12/06/2025
যেনে নিন, পুরুষরা যে কারণে সফল হন
থাইল্যান্ডের এক কুমির খামারে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বার্ষিক পিকনিক চলছিল। আয়োজন ছিল রাজকীয়—চমৎকার খাবার, হালকা সঙ্গীত, হাসি-আনন্দে মুখরিত চারপাশ। সবাই মেতে উঠেছিল নির্ভার মুহূর্তে, কোলাহলে হারিয়ে যাচ্ছিল ব্যস্ত কর্পোরেট জীবনের ক্লান্তি।
এই সময়, অনুষ্ঠানের মধ্যমণি, কোম্পানির এমডি এক অপ্রত্যাশিত ঘোষণা দিয়ে সবাইকে থমকে দিলেন। তিনি বলেন,
“এই কুমিরে ভরা পুকুরটি যদি কেউ জীবিত অবস্থায় সাঁতরে পার হতে পারে, তাকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ মিলিয়ন ডলার! আর যদি সে প্রাণ হারায়, তাহলে তার পরিবার পাবে ২ মিলিয়ন।”
প্রথমে সবাই ভেবেছিল, নিশ্চয়ই রসিকতা করছেন। কিন্তু এমডির মুখ ছিল গম্ভীর। পুকুরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই হঠাৎ চুপ হয়ে গেল। কেউ ঝুঁকি নিতে রাজি নয়—জীবন তো একটাই। সাহসী হওয়া আর বোকামির মধ্যে যে সূক্ষ্ম এক ফারাক থাকে, সেটাই যেন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল।
হঠাৎই, সবার চোখের সামনে ঘটল অবিশ্বাস্য এক ঘটনা!
একজন কর্মচারী হুট করে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল! মুহূর্তেই চারপাশ জেগে উঠল চিৎকার আর আতঙ্কে। সবাই তাকিয়ে রইল নিঃশ্বাস আটকে—এই বুঝি কুমিরের ছোবলে শেষ হয়ে যাবে সাহসী সেই প্রাণ।
কিন্তু বিস্ময়ের আরেক দিগন্ত তখন অপেক্ষা করছিল। লোকটি প্রাণপণে সাঁতরে চলেছে, কুমিরগুলো যেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে অন্য পাড়ে পৌঁছে গেল—জীবিত, অবিচল এবং বিজয়ী!
চারদিক ফেটে পড়ল উল্লাসে।
এমডি নিজ হাতে তার হাতে তুলে দিলেন ৫ মিলিয়ন ডলারের একটি চেক। সহকর্মীরা ঘিরে ধরল প্রশংসা আর অভিনন্দনের জোয়ারে।
কিন্তু সেই ‘সাহসী’ মানুষটি তখনো দিশেহারা, ভিজে কাপড় আর কাঁপা কণ্ঠে একটাই কথা বলল,
“আমি শুধু জানতে চাই, আমাকে পেছন থেকে কে ধাক্কা দিলো?”
এক মুহূর্তের নিস্তব্ধতা। তারপর হেসে ফেলল সবাই, কারণ সত্যিটা আর গোপন রইল না—তার স্ত্রী-ই তাকে ঠেলে দিয়েছিল কুমিরভরা পুকুরে!
আর সেদিনই যেন সত্য প্রমাণিত হলো সেই চিরন্তন প্রবাদবাক্যটি—
“প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর হাত থাকে।”