19/06/2025
শিয়াদের মুখোশ উন্মোচন পর্ব-১
মানুষের এতো শিয়া প্রেম দেখে পোস্ট করতে বাধ্য হলাম। তারপরেও যদি এরা শিয়াদের চিনতে পারে...আল্লাহু আ'লাম।
আসুন দুইজন শিয়া scholar-দের সাথে পরিচিত হই।
আল-কিশশি ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিয়া scholar, যিনি হাদিসের বর্ণনাকারীদের biography নিয়ে গবেষণা করেছেন।
আরেকজন মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন আন-নু‘মান আল-মুফিদ, সাধারণত আল-শায়খ আল-মুফিদ (948-1022 খ্রিস্টাব্দ) হিসেবে পরিচিত, একজন বাগদাদী শিয়া scholar এবং আইনবিদ ছিলেন। তিনি আল-কিশশির পরবর্তী প্রজন্মের scholar ছিলেন এবং তাঁর কাজ শিয়া হাদিস ও ফিকহের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
এই শিয়া scholar-দের কথা কেন উল্লেখ করলাম।
পুরাটা পড়লেই বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্।
তো আসুন দেখি এই দুই শিয়া scholar কি ধারণা রাখতেন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে নিয়ে।
আল-কিশশি হযরত আলি (রা)-কে অত্যন্ত অতিরঞ্জিত গুণাবলী দিয়ে বর্ণনা করেছেন।
তিনি দাবি করেছেন যে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন,
"আমি আল্লাহর মুখমণ্ডল, আমি আল্লাহর ডান হাতে, আমি প্রথম এবং শেষ, আমি উচ্চতর এবং অন্তরঙ্গ, আমি পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হব, আমি আল্লাহর পথ।"
এই বক্তব্যগুলো তাঁর আর-রিজাল গ্রন্থে উল্লেখিত আছে।
আরেকদিকে আল-মুফিদের দাবি ছিল যে আল্লাহ হযরত আলি (রা)-এর সাথে গোপনে কথা বলেছিলেন, যা আল-কিশশির অতিরঞ্জিত বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্য রাখে। এরকম আরও বিশ্বাস উনি ধারণ করতেন।
এই দাবিগুলো মুসলিমরা প্রত্যাখ্যান করে, কারণ এতে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে divine attributes দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামী তাওহিদের (একত্ববাদ) ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। "আল্লাহর মুখমণ্ডল" বা "প্রথম এবং শেষ" এর মতো গুণাবলী শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য।
আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মর্যাদা নিয়ে এই অতিরঞ্জন নিঃসন্দেহে বিভ্রান্তি।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে ২জন শিয়া scholar কি বলল তাতে কি যায় আসে। আচ্ছা মানলাম, এবার দেখি খমেইনি সাহেব এদের মধ্যে একজনকে নিয়ে কি বলেন।
খোমেইনি আল-মুফিদকে প্রশংসা করেছেন এবং তাঁকে একজন "ফকিহ" (ইসলামী আইনের জ্ঞানী পণ্ডিত) এবং "মুজতাহিদ" (অভূতপূর্ব আইনি সমস্যার সমাধানে যুক্তিযুক্ত সমাধান প্রদানে যোগ্য আইনবিদ) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই প্রশংসা খোমেইনির গ্রন্থ আল-হুকুমাহ আল-ইসলামিয়্যাহ (পৃষ্ঠা 58)-এ পাওয়া যায়।
যদি ভেবে থাকেন এসব বিশ্বাস শুধু হাতে গোণা কয়েকজনের বা এগুলোর ভিত্তি নেই তাহলে আমার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষা করুন সেই ভুল ভেঙ্গে যাবে, ইনশাআল্লাহ্।
ধরুণ এই যুক্তি মেনে নিলাম যে আমেরিকা বা ই*রায়েল মারার সময় দেখবে না যে সুন্নি নাকি শিয়া, বেশ, এই যুক্তি অনুযায়ী আমাদের কাদিয়ানি, বাহাই, ইসমাইলি (যারা বিশ্বাস করে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুই স্বয়ং আল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ) সাথেই এক হতে হবে কারণ এদের মারা সময় মুসলিম ভেবে মারা হবে, তাই না?
যাই হোক, আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমরা জনসাধারণের বিরুদ্ধে না, আল্লাহ ইরানের জনসাধারণকে রক্ষা করুন এবং তাদেরকে হিদায়াত দান করুন, আমীন।
#ইরান #শিয়া