Tales Of Lina (2025)

17/10/2025

Nature......... 🌿

16/10/2025

At the end It's always ME, Only Me.........🌿🌿.

15/10/2025

Create your own happiness......... 🦋🌿

📌 লকমা জমিদার বাড়ি, জয়পুরহাট।।

14/10/2025

ঝর্নার গান......

13/10/2025

Life gives you one ticket.
Make the ride unforgettable......🦋🦋

📌 খৈয়াছরা ঝর্না, সীতাকুণ্ড।।

09/10/2025

"Life Hurts, Nature Heals".........

📌 গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ড।

08/10/2025

And miles to go before I sleep,
And miles to go before I sleep........🦋

📌 রুপসী ঝর্না, মিরসরাই।।।

07/10/2025

Treat thyself, Love thyself, Gift thyself.........🦋

📌 বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, মানিকগঞ্জ।

05/10/2025

এবারের ভ্রমণটা ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ আর রাজশাহী জেলা।।

বরাবরের মতো আমি খুবই উত্তেজিত। আগেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম কোথায় কোথায় যাবো,কি কি বিখ্যাত খাবার খাবো, আম কিনবো আরো কত কি।।।

যাই হোক এবার আমরা দুইজন। আমি আর আমার সিনিয়র বান্ধবী (আপু)।। অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটি।।
নির্দিষ্ট দিনে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যাই কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন। দুইজন কমলাপুর এসে অপেক্ষা করতে থাকি বনলতা এক্সপ্রেস এর জন্য। এর মধ্যে কিছু খাবার কিনে নেই আর টুকটাক ফটোসেশান করি।।।
নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন আসলো আর আমরা যাত্রা শুরু করলাম আমের শহরে।।
আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌছালাম রাত সাড়ে আটটায়। আমাদের পরিচিত একজনের বাসায় উঠলাম। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়লাম। সকালে উঠতে হবে।।
পরেরদিন সকালে উঠে রেডি হয়ে বেড়িয়ে পরলাম সারাদিনের জন্য।
প্ল্যান ছিল বাহিরে নাস্তা করে অটোরিকশা বা সিএনজি সারাদিনের জন্য ঠিক করে নিবো।
কারণ একদিনের মধ্যে এক জেলার সব কিছু ঘুরে দেখা অসম্ভব। তারপরও ভালোভাবে স্ট্যাডি করে একটা প্ল্যান রেডি করেছিলাম একদিনের জন্য।
যতটুকু ঘুরে দেখতে পারি।

কিন্তু বাধ সাধলো যাদের বাসায় উঠেছিলাম তারা। শহর থেকে খুব কাছেই ওনাদের গ্রামের বাড়ি ওনাদের বাবা মা এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা গ্রামের বাড়িতেই থাকেন।তো সেখানে বলে রেখেছে আমাদের যেতেই হবে।।
আমার তো মাথায় বাড়ি। সেখানে গেলে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাবে। আমি ঘুরতে গেলে কখনোই কারো বাসায় যাই না। হোটেলেই উঠি।কারণ আমরা স্বভাবতই অতিথিপরায়ণ জাতি। অতিথিকে আপ্যায়ন করাবোই যতটুকু সাধ্যের মধ্যে আছে
কিন্তু আমি তো যাই ঘুরতে। আর সময় খুব কম নিয়ে যাই।
কিন্তু কিছুই করার ছিল না। যেহেতু উনি আগেই বাসায় বলে রেখেছিল।
আবার আমাদের জন্য উনার পরিচিত অটোরিকশা ওয়ালা ঠিক করে রেখেছিল। উনার ভাষ্য মতে অটোওয়ালা মামা সব চেনে আমরা কোথায় কোথায় যাবো উনাকে শুধু বললেই হবে।
আমার মাথায় আবার পরলো বাজ। হায় আল্লাহ সবাই সব কিছু চিনে না। যতই সে সেই জায়গার স্থানীয় হোক না কেন।।।
আমি সবার আগে অটোওয়ালা বা সিএনজি যাই হোক তাদের আমার প্ল্যানের লিস্ট অনুযায়ী একটা একটা জায়গার নাম বলি চিনে কিনা। আমিও তাদের চিনাই কারণ আমি তো প্রোপার স্টাডি করেই যাই কিনা।
যাই হোক এই অটোওয়ালা আমার সব প্ল্যান নষ্ট করে দিয়েছিল।
আমরা সকালে আগে অই আপুদের গ্রামের বাড়ি যাই।সেখানে সবাই খুবই আন্তরিক ছিলেন। আমাদের গাছের আম কেঁটে খাওয়ালেন,কালাই রুটি,খোলাজা পিঠা, ডিম, আলুভাজি ইত্যাদি অনেক খাবার।।
আমরা একটু ঘুরেফিরে ওনাদের বাড়ির আসে পাশে দেখলাম। সবার বাড়িতে শুধু আম গাছ আর আম গাছ।।
যাই হোক আমরা বিদায় নিয়ে অটোতে করে যাত্রা শুরু করলাম কানসাট আমের বাজার। অটোওয়ালা মামাকে বলেছিলাম কোথায় কোথায় যাবো।

মূলত শিবগঞ্জ থানাতেই এ জেলার মূল দর্শনীয় স্থান গুলো অবস্থিত। ছোট সোনামসজিদ, তাহাখান কমপ্লেক্স, দারাস বাড়ি মসজিদ, দারাস বাড়ি মাদ্রাসা ও খনিয়া দিঘী মসজিদ ,ধনিয়াচক মসজিদ এই জায়গাগুলোতে যাবো প্ল্যান ছিল।
অটোওয়ালা মামা বললো সে সব চেনে।আসলে কিছুই না।

আমরা যাত্রা করার পর একটা চায়ের দোকান দেখে চা খাওয়ার জন্য নামলাম। গাছের নিচে বসে চা খেয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম।

একটু পরই দেখা পেলাম মহানন্দা নদীর। ভিষণ সুন্দর নদী। অটো থেকে নেমে নদীর সৌন্দর্য দেখে কিছু ফটোসেশান করে আবার অটো নিয়ে যাত্রা করলাম।
পুরো রাস্তার দুপাশে শুধু আম গাছ আর আম গাছ।
কিছু বাগানে নামলাম। একটু ঘুরাঘুরি করে আবার যাত্রা শুরু।
কনসার্টে এসে দেখলাম ভ্যানে ভ্যানে আম।এতো ভালো লাগছিল যে ভিডিও করার কথা বেমালুম ভুলে গেলাম।আমের বাজার দেখে গেলাম তাহাখানা কমপ্লেক্স। এতো সুন্দর স্থাপনা। পুরোটা ঘুরে দেখে এসে অটোওয়ালা মামাকে বললাম মামা এর পর কাছে যেটা সেটাতে যান।। যেহেতু তাকে আগেই বলেছিলাম কোথায় কোথায় যাবো আর সে বলেছে সে সব গুলোই চেনে।।
তাই আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম। পথিমধ্যে একটা ছোট হোটেল দেখে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার মোটামুটি ভালোই ছিল।।

এবার সে আমাদের নিয়ে গেল ছোট সোনা মসজিদ।
এইবার আমি চিন্তা করলাম যে সোনা মসজিদের আগেও তো আরো কিছু স্থাপনা ছিল। যাই হোক মসজিদটি খুবই সুন্দর। চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখে নিলাম।এবার অটোওয়ালা মামাকে বললাম এই এই জায়গা বাদ আছে এখনো। আর আপনি ডিরেক্ট এখানে আসছেন কেন? আরো কিছু জায়গা তো ফেলে আসছেন।এখন সে বলে এগুলো কই।।কেমন লাগে তখন।
বললাম আপনি না বলে আসছেন এগুলো সব চিনেন এখন কি বলছেন। সে হা করে তাকিয়ে আছে। বলে ঠিক আছে আবার যাবো চলেন।আমি বললাম যাবো কিন্তু এখানেও আরো একটা মসজিদ বাকি চলেন। এইবার সে এটাও চেনে না।কিছুক্ষণ সোনা মসজিদের সামনে একজন দুইজনকে জিজ্ঞেস করলো আমিও বললাম তারা জীবনে নামও নাকি শুনেনি।
তো আমি বললাম আচ্ছা এটা বাদ বাকিগুলো দেখবো আবার ব্যাক করেন।এইবার সে মেইন রাস্তায় দিয়ে গেলো।পরলাম জ্যামে।সামনেই ছোট সোনা মসজিদ স্থল বন্দর। ট্র‍্যাক সব দাঁড়িয়ে আছে আর বিশাল লম্বা গাড়ির লাইন লেগে গেছে।এইদিকে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। নাচোলের আল্পনা গ্রামে যেতে হবে।সেটা কিছুটা দূরে।তো একটু পরে পুলিশ এসে সব রিক্সা, সিএনজি, অটো বের করে চলে যেতে বললো। সামনে আর যেতে দিবে না।কারণ পুরো রাস্তা ব্লক হয়ে গেছে।
তার মানে আর স্থাপনা গুলো দেখা হচ্ছে না।

ইচ্ছা হচ্ছিল অটোওয়ালাকে মহানন্দায় ধাক্কা মেরে ফেলে আসি।। রাগে দুঃখে তারপরও তাকে ঠান্ডাভাবেই বললাম শিবগঞ্জ বাজারে যান।সেখানের বিখ্যাত আদি চমচম খাবো। সে এইবার বলে সে এই দোকানও চেনে না।জীবনে খায়ও নাই।
কেমন লাগে।।

তারে বললাম মামা যান আগে শিবগঞ্জ বাজারে যান।তো বাজারে পৌঁছে মানুষকে জিজ্ঞেস করে করে দোকানটা পেয়ে গেলাম।।
আর দোকানের ছবি কালেক্ট করে নিয়েছিলাম।তো দেখলাম ঠিক দোকান।
মিষ্টি খেলাম।কিছু কিনলাম।
তারপর রওনা দিলাম নাচোলের উদ্দেশ্যে। আল্পনা গ্রাম দেখবো।
রাস্তা অনেক খারাপ ছিলো।।রাস্তার কাজ চলছিল। আবার পথিমধ্যে অটো নষ্ট হলো।
সেটা ঠিক করলো।।কিন্তু চারিদিকের পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিলো।।সেটাই উপভোগ করতে করতে আসলাম নাচোল।তারপর আগের মতোই মানুষকে জিজ্ঞেস করে করে পৌঁছে গেলাম আল্পনা গ্রাম।।
তবে যেমন ভেবে গিয়েছিলাম তেমন পাইনি।আমি ভেবেছিলাম পুরো গ্রামের ঘর বাড়িই বুঝি আল্পনা আঁকা। কিন্তু না। চার পাঁচটা বাড়িতেই শুধু আল্পনা আঁকা ছিলো।।

তাদের সাথে কথা বললাম একটু ফটোসেশান করলাম ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমে গেছে।অনেক মন খারাপ লাগছিল।।
কেন আমি এই বাসায় আসলাম।আর তাদের খারাপ লাগবে বিধায় অটোওয়ালার জন্য না করতে পারলাম না।
কারণ তারা বুঝবে না।আর অটোওয়ালাও খুশি ছিলো কারণ সারাদিনের জন্য ভাড়া করা।

আমি যখন একটা প্ল্যান করি সেটা ফুলফিল না হলে আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়।
যদিও এখন একটু মেনে নিতে শিখছি। এটাই হওয়ার ছিলো, তাই হয়েছে।
তো শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। প্ল্যান ছিলো শহরে পৌঁছে আগে কাঁচা মরিচ ভর্তা, বেগুন ভর্তা আর হাঁসের মাংস বা গরুর বট দিয়ে কালাই রুটি খাবো। তারপর আমের বাজারে গিয়ে আম কিনে কুরিয়ার করবো।
কিন্তু শহরে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়।তাই আগে আম কিনে কুরিয়ার করে পরে খেতে যাবো সিদ্ধান্ত নিলাম।
আম কিনলাম।গরম লাগছিস আবার অনেক মজাও হচ্ছিল।অনেক অনেক আম কিনেছিলাম।নিজেদের জন্য, বন্ধু, রিলেটিভস,কলিগদের জন্য।
কুরিয়ার শেষ করে দেখি রাত একটা।।
পুরো চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঘুম।
কি আর করার অটোরিকশায় নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
সবাই অপেক্ষা করে ছিল আমাদের জন্য। খাবার খেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে ফেললাম। কারন সকালে যাত্রা করবো রাজশাহীর উদ্দেশ্য।
ব্যাগ গুছিয়ে দিলাম ঘুম।
আবার যখন চাঁপাই আসবো বাকি জায়গাগুলো ঘুরে দেখবো ইনশাআল্লাহ।।

02/10/2025

তুমি আটকে গিয়েছো তোমার মনের গহিন এক বিদেহী ফাঁদে! তাইতো বলি নামলে অন্ধকার প্রায় নিঃশব্দে সারারাত কে কাঁদে?
📌 রুপসী ঝর্না, মিরসরাই।।

28/09/2025

God's plan is always more beautiful than our desire.........🦋🦋

26/09/2025

Beautiful things take time......... 🍀🍀..

Tales Of Lina