মতো আমার দিকেই যেন চোখ মেলে চেয়ে আছে। হাতের চুড়িতে ভাঁজ করা একটা চিরকুট পাওয়া গেল। তাতে ছোট বড় কষ্টের অক্ষরে লেখা- "ভাইয়া তুই এসেছিস? বিশ্বাস কর ভাইয়া এতো সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে এতো তাড়াতাড়ি মোটেও যেতে ইচ্ছা করছিল না আমার। কিন্তু কি করবো? উপায় যে আমার আর ছিল না। পৃথিবীটা আমার জন্য জাহান্নাম হয়ে গেছে। আমার মেয়েটাকে তুই দেখে রাখিস ভাইয়া। পারলে আমাকে ক্ষমা করিস। আমি তোদের বোঝা ছিলাম। তাই বোঝাটাকে নামিয়ে মাটিচাপা দিয়ে দিস চিরদিনের জন্য। মা আর ভাবিকে বলিস ভালো থাকতে শান্তিতে থাকতে। আমি আর জালাতন করবো না কোনদিন।
সবাইকে নিয়ে খুব বেশি ভালো থাকিস ভাইয়া।"

Address

Velki News
Stanleyville, NC
1215

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Velki News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Velki News:

Share