14/07/2025
নিজের ইচ্ছায় সে এই পৃথিবীতে আসেনি।
একটা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া মেয়ে, আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে বলছিল—
মেয়েটা বলছিলো আদালতে দাড়িয়ে
"আমার জন্ম আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার বাবা-মা তাদের জৈবিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমাকে পৃথিবীতে এনেছেন।"
এ যেন নিজের অস্তিত্ব নিয়েই বাবা-মাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।
অপর পাশে, আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তার কর্মজীবী মা-বাবা।
নিরব, মাথা নিচু, একবারও মেয়ের মুখের দিকে তাকানোর সাহস করেননি।
মেয়ের এমন অভিযোগ শুনে আদালতে উপস্থিত সবার হৃদয় কেঁপে উঠলেও, তারা ছিলেন নিঃশব্দ।
মেয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে তার আইনজীবী বললেন—
"সে চায় আমেরিকায় গিয়ে পড়তে। কিন্তু তার মা-বাবার সেই সক্ষমতা নেই।"
বিচারক কথা বলার সুযোগ দিলেও মা-বাবা কোনো কথা বলেননি।
নিরবে মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেলেন।
এই তবে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রতিদান?
কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
এই মেয়ে শুধু অভিযোগ করেই থেমে থাকেনি। তার চাহনি, ভাষা, শরীরী ভাষা— সব কিছুতেই ফুটে উঠেছে এক ধরনের ঔদ্ধত্য বা ডেমকেয়ার মনভাব। এক ধরনের অবমাননাকর মনোভাব।
সে যেন বাবা-মা নয়, একজন অপরাধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে!
শুধু ফ্লুয়েন্ট ইংরেজিতে কথা বললেই কি শিক্ষিত হওয়া যায়?
এই মেয়ের ব্যবহার, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, সব কিছু দেখে প্রশ্ন জাগে—
এটা কি শিক্ষার ফল, নাকি এক বিকৃত উচ্চবিলাসের বহিঃপ্রকাশ?
এ ধরনের নোংরা মনমানসিকতা সমাজে, শিক্ষায় এবং পরিবারে বিষ ছড়ায়। তারা নিজের অর্জনের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে আঘাত করে মা-বাবার আত্মমর্যাদায়। নিজের জন্মকে যে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকা শ্রেয় মনে করি।
শিক্ষা তাকে মানবিকতা শেখাতে ব্যর্থ হলো কেনো?
সমাজ তাকে নৈতিকতা দিতে ব্যর্থ হলো কেন?
পরিবার তাকে শিষ্টাচার, ভদ্রতা, মূল্যবোধ, নমনীয়তা ও ধর্মীয় রীতিনীতি শেখাতে ব্যর্থ হলো কেনো?
এই মেয়ে যদি এই সমাজের “সুশিক্ষিত” প্রতিনিধি হয়, তবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে? ভবিষ্যত প্রজন্মইবা কোথায় দাঁড়াবে?
পরিবার ছোট থেকে সন্তান কে মিস গাইড করলে ও প্রশ্রয় দিলে এর প্রভাব পরবর্তীতে ১০০% পড়বেই। পোশাক, কথা বলার ধরন, বডি লেংগুয়েজ অবশ্যই মানুষের ব্যাক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ। ক্লাস আর টাকা আর দুই চারটে ইংরেজিতে কথা বলা এক বিষয় নয়।
সময় থাকতে সন্তানের দিকে নজর দিন সন্তান কে ধর্ম শিক্ষা দিন, নৈতিকতা শিখান, সন্তান কে অভাব ও শিখান মাঝে মাঝে।🙏🙏🙏