02/11/2024
তজুমদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভ
তজুমদ্দিন উপজেলায় সম্প্রতি ২৯/১০/২৪ ইং তারিখে রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। আজ ৩০/১০/২৪ ইং সন্ধ্যার সময় সদ্য গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তজুমদ্দিন উপজেলার সচেতন জনগণ।বিক্ষোভ মিছিলের শেষে এই কমিটি পূর্ণ গঠনের দাবিতে প্রেসক্লাবে একটি স্মারকলিপি জমা দেন এলাকার সচেতন জনগণ, বিশেষ করে তজুমদ্দিন উপজেলার বিএনপি-সমর্থিত সাধারণ জনতা, কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাদের বক্তব্যে জানানো হয় যে, রফিকুল ইসলাম সাদী অতীতে স্বৈরাচারী আমলে মিথ্যা রিপোর্ট ও হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। জনতার দাবি, রফিকুল ইসলামসহ যারা হলুদ সাংবাদিকতার সাথে জড়িত, তাদের এই কমিটি থেকে অবিলম্বে অপসারণ করা হোক।
আন্দোলনকৃত জনতার সম্মুখে তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু সাধারণ জনগণের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং একটি সুশৃঙ্খল ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে পুনর্গঠনের মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজাদ হোসেন রাসেল, ছাত্রদল ও স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতার প্রভাব
সাংবাদিকতার মূল আদর্শ হলো সমাজের জন্য সত্য প্রকাশ করা এবং জনসাধারণের সামনে নিরপেক্ষভাবে তথ্য তুলে ধরা। তবে, ১৯ শতকের শেষের দিকে আমেরিকায় হলুদ সাংবাদিকতার উদ্ভব ঘটে, যা মূলত পাঠক আকৃষ্ট করার জন্য তথ্যের অতিরঞ্জন, চটকদার শিরোনাম, এবং সংবেদনশীল বিষয়গুলিকে কল্পনার মিশ্রণে প্রকাশ করত। এমন প্রতিবেদনের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, যা সাংবাদিকতার স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করে। সাধারণ জনগণের মতে, রিপোর্টার্স ইউনিটির মতো সংগঠনের নেতৃত্বে হলুদ সাংবাদিকতার প্রভাবমুক্ত ব্যক্তিদের রাখা উচিত।
পুনর্গঠনের দাবি
সাধারণ জনগণ তজুমদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এমন সাংবাদিকদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন, যারা প্রকৃত অর্থে সমাজের জন্য কাজ করবেন এবং হলুদ সাংবাদিকতার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবেন।