09/04/2025
ফিলিস্তিনে শহীদদেরকে কালিমার পতাকায় দাফন করা খুবই সাধারণ ব্যাপার — এটি হলো আমাদের নবী মুহাম্মদ ﷺ-এর পতাকা। “প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র” ধারণাটি একটি আধুনিক চিন্তা। আজ থেকে মাত্র একশো বছর আগে ফিলিস্তিন এবং আশেপাশের অঞ্চলসমূহ — যেমন সিরিয়া, জর্দান, লেবানন — সবই উসমানি খিলাফতের অধীন আশ শাম অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্রিটিশরা এসে এই ভূমিগুলোকে কেটে টুকরো করে, কৃত্রিম সীমারেখা টেনে বিভক্ত করে এবং তাদের উপনিবেশিক স্বার্থে ইসরায়েল নামক ক্যান্সার ঢুকিয়ে দেয়।
এই অঞ্চলের মুসলমানরা এসব সীমারেখাকে আমলে নেয় না। তারা এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যাতায়াত করে এবং ইসলাম তাদের সবাইকে এক সুতোয় গেঁথে রেখেছে।
আজকে আমরা দেখি এনসিপির গুন্ডাবাহিনী নবী ﷺ-এর পতাকার বিরুদ্ধে তাদের বিদ্বেষ ও আগ্রাসন প্রকাশ করছে — সেই পতাকা, যা ফিলিস্তিনিদের হৃদয়ে গাঁথা এবং যা বাংলাদেশের মুসলমানসহ পুরো উম্মাহ ভালোবাসে। এনসিপি আমেরিকার সঙ্গী এবং আমেরিকা এই পতাকাকে সহ্য করতে পারে না, কারণ তারা চায় মুসলমানরা যেন কেবল জাতীয়তাবাদী পরিচয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তারা ভয় পায় মুসলমানরা যদি জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করে ইসলামের ভিত্তিতে একতাবদ্ধ হয়ে যায়।
মুসলমানদের মনে ও চিন্তায় জাতীয়তাবাদ ঢুকিয়ে দেওয়ার পশ্চিমা প্রকল্পই হলো সেই মূল কারণ যার জন্য আজ ফিলিস্তিন আক্রান্ত। এটাও সেই কারণ, যার জন্য মিশর ও জর্ডানের মতো কাছের দেশ থেকেও একটি পানির বোতল ফিলিস্তিনে পৌঁছাতে পারে না। যদি এই সীমান্তগুলো না থাকত, তাহলে একদিনেই ফিলিস্তিন মুক্ত হতো এবং ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যেত।
এই কারণেই আমেরিকা কালিমার পতাকাকে “সন্ত্রাসবাদ” বা “চরমপন্থা”র প্রতীক বলে অপবাদ দেয় — আর বাংলাদেশে তাদের এজেন্ট হিসেবে এনসিপির মতো দলগুলোকে ব্যবহার করে।
এনসিপির উদ্দেশ্যে বার্তা: মানুষ বোকা না। সবাই বুঝে গেছে তোমাদের ফিলিস্তিন প্রেম ভুয়া এবং লোক দেখানো। তোমরা আসলে কিছুই করো না। যদি কালিমার পতাকা নামানোর চেষ্টা করো, তাহলে বাংলাদেশের মুসলমানরা তোমাদের নামিয়ে দেবে।