Fahim Ahmmed

Fahim Ahmmed নিজেকে এমন,,,
ভাবে তৈরি করবো, মামা,,!

কেউ বাবার নামে আমাকে নয়,,,

আমার নামে বাবা কে চিনবে!

06/06/2023

Opekkha__- অপেক্ষা

04/06/2023

নিজেকে এমন,,,
ভাবে তৈরি করবো, মামা,,!

কেউ বাবার নামে আমাকে নয়,,,
আমার নামে আমার বাবা কে চিনবে,,!

________ইনশাআল্লাহ______

22/05/2023

gf:🧕🏻_____ওই🙂

bf:👳🏻‍♀️______কি?🤔

gf:🧕🏻______ কি কর?😊

Bf:👳🏻‍♀️_______কথা বলি😌

gf:🧕🏻____কার সাথে?🤔

bf:👳🏻‍♀️____একটা মেয়ের সাথে☺️

gf:🧕🏻_____কে সে?🤔🤔

Bf:👳🏻‍♀️______তুমি ছাড়া আর কে।😜😝

gf:🧕🏻____হি হি হি😁😁😁

bf:👳🏻‍♀️______এখন বলো নামাজ পড়ছো?🤔

gf:🧕🏻_____না😐

bf:👳🏻‍♀️_____কেনো?🤔

gf:🧕🏻_____ভালো লাগে নাই।😐

bf:👳🏻‍♀️______বায় ভালো থাকো।🤐

gf:🧕🏻_____ওই🥺

Bf:👳🏻‍♀️______............„🤐

gf:🧕🏻_____ওই🥺

bf:👳🏻‍♀️_______………....„🤐

কিছুক্ষণ পর--🕑

gf:🧕🏻____আসসালামুয়ালাইকুম।🙁

bf:👳🏻‍♀️_______ওয়ালাইকুমমুসসালাম। 😒

gf:🧕🏻_____নামাজ পড়ছি কিন্তু।🙂

bf:👳🏻‍♀️________আগে পড়লে সমস্যাটা কি হত?😒😒

gf:🧕🏻_____তোমার বকা শুনতে পারতাম না।☺️☺️

bf:👳🏻‍♀️_________তুমি একটা পাগলি...🙂🙂

gf:🧕🏻_____হুমম তোমারই তো।😍🥰😍

gf:🧕🏻___________জানো কালকে ছোট মামার বিয়ে।😒

bf👳🏻‍♀️:_____তো??🤨🤨

gf:🧕🏻_____আমি যাব?😒😒

bf:👳🏻‍♀️______যাওয়াটা কি অনেক দরকার?🤨🤨

gf:🧕🏻____হুমমম☺️☺️

Bf:👳🏻‍♀️_____আমার থেকে বেশি?🤔🤔

Gf:🧕🏻_____না😒😒

Bf:👳🏻‍♀️_____তাহলে যেতে হবে না☝️🙂

Gf:🧕🏻____ঠিক আছে.. (নিশ্চুপ) 🤐

Bf:👳🏻‍♀️_____এই যে…🙄🙄

Gf:🧕🏻___…………„🤐

Bf:👳🏻‍♀️______শুনতে পারছো না?😒😒

Gf:🧕🏻____হুমম বলো। 😔

Bf:👳🏻‍♀️_______মন খারাপ??☹️

Gf:🧕🏻___না„🥺

Bf:👳🏻‍♀️____আচ্ছা ঠিক আছে বিয়েতে যাইও„🙂🙂

Gf:🧕🏻____না বিয়ে খাওয়ার জন্য তো তোমাকে হারাতে পারবো না।🤧
bf:👳🏻‍♀️__পাগলি হারাতে হবে না আমি পারমিশন দিচ্ছি।😊

gf:🧕🏻____সত্যি!!☺️☺️
bf:👳🏻‍♀️______হা তবে কিছু শর্ত আছে..☝️🙂

Gf:🧕🏻____বলো,🙂🙂
bf:👳🏻‍♀️_____শাড়ি পড়া চলবে না,সাজতে পারবেন না, বোরকা হিজাব পরে থাকতে হবে পারবে? ☝️

Gf:🧕🏻_____তোমার জন্য সব পারবো☺️☺️

Bf:👳🏻‍♀️_____হুমম। ☺️☺️

থাকুক না এমন ভালবাসা সবার জিবনে 🤗🤗🤗

💞 💞💞😍💞💞
😍

30/04/2023
23/03/2023

ভালোবাসার টানে

>দেখ অনিক আজ কিন্তু তোকে পারতেই হবে। (রাফি)
>খুব ভয় লাগছে রে।আজ না।পরে আরেকদিন বলবো। (অনিক)
>চুপ কর ভীতুর ডিম।আজই তোকে বলতে হবে।নয়তো তোর কপালে মাইর আছে। (মিশু) অনিক মিশুর কথা শুনে ভয় পেয়ে যায়।কারন মিশু অনেক স্বাস্থ্যবান,তাছাড়া মারমিট করতে পারে।
>আমাকে মারিস না ভাই।আমিতো পিচ্চি একটা মানুষ! (অনিক)
>তবে আমরা যেভাবে বলছি সেভাবে করবি।আজই এর একটা এস্পার বা ওস্পার করবি।ওই যে তোর অহনা আসছে।চল রাফি আমরা লুকোই।
এইবলে রাফি আর মিশু দ্রুত কেটে পড়ে সেখান থেকে। দূরে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে অনিক কি করে।
ক্লাস শেষে স্কুলের কাছে দাঁড়িয়ে আছে অনিক এবং ওর ক্লোজ বন্ধু রাফি ও মিশু।
অনিক সামনে এগিয়ে চলছে ধীরপায়ে। অহনা ওর বান্ধবীদের সাথে কথা বলে বাসার দিকে যাচ্ছিলো।
অনিক মনে অনেক ভয় নিয়ে ডাক দেয় অহনাকে।
>অহনা। (অনিক)
অহনা হঠাত ডাক শুনে দাঁড়িয়ে যায়।
>কি ব্যাপার অনিক?কিছু বলবে? (অহনা)
>হ্যা।মানে…
অনিক মাথা চুলকাতে চুলকাতে আশেপাশে তাকায়। হঠাত দেখতে পায় মিশু অনিককে ইশারায় মাইর দেখাচ্ছে। অনিক ভয় পেয়ে আবার অহনার দিকে তাকায়।
>না মানে…আসলে....মানে....। (অনিক)
>কি এতো মানে মানে করছো হ্যা?কিছু বলার থাকলে সোজাসুজি বলো। আমাকে এখনই বাসায় যেতে হবে। (অহনা)
>আসলে অহনা আমার তোমাকে অনেক ভালো লাগে। (অনিক চোখ বুজে বলে ফেলে)
অহনা হা করে তাকিয়ে থাকে।
>এই কথা বলতে ৪বছর সময় নিলে!! (অহনা)
>আসলে মানে... (অনিক)
>থাক আর বলতে হবেনা।ভীতুর ডিম। (অহনা)
>কিন্তু তুমি কিভাবে জানলে আমি ৪বছর থেকে তোমাকে পছন্দ করি!! (অনিক)
>সেই ক্লাস ফোর থেকেই তো দেখতেছি ড্যাবড্যাব করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো।আর মেয়েরা তো সবই বুঝতে পারে পাগল।
অহনা অনেক চটপটে মেয়ে হলেও কথাটা বলে ব্যাপক লজ্জা পায়।তাই কিছু না বলেই ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে চলে যায় তখন।
>কিরে অনিক,তুইতো শালা ফাটাইয়া দিছোস। (মিশু)
>চল অনিক,তোকে আজ খাওয়াবো খুশিতে।এতদিনে সফল হলি তবে! (রাফি)
এরপর ৩বন্ধু একসাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়।
পরদিন থেকে চলতে থাকে অনিক এবং অহনার প্রেম। অনিক ও অহনার পরিচয় হচ্ছে দুজনে একই ক্লাসে পড়ে।প্রাইমারী থেকেই দুজন দুজনকে পছন্দ করে। কিন্তু অনিক ভীতু ছেলে তাই অহনাকে কখনো বলতে পারেনি। অহনা অনিকের কাছ থেকে এই কথাটা শোনার অপেক্ষায় থাকতো সবসময়।
ভালোই চলছিলো অনিক এবং অহনার প্রেম। কিন্তু বেশিদিন ভালো ভাবে থাকা তো কারোর কপালেই সয়না! অনিক ও অহনাকে একসাথে ফুসকা খেতে দেখে ফেলে অনিকের কাকা। অনিকের বাবা মিজান সাহেব ওই এলাকার নামকরা একজন লোক। তার ক্লাস এইট/নাইনে পড়া ছেলে প্রেম করছে শুনে সে খুব রেগে যায়। সেদিন অনিক ক্লাস শেষে বাসায় ফিরলো।
>অনিক একটু কথা শুনে যা। (মিজান সাহেব)
>হ্যা বাবা বলো। (অনিক)
>তুই নাকি কোন মেয়ের সাথে ঘুরাঘুরি করছিস?কথাটা কি সত্যি? (মিজান সাহেব)
>কে বলেছে!কখন ঘুরলাম? (অনিক)
>একদম কথা ঘুরাবি না।সত্যি কথা বল।নয়তো মেরে পিঠের চামড়া তুলে ফেলবো তোর। (মিজান সাহেব)
>আসলে বাবা আমি ওই মেয়েকে অনেক পছন্দ করি। (অনিক)
>কি বললি তুই!!এইটুকু বয়সেই এতো পেকে গেছিস! দাড়া.. এইবলে মিজান সাহেব অনিককে প্রচুর মারলো সেদিন।
রাতে অনিকের প্রচুর জ্বর ওঠে। মা আর অহনা ছাড়া আর কিছু শুনা যায়না ওর প্রলাপে।
৩দিন পর অনিক মোটামুটি সুস্থ হয়।
>এই তুমি ৩দিন কোথায় ছিলে হ্যা?আমার কতো চিন্তা হচ্ছিলো জানো? (অহনা) অনিক সবকিছু খুলে অহনাকে খুলে বললো।
>ওহ তবে এই ব্যাপার।দেখো অনিক আমারতো বাবা নেই।তোমার বাবাও যদি এমন করে তবে এই সম্পর্ক হয়তো টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।সম্পর্কের শুরুতেই এতো ঝামেলা! পরবর্তীতে কপালে কি আছে জানিনা!! এসব বলতে বলতে অহনার চোখে পানি এসে যায়।
>প্লিজ অহনা কেঁদো না।আমি আছিতো।
>না অনিক।কারোর অমতে সম্পর্ক রাখা ঠিক হবেনা।
এই বলে অহনা চলে যায়। অনিক হতবিহ্বল হয়ে দাড়িয়ে থাকে।
রাতে অনিককে বাসায় টিচার পড়াতে আসে।
>কি হলো পড়া বলছোনা কেনো। (প্রাইভেট টিউটর)
>আসলে স্যার...
অনিক কথা শেষ করার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়প। অনিককে দ্রুত হসপিটালে নেওয়া হয়।
>মিজান সাহেব। (ডাক্তার)
>জ্বী বলুন ডক্টর।
>আপনার ছেলে অনেকগুলো হাইপাওয়ারের ঘুমের ওষুধ খেয়েছে।
>বলেন কি!
>হ্যা।এটাই সত্যি।একটাই তো ছেলে আপনার। ছেলেকে এতো শাসন করলে কি করে হবে বলেন?
>এখন দেখা করা যাবে ওর সাথে।
>জ্ঞান ফিরেনি এখনো। অপেক্ষা করুন।
>আচ্ছা।
কিছুক্ষণ পর-
>এসব কি শুনছি অনিক?ঘুমের ওষুধ কেনো খেলি? (মিজান সাহেব)
>বাবা আমি অহনাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা। (অনিক)
>তাই বলে এই বয়সেই আমার মান সম্মান ডুবালি? (অনিকের বাবা)
>ওর জন্য আমি সব করতে পারবো। তুমি শুধু ওকে ফিরিয়ে দাও।
>আচ্ছা যা ওকে তোর হাতে দিবো,কিন্তু একটা শর্তে। (মিজান সাহেব)
>কি শর্তে বলো। (অনিক)
>তোকে ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে।ভালো রেজাল্ট করতে হবে।পাবলিক ভার্সিটি থেকে বিবিএ, এমবিএ কমপ্লিট করতে হবে।নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে নিজের প্রচেষ্টায়। লোকে যেনো বলে মিজান সাহেবের ছেলেটা সবদিক থেকে ভালো। এসব যেদিন পারবি সেদিন আমি নিজে তোদের বিয়ে দিবো।
>আচ্ছা বাবা।আমি রাজী তোমার শর্তে। অনিকের মুখে হাসি ফুটলো।
এরপর থেকে অনিক মন দিয়ে লেখাপড়া করতে লাগলো। ছোটবেলা থেকেই অনিকের মেধা মোটামুটি ভালো ছিলো।আর ক্লাসের ১ম সারির স্টুডেন্টদের ভিতর অনিক একজন ছিলো। তাই অনেক চেষ্টা করে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি তে অনিক সব বিষয়ে এ প্লাস পায় এবং জেলার ভিতর ৩য় হয়।
অহনা মধ্যম সারির ছাত্রী।সেও মোটামুটি ভালো ফলাফল করে। মিজান সাহেব ছেলের সাফল্যে আনন্দিত হন। এরপর অনিককে ঢাকায় ভালো কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ!!
সেখানে চান্স পেতে হলে কতোটা পরিশ্রম করতে হয় তা শুধু চান্সপ্রাপ্তরাই ভালো জানে।অবশ্য ভাগ্য বলেও একটা কথা আছে। অনিক সৌভাগ্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টে চান্স পায়।
অনিক উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা চলে যায়। অহনা অনেক কান্নাকাটি করে।কিন্তু কারোর কিছু করার থাকেনা।
অহনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে ভর্তি হয়। দুজন হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন।
৫ বছর পর- অনিক ঢাকায় ভালো একটি ব্যাংকে চাকুরী পেয়েছে।
>অনিক,বাবা তুই বাড়ি আসবি কবে? (অনিকের মা)
>মা,কেবল তো জয়েন করলাম।মাসখানেক দেরী হবে আসতে।শীতের ছুটিতে আসবো। (অনিক)
>আচ্ছা।ভালো থাকিস।
এরপর অহনাকে কল করে অনিক।
>কেমন আছো অহনা? (অনিক)
>সেটা জেনে আপনার দরকার কি!আপনি তো ব্যস্ত লোক। (অহনা অভিমানী কণ্ঠে বলে)
>আহা!রাগ করছো কেনো!ব্যাংকের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয় তাই খবর নিতে পারি কম।রাগ করেনা লক্ষ্মীটি। (অনিক)
>ঠিক বলছো তো?নাকি শহরের অন্য কোনো সুন্দরী মেয়েকে পেয়েছো? (অহনা)
>অহনা!এসব কি বলো তুমি!জানোনা আমি কিভাবে এতদূর এসেছি!তোমার ভালোবাসার টানেই এসেছি। তুমি এমন ভাবে বললে খুব কষ্ট হয় আমার। (অনিক)
>সরি অনিক।কখনো বলবোনা।লাভিউ। (অহনা)
>আচ্ছা এখন রাখো।পরে কথা হবে। (অনিক)
>ওকে।
অহনা জানে অনিক কখনোই আর কারোর হবেনা।কারন ওদের ভালোবাসায় রয়েছে অফুরন্ত বিশ্বাস।
দেড় মাস পর অনিক দেশের বাড়িতে ফিরে।
>বাবা অনিক। (মিজান সাহেব)
>হ্যা বাবা বলো। (অনিক)
>আজ সন্ধ্যায় এক জায়গায় যাবো তোমাকে নিয়ে।তোমার কি কোনো কাজ আছে? (মিজান সাহেব)
>না বাবা।বিশেষ কোনো কাজ নেই।রাফি ওদের সাথে দেখা করবো ভাবছিলাম। (অনিক)
>আচ্ছা ওদেরকেও তবে বাসায় আসতে বলো।আজ অহনা মামনিকে আংটি পড়াতে যাবো আমরা।তোমার কোনো সমস্যা আছে? (মিজান সাহেব) অনিক খুশিতে কি বলবে ভেবে পায়না।
>কি হলো?যাবেনা আজ? (মিজান সাহেব)
>হ্যা বাবা যাবো।সমস্যা নেই কোনো। (অনিক)
>আচ্ছা। এখন তবে রেস্ট নাও।
অনিকের বাবা বাসার বাহিরে চলে যান। এরপর অনিক খুশিমনে অহনাকে কল দিলো-
>শুনলাম আজ নাকি তোমাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে? (অনিক)
>বলো কি!কখন! (অহনা)
>সন্ধ্যায়।সাজগোজ করে রেডি হয়ে থাকবেন ম্যাডাম। (অনিক) অহনা বুঝতে পারে অনিক কি লুকোচ্ছে।
>হুম।ভুতনী সেজে বসে থাকবো।যাতে ছেলে আমাকে দেখার সাথেসাথেই অজ্ঞান হয়ে যায়। (অহনা)
>হাহা।আচ্ছা আপনার যেভাবে ভালো লাগো তাই করেন ম্যাডাম।আমার শুধু অহনাকে পেলেই চলবে। (অনিক)
>অহনা সবসময়ই আপনার জন্য আছে,এবং থাকবে। (অহনা)
>ওকে।See you.
এই গল্পের শেষ এখানেই।তবে কাহিনী এখনো চলমান। অহনা এবং অনিকের বিয়ে হয়েছে গতবছর।
ওদের সংসারে কিছুদিন আগে এক নতুন সদস্যের আগমন ঘটেছে। অহনা ও অনিকের একমাত্র আদরের কন্যা আনিকা।আনিকাকে নিয়ে ওরা দুজনেই এখন সূখে আছে।
সত্যকারেরর ভালোবাসার অফুরন্ত ক্ষমতা রয়েছে। পারষ্পরিক বিশ্বাস এবং ভালোবাসার টানেই হয়তো অনিক এবং অহনা বহুবছর অপেক্ষা করে আর চেষ্টা করে রাখা ওদের পাশাপাশি পথ চলার স্বপ্ন পূরনে সক্ষম হয়েছে। বেচে থাকুক সবার ভালোবাসা। অপেক্ষার ফল সবসময় মধুর হয়।
প্লিজ ফলো মি
Ahmmed

"একটি অপার্থিব সকালের গল্প"প্রতিদিনের মতোই এলার্ম এর বিকট আওয়াজ এ ঘুম ভাঙলো। আমার খুব পছন্দের একটা গান দিয়েছি এলার্ম এ। ...
23/03/2023

"একটি অপার্থিব সকালের গল্প"

প্রতিদিনের মতোই এলার্ম এর বিকট আওয়াজ এ ঘুম ভাঙলো। আমার খুব পছন্দের একটা গান দিয়েছি এলার্ম এ। কিন্তু সকালের এতো সুন্দর ঘুমটা যে সাউন্ড এ শেষ হয়, তা শুনতে বিকট ই লাগে।

কিন্তু আজকে মেজাজটা খারাপ লাগছেনা ঘুম ভাঙাতে। কেমন যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে মনের ভিতর। মনে হচ্ছে আজকের দিনটা অন্য সব দিনের মতো না।

এই সব অদ্ভুত ভাবনা চিন্তা পাত্তা না দিয়ে উঠলাম বিছানা থেকে। নাস্তা বাইরে কোথাও করে নিবো ভেবে শুধু হাতমুখ ধুয়েই বের হয়ে গেলাম।

আকাশ একদম কালো। এই ভয়াবহ গরমেও একটু ঠান্ডা লাগছে আজকে। অঝোরে বৃষ্টি পড়া শুরু হলো। মনটাই ভালো হয়ে গেলো। কিন্তু একটু টেনশন ও হচ্ছে। ইদানিং একটা সমস্যা শুরু হয়েছে। যখনি বৃষ্টি হবে হবে ভাব অথবা বৃষ্টি হচ্ছে, এমন সময় কোনো রিকশাওলাই রাজি হবেনা আপনাকে নিতে। খালি যাবে, তাও আপনাকে নিবেনা। মনে হবে যেন আপনি ওর শত্রু!

আমিও যথারীতি তাঁদের বন্ধু হতে পারলাম না। একটা বন্ধ দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে রইলাম। কাকভেজা হতে ইচ্ছে করছেনা একটুও। ৩টা খালি রিকশা চলে গেলো। এই রাস্তায় এই সময় কোন সি এন জি ও আসবেনা। তাই দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে লাগলাম। কিছুটা ডুবেও গেলাম বৃষ্টির শব্দে।

হঠাৎ একটা খুব সুন্দর পারফিউম এর গন্ধে আমার সম্ভিত ফিরে আসলো। পাশে তাকিয়ে আমার আক্কেলগুড়ুম হবার অবস্থা। এই রকম সুন্দর মুখ আমি কখনও দেখিনি এখন পর্যন্ত। 'মায়াবতী' শব্দটা হয়তো হুমায়ূন আহমেদ এইরকম কাউকে দেখেই প্রথম ব্যবহার করেছিল। আমি মেয়েটার নাম সাথে সাথে 'মায়া' রেখে দিলাম।

একটা সাদা ধবধবে ড্রেস পড়েছে। গলায় রুবী পাথরের হালকা পেস্ট রঙের একটা মালা। দেখে মনে হচ্ছে এই জামাটার জন্যই এই গলার অলংকারটা বানানো হয়েছে। আর এই দুটো জিনিসই যদি এই অপ্সরীর মতো দেখতে মেয়েটা না পড়তো, তাহলে আর কাউকেই এতো ভালো লাগতোনা।

কিন্তু মায়া খুব বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে। এত সকালে হয়তো এত বৃষ্টির আশা করেনি। কিংবা এই মেজাজ খারাপের আরও ২/৩ টা কারণ হতে পারে:

১. খুব সুন্দর করে সেজেছে সে, কিন্তু বৃষ্টির পানিতে চুলটা একটু এলোমেলো হয়ে গেছে।

২. হালকা নীল রঙের ছাতাটা মনে হয় বাতাসে ভেঙে গেছে।

৩. এই পয়েন্ট টা হয়তো আমার মেজাজ খারাপের সাথে মিলে গেছে।

আমি আস্তে আস্তে বললাম, "রিক্সা পাওয়াটা খুব কঠিন হবে।" কিন্তু মায়া মনে হয় শুনতে পায়নি। এইরকম প্রায়ই হয় আমার সাথে। খুব সাহস নিয়ে কথা বলতে গেলে দেখা যায় ঐ সময়ই এতো আস্তে বলে ফেলি যে কেউ শুনতে পায়না। কি হতো, মায়া যদি আমার কথাটা শুনতে পেতো!!

আমার এখন সবকিছুই ভালো লাগছিলো। মায়া আর আমি একদম পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছি। আমার মনে হচ্ছে, আমি ওর পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে জীবন পার করে দিতে পারবো। নিজের ভাগ্যকে খুব বাহবা দিতে মন চাইলো। এই জন্যই হয়তো সকালে উঠেই অন্যরকম লাগছিলো!

কিন্তু ভাগ্য হয়তো অন্য কিছু চিন্তা করে রেখেছিলো আমার জন্য। মাটি ফুঁড়ে মনে হয় একটা রিক্সা চলে আসলো।

'কোথায় যাবেন আপা' শুনে মনে হলো, ও যেন মেয়েটিকে নিতেই এসেছে। আমি যে পাশে দাঁড়িয়ে আছি ওর চোখেই পড়েনি।

মায়া রিক্সায় উঠে ওড়না টা ঠিক করে বসেছে। এইতো রিক্সা চলতে শুরু করলো। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। ধুর!!

'আপনি কোন দিকে যাবেন?' শুনে চমকে তাকিয়ে দেখি মায়া রিক্সা থেকে মাথাটা অল্প একটু বের করে আমাকেই বলছে। একটা কথা আছে না, টাশ্কি খাওয়া? আমার ঐ অবস্থাই হলো। এর সাথে প্রচন্ড ভালো লাগাটাও কাজ করছিলো।

এইতো, সেন্ট্রাল রোড পর্যন্ত গেলেই হবে। বলেই মনে হলো এই অদ্ভুত মেয়েটাকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি। ও নতুন কেউ না। যেন প্রতিদিন কথা হয় আমাদের। এত আপন করে কথা কেউ বলে?

"এই বৃষ্টিতে মনে হয়না আপাতত আর কোনো রিক্সা পাবেন। আমার পাশে বসতে কোন প্রবলেম নাই তো?" আমি বাধ্য ছেলের মতো পাশে গিয়ে বসলাম। একটা বার ভদ্রতার খাতিরেও বললাম না যে থাক, আপনি একাই যান। আমাকে দেখলে মনে হবে, আমার জন্মই হয়েছে ওর কথা শুনার জন্য!

আমার জীবনে এত সুখের দিন কখনোই আসেনি। এইরকম একজন চোখ ধাঁধানো সুন্দর মানুষ আমার পাশে বসে আছে। তার উপর বাইরে বৃষ্টি। সৃষ্টিকর্তা মনে হয় আজকে সব আয়োজন আমার জন্যই করেছে।

অনেক্ষন ধরে একসাথে বসে আছি। কিছু একটা বলা দরকার। সাধারণ ধন্যবাদ টাও দেয়া হয়নি তাকে। যেই কথাটা বলতে যাবো, ঠিক তখনি বেরসিক মোবাইল এ বেজে উঠলো, 'প্রেমে পড়া বারণ'।

আমার ঘুম ভেঙে গেলো। এই গানটাই তো আমার এলার্ম। স্বপ্ন ছিলো এটা? স্বপ্নে রঙ দেখা যায়? স্বপ্নে গন্ধও পাওয়া যায়?

ঠিক একইভাবে একই পোশাক পরে নাস্তা না খেয়েই ঘর থেকে বের হলাম। অদ্ভুত হলেও সত্যি, ঝুম বৃষ্টি বাইরে। যেখানটাতে গিয়ে দাঁড়াবো ঠিক করেছি, একদম সাদা ড্রেস পরে কে যেন আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে।

বৃষ্টির জন্য সব ঘোলা লাগছে। কিন্তু আমি পরিষ্কার বুঝতে পারলাম, এটা মায়া ♥️
সমাপ্ত
শিহাব শাওন
উইনিপেগ, কানাডা❤️
Please follow my page!
Ahmmed

Address

Barishal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fahim Ahmmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Fahim Ahmmed:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share