03/11/2024
মসজিদে হারামে মাগরিবের আযান হচ্ছিল। আমি তখন হারাম শরীফের ছাদে। কোনমতে দৌড়ে গেলাম অজু করতে। যাতে ভিড় থেকে বাঁচতে পারি। আমি অজু করছি পাশে নূরানী চেহারার এক আরব শায়েখ আযানের জবাব দিচ্ছিলেন। আমার অজু শেষ। এদিকে আযানও শেষ। আমি চলে আসছিলাম। এমন সময় ঐ শায়েখ ডেকে বললেন, ইয়া ওয়ালাদা! (হে বৎস!) তুমি আরবি বুঝো? আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। এরপর বললেন, তোমাকে তো দেখে মনে হচ্ছে ইলমওয়ালা। তা তুমি কি পারলে আযানের জবাব না দিয়ে অজু করতে? তুমি কি জানো না নবীজি ﷺ বলেছেন- ''তোমরা আযান শুনতে পেলে আযানের জবাব দিবে। অর্থাৎ মুয়াজ্জিন যেরূপ বলে তোমরাও তদ্রূপ বলবে। তারপর আমার উপর দরূদ পাঠ করবে। কেননা কেউ আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করলে আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন... এবং ঐ ব্যক্তির জন্য কিয়ামতের আমার শাফায়াত অবধারিত!
[ সহিহ মুসলিম: ৩৮৪; আবু দাউদ: ৫২৩; তিরমিযি: ৩৬১৪]
তুমি এ হাদিস শুনোনি? আমি লজ্জিত স্বরে বললাম জী জনাব, এ হাদীস শুনেছি। কিন্তু....
শোনো ছেলে!
তুমি চাইলে এখন অজু করতে পারতে। কিন্তু তুমি কি পারবে এখন আযানের জবাব দিতে? পারবে না। তার মানে তুমি নবীজি ﷺ এর শাফায়াত পাওয়ার একটা সম্ভাবনা হারিয়ে ফেললে! (এ কথাটা শুনে কলিজাটা মুচড় দিয়ে উঠেছিল)। আমাদের সব আমল রবের কাছে কবুল হয় না। কিছু কিছু হয়। হয়তো আজকের আযানের জবাবটা আল্লাহ কবুল করে নিতেন!
আমার কিছু বলার ভাষা ছিলো না। শুধু বললাম, শায়েখ! আমি আর কখনো এই আমল ছাড়ব না ইনশাআল্লাহ! আমার জন্য দু'আ করবেন।
এখন আযান শুনলেই ঐ ঘটনা মনে পড়ে....
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আমলটি করার তৌফিক দিক।আমিন
সংগৃহীত।