09/04/2025
মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে যাইয়া ডক্টর ইউনূস আজ কেঁদে ফেলেছেন সবার সামনে।
এর আগে কেঁদেছিলেন আবু সাঈদের কথা বলতে যাইয়া।
সমস্যা হলো,অন্যান্য পলিটিশিয়ানদের মতো উনি কান্না ম্যানেজ করতে পারেন না। কথা বলতে বলতে হুট করে থেমে যান। কথাই বলতে পারেন না।
মানুষের জন্য আমাদের পলিটিশিয়ানরা কখনোই কান্নাকাটি করেন নাই। উনারা কান্নাকাটি করেন নিজের পরিবারের জন্য, মেট্রোরেল বা উন্নয়নের জন্য, বড় জোর নিজের দলের কর্মীদের জন্য।
দেশ কতটা উন্নতি হয়েছে, কত মানুষ খাইতে পারতেছে, এসব বলে গর্ব করাই রাজনীতিবিদদের প্র্যাকটিস। দারিদ্র লুকাইয়া ফেলো, মানুষ মরে সাফ হয়ে যাক, নিজের সম্মান ঠিক রাখো।
এই প্রথম কোন রাষ্ট্র প্রধান বিজনেস সামিটে উইঠা চোখের পানি ফেললেন, বললেন, আমার দেশের মানুষ দরিদ্র।
আসলেই তো, এরচে সরল স্বীকারোক্তি আর কী আছে?
বাটার দোকান লুট হইছে সন্ত্রাসের জন্য না। গরীবের জন্য। রিয়েলিটি হলো, এই দেশের কমপক্ষে ৪ কোটি মানুষের দৈনিক ইনকাম ১০০ টাকার কম।
ক্যান ইউ ইমাজিন?
অথচ ইউনূসের এসবের দরকার ছিলো না।সে তো এলিট ক্লাসের মানুষ, ভালো ভালো কথা বলে নিজের ইমেজ ঠিক রাখতে পারতো। নিজের সম্মান, গাটস ঠিক রেখে শেষ করতে পারতো।
বাট উনি সেইটা করলেন না।
নিজের আত্মসম্মানবোধও এক প্রকার বিসর্জনই দিলেন বোধহয়, কোন উন্নয়নের গল্প শোনান নাই, মানুষ অনেক ভালো আছে টাইপের মিথ্যা বলেন নাই, স্বজন হারানোর বেদনা করেন নাই, খালি বলেছেন, আমার দেশের মানুষ খুব গরীব।
আমি এর আগে এই লোককে কখনোই এতো আন্তরিকতার সাথে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষকে ওউন করতে দেখিনি।
যুগে যুগে মানুষের দারিদ্র ঢেকে রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের ইমেজ রক্ষা করতেন।
এই প্রথমবারের মতো কোন রাষ্ট্রপ্রধান নিজের মানুষের দারিদ্রকে ওউন করে নিজের ইমেজ বিসর্জন দিলেন।
জুলাই শুধু আমাদের একটা প্রজন্মকেই বদলে দেয়নি, জুলাই খুব সম্ভবত ডক্টর ইউনূসকেও বদলে দিয়েছে অনেকখানি।
- সাদিকুর রহমান খান