
03/04/2025
#সিংহরুপী_ফারাও
মিশরের পূর্ব দিকের কান্তির ডেল্টায় খননকার্য চালানোর সময় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল এই অদ্ভুতদর্শন মূর্তিটি। প্রসঙ্গত বলে রাখি পূর্ব ডেল্টার অপর পাশেই ছিল প্রাচীন নুবিয়া, যাকে মিশরীয়রা পৃথিবীর শেষ সীমানা বলে মনে করতো। বর্তমান সুদান, ইথিওপিয়া ইত্যাদি দেশ নিয়ে ছিল প্রাচীন নুবিয়া।
মূর্তিটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এটি আসলে সিংহরুপী এক মানুষের মূর্তি। আফ্রিকার দেশ হলেও প্রাচীন মিশরে সিংহের উল্লেখ খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে তুলনায় অখ্যাত প্রাচীন নুবিয়াতে সিংহ ছিল একরকম জাতীয় পশুর সমতুল্য। নুবিয়ান রাজারা নিজেদের শক্তি আর সাহসকে সিংহের সঙ্গে তুলনা করতো। তাই ঐতিহাসিকরা এই মূর্তিটিকে নুবিয়ান শিল্পশৈলীর অঙ্গ হিসেবেই ধরে নিয়েছেন, যার খুব বেশি নমুনা খুঁজে পাওয়া যায় না।
মূর্তিটি খ্রিস্ট পূর্ব ১২৫০ সাল নাগাদ তৈরী করা হয়েছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, যখন মিশরে নবম রাজবংশ রাজত্ব করছে। এই সময়ে দ্বিতীয় রামসেস ফারাও হিসেবে প্রথমবার নুবিয়ায় অভিযান চালিয়েছিলেন। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান সেই কারণেই দুই পার্শবর্তী সাম্রাজ্যর মধ্যে শুরু হয় আদানপ্রদান। একসময় গোটা প্রাচীন মিশরকে শাসন করেছিল নুবিয়ান কালো ফারাওরা। অবশ্য সেই ইতিহাস ব্রাত্যই থেকে গেছে...