Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী

  • Home
  • Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী

Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী ● Islamic Posts, Quotes, Videos and much more...
●In the name of ALLAH, The most Beneficent, The most Merciful.

23/08/2024

আজকের দিনটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
হাদীসে এসেছে, "জুমু'আর দিনে এমন একটা সময় রয়েছে, যখন দু'আ কবুল হয়। অতএব তোমরা আসরের শেষ সময়ে তা তালাস করো।" (আবু দাউদ: ১০৪৮, নাসাঈ : ১৩৮৯)
দেশের এমন বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে আসুন, আজ আমরা কমপক্ষে ১০০০ বার দুরুদ পড়ে বেশি বেশি বন্যার্তদের জন্য দুআ করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা যেন দ্রুত বৃষ্টি থামিয়ে দেন এবং চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত নষ্ট করে দেন।

21/08/2024
14/07/2024
13/07/2024

রাসূল (সঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন মানুষকে উ*ল*ঙ্গ দে*হে ও খাতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে জমায়েত করা হবে।'

একথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম,
'হে আল্লাহর রাসুল!
নারী পুরুষ সকলেই কি উ*ল*ঙ্গ হবে?
তারা কি একে অপরের প্রতি তাকাবে? (এরূপ হলে তো খুবই লজ্জার বিষয়)।'
উত্তরে তিনি বললেন, 'হে আয়েশা! কিয়ামতের দিনটি এত কঠিন ও বিপদময় হবে যে,
মানুষের মনে একে অপরের প্রতি তাকাবারও খেয়াল হবে না।’

(বুখারি-মুসলিম)

কিয়ামতের দিন
রাসূল (স:) থাকবেন সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ। পুলসিরাত, মিযানের পাল্লা,হাউসে কাউসার একসাথে ছুটাছুটি করতে থাকবেন 'ইয়া উম্মাতি'! 'ইয়া উম্মাতি'! বলে।
জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে তুলবেন কবর থেকে।

রাসূল (স:) জিজ্ঞেস করবেন,'কী ব্যাপার জিব্রাইল! আমার উম্মাত কী উঠেছে?'
ওইদিকে আবার মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরশের খুটি ধরে আছেন আর বলছেন 'ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি!'

সেদিন ইমামুল আম্বিয়ার মুখে থাকবে 'উম্মাতি! উম্মাতি!' আর, সেদিন তাঁর পায়ে থাকবে দৌড় আর মুখে থাকবে আওয়াজ!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইসি ওয়াসাল্লাম খুব অশান্ত ছোটাছুটি করছেন। হঠাৎ উনার মনে পড়ে, আমার উম্মাত ক্লান্ত, পিপাসার্ত নয়তো! ছুটে যান হাউজে কাউসারে। হ্যাঁ, এইতো পিপাসার্ত উম্মাত। নিজের হাতে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন আর বলবেন পান করো। আর কখনো তৃষ্ণার্থ হবে না।
হঠাৎ মনে হবে মিযানের সামনে দাড়ানো উম্মাতের কথা। ছুটে যাবেন সেখানে। দেখবেন উম্মাতের বাম পাল্লা ভারি হয়ে যাচ্ছে।

পেরেশান, তিনি হয়রান!!!
অতঃপর দৌড়ে যাবেন দুরূদের পিটারার সামনে। যেখানে তাঁর জন্য পড়া দুরূদ উম্মাতের নামসহ একটা বক্সের মধ্যে জমা আছে। সেখান থেকে দুরূদ নিয়ে ডান পাল্লায় দিতে থাকবেন যতক্ষণ না তা বাম পাল্লা থেকে ভারি হয়ে যায়।

মাক্বামে মাহমুদের পাশে উনার জন্য আসন পাতা থাকবে৷

আল্লাহ বলবেন۔ 'হে নবী বসুন।'
তিনি উত্তরে বলবেন, 'না বসবো না।'
আল্লাহ্ বলবেন - 'জান্নাতে যান!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, যাবো না!'
আল্লাহ্ বলবেন- 'জান্নাতের পোশাক পড়ুন!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, পড়বো না!'
আল্লাহ্ বলবেন - 'বোরাকে উঠুন!'
নবী (স:) বলবেন- 'না, উঠবো না। আমি চলে গেলে উম্মাতের কী হবে?'

কিয়ামতের দিন মানুষ তার ভাই থেকে, সন্তান থেকে, পিতা-মাতা থেকে পা*লিয়ে বেড়াবে।
কিয়ামতের দিন এক রাসূল (স:) ছাড়া কেউ কাউকে চিনবেনা।

অতএব রাসূল এর সূন্নাত ও আদর্শ অনু

12/07/2024

❤️বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দুয়া❤️

بِسْمِ اللّٰهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আ'লাল্লহ, লা-হাওলা ওয়ালা ক্যুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ : আল্লাহর নামে, আল্লাহ তাঁ'য়ালার ওপরই নির্ভর করলাম, আল্লাহ তাঁ'য়ালার সাহায্য ছাড়া বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই।

আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, “যদি কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’, তবে তাকে বলা হয় (আল্লাহ তাঁ'য়ালাই) তোমার জন্য যথেষ্ট, তুমি হেফাজত অবলম্বন করেছ (অনিষ্ট থেকে)। তাতে শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪২৬)

❤️বাড়িতে প্রবেশের সময় দুয়া❤️

بِسْمِ اللّٰهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللّٰهِ خَرَجْنَا، وَعَلَ
اللّٰهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি ওয়ালাজ্না, ওয়া বিসমিল্লাহি খরজ্না; ওয়া আ'লাল্লহি রব্বিনা তাওয়াক্কালনা।

অর্থ:আল্লাহ্‌র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্‌র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্‌র উপরই আমরা ভরসা করলাম।

আবু মালিক আল-আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কেউ নিজ ঘরে প্রবেশ করবে তখন সে যেন এই (উপরোক্ত) দুয়া বলে। অতঃপর সে যেন তার পরিবারের লোকদের সালাম দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯৬)

11/07/2024

🍁 কোন সময় কি বলা সুন্নাহ 🍁

১. কোন কিছু আরম্ভ করার পূর্বে

بِسْمِ اللَّهِ
বিসমিল্লা-হ
(আল্লাহ্‌র নামে)

২. ভবিষ্যতে কোন কিছু করার উদ্দেশ্যে

إِنْ شَاءَ اللَّهُ
ইনশা- আল্লাহু
(যদি আল্লাহ চান)

৩.আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে

اَللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার
(আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ)

৪.কোন বিস্ময়কর ভালো বিষয় দেখলে
سُبْحَانَ اللَّهِ
সুব‘হা-নাল্লা-হ’
(আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করছি)

৫.ভালো কিছু খাওয়া / শুভ সংবাদ শোনা
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আল-‘হামদু লিল্লা-হ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য)

৬.বিপদের কথা / খারাপ সংবাদ শুনলে, হারিয়ে / চুরি গেলে-

إِنَّا لِلَّهِ
ইন্না লিল্লা-হ
(নিশ্চয় আমরা আল্লাহ্‌র জন্য)

৭. প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ / ভালো যে কোন কিছু দেখলে
مَا شَاءَ ٱللَّهُ
মা-শা আল্লাহ
(আল্লাহ তায়ালা যেমন চেয়েছেন)

৮. উপকারীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশে

جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرً
জাযা-কাল্লা-হু খাইরান
(আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন)

৯. হাঁচির ক্ষেত্রে যা বলতে হবে

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আল-‘হামদু লিল্লা-হ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য)

১০. কোন হাঁচি দাতার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে-

يَرْحَمُكَ اللَّهُ
ইয়ার‘হামুকাল্লা-হ
(আল্লাহ্‌ আপনার প্রতি রহমত করুন)

১১.পাপের অনুশোচনায় বা গুনাহর কথা বললে
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
আস্তাগফিরুল্লা-হ
(আমি আল্লাহ্‌র ক্ষমা প্রার্থনা করছি)

১২. জিজ্ঞাসার জবাবে (কেমন আছো এর জবাবে)
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আল-‘হামদু লিল্লা-হ
(সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য)

১৩.কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে-
نَعُوذُ بِاللَّهِ
না’উযু বিল্লা-হ
(আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)

১৪. প্রার্থনার শেষে
آمِينْ
আ-মিন
{(হে আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা) কবুল করুন}

১৫. উপরে উঠার সময়

اَللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার
(আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ)

১৬. নিচে নামার সময়

سُبْحَانَ اللَّهِ
সুব‘হা-নাল্লা-হ’
(আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করছি)

১৭.অনুমানে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে

وَاللَّهُ أَعْلَمُ‏
ওয়াল্লাহু আ‘লাম
(আল্লাহই বেশি জানেন)

১৮.পশু জবেহ বা নাহর করার সময়

بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার
(আল্লাহ্‌র নামে, আর আল্লাহ্‌ সবচেয়ে বড়)

১৯. কোন বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায়
اَللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহু আকবার
(আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ)

২০. কারো সাথে দেখা হলে

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ

আস-সালা-মু ‘আলাইকুম ওয়া রা’হমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ
(আপনার উপর আল্লাহ্‌র শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক)


২১. শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য

أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ

আ‘উযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রজীম।
(আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় গ্রহণ করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে)

💫

10/07/2024

আশুরার রোজা কবে, কীভাবে রাখবো?

❑ আশুরা বলতে কী বোঝায়?
→আশুরা শব্দটি আরবি ‘আশারাহ’ থেকে এসেছে। এর অর্থ দশ। আশুরা মানে দশম। ইসলামি পরিভাষায় মুহাররামের ১০ তারিখকে আশুরা বলে।

❑ আশুরার রোজার ফজীলতঃ
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি—তিনি (এর দ্বারা) পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।” [তিরমিজিঃ৭৫২ ; ইবনে মাজাহঃ ১৭৩৮]

❑ আশুরার রোজা রাখার সঠিক পদ্ধতি:
আশুরার রোজা তিনভাবে রাখা যায়।
✿ সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো, আশুরার আগের দিন (৯ তারিখ) ও আশুরার দিন (১০ তারিখে) রোজা রাখা।

ইবনু আব্বাস (رضى الله عنه) বর্ণনা করেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদের) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, তখন লোকেরা বললো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা বিশেষ মর্যাদা দেয় তাহলে এমন দিনে আমরা রোজা রাখবো কেনো?
তখন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘‘আগামী বছর এই দিন আসলে, আমরা (আশুরার দিনের সাথে) ৯ তারিখেও রোজা রাখবো إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ বর্ণনাকারী বলেন, আগামী বছর আসার আগেই রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তেকাল হয়ে যায়। [ মুসলিমঃ ২৫৫৬]

✿ কেউ চাইলে আশুরার দিন এবং এর পরের দিনও রোজা রাখতে পারেন। অর্থাৎ, মুহাররামের ১০ ও ১১ তারিখ।

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা ইহুদিদের বিরোধিতা কোরো—আশুরার আগে বা পরে আরও একদিন রোজা রাখো।’’ [মুসনাদে আহমাদঃ২১৫৪]

✿ উত্তম হলো, দুইটি রোজা রাখা। অর্থাৎ, আশুরার দিন এবং এর আগের বা পরের দিন। [ইবনুল কায়্যিম, যাদুল মা‘আদ]

10/07/2024

🌿🌿মাসনুন শব্দের অর্থ হচ্ছে যা নবী করিম (সঃ) আমাদের শিখিয়েছেন। মাসনুন দোয়া হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে নবী কর্তৃক শেখানো দুয়া।
এক কথায়,আল্লাহ তা'য়ালা ও তাঁর রাসূল (সা:)-এর ভাষায় যেসব দুয়া বর্ণিত হয়েছে, তাকে মাসনূন দুয়া বলা হয়।

উম্মতের ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসংখ্য দয়ার মধ্যে একটি হলো, তিনি উম্মতকে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের ছোট-বড় সব প্রয়োজন পূরণে আল্লাহর কাছে কিভাবে আমরা আবেদন-নিবেদন পেশ করব তা শিখিয়েছেন। অন্যথায় আমরা হয়তো স্বীয় করণীয় কাজও ঠিক করতে পারতাম না। রাসুলুল্লাহ (সা.) পদে পদে আমাদের দুয়া করার ওপর উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রতিটি কাজে স্বতন্ত্র দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন।
দুয়ার একটি বিশেষ উপকার হলো, এর মাধ্যমে গাফিলতি ও উদাসীনতা দূর হয়। কেননা গাফিলতি তথা আল্লাহকে ভুলে থাকার কারণেই গুনাহ হয়ে থাকে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা তাঁর বেশি বেশি স্মরণ ও জিকিরের নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনে কারিমে এসেছে,
"হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো।আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো।’(সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪২)।"

উম্মতের ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসংখ্য দয়ার মধ্যে একটি হলো, তিনি উম্মতকে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের ছোট-বড় সব প্রয়োজন পূরণে আল্লাহর কাছে কিভাবে আমরা আবেদন-নিবেদন পেশ করব তা শিখিয়েছেন। অন্যথায় আমরা হয়তো স্বীয় করণীয় কাজও ঠিক করতে পারতাম না। রাসুলুল্লাহ (সা.) পদে পদে আমাদের দুয়া করার ওপর উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং প্রতিটি কাজে স্বতন্ত্র দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! ইসলামের বিধানাবলি আমার কাছে বেশি মনে হচ্ছে, আপনি আমাকে এমন একটি জিনিস বলেন, যা নিয়ে আমি পড়ে থাকব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘"তোমার জবান যেন আল্লাহর জিকিরে সিক্ত থাকে।" (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৫)

প্রশ্ন হতে পারে যে আমরা তো দুনিয়ায় বিভিন্ন কাজে লিপ্ত থাকি, তখন তো জিকির করা সম্ভব হয় না।
এর জবাব হলো, এ জন্যই আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের সব কাজের আগে-পরে ও মাঝে বিভিন্ন মাসনুন (হাদিসে বর্ণিত) দুয়া শিক্ষা দিয়েছেন। দুনিয়াবি কাজের মধ্যে কিভাবে সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রাখা যায় তার সর্বোত্তম নমুনা হলো সুন্নাহ বর্ণিত দুয়া। শুধু সেগুলো গুরুত্বসহ আমল করতে পারলেও সর্বদা জিকিরকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ।

দুয়া আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি মাধ্যম। কুরআনে কারিমে এসেছে, আর তোমাদের রব বলেছেন, "
তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।"(সুরা : গাফির, আয়াত : ৬০)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমার বান্দারা তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয়ই নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিই, যখন সে আমাকে ডাকে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৬)

এমনকি ছোট-বড় সব কিছুতেই আল্লাহ তাঁর কাছে চাওয়া পছন্দ করেন। আয়েশা (রা.) বলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে সব কিছু চাও, এমনকি জুতার ফিতার প্রয়োজন হলেও, কেননা আল্লাহ তাআলা ব্যবস্থা না করলে তোমার জন্য তা সহজে ব্যবস্থা হবে না। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস : ৪৫৬০)

মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের প্রত্যেককে মাসনুন দুয়া পাঠের গুরুত্ব বুঝার ও নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। 🌿🌿
আমিন!🤲🤲🤲

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayaat আয়াত - আল্লাহর বাণী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share