21/07/2025
১৯৬৬ সালের একটি চাইনিজ রেপ্লিকা প্লেন দিয়ে আপনি কি এখনো প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবেন?
এই প্রশ্ন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কারণ আজকের প্রাণহানির দায় আপনি এড়াতে পারেন না।
৯ মে, ২০২৪ স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ একটি ট্রেনিং মিশনে প্রাণ হারান। প্লেনটি যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয়। তিনি শেষ মুহূর্তে জনবহুল এলাকা থেকে প্লেনটি সরিয়ে বড় ক্ষতি ঠেকিয়েছিলেন।
কিন্তু আজ, স্কোয়াড্রন লিডার তাওকির ইসলাম সাগর আরেকটি ভাঙারি বিমানের যান্ত্রিক ব্যর্থতায় প্রাণ দিলেন।
প্রশ্ন একটাই: কতজন মরলে আপনি বুঝবেন এসব প্লেন আর “ট্রেনিং” উপযোগী নয়?
একটি রাষ্ট্র যখন নিজের ব্রিলিয়ান্ট পাইলটদের পরীক্ষার নামে মেরে ফেলে, সেটা আর দুর্ঘটনা নয় সেটা অবহেলা। সেটা অপরাধ।
বাংলাদেশের আকাশে এখনো সত্তরের দশকের প্লেন উড়ছে, যেগুলো আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে তো নয়ই, প্রশিক্ষণের জন্যও উপযুক্ত নয়। এই প্লেনগুলো পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো ৩০ বছর আগেই রিসাইক্লিং কারখানায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশের একজন পাইলটের জীবন কি এতটাই সস্তা?
আপনি যদি নিজের সেনাবাহিনী, এয়ারফোর্সের ভবিষ্যৎ নিয়েই উদাসীন থাকেন, তাহলে কার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন?
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সেরা মেধাবীদের হাতে যখন আপনি ভাঙারি প্লেন তুলে দেন, তখন আপনি শুধু তাদের ঝুঁকির মুখে ফেলছেন না দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছেন ভিতর থেকে।
দায় কার? নেতারা? মন্ত্রণালয়? প্রতিরক্ষা বাজেটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা? যারা উন্নয়নের নামে বাস্তব নিরাপত্তার কাজ ফাইলেই রেখে দেন?
আজও আমরা জানি, আপনারা হাসপাতালে যাবেন।
কিছু সহানুভূতি, ক্যামেরার সামনে দু-একটা কথা, পরিবারকে সামান্য টাকা তারপর সব আগের মতো চলবে।
নতুন করে “টেন্ডার” হবে পুরোনো প্লেনের জন্য।
নাম হবে "আধুনিকায়ন", কিন্তু আসলে হবে আরও কয়েকটি জীবন ঝুঁকিতে ফেলা।
এই মৃত্যুগুলোর দায় কোনো “মেইনটেন্যান্স টিম” বা "মরিচা ধরা যন্ত্রাংশের" নয় এই দায় আপনার, যিনি সিদ্ধান্ত নেন, বাজেট দেন, তদারকি করেন, আর প্রতিবার চুপ থাকেন।
এবার চুপ থাকবেন না। এবার প্রশ্ন তুলুন।
আরও একটি প্রাণ হারানোর আগেই এবার ব্যবস্থা নিন।
-Military Freaks
.