02/01/2025
ভূতের নতুন চাকরি
গোলাপগঞ্জ গ্রামে একটা ভুতুড়ে বাড়ি ছিল। কেউ ওদিক দিয়ে যেতে সাহস করত না। লোকমুখে শোনা যেত, বাড়িটা এক ভূতের দখলে। সে নাকি রাতে বাড়ির চারপাশে ঘুরে বেড়ায় আর "উঁহু উঁহু" করে শব্দ করে।
একদিন, গ্রামের বেকার যুবক পিন্টু ভাবল, "ভূতের ভয় পেয়ে লাভ নেই। বরং ভূতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করি। আমারও চাকরি নেই, ভূতেরও তো কোনো কাজ নেই। একসঙ্গে কিছু করা যাক।"
রাতে পিন্টু লাঠি হাতে ভূতের বাড়িতে গেল। ভয় না পেয়ে জোরে বলল, "ভাই ভূত, শুনছো? আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।"
হঠাৎ করে একটা হালকা আলো জ্বলে উঠল। একটা ছায়া সামনে এসে বলল, "তুই কে? আমাকে ভয় পেলি না?"
পিন্টু সাহস করে বলল, "আমি পিন্টু। আরে ভাই, তোমার মতো আমিও বেকার। তাই ভাবলাম, আমরা দুজন মিলে কিছু ব্যবসা করি।"
ভূত হতভম্ব। সে বলল, "ব্যবসা? আমি ভূত হয়ে ব্যবসা করব?"
পিন্টু বলল, "হ্যাঁ, কেন নয়? গ্রামে সবাই তোমাকে ভয় পায়। তুমি যদি ভয় দেখানোর টিকিট বিক্রি করো, তবে রোজগার হবে। আমি টিকিট বিক্রি করব, আর তুমি ভয় দেখাবে।"
ভূত হেসে বলল, "তুই আসলেই বুদ্ধিমান। ঠিক আছে, শুরু কর!"
পরের দিন থেকে বাড়ির সামনে একটা বোর্ড টাঙানো হলো:
"বিশ্বের প্রথম ভূতের ভৌতিক শো! টিকিট ১০ টাকা!"
গ্রামের লোকজন ভূত দেখতে ভিড় জমাতে লাগল। ভূত একদিকে ভয় দেখায়, আর পিন্টু সবার কাছ থেকে টাকা তোলে। ব্যবসা জমে গেল।
কিছুদিন পর, গ্রামের লোকেরা বুঝতে পারল, ভূত আসলে মোটেই ভয়ানক নয়। সে শুধু "উঁহু উঁহু" করে মজা করে। এখন ভূত-ভীতির বদলে "ভূত কাকা" নামে জনপ্রিয় হয়ে গেল।
পিন্টু আর ভূত মিলে ব্যবসা বাড়াতে চা আর ভৌতিক পকোড়ার দোকানও খুলল। আর ভূত সবসময় বলত, "মানুষ ভয় পেলে ভূত ভয়ানক, আর হাসলে ভূত বন্ধু!"