26/06/2025
আবদু রাজ্জাক
পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম
৯ নং ওয়ার্ড চর পাড়া
গোর কাটা মহেশখালীর কালো সম্রাট আব্দুর রাজ্জাক: অপরাধ সাম্রাজ্যের কাহিনী।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার থিমছড়ি ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে প্রতিদিনই রহস্যজনকভাবে মিয়ানমার থেকে আসছে হাজার হাজার চোরাই গরু, ইয়াবা, আইস এবং নানা রকম চোরাচালানি পণ্য। রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম করে এসব অবৈধ চালান বাংলাদেশে ঢুকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে। একই সময় বাংলাদেশ থেকেও চাল, ডাল, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছে রাখাইনে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘাত সত্ত্বেও সীমান্তপথে চোরাই পণ্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বৈধ পথে গরু আমদানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চোরাকারবারিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি রাতেই শত শত চোরাই গরু সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে; এর পাশাপাশি প্রবেশ করছে ইয়াবা, আইস, অস্ত্র এবং বিভিন্ন অবৈধ পণ্য।
এই চোরাচালানের পেছনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক আত্মঘোষিত সাংবাদিক, গডফাদার খ্যাত আব্দুর রাজ্জাক। নাইক্ষ্যংছড়ি ও থিমছড়ি এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও স*ন্ত্রা*সী গ্যাংয়ের মাধ্যমে তিনি এই অবৈধ বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। কোটি কোটি টাকা প্রতিদিন হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে, আব্দুর রাজ্জাকের ছত্রছায়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও থিমছড়ির অসাধু ব্যবসায়ী ও স*ন্ত্রা*সী গ্যাং সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, আর শহর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এই বিশাল চোরাচালান নেটওয়ার্ক।
ব্যবসায়ীরা চোরাই পথে অবৈধভাবে বিশাল আকারে ব্যবসা পরিচালনা করছে, আর তাদের এই তৎপরতায় আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে স্থানীয় স*ন্ত্রা*সী গ্যাংগুলো। অন্যদিকে গডফাদার আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে সমস্ত চোরাচালান ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের দায় সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়ে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করছে। এসব ভুয়া প্রতিবেদন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেন প্রকৃত অপরাধীরা থেকে যায় আড়ালে আর নিরীহ মানুষ হয় হেনস্তার শিকার।
আব্দুর রাজ্জাকের গড়ে তোলা শক্তিশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ সাহস করে প্রশ্ন তুললে, তাকে চুপ করিয়ে দিতে গোপনে পরিকল্পনা করা হয়। তার নিয়ন্ত্রণাধীন চিহ্নিত স*ন্ত্রা*সী গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে নিরবে হত্যা বা গুমের মতো ভয়ঙ্কর কাজ সংঘটিত হয়। এতে পুরো এলাকায় ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
আব্দুর রাজ্জাক যেন এক নিখুঁত নাটেরগুরু। প্রকাশ্যে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে সমাজের সামনে তুলে ধরলেও, গোপনে তিনি এক ভ*য়ংকর হিংস্র ও বর্বর সাইকোপ্যাথ। একবার তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় তিনি বেপরোয়া ভঙ্গিতে দাবি করেন, "আমি ইয়াবা সেবন করি না, আমাকে ইয়াবা সেবন করায়!" বাস্তবতা হলো, আব্দুর রাজ্জাক নিজে ইয়াবা সেবন না করলেও, তার স্ত্রী নিয়মিত ইয়াবা সেবন করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, তিনি নিজে তরল জাতীয় মাদকদ্রব্য (মদ) সেবনে আসক্ত। এই দুইমুখো জীবনযাপন তাকে সমাজের কাছে আরও রহস্যময় ও আতঙ্কজনক করে তুলেছে।
এই হিংস্র সাইকোপ্যাথ আব্দুর রাজ্জাক একাধারে চাঁদাবাজ, মানব পাচারকারী, পতিতা ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, ইয়াবা ও আইস ব্যবসায়ী, সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে চুরাই গরু ব্যবসায়ীর গডফাদার। এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে রয়েছে জাল নোট তৈরি ও জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগ। আব্দুর রাজ্জাকের অপরাধের বিস্তৃতি এতটাই ভয়াবহ যে, তার নাম যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। এই সাইকোপ্যাথের সিন্ডিকেট সারা দেশে এক ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বৃত্তিকে দিন দিন আরও বিস্তৃত করছে।
এসব অভিযোগের তদন্তে জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক সমাজের নানা পয়েন্টে বিভিন্ন মানুষকে ভুয়া নিউজের হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে, যাতে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে না পারে। তার এই ভয়ানক চতুরতা তাকে এক শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যেখানে ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নেয়। এমনকি তার ভুয়া সাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজির জন্য মানুষ তাকে চিহ্নিত করেছে একটি ভুয়া সাংবাদিক ও চাঁদাবাজ রিপোর্টার হিসেবে। তার এই কর্মকাণ্ড মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে খেলা করে এবং তার ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
তিনি প্রায় ৭-৮ বছর ধরে মানব পাচারের সাথে জড়িত। তার নেতৃত্বে থাকা গ্যাংটি পরিকল্পিতভাবে নিরীহ মানুষকে মালেশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে, কিন্তু তাদেরকে দীপ উপকূলীয় অঞ্চলে বেঁধে রেখে মারধর ও নির্যাতন করে। এরপর, তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে, তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এই পদ্ধতিতে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে মানবপাচারের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
তিনি দেশের ভিতরে ও বাইরে দীর্ঘদিন ধরে পতিতা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এই ব্যবসার জন্য সরাসরি তার স্ত্রীকে ব্যবহার করেন, এবং তার স্ত্রীই এই পতিতা ব্যবসার সবকিছু পরিচালনা করেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে সাইকোপ্যাথ আব্দুর রাজ্জাক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান বাহিনীর সঙ্গে গরুর বিনিময়ে অস্ত্র লেনদেন করে আসছে। এমনকি এই অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করতে তার প্রধান সহযোগী সরওয়ার জাহান-এর নেতৃত্বাধীন থিমছড়ির একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্যাংও জড়িত রয়েছে।
তিনি জাল টাকার এক অদ্ভুত কারিগর, যিনি বীরের বেশে জাল টাকা দিয়ে ইয়াবা, আইস এবং স্বর্ণ নিয়ে আসেন।
সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে আসা হাজার হাজার গরু ও মহিষ তার অধীনে থাকা সন্ত্রাসী গ্যাং দ্বারা পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়। এই অবৈধ পাচারের পেছনে তার শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাগুলোতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
যদি কেউ আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় কিংবা তার অপকর্মের প্রতিবাদ করে, তাহলে প্রকাশ্যে দেখা মেলে তার হিংস্র সাইকোপ্যাথ রূপের। শহর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মতো পরিচালিত হয় তার প্রতিশোধপর্ব। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত থামে না সে। এই সময়টাতে আব্দুর রাজ্জাক জলীয় মদ্যপানে মাতাল হয়ে পড়ে, সিগারেটের ধোঁয়ার ভেতর হারিয়ে যায় এবং নির্মম পরিকল্পনার পর পরিকল্পনা আঁটে। এক গভীর ষড়যন্ত্রকারীর মতো প্রতিপক্ষ ধ্বংসে সে লিপ্ত থাকে।
সাধারণ মানুষের দাবি;
চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা, মানবপাচার, মাদক ও পতিতা ব্যবসার মতো অপরাধে জড়িত আব্দুর রাজ্জাককে সাধারণ মানুষ একজন দেশদ্রোহী ও বাংলাদেশের কলঙ্ক বলে আখ্যায়িত করেছে।
কক্সবাজারের নাইক্ষ্যংছড়ি, থিমছড়ি এবং মিয়ানমার ঘেঁষা পুরো সীমান্তবর্তী জনপদ আজ রাজ্জাক বাহিনীর সন্ত্রাস ও দখলে আতঙ্কিত। স্থানীয় জনগণের একটাই দাবি—এই চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বাহিনীকে দ্রুত দমন করতে হবে।
চেক জালিয়াতি, নারীদের ধর্ষণ, পরিকল্পিত খুনসহ একের পর এক ঘৃণ্য অভিযোগে অভিযুক্ত সাইকোপ্যাথ আব্দুর রাজ্জাক।
এই চাঞ্চল্যকর অপরাধ জগতের মাস্টারমাইন্ডকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন আসছে আগামী পর্বে।
#সংবাদ #খবর