
19/07/2025
একজন স্বামী প্রতিটা কাজে স্ত্রীর খুঁত ধরেন।
খুব সাধারণ বিষয়ে বিশ্রীভাবে বকাঝকা করেন।
এমনকি মাঝে মাঝে গায়ে হাত তোলার জন্য তেড়ে আসেন। স্ত্রীর বলা প্রতিটি কথা এবং কাজ যেন ভুলে ভর্তি। খাবার দিতে এক মিনিট দেরী হলে ক্রুদ্ধ হয়ে স্বামী চলে যান। আবার ফেরার আগেও বলেন না। কোনো রুটিন নেই। যখন-তখন ঘরে ফিরে একই ব্যবহার করেন।
ভয়ে কুঁকড়ে থাকা স্ত্রী তার সন্তানকে পড়তে বসার কথা বললেও দোষ। স্বামীর কথা, "সারাক্ষণ পড়ার কথা বলতে হবে কেন?" আবার পড়ার কথা না বললেও দোষ। "ঘরে থেকে বাচ্চাকে কেন পড়াতে পারবে না? এতো কীসের কাজ?"
বাচ্চা দুষ্টুমি করলেও স্ত্রীর দোষ। আবার চুপচাপ থাকলে-ও দোষ। শাসন করলেও দোষ। তবে স্বামী সবকিছু করতে পারবেন। স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি সম্পূর্ণ অধিকার দেখিয়ে মারতেও পারবেন। আর স্ত্রী মানেই দোষে ভরপুর একটি মানুষ। যার ভুল-ভ্রান্তি ছাড়া আরকিছুই নজরে পড়ে না। কথায় কথায় আবার ছেড়ে দেওয়ার হুমকি!
সহ্যসীমা পার করে একদিন স্ত্রী স্বে-চ্ছায় বিচ্ছেদ চাইলেন। কিন্তু, স্বামী ছাড়তে নারাজ। কপাল কুঁচকে বলেন, "সন্তানদের কী হবে? এ কেমন মা যে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চায়!"
কোমলমতি স্ত্রী এই বিষাক্ততা পুনরায় সহ্য করতে লাগলেন। কিন্তু, স্বামীর পরিবর্তন হলো না৷ তিনি ছাড়বেনও না, ধরবেনও না। আবার ভালো ব্যবহারও করবেন না। সারাক্ষণ রাগ-ক্ষোভ, বিরক্তি এবং হিংস্র আচরণ করেও চান স্ত্রী তার সাথেm lookথাকুক।
এ পৃথিবীতে এমন স্ত্রীদের অভাব নেই, যারা দিনের পর দিন একটা টক্সিক মানুষকে সহ্য করে যাচ্ছেন। তিনি জানেন মানুষটি শুধরাবে না, তবুও সন্তানের দিকে তাকিয়ে সবটুকু মেনে নেন। যেন সন্তান তার বাবাকে না হারায়। অথচ, এসব বাবারা কিন্তু কখনোই সন্তানের প্রতি টান দেখান না।
উল্লেখিত ঘটনার এই নারী বর্তমানে বাইপোলার ডিসওর্ডারে আক্রান্ত। যা নিরাময়অযোগ্য। এই নারী এখন না সুখ বুঝেন, আর না তো দুঃখ। হাসতে হাসতে কান্না করে ফেলেন, আবার কাঁদতে কাঁদতে হাসেন। রাত কাটে তার টক্সিক মূহুর্ত স্মরণ করে। নিজের জীবনের প্রতি এতোটাই বিতৃষ্ণা, বিষাদ জমেছে যে, মৃত্যুকে তার মুক্তি বলে মনে হয়।
এই ধরণের রোগীরা সুযোগ পেলে পরিশেষে মৃত্যুকেই বেছে নেয়।
দুঃখজনকভাবে অসুস্থ স্ত্রী এখন স্বামীর বোঝা। এখনো সেই আগের মতো স্বামী তার টক্সিক আচরণ ধরে রেখেছেন। তবে স্ত্রীও আগের মতো কুঁকড়ে নেই। যে কোনো মূহুর্তে স্বামীকে ছাড়তে তিনি প্রস্তুত। তবুও তাদেরকে একসাথে থাকতে হচ্ছে। পারিবারিকভাবে এই বিচ্ছেদ কখনোই সম্ভবপর নয়। স্বামীও তা চান না।
এতকিছুর পরেও স্বামীর আচরণ আর বদলায় নি। তিনি স্ত্রীকে রাখতে চান, কিন্তু ভালো ব্যবহার ও ভালোবাসা দেখাতে পারবেন না। জগতের সবকিছু দিয়ে হলেও স্ত্রীকে পাশে দেখতে চান, তবে স্ত্রীকে একটু মানসিক শান্তি দিতে পারবেন না। এমনকি এই যে তার ধরে রাখার চেষ্টা, এটাও স্ত্রীকে বুঝতে দেন না।
টক্সিক পার্সন বরাবরই ভয়ংকর এবং বিপদজনক এক অভিশাপের নাম। সময়মতো তা প্রতিহত করতে না পারলে এরা একটা মানুষকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়। অন্যকে মানসিকভাবে অত্যাচার করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে এরা নিজের সুখ-শান্তি উপড়ে ফেলতেও পিছ পা হয় না।😥😥
#সংগৃহীত