22/06/2025
বিশ্বব্যাপী এক চরম দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। ইরানের IRGC নৌবাহিনী জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনটা হলে বাংলাদেশ সহ প্রত্যেক টা দেশ জ্বালানি সংকটে পড়ে যাবে!
হরমুজ প্রণালী দেখতে যেমন সরু, এর গুরুত্ব তেমনি বিশাল। এটি পারস্য উপসাগর আর ওমান উপসাগরের মাঝখানে অবস্থিত। ভৌগলিকভাবে খুবই সংকীর্ণ এই জলপথ দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো যেমন সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের বিশাল অংশের তেল বিশ্ববাজারে পাঠায়।
প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল এই পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। এটি বিশ্বের মোট সমুদ্রপথে পরিবাহিত খনিজ তেলের প্রায় ২০ শতাংশ। একবার চিন্তা করুন এই পথ যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিশ্ববাজারে তেলের জোগান হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাবে, দেখা দেবে জ্বালানি সংকট।
এই সংকটের প্রভাব বাংলাদেশে ভ'য়া'ব'হ ভাবে পড়তে পারে। আমাদের দেশের জ্বালানির বড় একটা অংশ মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে। এই সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হলে শুধু বিদ্যুৎ নয়, পরিবহন, শিল্প, কৃষিসহ প্রতিটি খাতেই সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ইরান কেন এমন হু'ম'কি দিচ্ছে?
মূলত বর্তমান ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে ইরান-ই*সরা*য়েল পরিস্থিতি, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইরান এই প্রণালীকে কৌশলগত চাপ প্রয়োগের অ'স্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা মানেই পুরো বিশ্বকে চাপে ফেলে দেওয়া। এছাড়া ইরান আগেই বলেছিল যে ইরান-ইস*রা*য়ে*লের যুদ্ধের ভিতরে আমেরিকা জড়ালে হরমুজ প্রণালী ব্লক করে দিবে। আর গতরাতেই আমেরিকা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সরাসরি ইরান-ই*স*রা*য়েলের যুদ্ধে জড়িয়েছে।
এই মুহূর্তে পুরো পৃথিবী অপেক্ষায় ইরান কি সত্যিই সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে? আর যদি নেয়, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মত বাংলাদেশকেও প্রস্তুত থাকতে হবে এক নতুন জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হওয়ার জন্য।.