15/04/2025
আওয়ামী লীগের রানিং যত হ্যাডমওয়ালা নেতা-খেতা ছিলো তাদের টিকিবালও ছিড়তে পারেনি জামাত-বিএনপি, সমন্বয়ক, ছাত্রজনতা, তৌহিদী জনতা বা পাকিপন্থী সেনাবাহিনী সব মিলে। উল্লেখ করার মত যেটা করেছে তার মধ্যে কেবল ধানমন্ডি ৩২ ভাঙছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে জেলে নিছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করেছে এই যা।
৫ আগস্ট ও তৎপরবর্তী সময়ে ১০ হাজারের উপর যেসব নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, আটক করেছে এদের ৯৮ ভাগই সাবেক কিংবা রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেননা। আমার মতে, আওয়ামী ফোর্স বা ভোটের সিকিভাগ ক্ষতিও এন্টি বাংলাদেশিরা এখনো করতে পারেনি। পলক, ব্যারস্টার সুমন, আরো কয়েকজন মন্ত্রী এমপি সহ যাদের আটক করেছে, এরা মুলত সরকারে ছিল; দলে না। দলে এদের প্রভাব মোটেও নাই।
তবে হ্যা, তারা সবকিছু কেমন যেন ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় চেইন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। কোনো নেতার সাথে কর্মীদের কার্যত কোনো যোগাযোগ এখন পর্যন্ত নাই। এই একটা বিষয়ে তারা পুরোপুরি সফল। এটার জন্য অবশ্য পুরো ক্রেডিট তাদের না। এর পিছে দায়ী শেখ হাসিনার হঠাৎ করে চলে যাওয়া, আওয়ামী নেতাদের দুর্নীতি, অতিরিক্ত প্রশাসন নির্ভরতা, সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা, অযোগ্য নেতৃত্ব এবং ক্ষমতায় থাকতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সাথে দুরত্ব তৈরি।
আওয়ামী লীগের পুরো সাংগঠনিক শক্তি এখনো রিজার্ভ আছে। শুধুমাত্র ঐক্যবদ্ধতা এবং চেইন অব কমান্ডের অভাব। দলীয় চেইন যেদিন মেরামত হয়ে যাবে, নেতাকর্মীদের মধ্যে যেদিন ঐক্যবদ্ধতা তৈরি হয়ে যাবে সেদিন কিন্তু আওয়ামী লীগকে কেউ আর রুখতে পারবেনা। টাইম লাগবে আরকি।