02/04/2025
আমল-এ তওবা
-- মুহাম্মদ ইমান উদ্দি
মসজিদের ভিতরে এক মোছাফির গাটুরি সহ রাত্রি যাপনের আশায় বসে আছে।
হুজুর- (মনে মনে) হাদীস পড়তে পড়তেই রাতটা কাটিয়ে দিব। ফজর পড়েই বের হয়ে যাব।
(বলেই বেগের ভিতর থেকে একটি হাদীসের বই বের করলেন।)
দারোয়ান ঃ- হুজুর, মসজিদের ভিতর বসে আছেন কেন? বের হতে হবে, তালা দিব।
হুজুর- বাহিরে প্রচন্ড শীত, আমি রাতটা এখানেই আল্লাহ আল্লাহ করে কাটিয়ে দিতে চাই। ফজর পড়েই বের হয়ে যাব ভাই।
দারোয়ানঃ- না, ভিতরে থাকতে দিতে পারি না। আপনি বাহিরে গিয়ে কোথাও রাত কাটান, যান আমি মসজিদ বন্ধ করব।
অজ্ঞতা উপায়অন্তর না পেয়ে, গাটুরি নিয়ে বের হয়ে গেলেন হুজুর।
সিকোয়েন্স --২
একটি ছোট রেস্টুরেন্ট।
দুই জন ছেলে রেস্টুরেন্টে কাজ করছ,। তার মধ্যে ইসলামি পোষাকে আব্দুল্লাহ নামে ষোল সতের বছর বয়সের একটি ছেলে রুটি বানাচ্ছিল।
আব্দুল্লাহর একটি অভ্যেস আছে। সে সারা দিন ব্যাপি সব কাজের আগে পরে বলতে থাকে "আস্তাগফিরুল্লাহ। যেমন:- রুটির জন্য আটার গোলা বানাবার আগে এবং বানিয়ে রাখার সময়, রুটি বেলার সময়, রুটি ছ্যাকার সময়, কিংবা পানির গ্লাস হাতে নিবার সময়, পানি ভরার সময়, কাস্টমারের সামনে রাখার সময় এভাবে সকল কাজের আগে পরে বলতে থাকে আস্তাগফিরুল্লাহ।
রাতে হুজুর গাটুরি কাধে নিয়ে হোটেলের সামনে এলেন, আব্দুল্লাহকে রুটি বানাতে দেখে বল্লেন, হে বালক, আমি মুছাফির, বাহিরে প্রচন্ড শীত। তোমার চুলার পাশে বসে আজকের রাতটা আমাকে কাটাতে দিবে? ফজরের আজান হলেই চলে যাব।
-- আব্দাল্লাহ বল্ল, হে আল্লাহর বুজুর্গ বান্দা, আপনি নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারেন।
চুলার কাছাকাছি একটি টেবিলের চেয়ারে বসলেন।
বসে হাদীসের বই পড়তে শুরু করলেন। গভির রাত, তাই গ্রাহক কম। দুই এক জন আসছে বসছে খাচ্ছে, এবং চলে যাচ্ছে।
হুজুর খেয়াল করলেন, ছেলেটি সকল কাজের ফাকে ফাকেই আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ছে। তিনি অবাক হলেন। এবং মনের কৌতুহল নিবারণের জন্য ছেলেটিকে ডেকে বল্লেন,
হুজুরঃ- হে আল্লাহর নেক বান্দা। তোমার নামটা জানতে পারি কি?
আব্দাল্লাহঃ- অবশ্যই জানতে পারেন, আমার নাম আব্দাল্লাহ।
হুজুরঃ- হে আব্দাল্লাহ, আমি এখানে আসার পর থেকেই খেয়াল করেছি, তুমি সব সময় একটি আমল করে যাচ্ছ। সকল কাজেই তুমি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে যাচ্ছ। এটা করছ কেন, দয়া করে আমাকে বলবে কি?
আব্দাল্লাঃ- (পাশের টেবিলে সার্ভিস দিতে দিতে) হে উম্মতে মুহাম্মদ, এটার একটা গল্প আছে। বলতে গেলে সময় লাগবে। আর আমার হোটেল মালিকের কাজের ক্ষতি হয়ে যাবে। মালিক অনুমতি না দিলে আমি তার দুই মিনিট সময় নষ্ট করতে পারি না।
কথা শুনে, ও ছেলেটির আচরণ দেখে হুজুর বিস্ময় প্রকাশ করে বল্লেন -- আব্দুল্লাহ, দুই মিনিট সময়ের জন্য তুমি ভাবছ?
আব্দাল্লাহঃ- হে আল্লাহর নেক বান্দা, আমি তার একটি সেকেন্ড সময়ও নষ্ট করার অধিকার রাখি না! ( বলেই আব্দাল্লাহ কাজে মশগুল হয়ে গেল। হুজুরের আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। যেভাবেই হোক তার এই আমল সমন্ধে জানতে হবে। তাই উঠে এসে রেস্টুরেন্টের ক্যাশে বসা মালিকের নিকট অনুমতি চাইতে এলেন। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ। হুজুর সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
হুজুরঃ- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ--
হে সন্মানিত ব্যবসায়ি ভাই, আমার একটি দরখাস্ত ছিল।
মালিকঃ- ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। হে আল্লাহর মু'মীন বান্দা, আপনি বিনা দ্বিধায় বলতে পারেন।
হুজুরঃ- আপনার কর্মচারি আব্দালাহর সাথে আমি ব্যাক্তি গত ভাবে কিছু সময় কথা বলতে চাই। আব্দাল্লাহ আপনার অনুমতি ছাড়া কথা বলে একটি সেকেন্ডও নষ্ট করতে চাচ্ছে না। ছেলেটি সমন্ধে জানার ইচ্ছেটা আমার মনে ক্রমঃশই প্রবল হচ্ছে।কৌতুহল বেড়েই চলছে।
মালিকঃ- সে তো সাধারণ একটি ছেলে, তার সমন্ধে জানার এত ইচ্ছে কেন জাগছে?
হুজুরঃ- তাকে আমার চেয়েও অনেক বেশি জ্ঞানি মনে হচ্ছে। তার ধর্মীয় জ্ঞান অনেক বেশি রয়েছে। সে সর্বদাই একটি আমল করে চলেছে। আমি এটা সমন্ধেই তার নিকট থেকে জানতে চাই। আপনি কি একটু অনুমতি দিবেন?
মালিকঃ- হ্যা, আপনি সত্য বলেছেন। ছেলেটির এই আমলের কারণেই হয়ত বা আল্লাহ আমার ব্যবসায়ও অনেক আয় বরকত দিচ্ছেন। আপনি তার সাথে কথা বলুন। (বলেই আব্দাল্লাহকে ডেকে বললেন) আব্দাল্লাহ, তুমি এই হুজুরের সাথে কথা বলতে পারো। তিনি যা যা জানতে চান, তার সমন্ধে বিস্তারিত বলতে যতটা সময় তোমার প্রয়োজন হয়, তুমি নিতে পারো।
( হুজুর তার আসনে গিয়ে বসলেন। আব্দাল্লাহ হুজুরের পাশে গিয়ে দাড়ালেন। হুজুর তাকে বল্লেন --)
হুজুরঃ- ইয়া আব্দুল্লাহ, তুমি এবার বলতো, এই আমলটি সর্বদাই করে যাচ্ছ কেন?
আব্দাল্লাহঃ- হে আল্লাহর প্রেমিক, আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যাক্তি ছিলেন আমার বাবা। তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকদিন বিছানায় পড়ে থাকার কারণে আমাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়, ঘরে খাবার থাকে না, চার ভাই বোন ও মা সহ অনাহারে দিন কাটাতে থাকি। এমন পরিস্থিতিতে আমি নিরুপায় হয়ে দোয়া চাইতে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে যাই। তিনি আমাকে বল্লেন ---
(ফ্লাশব্যাকে)
ইমামঃ- আমার চেয়ে তোমার দোয়া ও আমলটাই বেশি উপকার হবে। আল্লাহ তওবাকারীকে খুব পছন্দ করেন। আর আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন, তার সকল বৈধ দাবীই তিনি পূর্ণ করে থাকেন। তাই তুমি সর্বদা সকল কাজে আল্লাহকে স্মরণ করো, এবং তওবাহ করতে থাকো, অর্থাৎ আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকো। আল্লাহ তওবাকারীর দোয়া কবুল করেন এবং মনের নেক আশা পূর্ণ করে দেন।
আব্দাল্লাহঃ- হে ইমাম হুজুর, এই আমলে আল্লাহ রাজি খুশি হবেন তো?
ইমামঃ- আব্দুল্লাহ, মনে রেখো আল্লাহ কখনোই মানুষকে মিথ্যে আশা দেন না। যদি তোমার দ্বারা কারো হক নষ্ট না হয়, যদি তুমি মিথ্যাবাদি না হও, যদি তোমার মাতা পিতা তোমার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন তবে, তোমার আমল ও দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন-ই। মনে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তুমি আমল করতে থাকো।
★*****************************************
(হোটেলে)
আব্দাল্লাহঃ- আমি তখন থেকেই এই আমলটা শুরু করেছি।
হুজুরঃ- এই আমল করে তুমি কি কোন উপকার পেয়েছ?
আব্দাল্লাহঃ- হ্যা আল্লাহর প্রেমিক, আমি অনেক উপকার পেয়েছি। এখন আমি যে দোয়া করি সে দোয়াটাই আল্লাহ কবুল করে নেন।
হুজুরঃ- যেমন? মানে, দুই একটি দোয়া কবুলের কথা বলবে কি?
আব্দাল্লাহঃ- কেন নয়, অবশ্যই বলব। যেমন ধরুন, আমার বাবা অসুস্থ ছিলেন। আয় রোজগার না থাকায় ভাই বোনদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিল। আল্লাহর মেহেরবানিতে আমার ছোট ভাই বোনদেরকে মক্তবে ফ্রী লেখাপড়ার ব্যাবস্থা হয়ে গেল। একটি বাড়িতে আমার মায়ের কাজের ব্যাবস্থা হলো। সেই বাড়ি থেকে প্রতিদিন আমাদের এক বেলা খাবারের ব্যাবস্থা হল। এরপর মায়ের কষ্ট লাঘবের জন্য আমি আল্লাহর কাছে একটি চাকুরি চাইলাম। সেদিনই বিকালে আমার এক বন্ধু আমাকে ডেকে বল্ল,
(ফ্লাশব্যাকে)
বন্ধুঃ- ইয়া আব্দাল্লাহ, দাঁড়াও।
আব্দাল্লাহঃ- আসসালামু আলাইকুম। দোস্ত, ডাকলি কেন?
বন্ধুঃ- ওয়া আলাইকুম আসসালাম। তোর বাড়িতে তো এখন অনেক কষ্ট চলছে তাই নারে দোস্ত?
আব্দালঃ- আল্লাহ এখন কষ্ট অনেকটা কমিয়েছেন।
বন্ধুঃ- আল্ হামদুলিল্লাহ। বন্ধু আমি তো তোর কোন কাজেই লাগতে পারলাম না। তুই যদি রাজি থাকিস তবে তোকে একটা কথা বলি?
আব্দালঃ- অবশ্যই বলবি, বলে ফেল্।
বন্ধুঃ- আমার এক চাচার রেস্টুরেন্ট আছে, সেখানে একজন কর্মচারি লাগবে। তুই যদি চাস তবে আমি তাকে বলে তোকে সেখানে কাজে লাগিয়ে দিতে পারব।
আব্দালঃ- আল হামদুলিল্লাহ, বন্ধু কাজটা আমি করব। কাজটা আমার প্রয়োজন।
বন্ধুঃ- তবে, চল চাচার সাথে কথা বলি।
**********************--******
(ফ্লাশব্যাক থেকে ফিরে রেস্টুরেন্ট)
আব্দাল্লাহঃ- তখন থেকেই এই রেস্টুরেন্টে আছি। এবং আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি।
হুজুরঃ- আল্ হামদুলিল্লহ, আল্লাহ তোমার সকল চাওয়াই তো পূর্ণ করে দিয়েছেন। এখন কি তুমি আর কিছু চাওনা?
আব্দাল্লাহ:- জি আল্ হামদুলিল্লাহ, চাই, প্রতি দিনই চাই, আল্লাহ যেন আমার এই হোটেল মালিকের ব্যবসায় হালাল বরকত দিয়ে ভরে দেন।
হুজুরঃ- হে আল্লাহর মু'মীন বান্দা আব্দাল্লাহ, এত ছোট ছোট আশা করে থাকো তুমি আল্লাহর কাছে? বড় আশা কর না কেন?
আব্দাল্লাহ:-- হে আল্লাহর প্রেমিক, আমার যে টুকু প্রয়োজন আমি সেটুকুই আল্লাহর কাছে চাই। আল্লাহ আমাকে কখনোই ফিরিয়ে দেন না। তবে, আমার একটি অনেক বড় আশা আছে, যেটা এখনো পূর্ণ হয়নি। আর সে আশাটা পূর্ণ করে দিবার জন্যই আমি এখন অনেক বেশি বেশি করে আস্তাগফিরুল্লাহ আমলটি করে চলছি। জানি না, কবে যে আল্লাহ আমার সেই আশাটা পূর্ণ করবেন?
হুজুরঃ- তোমার সেই আশাটা সমন্ধে আমি কি জানতে পারি?
আব্দাল্লাহঃ- জি জানতে পারেন? আপনি শুনে থাকবেন হয়তো, জমানার সবচেয়ে বড় আলেম-এ-দ্বীন, হযরত আবু আব্দুল বাশার রাহমাতুল্লাহ নামে একজন অনেক বড় আল্লাহর অলি আছেন। তার দরবারে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করা, তার হাতে হাত রেখে মোছাবাহ করা ও তার কপালে চুমু দেয়ার ইচ্ছা আমার মনে রয়েছে। আপনি কি সেই মহান ব্যাক্তির কথা শুনেছেন কভু?
হুজুরঃ- (মাথা দুলিয়ে সায় দেন) হ্যা শুনেছি।
আব্দাল্লাহঃ- আমি আমার আল্লাহর কাছে আশা করেছি, আল্লাহ যেন মৃত্যুর আগে হলেও সেই ইমামের দরবারে আমাকে নিয়ে একবার সাক্ষাৎ করিয়ে দেন।
(হুজুর চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বেশ জোরেই উচ্চারণ করে বলে উঠলেন "আল্লাহু আকবার"। এবং বসা থেকে উঠে আব্দাল্লাহর কাছে গিয়ে তাকে বল্লেন, তুমি তো আল্লাহর গোলাম থেকে তার মহা আশেক হয়ে গিয়েছ। আল্লাহর খাস বান্দা হয়ে গিয়েছ। তোমার সকল আশাকেই আল্লাহ পূর্ণ করেছেন হে আল্লাহর আশেক।
আব্দাল্লাহঃ- হে আল্লাহর প্রেমিক, আমার এই বড় আশাটি এখনো পুর্ণ হয়নি।
হুজুরঃ- শোন হে আল্লাহর পাগল, তুমি যে ভাবে কর্তব্য পালন করছ, যে ভাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে আস্তাগফিরুল্লাহ আমল করে চলেছ, তাতে কি দয়াবান আল্লাহ তোমার আশা অপূর্ণ রাখতে পারেন? পারেন না। কারণ, আল্লাহ কখনোই ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। তোমার আমল ও দোয়ার এতটাই শক্তি যে, মহান আল্লাহ তোমাকে কষ্ট দিয়ে আবু আব্দুল বাশারের জির্ণসির্ণ দরবারে নিয়ে যান নি, বরং সেই আব্দুল বাশারের পুরো দরবাকেই তোমার দরবারে হাজির করে দিয়েছেন।
আব্দাল্লাহঃ- কি বলছেন আপনি?!!! (এদিক সেদিক তাকিয়ে দরবার খোঁজে)
হুজুরঃ- হে আব্দাল্লাহ, তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি সেই গুনাহগার বান্দা। হ্যা, আমি-ই সেই আবু আব্দুল বাশার। সত্যি আল্লাহ তোমার দোয়াকে কবুল করে থাকেন।
আব্দাল্লাহঃ- আপনি, আপনি সেই হুজুর হযরত আবু ---???
(বলেই হুজুরের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল আব্দাল্লাহ। এবং পাগলের মত হাতে চুমু খেতে লাগল। হঠাৎ করে হুজুরকে ছেড়ে দিয়ে দৌড় দিল রেস্টুরেন্টের ভিতরের দিকে। জায়নামাজে দাঁড়িয়েই একটি সিজদাহ দিল। এবং সিজদাতে পড়ে কাঁদতে লাগল। দেড়ি দেখে রেস্টুরেন্ট মালিক উঠে ভিতরে গিয়ে তাকে শান্তনা দিলেন। আব্দুল বাশার রঃ কিছু বোঝতে না পেরে অনেকটা হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে রইলেন। একটু পর মালিক আব্দাল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ইমাম সাহেবের নিকট এলেন। আব্দাল্লাহ নিজেকে সামাল দিতে পারছে না। কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তার উপর এত মেহেরবান, এত দয়াবান হয়েছেন!!!
এবার ইমাম শাফি আব্দাল্লাহকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। নিজেও কাঁদতে লাগলেন।
হুজুর-- আব্দাল্লাহ, বিশ্বাস করো, তুমি অনেক বড় সাধক। আল্লাহ তোমাকে আপন করে নিয়েছেন। আর যা-ই হোক, তোমার দোয়া বিফল হয় না।
(হুজুর উপরের দিকে মুখ তুলে বল্লেন, " হে মালিক, এবার বুঝেছি আপনি আমাকে মসজিদ থেকে কেন বের করে দিয়েছেন!!! আমি অভিমান করে ছিলাম হে মালিক। আমাকে ক্ষমা করুন! ক্ষমা করুন।
কাট
সমাপ্ত।