05/05/2025
নিশ্চয়! নিচে একটি মাঝারি আকারের রোমাঞ্চকর গল্প দিলাম — বাংলা ভাষায়, সহজ-প্রবাহমান ও টুইস্টসহ:
---
গল্প: অদৃশ্য ছায়া
রাত তখন সাড়ে বারোটা। ঢাকার এক পুরনো অংশে অবস্থিত ধ্বংসপ্রায় একটি দোতলা বাড়ি, যা নিয়ে এলাকাবাসীর অনেক গুজব রয়ে গেছে। কেউ বলে, ওই বাড়িতে রাতে আলো জ্বলে—কেউ আবার বলেছে ছাদে কেউ দাঁড়িয়ে থাকে।
তন্ময়, এক তরুণ সাংবাদিক, এসব গুজবের সত্যতা যাচাই করতেই একরাতে ক্যামেরা আর টর্চলাইট নিয়ে ঢুকে পড়ে সেই বাড়িতে।
বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই তার মনে হলো, কেউ যেন ফিসফিস করে কথা বলছে। দেয়ালজুড়ে ঝুলে থাকা পুরনো পোকামাকড় খাওয়া ছবি, ছাদ থেকে ঝুলে থাকা জাল—সব মিলিয়ে পরিবেশ একেবারে সিনেমার মতো।
তন্ময় ধীরে ধীরে ঘরগুলো ঘুরে ঘুরে ভিডিও করতে থাকে। হঠাৎ করেই একটা দরজা কড়কড় করে বন্ধ হয়ে যায় তার পেছনে! সে পিছনে তাকিয়ে দেখে, কেউ নেই। কিন্তু দরজা লক! এক মুহূর্তের জন্য তার হাত কেঁপে উঠে।
মোবাইলে টর্চ জ্বালিয়ে সে দরজার তালা খোলার চেষ্টা করতেই পিছন থেকে কানে খুব গা শিরশির করা একটা গলা শুনতে পেল—
“তুই কি আমাকে দেখতে চাস?”
তন্ময় চমকে গিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়—কিন্তু কেউ নেই।
সে দ্রুত দরজা খুলে বাইরে ছুটে বেরিয়ে আসে। নিচে নামার সময় হঠাৎ করেই তার পা পিছলে যায়, আর সে পড়ে যায় একটা গোপন সিঁড়িতে, যা তাকে নিয়ে যায় বাড়ির নিচের এক ভূগর্ভস্থ ঘরে।
ঘরটা অন্ধকার, কিন্তু দেয়ালে পুরনো কিছু ছবি আঁকা। একটাতে সে দেখে নিজেরই মুখ!
তন্ময় আতঙ্কে পেছনে ফিরতেই দেখে এক অদ্ভুত ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে, মুখ নেই, চোখ নেই, শুধু হাত বাড়িয়ে বলছে—
“আমার নাম তোর নামের সাথেই লেখা...”
তন্ময় আর কিছু মনে করতে পারে না, সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পরদিন পুলিশ সেই বাড়ি থেকে তন্ময়ের ক্যামেরা আর মোবাইল উদ্ধার করে। ভিডিওতে দেখা যায়, তন্ময় একা একা কথা বলছে, চিৎকার করছে, কারো সঙ্গে যুদ্ধ করছে—কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই।
বাড়িটা আবার সিল করে দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী বলে,
“তন্ময় এখন ওই বাড়ির নতুন ছায়া…”
---