10/07/2024
🌿🌿মাসনুন শব্দের অর্থ হচ্ছে যা নবী করিম (সঃ) আমাদের শিখিয়েছেন। মাসনুন দোয়া হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে নবী কর্তৃক শেখানো দুয়া।
এক কথায়,আল্লাহ তা'য়ালা ও তাঁর রাসূল (সা:)-এর ভাষায় যেসব দুয়া বর্ণিত হয়েছে, তাকে মাসনূন দুয়া বলা হয়।
উম্মতের ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসংখ্য দয়ার মধ্যে একটি হলো, তিনি উম্মতকে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের ছোট-বড় সব প্রয়োজন পূরণে আল্লাহর কাছে কিভাবে আমরা আবেদন-নিবেদন পেশ করব তা শিখিয়েছেন। অন্যথায় আমরা হয়তো স্বীয় করণীয় কাজও ঠিক করতে পারতাম না। রাসুলুল্লাহ (সা.) পদে পদে আমাদের দুয়া করার ওপর উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রতিটি কাজে স্বতন্ত্র দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন।
দুয়ার একটি বিশেষ উপকার হলো, এর মাধ্যমে গাফিলতি ও উদাসীনতা দূর হয়। কেননা গাফিলতি তথা আল্লাহকে ভুলে থাকার কারণেই গুনাহ হয়ে থাকে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা তাঁর বেশি বেশি স্মরণ ও জিকিরের নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনে কারিমে এসেছে,
"হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো।আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো।’(সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪২)।"
উম্মতের ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসংখ্য দয়ার মধ্যে একটি হলো, তিনি উম্মতকে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের ছোট-বড় সব প্রয়োজন পূরণে আল্লাহর কাছে কিভাবে আমরা আবেদন-নিবেদন পেশ করব তা শিখিয়েছেন। অন্যথায় আমরা হয়তো স্বীয় করণীয় কাজও ঠিক করতে পারতাম না। রাসুলুল্লাহ (সা.) পদে পদে আমাদের দুয়া করার ওপর উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রতিটি কাজে স্বতন্ত্র দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন।
হাদিস শরিফে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! ইসলামের বিধানাবলি আমার কাছে বেশি মনে হচ্ছে, আপনি আমাকে এমন একটি জিনিস বলেন, যা নিয়ে আমি পড়ে থাকব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘"তোমার জবান যেন আল্লাহর জিকিরে সিক্ত থাকে।" (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৫)
প্রশ্ন হতে পারে যে আমরা তো দুনিয়ায় বিভিন্ন কাজে লিপ্ত থাকি, তখন তো জিকির করা সম্ভব হয় না।
এর জবাব হলো, এ জন্যই আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের সব কাজের আগে-পরে ও মাঝে বিভিন্ন মাসনুন (হাদিসে বর্ণিত) দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন। দুনিয়াবি কাজের মধ্যে কিভাবে সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রাখা যায় তার সর্বোত্তম নমুনা হলো সুন্নাহ বর্ণিত দুয়া। শুধু সেগুলো গুরুত্বসহ আমল করতে পারলেও সর্বদা জিকিরকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ।
দুয়া আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি মাধ্যম। কুরআনে কারিমে এসেছে, আর তোমাদের রব বলেছেন, "
তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।"(সুরা : গাফির, আয়াত : ৬০)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমার বান্দারা তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয়ই নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিই, যখন সে আমাকে ডাকে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
এমনকি ছোট-বড় সব কিছুতেই আল্লাহ তাঁর কাছে চাওয়া পছন্দ করেন। আয়েশা (রা.) বলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে সব কিছু চাও, এমনকি জুতার ফিতার প্রয়োজন হলেও, কেননা আল্লাহ তাআলা ব্যবস্থা না করলে তোমার জন্য তা সহজে ব্যবস্থা হবে না। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস : ৪৫৬০)
মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের প্রত্যেককে মাসনুন দুয়া পাঠের গুরুত্ব বুঝার ও নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। 🌿🌿
আমিন!🤲🤲🤲