Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী

  • Home
  • Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী

Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী ● Islamic Posts, Quotes, Videos and much more...
●In the name of ALLAH, The most Beneficent, The most Merciful.

23/08/2024

আজকের দিনটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
হাদীসে এসেছে, "জুমু'আর দিনে এমন একটা সময় রয়েছে, যখন দু'আ কবুল হয়। অতএব তোমরা আসরের শেষ সময়ে তা তালাস করো।" (আবু দাউদ: ১০৪৮, নাসাঈ : ১৩৮৯)
দেশের এমন বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে আসুন, আজ আমরা কমপক্ষে ১০০০ বার দুরুদ পড়ে বেশি বেশি বন্যার্তদের জন্য দুআ করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা যেন দ্রুত বৃষ্টি থামিয়ে দেন এবং চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত নষ্ট করে দেন।

21/08/2024
14/07/2024
13/07/2024

রাসূল (সঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন মানুষকে উ*ল*ঙ্গ দে*হে ও খাতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে জমায়েত করা হবে।'

একথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম,
'হে আল্লাহর রাসুল!
নারী পুরুষ সকলেই কি উ*ল*ঙ্গ হবে?
তারা কি একে অপরের প্রতি তাকাবে? (এরূপ হলে তো খুবই লজ্জার বিষয়)।'
উত্তরে তিনি বললেন, 'হে আয়েশা! কিয়ামতের দিনটি এত কঠিন ও বিপদময় হবে যে,
মানুষের মনে একে অপরের প্রতি তাকাবারও খেয়াল হবে না।’

(বুখারি-মুসলিম)

কিয়ামতের দিন
রাসূল (স:) থাকবেন সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ। পুলসিরাত, মিযানের পাল্লা,হাউসে কাউসার একসাথে ছুটাছুটি করতে থাকবেন 'ইয়া উম্মাতি'! 'ইয়া উম্মাতি'! বলে।
জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে তুলবেন কবর থেকে।

রাসূল (স:) জিজ্ঞেস করবেন,'কী ব্যাপার জিব্রাইল! আমার উম্মাত কী উঠেছে?'
ওইদিকে আবার মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরশের খুটি ধরে আছেন আর বলছেন 'ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি!'

সেদিন ইমামুল আম্বিয়ার মুখে থাকবে 'উম্মাতি! উম্মাতি!' আর, সেদিন তাঁর পায়ে থাকবে দৌড় আর মুখে থাকবে আওয়াজ!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইসি ওয়াসাল্লাম খুব অশান্ত ছোটাছুটি করছেন। হঠাৎ উনার মনে পড়ে, আমার উম্মাত ক্লান্ত, পিপাসার্ত নয়তো! ছুটে যান হাউজে কাউসারে। হ্যাঁ, এইতো পিপাসার্ত উম্মাত। নিজের হাতে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন আর বলবেন পান করো। আর কখনো তৃষ্ণার্থ হবে না।
হঠাৎ মনে হবে মিযানের সামনে দাড়ানো উম্মাতের কথা। ছুটে যাবেন সেখানে। দেখবেন উম্মাতের বাম পাল্লা ভারি হয়ে যাচ্ছে।

পেরেশান, তিনি হয়রান!!!
অতঃপর দৌড়ে যাবেন দুরূদের পিটারার সামনে। যেখানে তাঁর জন্য পড়া দুরূদ উম্মাতের নামসহ একটা বক্সের মধ্যে জমা আছে। সেখান থেকে দুরূদ নিয়ে ডান পাল্লায় দিতে থাকবেন যতক্ষণ না তা বাম পাল্লা থেকে ভারি হয়ে যায়।

মাক্বামে মাহমুদের পাশে উনার জন্য আসন পাতা থাকবে৷

আল্লাহ বলবেন۔ 'হে নবী বসুন।'
তিনি উত্তরে বলবেন, 'না বসবো না।'
আল্লাহ্ বলবেন - 'জান্নাতে যান!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, যাবো না!'
আল্লাহ্ বলবেন- 'জান্নাতের পোশাক পড়ুন!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, পড়বো না!'
আল্লাহ্ বলবেন - 'বোরাকে উঠুন!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, উঠবো না। আমি চলে গেলে উম্মাতের কী হবে?'

কিয়ামতের দিন মানুষ তার ভাই থেকে, সন্তান থেকে, পিতা-মাতা থেকে পা*লিয়ে বেড়াবে।
কিয়ামতের দিন এক রাসূল (স:) ছাড়া কেউ কাউকে চিনবেনা।

অতএব রাসূল এর সূন্নাত ও আদর্শ অনু

12/07/2024

❤️বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দুয়া❤️

بِسْمِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আ'লাল্লহ, লা-হাওলা ওয়ালা ক্যুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ : আল্লাহর নামে, আল্লাহ তাঁ'য়ালার ওপরই নির্ভর করলাম, আল্লাহ তাঁ'য়ালার সাহায্য ছাড়া বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই।

আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, “যদি কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’, তবে তাকে বলা হয় (আল্লাহ তাঁ'য়ালাই) তোমার জন্য যথেষ্ট, তুমি হেফাজত অবলম্বন করেছ (অনিষ্ট থেকে)। তাতে শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪২৬)

❤️বাড়িতে প্রবেশের সময় দুয়া❤️

بِسْمِ اللّٰهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللّٰهِ خَرَجْنَا، وَعَلَ
اللّٰهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি ওয়ালাজ্না, ওয়া বিসমিল্লাহি খরজ্না; ওয়া আ'লাল্লহি রব্বিনা তাওয়াক্কালনা।

অর্থ:আল্লাহ্‌র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্‌র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্‌র উপরই আমরা ভরসা করলাম।

আবু মালিক আল-আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কেউ নিজ ঘরে প্রবেশ করবে তখন সে যেন এই (উপরোক্ত) দুয়া বলে। অতঃপর সে যেন তার পরিবারের লোকদের সালাম দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯৬)

11/07/2024

🍁 কোন সময় কি বলা সুন্নাহ 🍁

১. কোন কিছু আরম্ভ করার পূর্বে

بِسْمِ اللَّهِ
বিসমিল্লা-হ
(আল্লাহ্‌র নামে)

২. ভবিষ্যতে কোন কিছু করার উদ্দেশ্যে

إِنْ شَاءَ اللَّهُ
ইনশা- আল্লাহু
(যদি আল্লাহ চান)

৩.আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে

اَللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার
(আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ)

৪.কোন বিস্ময়কর ভালো বিষয় দেখলে
سُبْحَانَ اللَّهِ
সুব‘হা-নাল্লা-হ’
(আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করছি)

৫.ভালো কিছু খাওয়া / শুভ সংবাদ শোনা
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আল-‘হামদু লিল্লা-হ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য)

৬.বিপদের কথা / খারাপ সংবাদ শুনলে, হারিয়ে / চুরি গেলে-

إِنَّا لِلَّهِ
ইন্না লিল্লা-হ
(নিশ্চয় আমরা আল্লাহ্‌র জন্য)

৭. প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ / ভালো যে কোন কিছু দেখলে
مَا شَاءَ ٱللَّهُ
মা-শা আল্লাহ
(আল্লাহ তায়ালা যেমন চেয়েছেন)

৮. উপকারীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশে

جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرً
জাযা-কাল্লা-হু খাইরান
(আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন)

৯. হাঁচির ক্ষেত্রে যা বলতে হবে

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আল-‘হামদু লিল্লা-হ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য)

১০. কোন হাঁচি দাতার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে-

يَرْحَمُكَ اللَّهُ
ইয়ার‘হামুকাল্লা-হ
(আল্লাহ্‌ আপনার প্রতি রহমত করুন)

১১.পাপের অনুশোচনায় বা গুনাহর কথা বললে
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
আস্তাগফিরুল্লা-হ
(আমি আল্লাহ্‌র ক্ষমা প্রার্থনা করছি)

১২. জিজ্ঞাসার জবাবে (কেমন আছো এর জবাবে)
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আল-‘হামদু লিল্লা-হ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য)

১৩.কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে-
نَعُوذُ بِاللَّهِ
না’উযু বিল্লা-হ
(আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)

১৪. প্রার্থনার শেষে
آمِينْ
আ-মিন
{(হে আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা) কবুল করুন}

১৫. উপরে উঠার সময়

اَللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার
(আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ)

১৬. নিচে নামার সময়

سُبْحَانَ اللَّهِ
সুব‘হা-নাল্লা-হ’
(আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করছি)

১৭.অনুমানে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে

وَاللَّهُ أَعْلَمُ‏
ওয়াল্লাহু আ‘লাম
(আল্লাহই বেশি জানেন)

১৮.পশু জবেহ বা নাহর করার সময়

بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার
(আল্লাহ্‌র নামে, আর আল্লাহ্‌ সবচেয়ে বড়)

১৯. কোন বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায়
اَللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার
(আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ)

২০. কারো সাথে দেখা হলে

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ

আস-সালা-মু ‘আলাইকুম ওয়া রা’হমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ
(আপনার উপর আল্লাহ্‌র শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক)


২১. শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য

أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

আ‘উযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রজীম।
(আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় গ্রহণ করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে)

💫

10/07/2024

আশুরার রোজা কবে, কীভাবে রাখবো?

❑ আশুরা বলতে কী বোঝায়?
→আশুরা শব্দটি আরবি ‘আশারাহ’ থেকে এসেছে। এর অর্থ দশ। আশুরা মানে দশম। ইসলামি পরিভাষায় মুহাররামের ১০ তারিখকে আশুরা বলে।

❑ আশুরার রোজার ফজীলতঃ
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি—তিনি (এর দ্বারা) পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।” [তিরমিজিঃ৭৫২ ; ইবনে মাজাহঃ ১৭৩৮]

❑ আশুরার রোজা রাখার সঠিক পদ্ধতি:
আশুরার রোজা তিনভাবে রাখা যায়।
✿ সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো, আশুরার আগের দিন (৯ তারিখ) ও আশুরার দিন (১০ তারিখে) রোজা রাখা।

ইবনু আব্বাস (رضى الله عنه) বর্ণনা করেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদের) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, তখন লোকেরা বললো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা বিশেষ মর্যাদা দেয় তাহলে এমন দিনে আমরা রোজা রাখবো কেনো?
তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘‘আগামী বছর এই দিন আসলে, আমরা (আশুরার দিনের সাথে) ৯ তারিখেও রোজা রাখবো إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ বর্ণনাকারী বলেন, আগামী বছর আসার আগেই রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তেকাল হয়ে যায়। [ মুসলিমঃ ২৫৫৬]

✿ কেউ চাইলে আশুরার দিন এবং এর পরের দিনও রোজা রাখতে পারেন। অর্থাৎ, মুহাররামের ১০ ও ১১ তারিখ।

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা ইহুদিদের বিরোধিতা কোরো—আশুরার আগে বা পরে আরও একদিন রোজা রাখো।’’ [মুসনাদে আহমাদঃ২১৫৪]

✿ উত্তম হলো, দুইটি রোজা রাখা। অর্থাৎ, আশুরার দিন এবং এর আগের বা পরের দিন। [ইবনুল কায়্যিম, যাদুল মা‘আদ]

10/07/2024

🌿🌿মাসনুন শব্দের অর্থ হচ্ছে যা নবী করিম (সঃ) আমাদের শিখিয়েছেন। মাসনুন দোয়া হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে নবী কর্তৃক শেখানো দুয়া।
এক কথায়,আল্লাহ তা'য়ালা ও তাঁর রাসূল (সা:)-এর ভাষায় যেসব দুয়া বর্ণিত হয়েছে, তাকে মাসনূন দুয়া বলা হয়।

উম্মতের ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসংখ্য দয়ার মধ্যে একটি হলো, তিনি উম্মতকে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের ছোট-বড় সব প্রয়োজন পূরণে আল্লাহর কাছে কিভাবে আমরা আবেদন-নিবেদন পেশ করব তা শিখিয়েছেন। অন্যথায় আমরা হয়তো স্বীয় করণীয় কাজও ঠিক করতে পারতাম না। রাসুলুল্লাহ (সা.) পদে পদে আমাদের দুয়া করার ওপর উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রতিটি কাজে স্বতন্ত্র দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন।
দুয়ার একটি বিশেষ উপকার হলো, এর মাধ্যমে গাফিলতি ও উদাসীনতা দূর হয়। কেননা গাফিলতি তথা আল্লাহকে ভুলে থাকার কারণেই গুনাহ হয়ে থাকে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা তাঁর বেশি বেশি স্মরণ ও জিকিরের নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনে কারিমে এসেছে,
"হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো।আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো।’(সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪২)।"

উম্মতের ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসংখ্য দয়ার মধ্যে একটি হলো, তিনি উম্মতকে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের ছোট-বড় সব প্রয়োজন পূরণে আল্লাহর কাছে কিভাবে আমরা আবেদন-নিবেদন পেশ করব তা শিখিয়েছেন। অন্যথায় আমরা হয়তো স্বীয় করণীয় কাজও ঠিক করতে পারতাম না। রাসুলুল্লাহ (সা.) পদে পদে আমাদের দুয়া করার ওপর উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রতিটি কাজে স্বতন্ত্র দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! ইসলামের বিধানাবলি আমার কাছে বেশি মনে হচ্ছে, আপনি আমাকে এমন একটি জিনিস বলেন, যা নিয়ে আমি পড়ে থাকব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘"তোমার জবান যেন আল্লাহর জিকিরে সিক্ত থাকে।" (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৫)

প্রশ্ন হতে পারে যে আমরা তো দুনিয়ায় বিভিন্ন কাজে লিপ্ত থাকি, তখন তো জিকির করা সম্ভব হয় না।
এর জবাব হলো, এ জন্যই আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের সব কাজের আগে-পরে ও মাঝে বিভিন্ন মাসনুন (হাদিসে বর্ণিত) দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন। দুনিয়াবি কাজের মধ্যে কিভাবে সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রাখা যায় তার সর্বোত্তম নমুনা হলো সুন্নাহ বর্ণিত দুয়া। শুধু সেগুলো গুরুত্বসহ আমল করতে পারলেও সর্বদা জিকিরকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ।

দুয়া আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি মাধ্যম। কুরআনে কারিমে এসেছে, আর তোমাদের রব বলেছেন, "
তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।"(সুরা : গাফির, আয়াত : ৬০)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমার বান্দারা তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয়ই নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিই, যখন সে আমাকে ডাকে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৬)

এমনকি ছোট-বড় সব কিছুতেই আল্লাহ তাঁর কাছে চাওয়া পছন্দ করেন। আয়েশা (রা.) বলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে সব কিছু চাও, এমনকি জুতার ফিতার প্রয়োজন হলেও, কেননা আল্লাহ তাআলা ব্যবস্থা না করলে তোমার জন্য তা সহজে ব্যবস্থা হবে না। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস : ৪৫৬০)

মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের প্রত্যেককে মাসনুন দুয়া পাঠের গুরুত্ব বুঝার ও নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। 🌿🌿
আমিন!🤲🤲🤲

10/07/2024

সকাল সন্ধ্যার আমল গুলো—

আলহামদুলিল্লাহ। ফজর ও আসর নামাযের পর বিশেষ করে এই আমল করা হয়। আমল মানে প্রতিদিন নিয়মিত পড়া। আপনি যে সব গুলা আমল করতেই হবে তা না। আপনি যতটা পারবেন আমল করবেন। তবে কোনদিন বাদ দিতে পারবেন না। ১ টাই আমল করেন সমস্যা নাই। বাট প্রতিদিন আমল করবেন।

এই আমল পিরিয়ড এর সময় ও করা যায়। নামায না পড়ে কোরআন না ছুয়ে শুধু মুখে মুখে পড়ে আমল করতে পারবেন এই সময়। (১, ১৬, ১৭ কোনভাবেই বাদ দিয়েন না)

১।আয়াতুল কুরসী( সকাল ও বিকাল ১ বার পাঠ করলে বদনজর,জিনশয়তান থেকে হেফাজতে থাকা যায়। মৃত্যুর পরেই জান্নাত লাভ হয়।)
২।৩ বার সুরা নাস, ফালাক,আর এখলাস পাঠ করলে তা সারাদিনের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট। সুরা কাফিরুন পাঠ করলে শিরক গুনাহ থেকে বেচে থাকা যায়।
৩। সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার। এটা আমল করলে জান্নাতি হোয়া যায়,। তাছাড়া নিয়মিত আমল করলে দোয়া কবুল হয়।
৪। সকালে ও বিকালে এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করা হয়ে যায়

اللّٰهُمَّ مَا أَصْبَحَ (أَمْسَى) بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ

আল্লা-হুম্মা মা আসবাহা (আমসা) বী মিন নি‘মাতিন আউ বিআহাদিন মিন খালক্বিকা ফামিনকা ওয়াহ্‌দাকা লা শারীকা লাকা, ফালাকাল হাম্‌দু ওয়ালাকাশ্ শুক্‌রু

, আবূ দাউদ ৪/৩১৮, নং ৫০৭৫;

৫। দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট হবেন

সাত বার বলবে, সকালে ও বিকালে

حَسْبِيَ اللّٰهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

হাসবিয়াল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম
আবূ দাউদ ৪/৩২১;
৬।এই দোআ পড়লে কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না

সকাল ওবিকাল তিন বার বলবে,

بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الْأَرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

বিস্‌মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আস্‌মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম

আবূ দাউদ, ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮

৭।এই দোয়া সকালে বকালে ৩ বার পড়লে কিয়ামতের দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়

رَضِيْتُ بِاللّٰهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا

রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যান

আহমাদ ৪/৩৩৭; নং ১৮৯৬৭;
৮।এই দোআ যে বাশি পড়বে তার চেয়ে কেউ উৎকৃষ্ট হবে না কিয়ামতের দিন

অন্তত একশত বার বলবে, (সকাল ও বিকাল)

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ

আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।

সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী

মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯২
৯।দশটি দাসমুক্তির অনুরূপ ও একশত সাওয়াব পাওয়ায যায়। শয়তান থেকে বেচে থাকা যায়। সকালে ও বিকালে ১০ বার অথবা (অলসতা লাগলে) ১ বার বলবে অথবা একশত বার বলবে,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
[৩] বুখারী, ৪/৯৫, নং ৩২৯৩;

১০।চিন্তা করুন সারা সকাল ইবাদাতের চেয়ে ওজনে ভারি হবে দোয়া পড়ল।

শুধু সসকালে তিনবার বলবে)

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

সুব্‌হা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি ওয়া আদাদা খালক্বিহী, ওয়া রিদা নাফসিহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী।

মুসলিম ৪/২০৯০, নং ২৭২৬।
১১।উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমলের দো'আ

তিন বার সকালবেলা বলবে,

اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا

আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফে‘আন ওয়া রিয্‌কান তাইয়্যেবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান
১২।] সকাল অথবা বিকালে যেকোন সময়ে প্রতি দিন ১০০ বার বলবে,

أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি

আমি আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা করছি

বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১০১, নং ৬৩০৭; মুসলিম ৪/২০৭৫, নং ২৭০২।
১৫।যেকোন বিষধর প্রাণীর, অথবা মানুষের ক্ষতি থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে এই দোয়া পড়লে

তিন বার বিকালবেলা বলবে,

أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা।

আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।

আহমাদ ২/২৯০, নং ৭৮৯৮;
১৬। কিয়ামতের দিন রসুলুল্লাহ (স:)এর সুপারিশ লাভ সকালে ও বিকালে দশবার বলবে,

اللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।

, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২০;
১৭। ৩৩ বার সুবাহানল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।

07/07/2024

🔗🔗পিরিয়ড চলাকালীন আমল-

১.📿সুবাহানআল্লাহ ১০০ বার
২.📿আলহামদুলিল্লাহ ১০০ বার
৩.📿লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ ১০০ বার
৪.📿আল্লাহু আকবর ১০০ বার
৫.📿আল্লাহুমা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ ১০০ বার
৬.📿আস্তাগফিরুল্লাহ ১০০ বার
৭. 📿সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম ১০০ বার
৮. 📿লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ১০০ বার
৯. 📿আল্লাহুমাগফিরলি ১০০ বার
১০.📿আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার ১০০ বার
১১.📿ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আসতাগিস ১০০০ বার
১২. 📿ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরম ১০০ বার
১৩.📿জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহু ৫০ বার
১৪. 📿আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াহ ৫০ বার
১৫. 📿আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম ৫০ বার
১৬.📿লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন ৫০ বার
১৭.📿 ইয়া হালালাল মুশকিলাত ৫০ বার
১৮.📿আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল ৫০ বার
১৯.📿ইয়া আরহামার রাহিমীন ৫০ বার
২০. 📿 সকাল ও বিকালের জিকির সমূহ
🌿🌿🌿এর থেকে বেশি বেশি আমল করার চেষ্টা করবেন আপুরা🌿🌿🌿

05/06/2024

🤲৮ জুন থেকে ১৭ জুন🤲🤲
এই ১০ দিন একটা মুহুর্ত ও অবহেলা করে কাটাবেন না। যার যা চাওয়ার চেয়ে নিন।

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল
১.অধিক পরিমাণে তাকবির পড়া
২. ৯ দিন রোজা (না পারলে অন্তত শেষের ২ দিন)
৩.আওয়াল ওয়াক্তে ৫ ওয়াক্ত নামাজ
৪.প্রতিদিন কমপক্ষে ২ রাকাআত তাহাজ্জুদ

৫.ইশরাক, চাশত, সালাতুদ দুহার নামাজ আদায় করা
৬.সামর্থ্য অনুযায়ী গোপনে দান সাদাকা
৭.যথাসম্ভব নফল নামাজ পড়া

৮.কমপক্ষে ১ পারা কুরআন তেলাওয়াত

৯.অনবরত জিকির ইস্তেগফার ,তাসবীহ ,তাহলীল, ১০.দুরুদ পড়া

১১. অধিক পরিমাণে তওবা করা

১২. অধিক পরিমাণে জিকির করা (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্,লা ইলাহা ইল্লালাহ, আল্লাহু আকবার, আস্তাগফিরুল্লহ, আল্লাহুম্মাগফিরলি, সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবেহানাল্লাহিল আজিম)

১৩. সুরা বাকারার শেষ ২আয়াত পাঠ করা রাতে ঘুমানোর আগে

১৪. সুন্নাহ অনুযায়ী সব কাজ করা।

ইনশাআল্লাহ আমরা এই সময় টা কাজে লাগাবো। সবাই সবার জন্য দোয়া করবো।

28/03/2024

এতো সুন্দর মুনাজাত “মাশাআল্লাহ”। পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামিল হাফিজাহুল্লাহের -
হে আল্লাহ! তুমি কত বুঝিয়েছো কিন্তু আমরা কেউ বুঝিনি, তুমি বাঁধা দিয়েছ কিন্তু আমরা কেউ থামিনি।
হে আমার মালিক! মাসুম বাচ্চারা যেমন অভিমান করে বাপ-মা ছেড়ে দূরে যেয়ে ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়ায় আমাদের অবস্থাও তোমার থেকে দূরে যেয়ে এমনই হয়ে গেছে যে আমরা ছন্নছাড়া হয়ে গেছি।
হে মোর মালিক! সামনে কোন রাস্তাও দেখতে পাইনা, কোন উপায়ও চোখে আসেনা। তোমার পবিত্র ঘরে একত্রিত হয়ে, তোমার সামনেই তো হাত পাতি, ভিক্ষার ঝুলি ফেলি যে তুমি আমাদের হয়ে যাও।
হে আমার মালিক! আমাদের হৃদয় এটার যোগ্য না যে তোমার ভালোবাসা লাভ করবে, কিন্তু আল্লাহ তুমি তো যোগ্য, তোমার রহমত তো যোগ্য যে আমাদের গন্ধ হৃদয়কে তুমি ধুয়ে দাও, পরিষ্কার করে দাও আর একে তোমার রহমত লাভের ব্যাপারে কবুল করে নাও, যোগ্য করে দাও।
হে মোর মালিক! ভালো হওয়ার চেষ্টা করতে করতে ধুকে গেছি। হে মাওলা, অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু যেভাবে তুমি পছন্দ করো সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারিনি।
হে আমার মালিক ! আমাদের ব্যাপারে তো জানোই আমরা তোমার নবীর যামানার কত পরে এসেছি। সেই যামানার লোকেরা তো চারপাশে কত পূন্যের, তাকওয়ার পরিবেশের মাঝে থাকতো, কিন্তু আমাদের দিকে একবার চেয়ে তো দেখ পুরো দুনিয়াতে কি চলছে, কত রকম নিত্য নতুন গুনাহ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হচ্ছে।
হে আল্লাহ! এক কদম তোমার দিকে চলি তো দশ কদম উলটো দিকে আসি। সকালে তআওবা করি সন্ধ্যায় আবার গুনাহ করি, সন্ধ্যায় তাওবা করি সকালে আবার গুনাহ করি। কিন্তু তোমার রহমতের, ক্ষমাশীলতার উচ্চতার সামনে আমাদের গুনাহ এর উচ্চতাই বা কতটুকু?
হে মালিক! কেয়ামতের দিনে যখন প্রথম দিক কার লোকেরা আসবে, ওদের কাছে তো বড় তাকওয়া থাকবে, বড় বড় আমল থাকবে, তারপর যখন আমরা এই যামানার লোকেরা আসব, আমরা তো ইয়া আল্লাহ একদম খালি হাত হবে, আমাদের ঝুলিও তো ফাঁকা থাকবে। কোথাও লুকানোরও তো জায়গা থাকবেনা যে চুপ করে লুকিয়ে পড়ব।
হে মোদের রব! আমাদের সম্বল বলতে তো কেবল তোমার রহমত আর তোমার হাবীবের ভবিষ্যদ্বানী। তিনি বলেছিলেন- “ওরাই তো আমার ভাই যারা আমাকে না দেখেই বিশ্বাস করবে, আমার উপর ঈমান আনবে”।
হে মালিক! আমরা তো দেখিনি উনাকে, আমরা পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিল হওয়াও দেখিনি। আমরা তো এই যামানায় চারিদিকে শুধু দেখে চলেছি নোংরা নোংরা নগ্ন সংস্কৃতি আর শুনে চলেছি গুনাহর আওয়াজ।
হে আল্লাহ! তোমার হাবীব তো আমাদের জন্য দু'য়া করে গেছেন। তুমি তো তাকে কথা দিয়েছিলে যে তাকে তুমি তাঁর উম্মতদের ব্যাপারে তাকে খুশী করে দিবা। আমরা তার উম্মতও আর তিনি আমাদের তাঁর ভাইও বলেছেন।
হে আল্লাহ! কিছুই নাই আমাদের কাছে, আমাদের নবী অনেক কষ্ট করে গেছেন তোমার দ্বীনের পথে, সে উছিলায় হলেও তুমি আমাদের কে ক্ষমা করে দাও।
হে মা এর থেকে বেশি ভালোবাসা স্থাপনকারী, বাপের থেকে বেশি যত্নকারী! আমাদের কাছে জান্নাতে যাবার মত একটা আমলও নাই, শুধু তোমার রহমত আর তোমার হাবীবের শাফায়াত আছে। এই দুইটা ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই নাই। আমরা ফকির, আমাদের বিবিরা ফকির, আমাদের বাচ্চারা ফকির। আমাদের আরব অনারব, কালো ফর্সা, ধনী গরীব সবাই ফকির তোমার রহমত ছাড়া।
হে আমাদের রব, আজকেই ফায়সালা করে দাও। আমাদের সকল গুনাহ মাফ না করিয়ে উঠবনা আমি।
তোমার জান্নাত তো এত বড়! কোন কোনা কাঞ্চিতে করুনা করে একটু জায়গা করে দিলে তো কেউ জানতেও পারবেনা যে আমার মত গুনাহগার সেখানে স্থান পেয়েছে।
ওহ আল্লাহ! তোমাকে চ্যালেঞ্জ করার মত কে বা আছে? তোমাকে প্রশ্নকারীই বা কে আছে তুমি আমাদের ক্ষমা করে দিলে?
হে মুহম্মদ (সাঃ) এর রব! হে মূসা কালিমুল্লাহ এর রব, হে ইব্রাহীম খালিল এর রব, হে ঈসায়ী রুহু এর রব, হে অনাথদের রব, আমাদের কারোর না কারোর অশ্রু, কারোর দু'য়ার হাত পছন্দ করে আমাদের সবার দু'য়া কবুল করে নাও।
আমাদের তো তুমিই আছো, আর সেই যামানার সবারও তো তুমিই ছিলা আর এমনিতেও তারা ছিলো অনেক বড় মুত্তাকী, কিন্তু আমাদের তো শুধুই তুমি আছো। আমীন। ইয়া রাব্বুল আলামীন।

🤲🏻

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share