21/09/2025
‘স্ক্যাবিস’ কী ও কীভাবে ছড়ায়? এবং এর উপায় কি?
স্ক্যাবিস একটি অত্যন্ত সংক্রামক চর্মরোগ, যা সারকোপটিস স্ক্যাবিয়া নামক এক প্রকার মাইট বা পরজীবীর আক্রমণে হয়, যা বাংলায় খোস-পাঁচড়া নামে পরিচিত। এর প্রধান লক্ষণ হলো তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে, এবং ত্বকে গুটি গুটি র্যাশ ওঠা। এটি সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়, বিছানা বা অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ছড়ায়।
কারণ:-
পরজীবী সংক্রমণ: স্ক্যাবিস রোগের প্রধান কারণ হলো Sarcoptes scabiei নামক এক প্রকার পরজীবী মাইট, যা ত্বকের নিচে বসবাস করে।
বিস্তারের উপায়:-
সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ:
আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়ায়।
ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহার:-
আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করলে জীবাণু ছড়াতে পারে।
পরিবারের মধ্যে সংক্রমণ:-
স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় পরিবারের কারো হলে অন্যদেরও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
লক্ষণ:-
চুলকানি:
ত্বকে তীব্র চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে এর প্রকোপ বাড়ে।
র্যাশ ও গুটি:
ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা গুটির মতো দেখা যায়।
ত্বকের প্রদাহ:
মাইট ত্বকের নিচে গর্ত করে, যার ফলে চামড়ায় প্রদাহ দেখা দেয়।
প্রতিকার ও প্রতিরোধ
চিকিৎসা:
এই রোগে আক্রান্ত হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক সাধারণত পারমেথ্রিন ক্রিম বা ক্রোটামিটন লোশনের মতো ওষুধ দিয়ে থাকেন।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা:
নিয়মিত গোসল করা এবং পোশাক ও বিছানার চাদর পরিষ্কার রাখা জরুরি।
সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা:
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
পরিবারের চিকিৎসা:
পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে অন্যদেরও একসাথে চিকিৎসা করাতে হবে।