https://www.facebook.com/326578547206035/

𝑈𝑚𝑚𝑒 𝐻𝑎𝑏𝑖𝑏𝑎

Home
Bangladesh
Khulna
𝑈𝑚𝑚𝑒 𝐻𝑎𝑏𝑖𝑏𝑎

Assalamualicum everyone 💜💝

নতুন নতুন গল্প পেতে সবাই আমাকে সাপোর্ট করুন😊

❝সুমু রাজ্যের জগাখিচুরিতে স্বাগতম ❞🙂🍒

$#ময়ূরীকা #উম্মে_হাবিবা(সুমু) #পর্ব:-০৩{কপি না করার জন্য কঠোর ভাবে নিষেধ করা হলো⛔}নিউইয়র্ক সিটি সকাল বেলা....আকাশে আজ ...$

05/06/2025

#ময়ূরীকা
#উম্মে_হাবিবা(সুমু)
#পর্ব:-০৩
{কপি না করার জন্য কঠোর ভাবে নিষেধ করা হলো⛔}

নিউইয়র্ক সিটি সকাল বেলা....
আকাশে আজ বিষাদ নেমেছে,,কোনো ভাবেই সূর্য মামা মেঘের আড়াল থেকে বের হতে রাজি হচ্ছে না,,, যেনে সূর্য্যি মামির সাথে ভিষন মান অভিমান চলছে তার,,,আর তার এই দুঃখ যেনো আজ গোটা ক্যালির্ফোনিয়া শহর উপলব্ধি করছে....

এরই মাঝে প্রচন্ড স্পিডে একটি ব্ল্যাক মার্সিডিজ কার এসে থেমেছে ৯তলা ভবন এর সামনে।
ভবনের নেমপ্লেটে বড় বড় অক্ষরে লেখা Jk Group Of industries.
গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে এলো এক সুদর্শন পুরুষ।যার পুরো গেটাপই কালো দিয়ে মোড়ানো।দুধ ফর্সা গায়ে কালো রংটা মানিয়েছে বেশ। উচ্চতায় ৬ ফুট তো হবেই,,,তেমনই জিম করা পেটানো বডি,,,খোচা খোচা চাপ দাঁড়ি ,,হাসলে তার গালে ছোট ছোট দুটো টোল পরে,,যা তার সৌন্দর্যের মাত্রাকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দেই,,,তবে সেই হাসি দেখার সৌভাগ্য সহজে কারোরই হয় না।
কারন অবশ্য একটাই পুরুষের মুখে সব সময় গাম্ভীর্যের ভরা,,,বাংলা ভাষায় বলতে গেলে গোমড়ামুখো বল্লে খুব একটা ভুল হবে না।
"রাশিয়ার ক্লাইন্টরা কি এখন ও এসে পৌছায়নি শুভ..??"
চোখ থেকে কালো সানগ্লাস টা খুলতে খুলতে আহিয়ানকে উক্ত কথা জিজ্ঞেস করলো জেকে।

"ওনারা অনেক আগেই চলে এসেছে,,,, ভিআইপি রুমে রেস্ট নিচ্ছে,,তুই বলার পর মিটিং শুরু করবো"

"ওকে,, সবাইকে মিটিং রুমে আসতে বল,,,আর সৌরভ কই, ওকে প্রেজেন্টেশন ঠিক ভাবে রেডি করতে বল,,আজ যদি কোনো ভুল করেছে,,,,তাহলে ওকে নিউইয়র্কের ড্রেনের পানিতে চুবিয়ে মারবো,,,কথাটা ওর মাথায় ভালো করে ঢুকিয়ে দিস।"
কথাটা বলে জেকে চলে গেলো অফিসের ভিতর তার পার্সোনাল কেবিনে।

আর এদিকে আহিয়ান সৌরভকে ফোন দিয়ে সব ভালো ভাবে বুঝিয়ে বল্লো।

জেকে,,আহিয়ান আর সৌরভ ছোট বেলার বন্ধু,,, ছোট থেকেই তারা একসাথে বড় হয়েছে,,,,পড়াশোনা করেছে,,,আর এখন জেকের বিজনেসের অনেক সাহায্য ও ওরা করে,,,,,আহিয়ান তেমন ভুল না করলেও,,,সৌরভ প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় একটু নার্ভাস হয়ে যায়। এই জন্য অবশ্য ওর হিটলার হৃদয়হীন নিষ্ঠুর বন্ধুর কাছ থেকে বকা ও খায়।কারন কাজের ক্ষেত্রে জেকে কঠোর একজন ব্যক্তি,,,,সে যেমন মি. পারফেক্ট,,,,তার কাজকর্ম ও হওয়া চাই একদম পারফেক্ট....

_________________________________
তিশা, তিথি আর ময়ূর মিলে একসাথে কলেজে যাচ্ছে।
যেতে যেতে তিশা বল্লো-
"এই মৌপাখি তোকে তো একটা কথা বলতে ভুলে গেছি"

ময়ূর:-তো টিসু রানী আমাকে কোন কথা বলতে ভুলে গেছে শুনি তো একটু।

তিশা:-আজকে ঢাকা ভার্সটিতে সব স্টুডেন্ট এর উদ্যোগে একটা আর্ট একজিবিউশনের আয়োজন করা হয়েছে,,,,জানিস অনেক বড় বড় শিল্পীর আকাঁ ছবি প্রদর্শন করা হবে,,,,আজকে কলেজের ক্লাস শেষ করে আমরা সবাই যাবো কেমন।

তিথি:-আরে বাহ,,,এতো সুন্দর একটা নিউজ মায়ুরানীকে এতো দেরি করে দিলি কেন তুই,,,,শুধু শুধু তোকে আমি মিস.লেটুস বলে ডাকি।

তিশা:-এই দেখ তিলের বাচ্চা একদম বাজে কথা বলবি না,,,,মনে ছিল না তাই বলতে ভুলে গেছি,,,,এখন মনে পড়েছে তাই বল্লাম,,,,আর মিস. লেটুস কি ধরনের নাম হ্যা,,,,ভুলে যাস না,, আমি কিন্তু তোর ১ বছরের বড়,,,ছো সেই হিসেবে তো একটু সম্মান দে।

তিথি:-এ্যাহ আসছে আমার বড়বতী,,,,যত্তসব ঢং।

তিশা:-তিথু...!😤

এদের দুজনের ঝগড়ার মাঝে ময়ূর এবার বিরক্ত হয়ে বল্লো-
"দুটোতে এখনই চুপ করবি,,, না হলে দুটোর মুখেই কাঁঠালের আঠা লাগিয়ে দিবো,,,বাংলা প্রবাদ শুনেছো নিশ্চয় " কাঁঠালের আঠা লাগলে পড়ে ছাড়ে না"

তিশা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বল্লো-
"তুই বল মৌপাখি আগে কে শুরু করেছে,,,আমি না তিথু। খবিশ মাইয়া সব সময় আমার সাথে এমন করে,,,,বেদ্দপ ছেমরি."

তিথি:-ছি ইয়াক,,ভাষার কি ছিরি রে তিশু তোর!🤐

ময়ূর:-হয়েছে হয়েছে,,,,,এখন তাড়াতাড়ি চল,,,,খারুস স্যার আবার দেরী করে গেলে দাঁড় করিয়ে রাখবেনে,,,পরে আর আর্ট একজিবিউশনে যাওয়া লাগবে নানে।

তিথি:-ব্যাডা একটু বেশিই করে সবসময়,,,, নিজেকে কি ভাবে কে জানে,,,,,ওই তো সেই গোপাল ভাড়ের মতো একটা ভূরি,,, মনটা চায় কম্পাসের মাথা দিয়ে ভূরি একদম ফুটো করে দি।

তিথির কথা শেষ হওয়ার পর তিনজনই উচ্চ শব্দে হেঁসে ওঠে,,,,তারপর তিন জনই চলে যায় কলেজের উদ্দেশ্যে।

_________________________________
সকাল ১১ টা ৩০,,,,,,,, Jk group of industries এর মিটিং রুম।
রাশিয়ার ক্লাইন্টদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসেছে জেকে,,,,লক্ষ্য ৫০০কোটি টাকার ডিল টা ফাইনাল করা,,,ইতিমধ্যে প্রেজেন্টেশনের কাজ কমপ্লিট,,,আজ আর সৌরভ তেমন গড়মিল করে নি,,,জানের মায়া আছে কিনা।
ধারনা করা হচ্ছে এই ডিল টা ফাইনাল হয়ে গেলে Jk group of industries এর সুনাম আরো বেড়ে যাবে,,সেই সাথে আমেরিকার টপ বিজনেসম্যান থেকে বিশ্বের টপার বিজনেসম্যান হওয়ার ও সুযোগ আছে,,,,ইতিমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশেই Jk group of industries এর অনেক গুলো ব্রাঞ্চ আছে,,, এবার সেটা আরো উন্নত করা হবে।
রাশিয়ার অনেক গুলো বড় বড় কোম্পানির সাথেই যৌথ ভাবে এই ডিল টা করা হচ্ছে।
মিসেস লুসিয়া রাশিয়ার টপ ১০ টা কোম্পানির মধ্যে উনি ৩য় স্থানে আছে।
মিসেস লুসিয়া Lusiya group of industries এর ওনার।ওনার স্বামী মারা যাওয়ার পর বিজনেস টাকে উনিই এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বয়স্ক এই মহিলা যেমন বুদ্ধিমতি তেমনি খুবই বিচক্ষণ। তার ফিটনেসে বলা মুশকিল আসলে তার বয়স কতোর গোড়ায় গিয়ে ঠেকেছে।

জেকের সাথে ঘন্টা খানিকের আলোচনা আর প্রেজেন্টেশন প্রদর্শনের পর উনি বল্লেন:-
"মি. জেকে. আপনি সত্যি নিসন্দেহে খুব বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ একজন মানুষ। এতো অল্প বয়সে এতো বড় সাফল্য অর্জন করা একটা চ্যালেন্জের মতো ছিল,,,যা আপনি খুব দক্ষতার সাথে করে দেখিয়েছেন।তাছাড়া আপনার কোম্পানির সকল প্রডাক্ট ও মানের দিক থেকে যথেষ্ট ভালো,,,,আর প্রেজেন্টেশন তো দারুন লেগেছে,,,,,আমার আপনার কোম্পানির সাথে ডিল করতে কোনো আপত্তি নেই।"
মিসেস লুসিয়া পরপর তাকালেন মি. ডেনিয়েল,,,,মি.ব্রুশ আর মি.দানিয়েল এর দিকে,,,,,ওনাদের জিজ্ঞেস করলেন ওনাদের কোনো আপত্তি আছে কিনা।
সবাই একসাথে বল্লেন তারা এই ডিল করতে রাজি।
ডিল ফাইনাল হওয়ার পর জেকে সবার সাথে হ্যান্ডশেক করে বল্লো-
" আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ,,,আপনারা আমাকে বিশ্বাস করে আমার কোম্পানির উপর আস্থা রেখে এতো বড়ো ডিল করলেন,,,,,,ইন শা আল্লাহ আমি আপনাদের নিরাশ করবো না,,,,আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আশা নরুপ পন্য মার্কেটে সেল করার।
And again thank you,,,, thanks for all commitment..........
সিকদার বাড়ি দুপুর বেলা-
আজাদ সিকদার দুপুরের খাবার পর রুমে শুয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
সে সময় রুমে প্রবেশ করলো রিতা বেগম,,,হাতে তার পায়েসর বাটি।
বাটিটা আজাদ সাহেবর কাছে দিতে দিতে আজাদ সাহেব বল্লেন :-
"ভাবছি এবার ময়ূরের বিয়ে টা দিয়ে দিব,,ভালো একটা ছেলে পেয়েছি,, বয়স একটু বেশি,,কিন্তু খুবই পয়সা ওয়ালা,,এখানে ময়ূরকে বিয়ে দিতে পারলে আখেরে আমারই লাভ,,,,তুমি কি বলো রিতা..??"

ময়ূরের বিয়ের কথা শুনে রিতা বেগমের চোখ খুশিতে চকচক করে উঠলো,,,উনি বল্লেন -
"এই জীবনে একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছো তুমি মিনুর বাবা,,,যত তাড়াতাড়ি আবদ বিদায় করতে পারবো ততই ভালো,,,,বলা তো যায় না কখন কি করে বসে তোমার ওই মেয়ে,,এখন হয়তো আমি ধমকে ধামকে রাখি,কিন্তু কতোদিন পারবো,,,মিতালির মেয়ে ওর মতোই তেজ আর সাহস তো অবশ্যই আছে ওর মধ্যে "

আজাদ সাহেব:-আরে অতো চিন্তা করে তুমি তোমার প্রেসার কেনো বারাচ্ছো বলো তো জান,,,,বেশি উরলে আমার প্রাণপ্রিয় মেয়ের অবস্থা ও ওর মায়ের মতোই করবো,,,সাপ ও মরবে আর লাঠি ও ভাঙবে না।

এটা বলেই আজাদ সাহেব শয়তানি একটা হাসি দিলেন আর তার সাথে সঙ্গ দিলেন রিতা বেগম নিজেও।
ভাবছি এবার বাড়ির ছেলেটাকে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করবো,,,অনেক তো হলো এই মান অভিমানের পালা,, আর কতো,,শুনো রওনক তুমি কিন্তু এবার ছেলেটার সাথে একটু কথা বলো ভালো ভাবে,, ভুলে যেও না ও কিন্তু তোমার একমাত্র ছেলে আর চৌধুরী বাড়ির ব্যবসায় টা টিকিয়ে রাখার শেষ কর্ণধার___কথাটি জয়নব চৌধুরী ছেলের উদ্দেশ্য বল্লেন।

রওনক চৌধুরী :-বাবা আমি তো ওর সাথে আর ৫ টা বাবাদের মতোই নরমাল থাকতে চায়,,,,কিন্তু তোমার নাতির যা রাগ আর জেদ,,,তাতে উনি আগে দেশে ফিরে কিনা তাই দেখো।

জয়নব চৌধুরী :-ওসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না,,,,আমার নাতির দেশে ফেরার ব্যবস্থা আমি করেই রেখেছি,,,,,এখন শুধু কিছু দিনের অপেক্ষা।

রওনক চৌধুরী :-ঠিক আছে বাবা তুমি যা ভালো বোঝ করো,,,ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবে এর থেকে বড় আনন্দের আর কি আছে।

জয়নব চৌধুরী :-ঠিক আছে,, তুমি এখন যাও। বিকেলে তো একটা মিটিং আছে,,, তার ব্যবস্থা করো।

রওনক চৌধুরী :-হুম,,,,

রওনক চৌধুরী কেবিন থেকে যাওয়ার পর জয়নব চৌধুরী মনে মনে বল্লেন_"এইবার দেখি নাতি আমার দেশে না এসে কি করে পারে,,, এমন টোপ ফেলেছি না,,,গোমড়ামুখো এবার আসবেই আসবে"
এটা বলেই ঠোঁটের কোনে খেলে গেলো তার শয়তানি দুষ্টুমি মিশ্রিত এক হাসি।
চলবে......
{কে কে চাও জেকে আর ময়ূরের সামনাসামনি দেখা হোক,,,,,তোমাদের চুন্দর চুন্দর বুটিপুল কমেন্টের মাধ্যমে যানাও,,,,লাপ্পিউ সবাইকে😊🍒}

$#ময়ূরীকা #উম্মে_হাবিবা(সুমু) #পর্ব:-০২ {কপি না করার জন্য কঠোর ভাবে নিষেধ করা হলো⛔}নিউইয়র্ক সিটি সকাল ১০ টা,, জেকে ব্র...$

05/06/2025

#ময়ূরীকা
#উম্মে_হাবিবা(সুমু)
#পর্ব:-০২
{কপি না করার জন্য কঠোর ভাবে নিষেধ করা হলো⛔}

নিউইয়র্ক সিটি সকাল ১০ টা,,
জেকে ব্রো ওঠ আর কতো ঘুমাবি,,,,তারাতাড়ি ওঠ,,, এরপর কিন্তু মিটিং এ এটেন্ড করতে দেরি হয়ে যাবে ভাই,,,পরে কিন্তু আমাকে দোষ দিতে পারবি না,,,,
জেকে ওঠ,,,,,,ব্যাটা হিটলার এখন ও উঠছিস না কেনো....জেকে........
দরজার এপার থেকে অনবরত ডেকেই যাচ্ছে বলিষ্ঠ দেহের সুদর্শন পুরুষ আহিয়ান।
পুরো নাম আহিয়ান খান শুভ। বয়স তার ২৭ পেরেয়ি ২৮ ছুই ছুই। লম্বায় ৬ ফুটের একটু কম হবে,,,জিম করা মাসেল।

আহিয়ান জেকের ছোট বেলার বন্ধু,,, একসঙ্গেই দুজনের বেড়ে ওঠা,,,সেই সুবাদে এখন ও পর্যন্ত জেকের সাথে আছে,,,,এবং তাকে জেকের সকল কাজের crime partner বল্লেও খুব একটা ভুল হবে না।🙂

ও হ্যা এখন ও তো দরজার এপারে থাকা ঘুমন্ত মানবের সম্পর্কে বলা হলো না।
তার নাম ❝জ্যাকসন কায়রাভ চৌধুরী ❞। জন্ম বাংলাদেশে,,তবে সেটা ক্ষনিকের জন্য ও বলা চলে।
কারন মাত্র ৮ বছর বয়সেই সে ও দেশ থেকে পারি জমিয়েছিলো নিউইয়র্কের বুকে,,নিউইয়র্কের ছোট্ট শহরেই গড়েছে নিজের রাজত্ব।
রুপের বর্ণনা এখন না দেই,,,আস্তে আস্তে না হয় রহস্যময় মানবের রহস্য মিশ্রিত রুপ সম্পর্কে ও জানা যাবে।

দীর্ঘ ক্ষনের ডাকাডাকির পর জেকের ঘুম একটু হালকা হলো,,,সুখের নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটায় মুখ থেকে চ জাতীয় শব্দ বের করলো।
তারপরও যখন দেখলো আহিয়ান লাগাতার ভাবে ডেকেই যাচ্ছে তখন সে রেগে গিয়ে চিল্লিয়ে বল্লো-
"শুভর বাচ্চা আর একবার ও যদি তোর গলার বা সামান্য কোনো আওয়াজ পেয়েছি,, আই সয়ার আমি তোকে কেটে কুচিকুচি করে রক কে খাওয়াবো।"

জেকের এহেন কথা শুনে আহিয়ান চমকে উঠলো,,,পরবর্তীতে ওকে একটা ভেংচি কেটে মনে মনে আওরালো-
"এ্যাহ শখ কতো,,,আমাকে নাকি কেটে কুচি কুচি করে রককে খাওয়াবে,,,ব্যাটা হিটলার.. বলি তোর ওই বদমাশ কুত্তার খাবার হওয়ার জন্য কি জিম করে সুস্বাদু সব খাবার খেয়ে নিজের এই হট ড্যাসিং চকলেট বয়ের লুক বানিয়েছি নাকি,,, আমাকে খেলে আমার বউ খাবে,,তোর ওই বদমাশ কুত্তা শুধু একবার আমার সামনে আসুক মেরে একদম দাঁত ভেঙে দিব...হুহ"।
এরকমন আকাশ পাতাল চিন্তা করার পর হঠাৎ ই তার মনে পরলো আজ তো রাশিয়ান ডিলারদের সাথে অনেক বড় একটা ডিল আছে,,,মিস হয়ে গেলে বিশাল লস,,,সে জেকের কোনো হুমকি ধমকি কে পাত্তা না দিয়ে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিলো,,,,অতঃপর আবারও ডেকে উঠলো-
" ব্রো রাতে কার বাড়ি চুরি করতে গেছিলে যে এখন ও পরে পরে কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমাচ্ছিস,,,আজ যে রাশিয়ান ডিলারদের সাথে একটা ডিল আছে তা কি তুই ভুলে গেছিস। ওঠ ভাই,,,এমনিতেই আমরা লেট..... জেকে। "

এবার যেনো জেকের টনক নড়লো,,,,ঘুমুচোখে বিছানা হাতরে ফোন টা খুজে সময় তে দেখলো ১০ টা বেজে ২৭ মিনিট,,,,মিটিং শুরু হওয়ার কথা ১১ টা ৩০ মিনিটে,,,,,হাতে সময় খুবই কম।
এই ডিলটা জেকের জন্য অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট,,,মাত্র ২৮ বছর বয়সেই জেকে একজন সফল বিজনেসম্যানের মধ্যে একজন।
নিজের বুদ্ধি, সৃজনশীলতা,,বিচক্ষণতা আর শ্রম দিয়ে একটু একটু করে গড়ে তুলেছে তার সাফল্য,,, তার অহংকার ❝JK GROUP OF INDUSTRIES❞.
আজকের এই ডিল টা তার জন্য ঠিক অনেক টাই গুরুত্বপূর্ণ,, কারণ আজকের ডিল টা সে পেলে তার সাফল্য অনেক টাই এগিয়ে যাবে।

বিছানা থেকে উঠে সে একবার দরজার দিকে তাকালো,,দেখলো আহিয়ান এখন ও দরজাটা ধাক্কায় যাচ্ছে,, বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকে নিজে নিজে নিজেই বিড়বিড়ালো-
"কি দেখে যে এমন ধেরে গলার ষাঁড়ের সাথে বন্ধুত্ব করতে গেছিলাম আল্লাহ মালুম,,,সারাক্ষণ যেনো আমাকে বিরক্ত করার জন্য রেডি হয়ে বসে থাকে,,,,nonsense "

আবারও যখন আহিয়ানের গলার স্বর ভেসে এলো সে চূড়ান্ত লেভেলের বিরক্ত নিয়ে বল্লো-
"শুভ আর একবার যদি দরজায় এমন ধাক্কা ধাক্কি করেছিস,,তাহলে তোর খবর আছে বলে দিলাম,,,,উপরে যাওয়া থেকে কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না,,, বিরক্ত না করে যা এখান থেকে গিয়ে নিজে আগে রেডি হ"

জেকের এহেন কথা শুনে আহিয়ান একটা ভেংচি কেটে ওকে বকতে বকতে ওর চৌদ্দগুস্টি উদ্ধার করতে করতে চলে গেলো।

এদিকে জেকেও আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল ফ্রেশ হতে,,,দ্রুত ফ্রেশ হয়ে একটা হট শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে সোজা চলে গেল তার চেন্জিং রুমে,,,,ওখানে গিয়ে তার ফেভরেট কালার অর্থাৎ কালো শার্ট,,প্যান্ট,,টাই,,,সুজ,,এমনকি কালো ব্লেজার,,, সব কিছু কালো নিয়ে নিয়ে নিজেকে সাজিয়ে তুল্ল।
তাকে দেখে যেকোনো মেয়েই নির্ঘাত এট্যাক ফ্যাটাক করে ফেলবে।এমনতি ও সে পুরা কিলার টাইপ লুক নিয়ে পয়দা হইছে,,,,তার উপর এখন আবার কালো,,,,,উফফ তাকে দেখলেই মনে হচ্ছে পুরা হট ড্যাসিং ডার্ক চকলেট বয়।🫣
নিজেকে ফরমাল গেটাপে তৈরি করে তার পচ্ছন্দের পারফিউম দিল গলায় হাতে,,গায়ে,,,,,জেল দিয়ে চুল গুলোকে সুন্দর করে সেট আপ করে নিলো।
তারপর নিজের ওয়াচ কালেকশন থেকে কালোরঙের রোলেক্সর দামি ঘড়ি হাতে পড়তে পড়তে নিজের দামি আইফোন,,ওয়ালেট সব কিছু নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে আহিয়ানের উদ্দেশ্য বল্লো -
"শুভ তাড়াতাড়ি আয়,,,আমি গাড়ি বের করছি."
ময়ূর তাড়াতাড়ি নাস্তা বানানো শেষ করে মিনুকে গিয়ে ডাক দে,,আমি তোর বাবাকে চা দিয়ে আসি,,এটা বলেই চলে গেলেন রিতা বেগম।

ময়ূর তারাতারি নাস্তা বানাতে লাগলো,,,,এরই মাঝে এক প্রকার ঝংকার তুলে বেজে উঠলো ময়ূরের হ্যান্ডফোনটা।
এইতো এখন কাজের সময়,,, এখন আবার কে ফোন দিয়ে বিরক্ত করলো এটা ভাবতেই বিরক্তিতে মুখ দিয়ে চ জাতীয় শব্দ বের করলো।
যান্ত্রিক যন্ত্রটা একসময় এপাশের মানুষের কোনো গুরুত্ব না পেয়ে নিজে থেকেই শান্ত হয়ে গেলো।
ময়ূরের এদিকে কোনো হেলদোল নেই,,,সে তার মতো কাজ করতে ব্যস্ত,,,যার দরকার সে আবার ফোন দিবে ভেবে বেশি গুরুত্ব দিলো না।
কিছু সময় যেতে না যেতে আবারও ফোন টা বেজে উঠলো,,, ময়ূরের এবার রাগ সপ্তম আকাশ ছূলো,,,,অসময়ে কে ফোন দিয়ে বিরক্ত করছে তাকে দুটো বেশি কথা শোনানোর জন্য ফোন টা হাতে নিয়ে দেখলো "টিস্যু" কলিং ✆,,,,
ব্যাস তার সব রাগ পানি হয়ে গেল,,,,এই একটা মানুষ যার উপর ময়ূর একটু ও রাগ করে থাকতে পারে না।
ফোন টা রিসিভ করে লাউডস্পিকার দিয়ে সে কাজে মন দিলো।
অপর পাশ থেকে মিষ্টি কন্ঠে তিশা বল্লো-
"মৌপাখি কই তুই,,,কি করছিস,,আর কলেজ যাবি কখন,,আজ যে ওই খারুস স্যারের ক্লাস আছে ভুলে গেছিস,,,দেরি করে গেলে পুরা ক্লাস বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখবে,,,যানিসই তো ব্যাটা কতো বড় খবিশ,, পান থেকে চুন খসলেই গার্ডিয়ান ভয় দেখাই,,, 😒"
একসাথে এতো গুলো কথা শুনে ময়ূর কিছু সময়ের জন্য ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো,,,,তারপর নিজেকে সামলে বল্লো-
"ওরে মা আমার থাম একটু,, বাবা এতো গুলো প্রশ্ন এক সাথে কেউ করে।"

তিশা:-বাজে কথা বন্ধ কর,,,বের হবি কয়টায়।
ময়ূর:-একটু পরেই,, তুই কি তোর মামার সাথে যাবি..??
তিশা:-বলদি তোকে বগলদাবা না করে কখনও একা গিয়েছি বল তো।
তিশার এই কথা শুনে দুজনেই হেসে দিল,,,,তারপর ময়ূর বল্লো
"আচ্ছা আমি রেডি হয়ে তোকে ফোন দিবো কেমন।"
তিশা ছোট্ট করে হুম বলে ফোন কেটে দিলো।

ময়ূর ওর হাতের কাজ শেষ করে গেল ওর ছোট বোন মিনুকে ডাকতে,,,
২০ বছর হয়ে গেল,,নাতি টা আমার বাড়ি ছাড়া।
কবে আসবে ও। এতো গুলো বছরেও কি ওর রাগ,অভিমান কমে নি,,,সেদিন যদি তুই আমার নাতিটাকে দূরে না পাঠিয়ে বুকে আগলে নিতিস তাহলে আজ ঘরের ছেলে ঘরে থাকতো... কথাটা জয়নব চৌধুরী তার ছেলে রওনক চৌধুরী উদ্দেশ্য বলে থেমে গেলেন।
কথাগুলো বলতে গিয়ে তার চোখ বেয়ে পড়লো দুফোটা অশ্রু কনা,,,চোখ থেকে চশমা টা খুলে নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে অশ্রুটুকু মুছে ফেলে রওনক চৌধুরীর দিকে তাকালেন।

রওনক চৌধুরী বাবার দিকে তাকিয়ে বল্লেন-
"মানছি বাবা আমারও ভুল ছিল,,তাই বলে আদি কি পারতো না একবারের জন্য ও ফিরে আসতে,,,অনেক তো হলো এবার কি ও ওর বাবাকে মাফ করতে পারবে না।"
জয়নব চৌধুরী ছেলের কথা শুনে ছেলের কাঁধে হাত রেখে বল্লেন চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে,,
বাবা ছেলের কথার মাঝেই নিচ থেকে ডাক এলো সকালের নাস্তা করার জন্য।
দুজনে নিচে গিয়ে ডাইনিং এর কাছে গিয়ে দেখলেন টেবিলে নাস্তা রেডি করছে জয়নব চৌধুরী ছোট মেয়ে রুকসানা বেগম।
রুকসানা বেগম তার দুই মেয়ে নিয়ে তার বাবার বাড়ি থাকেন বছর দুয়েক হলো।তার বড় মেয়ে সুমাইয়া তুজ তিশা আর ছোট মেয়ে সায়মা তুজ তিথি।
দুই বছর আগে তার স্বামী কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেছেন,,,,তারপর আর তার শ্বশুর বাড়ি জায়গা হয়নি। দুই মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি এসে থাকছেন।
জয়নব চৌধুরী চেয়ার টেনে টেবিলে বসতে বসতে বল্লো কি রে আমার দুই গিন্নি কই তাদের দেখছি না যে।
কথাটা শেষ করার সাথে সাথে উপর থেকে নেমে এলো তিশা তিথি,,,,দুজনে এক সাথে তাদের নানুর গলা জড়িয়ে ধরে বল্লো -
"Good morning sweetheart "
জয়নব চৌধুরী দুই নাতনির কান্ডে মুচকি হেসে উত্তর দিলো-
"very good morning my dear Sweety "
এরপর তারা চেয়ারে বসতে বসতে তাদের মামাকে উদ্দেশ্য করে বল্লো-
"Good morning mama"
রওনক চৌধুরী ভাগ্নিদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে জবাব দিলেন:-
"Good morning my dear little Princesses "
বাবা ভাইয়ের এমন আহ্লাদ দেখে রুকসানা বেগম বল্লেন -
"তোমরা ওদের অতো লায় দিয়ো না,,,আদরে আদরে দিন দিন বাদর হয়ে যাচ্ছে "
নিজেদের সম্পর্কে মায়ের এমন কথা শুনে তিথি বল্লো-
"এই আম্মু তুমি আমাদের সাথে এরকম ঘসেটি বেগমের মতো ব্যবহার করছো কেন,,,আমাদের দুজনের মতো লক্ষী মেয়ে তুমি কি এ তল্লাটে আর খুঁজে পাবে,,হুম"
মেয়ের এমন কথা শুনে রুকসানা বেগম আর কিছু বল্লেন না।আসলেই তার মেয়ে দুটো যেমন লক্ষী তেমন ভালো।

রওনক চৌধুরী ভাগ্নিদের উদ্দেশ্য বল্লো -"তোমাদের পড়াশোনা কেমন চলছে..??"

তিশা:-ভালো চলছে মামা।
রওনক চৌধুরী :-তোমরা কি একা একা কলেজে যাবে নাকি আমি দিয়ে আসবো..??
তিথি:-না মামা আমরা একারা চলে যেতে পারবো।
এরপর তারা আর কেউ কোনো কথা বল্লো না চুপচাপ খাওয়া শেষ করে যার যার গন্তব্য স্থানে চলে গেলেন.......

চলবে....

{নতুন লিখছি,,,,বাংলা এমনি ও আমি পারি না,,ব্যাকরণে খুবই কাচা🫤,,সামান্য কিছু জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করি আরকি,,,,সাহিত্য তো মিলাতে পারবো না তাই জগাখিচুরি বানাই🙂,,,,,বাকি টা তোমাদের রেসপন্সের উপর,,,,যদি ভালো লাগে তাহলে পাশে থেকে তোমাদের চুইট চুইট কমেন্টের মাধ্যমে জানাও✨}
হ্যাপি রিডিং 😊🍒❤️‍🩹

04/06/2025

সবাইকে সরি,,,,আসলে গল্প লিখে save করার সময় একটু ভুল হয়ে গেছে তাই আর আজকে গল্প দিতে পারছি না,,,,আবার নতুন করে লেখার পর ইনশাআল্লাহ দিব...!🙂🍒😊

03/06/2025

২০২৩ সালের টপার আর্টিসদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে এ সময়ের তরুন চিত্রশিল্পী মৌমিতা বিনতে ময়ূর।
কথাটা মাইকে বলার সঙ্গে সঙ্গে হাততালির যেনো জোয়ার ভেসে গেলো।
চারিদিকে শুধু একটায় নাম ❝ময়ূরীকা❞।
হাস্যেজ্জ্বল মুখে স্টেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ময়ূর,,,
নিজের এতোদিনের করা এতো পরিশ্রম,, ধৈর্য সব যেনো আজ তার কাছে তুচ্ছ মনে হচ্ছে।
আজও তার চোখে পানি, তবে সেটা কষ্টের নয়,
এতোদিনের অপেক্ষার ফল,,তার মায়ের স্বপ্ন, যা সে রোজ দেখতো।
অপেক্ষা করতো কবে সে তার মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে পারবে,কবে সে সফলতা অর্জন করবে।
তার বিভিষীকাময় অতীতের কথা ভাবতে ভাবতে সে এগিয়ে যাচ্ছে স্টেজের দিকে।
তার কাছে মনে হচ্ছে সে যেনো আজ কোনো রূপকথার রাজ্যে ভাসসে,,তার স্বপ্নের রাজকুমারকে সাথে নিয়ে তার সফলতা আনতে যাচ্ছে।
অথচ তার সেই স্বপ্নে দেখা রাজপুত্তুর কি আর এতো সহজে তার কাছে ধরা দিবে।
তার কাছে আগে মনে হতো সে একটা মরীচীকা,,,পৃথিবীর বুকে তার অস্তিত্ব নিত্তানতই তুচ্ছ।
অবশ্য মনে হবে নাই বা কেনো।তার বিভীষিকা ময় অতীত তো তার ৫ বছর বয়স থেকেই।
যা সে মনে করতে চায় না।মনের পরলেই কলিজায় মচোর দিয়ে ওঠে,বুক ফেটে আসে কান্না।
বুক ভরা এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই না।
এসব আকাশ পাতাল চিন্তা ভাবতে ভাবতেই সে এগিয়ে যাচ্ছে তার স্বপনের পথে।
তার মায়ের স্বপ্ন পূরণের সাফল্যের পথে।
আর স্বপ্নের সম্মাননা সে যখনই নিতে যাবে তখনই এক দমকা হওয়ার ঝড়ের মতো তার জীবনের সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়।
একটুর জন্য শুধু মাত্র একটুর জন্য সে তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে ও যেনো ব্যর্থ হলো।
হঠাৎই তার ঘুম ভেঙে গেলো,, ধরফরিয়ে বিছানা থেকে ওঠে সামনে তাকিয়ে দেখলো তারই মা রনমূর্তী ধারন করে দাড়িয়ে আছে,,হাতে তার পানির জগ।
ময়ূরের বুঝতে আর বাকি নেই তার সেই হঠাৎ ঝড়ের সূচনা কোথা থেকে হয়েছে।
এরকম স্বপ্ন সে রোজই দেখে।আর রোজই মেন পয়েন্টে গিয়ে সে আটকে যায়।
তবে একদিন সে এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে এটাই তার জীবনের লক্ষ্য। তাকে যে তার মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে হবে।
এসব কথা যখনই সে সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটার দিকে তাকিয়ে ভাবছিল তখন সামনের মানবী বাজখাঁই গলায় বল্লেন__
"এই যে নবাবজাদী এখন ও পরে পরে ঘুমালে চলবে,বাসার এতো কাজ কে করবে শুনি, সকাল কয়টা বাজে খেয়াল আছে আপনার।"
কথটা বলে রাগী দৃষ্টিতে ময়ূরের দিকে তাকালেই তরিঘরি করে ময়ূর বিছানা থেকে নেমে যায়,,,,আর বলে--
"সরি মা,,,আসলে কাল রাতে পড়তে পড়তে অনেক দেরী হয়ে গেছিলো তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারি নি,,,তুমি চিন্তা করো না আমি এখনই তোমার সব কাজ করে দিচ্ছি,,,"
রিতা বেগম বল্লেন হ্যাঁ হ্যাঁ কাজ গুলো তারাতাড়ি শেষ করে আমাকে উদ্ধার করো।
এই বলে তিনি চলে গেলেন,,,যেতে যেতে বল্লেন "আমার হয়েছে যতো জ্বালা,,এদের নিয়ে আর পারি না"।
এদিকে ময়ূর ছুটছে ওয়াশরুমের দিকে,তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এখন তাকে আবার বাসার কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি কলেজে যেতে হবে,,,আজ আবার তার একটা ইমপোর্টেন্ট ক্লাস আছে।
ও হ্যাঁ আমার পরিচয় তো দেওয়া হলো না। আমি ময়ূর।সবাই অবশ্য আদর করে ময়ূরীকা ও বলে ডাকে।এবার আমি ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী,,, পড়াশোনায় আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো,,,,আর আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য কী তা তো তোমরা প্রথমেই জানতে পারলে,,,পৃথিবীর অন্যতম সেরা আর্টিস্ট হওয়া,এছাড়াও আমার আর একটা স্বপ্ন হলো আমার সেই কল্পনার রাজপুত্তুর কে খুঁজে বের করা।যে আমাকে পক্ষীরাজ ঘোড়ায় করে নিয়ে যাবে তার সাথে করে,, তার রাজ্যের রানী করে। বিষয়টা খুবই হাস্যেকর তাই না।এই যুগে আবার রাজপুত্তুর পাওয়া যায় নাকী,,তাও পক্ষীরাজ ঘোড়া সহ। হাহ্,,,,,,সবই আমার উদ্ভট চিন্তা। এই জন্য এটার কারোর সাথে শেয়ার করি না।সবাই ফ্রীতে মজা নিবে বলে।
যাই হোক একটু আগে যাকে দেখলেন তিনি হলেন আমাট মহান মাতৃসমতুল্য মাতা,,,, কিন্তু নিজের মা নন,,,,সৎ মা।
আমার নিজের মাতা তো অনেক আগে অক্কা পেয়েছেন,,,,তার পটল তোলার খুব শখ ছিলো কিনা,,, তাই আমাকে রেখেই আগে আাগে পটল তুলে নিয়েছে।
আচ্ছা আপনারাই বলুন তো কী এমন ক্ষতি হতো আমাকে সাথে নিলে,,,,নাকি তার পটল ক্ষেতের পটল কম পড়তো আমাকে সাথে নিলে। কিছুই বুঝি না বাপু
এসব ভাবনার মাঝেই আবারও আমার রিতা বেগমের ডাকে হুস ফিরলো ময়ূরের,,,,
" ওরে মায়ূরে তোর যে আজ আর রক্ষে নেই,,কোনো যে তুই বারবার ভাবনার জগতে হারিয়ে যাস,,,,বাচতে চাইলে এখনই দৌড়া,,না আজ খুন্তির বাড়ি একটাও নিচে পড়বে না"
এই বলেই ময়ূর দৌড় দিল,,,দৌড়াতে গিয়ে কি মনে করে আবারও ব্রেক কসলো,,, পেছন ঘুড়ে বল্লো "তোমরা এতো সহজে অধৈর্য হয়ো না আসতে আসতে আমার পুরা জগাখিচুরি লাইফ সম্পর্কে তোমাদের সব বলবো,,,আজ এই পর্যন্ত বুঝলে"।
আবারও নিচ থেকে রিতা বেগমের ডাক শোনা গেল কীরে ময়ূর মরলি নাকি এখন ও আসছিস না কেনো,,আমি উপরে আসলে তোর কিন্তু খবর আছে।
ময়ূর " আসছি মা " বলে আমার ও দিল ভৌ দৌড়,,, কারন সে বুঝেছে মন্ডলের মেয়ে আজ একটু বেশী ক্ষেপেছে।

____________________
অন্যদিকে বিশাল বড়ো মাস্টারবেড রুমে পরে পরে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে এক বলিষ্ঠ দেহের সুদর্শন যুবক,,,,খোলো পিঠে তার অদ্ভুত সব আকিঁবুকিঁতে ভরা।পিঠে তার নানা রকমের ক্ষতের চিহ্ন,,, কোথাও কোথাও তাজা রক্তের ও দেখা মিলছে,,কিন্তু সেদিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
সে তো ব্যস্ত,,,তার সুখের নিদ্রায়....
মাস্টার বেডরুমের পুরোটা জুড়ে সাদা,, লাল,, কালো আর গোল্ডেনর এক অসম্ভব সুন্দর কারুকাজে গড়া,,,দেখে মনে হবো অন্য কোনে জগত,,,সেখানে পুরোটাই রহস্য,,
সাদা রঙ দিয়ে এক পবিত্রতা,,,আবার কালো রঙে ফূটে উঠেছে অন্ধকার এক রাজ্য,,,,
লাল রঙকে আবার দেখলে মনে হবে তাজা রক্তের ছড়াছড়ি,,,,,গোল্ডেন কালার টা সব গুলো রঙের বিপরীত,,, হয়তো রুমটাকে একটু স্বাভাবিক ভাবে প্রদর্শনের ক্ষীন প্রচেষ্টা...
সব কিছু মিলিয়েই রুম সহ রুমের মালিকের মধ্যে সব কিছুই একটা অদৃশ্য রহস্যে ঘেরা...

কে জানে এই যুবকের সাথেই গিয়ে কি অদৃষ্টের মিলন হবে ময়ূরের,,,নাকি গল্পের মোড় নিবে অন্যকোথাও...........

#ময়ূরীকা
#উম্মে_হাবিবা (সুমু)
#সূচনা পর্ব

কপি না করার জন্য বিশেষ ভাবে এলার্ট করা হলো⛔
{বি.দ্র.:- লেখনির জগতে নতুন,,,জানি না কি লিখেছি,,,,,বড় বড় লেখিকাদের মতো অতো গুছিয়ে লিখতে পারি নি,,,তবুও চেষ্টা করেছি,,,,ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবা সবাই,,,আর ভালো লাগলে সাপোর্ট করো,,,,,,বাই দ্যা অয়ে সুমু রাজ্যর জগাখিচুরিতে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম 💜🍒}
হ্যাপি রিডিং

14/07/2024

নাম না জানা কিছু ফুল😌

মাফ করো আমার মিষ্টি এ ভুল,,,😊💘

14/07/2024

শুনলাম তুমি নাকি ডিস্টিং ডিস্টিং,,,😁🤭🌚🥴

Address

Khulna

Website

facebook.com

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when 𝑈𝑚𝑚𝑒 𝐻𝑎𝑏𝑖𝑏𝑎 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

𝑈𝑚𝑚𝑒 𝐻𝑎𝑏𝑖𝑏𝑎

05/06/2025

05/06/2025

04/06/2025

03/06/2025

14/07/2024

14/07/2024

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share