16/03/2025
আবরার ফাহাদ, শহীদ হৃদয় চন্দ্র তাড়ুয়ারা মরে গেলেও প্রতিবাদ এর কারনে অমর। তারা বীর💞
ইন্ডিয়া মানবতার ফেরিওয়ালা,,, তাই আমাদের পানিতে চুবিয়ে মারে,, স্বপ্ন শেষ,,,
আওয়ামী পন্থি তথাকথিত সংখ্যালঘুরা কি এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না এখন সবাই চুপ কেনো?? ফেনি আর কুমিল্লা মিলিয়ে তো শুধু ৩ লাখ ৩৫ হাজার হিন্দুই বসবাস করে তাদের গায় কি বন্যার পানি লাগছেনা!বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বরাবর আওয়ামীলীগের ঢাল হয়ে এসেছে।। এদেরকে প্রতিবার আওয়ামীলীগ ব্যবহার করে এসেছে। বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। দেশে এতবছর কি কেউ নির্যাতনের স্বীকার হয়নি। দূঃখের বিষয় হল এখনো বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় আওয়ামীলীগের পিছু ছাড়তে পারেনি। তারা নিজেদের ভারতের চাটুকার বানিয়ে ফেলেছে । তাদের দেহ বাংলাদেশে ঠিকই কিন্তু মন পড়ে থাকে ভারতে।তারা নিজেদের দাশ বানিয়ে ফেলেছ । প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে কিন্তু তথাকথিত ভারত প্রীতী ও আওয়ামী তোষন তাদের যায়নি।আওয়ামীলীগ এমন কোন স্হান নেই যেখানে দলীয়করন বাদ দেয়নি। এতদিন ইসলামী দলগুলোর উপর যে নির্যাতন হয়েছে তা কেবল মাত্র ভারতের ইন্ধনে হয়েছে। এসব কথা সত্য। কিন্তু আমাদের হিন্দু সমাজ এসব মানবে না। কলকাতার মিডিয়া ক্রমাগত যে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে তা নিয়ে এদেশের হিন্দু সমাজের কোন মাথাব্যথা নেই। আমাদের একশ্রেণীর আলেম সমাজ ও একী দোশে দুষ্ট। তারা এখনো পাকিস্তান প্রীতি ভূলতে পারে নি। এখন সময় এসেছে নতুন সমাজ ও রাস্ট্র ব্যবস্হা গড়ে তোলার। এ অভ্যুথ্থান সমাজে বিদ্যমান বিসৃঙ্খলা, অনিয়ম, অত্যাচার ও দূর্নীতির জন্য হয়েছে। এখনো যদি সেই একই অবস্থা বিরাজ করে এটি হবে রাষ্ট্রের ব্যার্থতা।
নতুনদের যে বিজয় নিশান আমরা দেখতে পেয়েছি তা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপহার। এ অর্জন কোন সাম্প্রদায়িক অহিংসার কারনে বিসর্জন দিতে পারি না। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়কে আগে সাম্প্রদায়িকতার চাদর থেকে বের হয়ে আসতে হবে। "
"Save Bangladeshi Hindu"
আপনারা( নিরপেক্ষ+ বিএনপি পন্থি সংখ্যালঘু ও সনাতনধর্মাবলম্বীরা বাদে) তো আমাদের বাংলাদেশের মুসলমান দের কটাক্ষ করে বলেন জাত ভাইরা গোয়া মারলেও ভালো লাগে 😷💯
এই মাঝরাতে ত্রিপুরার ডুম্বুর গেইট খুলে দিছে ভারত, যেটা শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে।
রাতের বেলা কেনো বাঁধ খুলে দিতে হয়? দিনের বেলা জানিয়ে, সময় দিয়ে এটা করা যেতো না? তারপর আবার জিজ্ঞেস করবেন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারতবিদ্বেষ কেনো?
মরহুম মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ঠিকই বলেছিলন!!
প্রতি'টা ইউনিয়নে যত স্কুল ও কলেজ আছে নিচে আশ্রয়কেন্দ্র ও উপরে মানুষ থাকা সহ অতি দ্রুত স্থান করে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান কমিটি ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক'কে অনুরোধ করছি ।
তা হলে যাদের বাড়িতে বা ঘরে পানি উঠেছে ওনারা থাকার ব্যবস্থা হবে।
ভারতের কি কোন দোষ নেই?
অনেকে বলছে, যে বাঁধ না খুললে ভারতের ত্রিপুরা ডুবে যেতো, তারা বাধ্য হয়ে ছেড়েছে। পরে বাঁধ অটো ভেঙেই যেতো। তখন আরো বেশী ক্ষতি হত। তাই এখানে আসলে ভারতের দোষ নেই। চলুন এই কথাটার ফাঁকটা বুঝার চেষ্টা করি একটু।
নদী চলবে নদীর মত। এতে তারা বাঁধ দিল কেনো শুরুতেই? কারণ তারা বাংলাদেশকে পানি বঞ্চিত করে রেখেছিল এতদিন। নদীকে নদীর মত চলতে দিলে, নদীর গভীরতা এবং প্রশস্ততা ঠিক থাকতো। হঠাৎ বেশী পানি আসলেও নদী তা সহ্য করতে পারতো। পানি সহজে সমুদ্রে পৌছতো।
কিন্তু বাঁধ দেয়ার কারণে, বাংলাদেশের নদীগুলো শুঁকিয়ে খালের মত হয়ে গিয়োছে। পলি জমে অগভীর হয়ে গিয়েছে, জায়গায় জায়গায় চর জন্মেছে। এখন হঠাৎ পানি ছেড়ে দিলে এই অগভীর এবং চিকন নদীগুলো সেই পানি ধারণ করতে না পেরে আশেপাশের সব ডুবিয়ে দেয়। এবার বুঝেছেন আসল কাহিনী?
কোন লোক এখন ভারতের সাফই গাইতে আসলে, বা কোন ধানাই পানই করলে, যেমন ভারতের তো উপায় ছিল না, তাই বাধ্য হয়ে বাঁধ ছেড়েছে, ওরে চটকনা মেরে বলবেন, তাহলে বাঁধটা শুরুতে দিয়েছিল কেনো?
#বাংলাদেশের_জন্য_ক্ষতিকর_ভারতের_বাঁধ
এক নজরে জেনে নিন, বাংলাদেশের উজানে ভারতের বাঁধসমূহ এবং সেগুলোর অবস্থান ও প্রভাব:
১. ফারাক্কা বাঁধ/ব্যারেজ:
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, গঙ্গা নদী
প্রভাব: পদ্মা নদীতে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বর্ষাকালে বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটের কারণ হয়। রাজশাহী, কুষ্টিয়া, এবং মেহেরপুর জেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২. টিপাইমুখ বাঁধ
অবস্থান: মণিপুর, বরাক নদী
প্রভাব: সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে, যা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ব্যাপক ক্ষতি করে। এছাড়াও, নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
৩. গজলডোবা বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, তিস্তা নদী
প্রভাব: তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা রংপুর, লালমনিরহাট, এবং কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা সৃষ্টি করে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটের কারণ হয়।
৪. ধুবরী বাঁধ
অবস্থান: আসাম, ব্রহ্মপুত্র নদী
প্রভাব: ব্রহ্মপুত্র নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা ময়মনসিংহ এবং জামালপুর জেলায় তীব্র বন্যা সৃষ্টি করে।
৫. পোখরা বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, মহানন্দা নদী
প্রভাব: মহানন্দা নদীতে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে, যা পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় ব্যাপক ক্ষতি করে।
৬. করণফুলী বাঁধ
অবস্থান: ত্রিপুরা, কর্ণফুলী নদী
প্রভাব: চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্ণফুলী নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. কংসাবতি বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, কংসাবতি নদী
প্রভাব: বাঁধটি কংসাবতি নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার কারণ হতে পারে।
৮. বড়দা বাঁধ
অবস্থান: গুজরাট, বড়দা নদী
প্রভাব: বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
৯. শোন নদীর বাঁধ
অবস্থান: বিহার, শোন নদী
প্রভাব: শোন নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণ হতে পারে।
১০. জালঢাকা বাঁধ
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গ, জালঢাকা নদী
প্রভাব: জালঢাকা নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বাড়ায় এবং কৃষি জমির ক্ষতি করে।
১১. টেহরি বাঁধ :
এই বাঁধ গঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত, যা শেরপুর, জামালপুর, এবং ময়মনসিংহ জেলার ওপর প্রভাব ফেলে। বর্ষাকালে বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে এই জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১২. ইন্দিরা সাগর বাঁধ :
নর্মদা নদীর ওপর নির্মিত এই বাঁধ থেকে ছেড়ে দেওয়া পানি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নীলফামারী, দিনাজপুর, এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় বন্যার সৃষ্টি করতে পারে।
১৩. আলমাটি বাঁধ :
কৃষ্ণা নদীর ওপর অবস্থিত এই বাঁধ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা, এবং যশোর জেলার নদীগুলোর পানির প্রবাহে প্রভাব ফেলে, যা বর্ষাকালে বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
১৪. উকাই বাঁধ :
তাপি নদীর ওপর নির্মিত উকাই বাঁধের প্রভাব বাংলাদেশে পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় পড়ে। এই বাঁধ থেকে ছেড়ে দেওয়া অতিরিক্ত পানি তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যা বন্যার কারণ হতে পারে।
▪️পুনশ্চ:
জলবণ্টন এবং বাঁধ ব্যবস্থাপনা একটি আন্তর্দেশীয় ইস্যু, যা আন্তর্জাতিক আইন এবং ন্যায্যতার ওপর নির্ভরশীল। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তির মতো কিছু চুক্তি থাকলেও, ভারতের বাঁধগুলোর অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে যে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়, তা এই চুক্তির লঙ্ঘন। এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, কারণ এর ফলে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়।
এই অবস্থার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানো এখন সময়ের দাবী।
প্রথমত, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাদের সরকারকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে এবং এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য একটি কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, এই সমস্যা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
সর্বোপরি এখন সময় এসেছে, পররাষ্ট্রনীতির আংশিক পরিবর্তন ও পরিমার্জনের!
আর সকলের সাথে বন্ধুত্ব নয়; বরং বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব এবং শত্রুদের সাথে শত্রুতা বা এড়িয়ে চলাই আমাদের নীতি হওয়া উচিত।।