মোহাম্মদ আসাদ আলী

  • Home
  • মোহাম্মদ আসাদ আলী

মোহাম্মদ আসাদ আলী মোহাম্মদ আসাদ আলী (MD. I am a member of Hezbut Tawheed, a non-political movement based in Bangladesh, with a mission to build a better and more beautiful world.

ASAD ALI) বাংলাদেশের একজন লেখক ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তিনি হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ধর্মীয় উগ্রবাদসহ সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তিনি আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

14/07/2025

জামাত, চরমোনাই ও খেলাফত মজলিশের মতো দলগুলা এতদিন ইসলামী রাষ্ট্র ও আল্লাহর আইনের কথা বইলা আসছে। হেযবুত তওহীদও বলতেছে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চাই। আপাতদৃষ্টিতে দুইটা জিনিস একই বিষয় মনে হইতে পারে, কিন্তু আসলে একই না।

দেখেন বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলা কিন্তু প্রচণ্ডভাবে ইসলাম সম্পর্কে হীনম্মন্যতায় আপ্লুত। ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তারা এটা মাইনা নিছে যে, এই যুগে পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। তাই তারা পশ্চিমাদের তৈরি পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের সিস্টেমটাকেই যথাসম্ভব “ইসলামাইজ” করার কৌশল বাইছা নিছে। মানে তারা যখন সফল হবে, খুব বেশি কিছুতে পরিবর্তন তারা আনবে না। পুরান ইঞ্জিনেই নতুন রঙ লাগাবে আর কি। তারপর সেটার নাম দিবে ইসলামী রাষ্ট্র।

প্রমাণ দেখতে চান? কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বড় একটা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদককে নিউ ইয়র্ক টাইমসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হইছিল- আপনারা কোন মডেলের রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণ করতে চান? তিনি বলছেন তুরস্ক মডেলের কথা। আচ্ছা বলেন তো- তুরস্ক কি ইসলামী রাষ্ট্র?

শুধু একটা নমুনা দিই। ইসলামের আকিদা হইল পুরা মুসলিম উম্মাহ হবে একজাতি, তাদের নেতা হবেন একজন। ইসলামী ব্যবস্থায় মো’মেনদের মধ্যে হরেক রকম রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অনুমতিই নাই। তাইলে যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে সেখানে কি বহুদলীয় গণতন্ত্র চলতে পারে? সেখানে কি সরকারি দল-বিরোধী দল থাকতে পারে? পারে না। ঐ অপশন ইসলামে টোটালই নাই। তাইলে তুরস্ক কীভাবে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা হয়?

আসলে জামাত বা চরমোনাই বা খেলাফত মজলিশের মতো দলগুলা যদি কোনোদিন ক্ষমতায় যায়ও- তারা প্রচলিত দলাদলির ব্যবস্থাই বহাল রাখবে। রাখতে বাধ্য। কেননা এই দলাদলির ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েই তো তাদের ক্ষমতায় যাওয়া। এদের তথাকথিত ঐ ইসলামী রাষ্ট্রে যেহেতু প্রধান প্রধান বিষয়গুলো আগের মতোই থাকবে, সেগুলো ইসলামাইজ করার সামর্থ্য তাদের হবে না, সেজন্য তাদের ফোকাসটা গিয়া পড়বে গৌণ বিষয়গুলাতে। যেমন- সবাইকে বাধ্যতামূলক নামাজ পড়ানো, বাধ্যতামূলক দাড়ি রাখানো, রাস্তাঘাটে মোরাল পুলিশিং, ভাস্কর্য গুড়িয়ে দেওয়া, নারীদেরকে বাধ্যতামূলক নিকাব পরানো, ঘরের বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা সীমিত করা ইত্যাদি। আসলে ইসলামী রাষ্ট্র বলতে তারা এগুলাই বোঝে।

পক্ষান্তরে হেযবুত তওহীদ একদমই কারো ব্যক্তিগত দাড়ি টুপি জোব্বা পোশাক-আশাক ইত্যাদি নিয়া বাড়াবাড়ির পক্ষে না। হেযবুত তওহীদ মূলত চায় প্রচলিত হানাহানির ব্যবস্থা বাদ দিয়া আল্লাহর দেয়া জীবনব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে কায়েম করতে। সেই ব্যবস্থার ভিত্তি হবে আল্লাহর হুকুম। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ নিষেধ, হুকুম-আহকামকে মানদণ্ড বা মূলনীতি হেসেবে মাঝখানে রেখে রাষ্ট্রের বাকি স্ট্রাকচার দাঁড় করানো হবে।

হ্যাঁ, যে বিষয়ে আল্লাহর কোনো হুকুম নাই, ঐ বিষয়ে প্রচলিত সিস্টেম যদি যৌক্তিক হয়, তাহলে সেটা বহাল থাকতে পারে। কিন্তু যে বিষয়ে আল্লাহর কোনো হুকুম আছে, সে বিষয়ে অন্য কারো কোনো কথা চলবে না। ইভেন জাতির যিনি ইমাম হবেন, তার কথাও চলবে না।

এখানেই প্রচলিত রাষ্ট্রের সঙ্গে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রের মূল ফারাকটা বোঝা যায়। প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থা যেখানে বলে “সার্বভৌমত্ব” থাকবে জনগণের হাতে, তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র সেখানে বলে “সার্বভৌমত্ব” থাকবে আল্লাহর হাতে। প্রশ্ন আসতে পারে, তাইলে রাষ্ট্র পরিচালনায় বা নেতা নির্বাচনে জনগণের কি কোনোই অংশগ্রহণ থাকবে না? ভাই, অবশ্যই জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে।

এখন যেভাবে জনগণের ভোটে জননেতারা ইলেক্টেড হন, সেভাবেই জনগণ ভোট দিয়ে তাদের নেতাদেরকে নির্বাচিত করতে পারবে, কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু কথাটা হচ্ছে ঐ জায়গায় যে, উক্ত নেতারা ইলেক্টেড হয়ে কী করবে? তাদের কাজ কী হবে?

এখন জনগণ ভোট দিয়া যাদেরকে নেতা হিসেবে নির্বাচন করে, তারা সংসদে বইসা আইন বানায়। এখানেই মূল সমস্যা। এটা সরাসরি আল্লাহর সাথে শিরক। কেননা মানুষ কখনই আইনপ্রণেতা হইতে পারে না। আইনপ্রণেতা হইতেছেন একমাত্র আল্লাহ। তাঁর হুকুমে ও তাঁর বেঁধে দেওয়া আইনেই তো চলতেছে সমস্ত বিশ্বজগত। তাইলে পৃথিবীর আইনপ্রণেতা আবার মানুষ হয় কেমনে? মানুষকে তিনি পৃথিবীতে পাঠাইছেন খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে। অর্থাৎ মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহর দেয়া হুকুম বিধান আইন দিয়া পৃথিবীকে পরিচালনা করবে। সে নিজেই যদি হুকুম বিধান রচনা শুরু করে তাইলে তো সে প্রতিনিধিত্ব করল না, বরং বিদ্রোহ করল।

সুতরাং মো’মেনরা যাদেরকে ভোট দিয়া নেতা বানাবে, তাদের কাজ হবে- আল্লাহর হুকুম কীভাবে কার্যকর করা যায় সেটা নিয়া গবেষণা করা, অনুসন্ধান করা ও চূড়ান্ত করা। তারা হবেন আমির। তারা জনগণের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হবেন ও আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন। আর সেই মোতাবেক নির্বাহী বিভাগ কার্যনির্বাহ করবে।

যেহেতু রাষ্ট্রের সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ (ইলাহ) হবেন আল্লাহ- কাজেই একজন ব্যক্তি যতবড় আমিরই হোন, যত ভোট পেয়েই নির্বাচিত হোন, আল্লাহর হুকুম পরিপন্থী কোনো আইন, কোনো নীতি, কোনো আদেশ, কোনো নিষেধ, কোনো রায়, কোনো সিদ্ধান্ত তার পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। আল্লাহর হুকুম হলো অনৈক্য-দলাদলি নিষিদ্ধ, সুদ নিষিদ্ধ, ধর্মব্যবসা নিষিদ্ধ, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা নিষিদ্ধ ইত্যাদি। কাজেই দলাদলি করার বা সুদের লেনদেন করার বা দ্বীন বিক্রি করে খাওয়ার বা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর কোনো সুযোগই রাষ্ট্রে থাকতে পারবে না। ঐ রাস্তাগুলাই আইন পাস কইরা চিরতরে বন্ধ করে দিবেন আমিরগণ।

প্রশ্ন হইল- এটা সম্ভব কিনা? একটা ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন কইরা অন্য আরেকটা ব্যবস্থা কার্যকর করা তো সোজা কথা না। এটা আদৌ বাস্তবসম্মত চিন্তা কিনা?

আসলে একদিক থেকে দেখলে এই চিন্তা অযৌক্তিক কারণ আমাদের জাতি তো আল্লাহকে হুকুমদাতা-বিধানদাতা (ইলাহ) হিসেবে মানে না। যেহেতু মানে না কাজেই এই ব্যবস্থা প্রবর্তন করা সম্ভব না। কিন্তু আরেকদিক থেকে আশার কথা হইল- এই জাতির কাছে তো এত সুস্পষ্টভাবে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রস্তাব কেউ দেয়ও নাই। কেউ তো তাদেরকে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের দিকে স্পষ্টভাবে ডাকেও নাই। আল্লাহ চাইলে তারা শুনতেও তো পারে। মাইনা নিতেও তো পারে। সারাজীবন তো ইসলাম নিয়া করা হইছে রাজনীতি। তাই ভোটের বাক্স ভরানোর জন্য যা বলার দরকার তাই বলছে ধর্মভিত্তিক দলগুলা। সকালে বলছে এক কথা, বিকালে আরেক কথা। এসব দেখে জনগণ ঠিকই বুঝতে পারছে এরা আসলে ইসলাম কায়েম করতে দাঁড়ায় নাই, ধাপ্পাবাজি করতে দাঁড়াইছে।

কিন্তু প্রকৃত ইসলামের ডাক, তওহীদের ডাক, বিপ্লবের ডাক, ঈমানের ডাক যদি এই জাতির কাছে পৌছে দেয়া যায়, তারা কি গ্রহণ করবে না? জীবনের সর্বাঙ্গনে একমাত্র আল্লাহকে হুকুমদাতা বিধানদাতা হিসেবে মেনে নিবে না? আল্লাহর হুকুমে যারা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েতেছে, হজ্ব করতেছে, তারা কি চাইবে না আল্লাহর হুকুমে তাদের রাষ্ট্র চলুক? আমার মনে হয় চাইবে। অবশ্যই চাইবে।

যদি নাও চায়- সেটা আমরা তাদের মুখ থেকেই শুনতে চাই এবং আল্লাহকে সাক্ষী রাইখা বলতে চাই- “হে আল্লাহ! আমরা এই জাতির কাছে তোমার সার্বভৌমত্বের ডাক নিয়া গেছিলাম, আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি সেখানে ছিল না। কিন্তু এরা সিদ্ধান্ত নিছে তোমাকে হুকুমদাতা হিসেবে মানবে না।”

এই বইলা আমরা আল্লাহর ফয়সালার জন্য অপেক্ষা করতে চাই।

কাজেই আমরা যবো। সারা দেশের রাস্তায় রাস্তায়, দোকানে দোকানে, বাড়িতে বাড়িতে যাবো। আমরা নামাজীদের কাছে জানতে চাইব- আল্লাহ কি শুধু নামাজের হুকুম দিছেন? আমরা হাজ্বীদের কাছে জানতে চাইব আল্লাহ কি শুধু হজ্বের হুকুম দিছেন? আমরা রোজাদারের কাছে জানতে চাইব আল্লাহ কি শুধু রোজার বিধানই দিছেন? আল্লাহ তো রাষ্ট্র পরিচালনার বিধানও দিছেন, অর্থনীতির বিধানও দিছেন, সামরিক নীতির বিধানও দিছেন, আইন কানুন দণ্ডবিধিও দিছেন, সেটা কেন প্রত্যাখ্যান করলেন? আপনারা কি আল্লাহর কিছু হুকুম বিশ্বাস করেন আর কিছু হুকুম অবিশ্বাস করেন? এই আংশিক ঈমান কি আপনাদেরকে জান্নাতে নিবে?

তারপর তাদেরকে বলব- ভায়েরা, বোনেরা, আসেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হই তওহীদের ভিত্তিতে। তারপর তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে আওয়াজ উঠাই। এক রেনেসাঁর জন্ম দিই, জাগরণের সূত্রপাত করি। এই জাগরণ কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়, কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। এই জাগরণ হোক আল্লাহর হুকুম মানার লক্ষ্যে, আল্লাহর দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণ করার লক্ষ্যে।

13/07/2025

তারা কেমন মুসলমান যারা আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন কিন্তু আল্লাহর বিধানের উপর আস্থা ও বিশ্বাস নাই?

উনি একজন জেনারেল শিক্ষিত মানুষ কিন্তু দাঁড়াইছেন ইসলাম নিয়া। চাইলেই গণতন্ত্রের পক্ষে বলতে পারতেন, সমাজতন্ত্রের পক্ষে বলতে...
12/07/2025

উনি একজন জেনারেল শিক্ষিত মানুষ কিন্তু দাঁড়াইছেন ইসলাম নিয়া। চাইলেই গণতন্ত্রের পক্ষে বলতে পারতেন, সমাজতন্ত্রের পক্ষে বলতে পারতেন এবং সময়ের স্রোতে মিশে গিয়ে এতদিন বড় একজন আমলা এমনকি মন্ত্রী-মিনিস্টারও হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু বাল্যকাল থেকেই উনি ইসলামের পক্ষে। ইসলামকে বিজয়ী করাই হচ্ছে তার ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা।

আমাদের দেশি হুজুরদের কি উচিত ছিল না উনারে বুকে টেনে নেওয়া? অন্তত সমর্থন করা কিংবা বিরোধিতা না করা? কিন্তু হইছে উল্টোটা। কিছু হুজুর উনার বিরুদ্ধে এমনভাবে আদাজল খেয়ে নামছে যে, হুজুরদের হামলা, উস্কানি, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ঠেকাইতেই উনাকে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতে হইছে, জাতির মুক্তির জন্য যে দুই কদম আগাইবেন সেই ফুসরত নাই।

আজকে তিনি বেপরোয়া একটা সিদ্ধান্ত নিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরলেন। এখন হয়ত ইসলামবিদ্বেষীরা তাকে টার্গেট করবে। শত্রু আরও বাড়বে। কিন্তু এটাও সত্য- আল্লাহর নাম নিয়ে তিনি আজ যে উদ্যোগটা নিলেন সেটাই হয়ত কিছুদিন পর এই জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তিনি সফল হলে পুরো জাতিই সফল হয়ে যাবে, আর তিনি ব্যর্থ হলে এই জাতির কপাল পুড়বে। জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে, তবে বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীটার জন্য আফসোস হয়! তারা এমন একজন মানুষকে শত্রু মনে করতেছে যিনি একাই সারা বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়াইছেন তওহীদের মশাল নিয়া। যারা ইসলাম চায় না তারা উনার পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াইতেছে এটা মানা যায়, কিন্তু তোমরা ইসলামের হেফাজতকারী দাবি কইরা কেমনে উনার পথে কাঁটা বিছাইতে পারো?

আল্লাহ যেন তার এই চলার পথকে আরেকটু সহজ করে দেন এবং বঙ্গদেশীয় ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর উৎপাত থেকে মুক্তি দেন।

আলহামদুলিল্লাহ! শোকর আলহামদুলিল্লাহ!অবশেষে “তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার” পক্ষে মাঠে নামলেন ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ...
12/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ! শোকর আলহামদুলিল্লাহ!

অবশেষে “তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার” পক্ষে মাঠে নামলেন ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। আল্লাহ যেন তাঁর মাধ্যমে এই জাতিকে হানাহানির রাজনীতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার একটা রাস্তা বের করে দেন।

[ছবি: আজকের গোলটেবিল বৈঠক; জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা]

12/07/2025

যতদিন দেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, এনসিপি, জাতীয় পার্টি ইত্যাদি রাজনৈতিক দল থাকবে, ততদিন ক্ষমতার জন্য সংঘবদ্ধ কামড়াকামড়িও থাকবে।

যতদিন ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ি থাকবে, ততদিন দলগুলাও ইচ্ছা কইরাই নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষায় লাঠিয়াল বাহিনী পুষতে থাকবে। হরেক রকম লাঠিয়াল বাহিনী থাকবে- কোনোটা ছাত্রদের নিয়া গঠিত, কোনোটা যুবকদের নিয়া গঠিত, কোনোটা বুইড়া বান্দরদের নিয়া গঠিত। কোনোটা জয় বাংলা বইলা কুপায়, কোনোটা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বইলা পাথর মারে, কোনোটা আল্লাহু আকবার বইলা রগ কাটে ইত্যাদি। এসবের শেষ নাই। শেষ করার উপায়ও নাই।

একমাত্র উপায় হইল- বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জাতিকে বিভক্ত কইরা রাখার বস্তাপচা সিস্টেমকে পুরোপুরি বর্জন করতে হবে। আপনি ঘরের মধ্যে আগুন জ্বালাইয়া রাখবেন আর সেই আগুন আপনার আশেপাশের মানুষকে পোড়াবে না তা হয় না। এমন একটা সিস্টেম কায়েম করা লাগবে- যেটায় শত্রুতার আগুন কখনও জ্বলবেই না। যেটায় ফ্যাসিবাদও থাকবে না, আবার দলাদলিও থাকবে না।

অনেকে বলবে- তা কেমনে সম্ভব? রাজনৈতিক দলাদলি না থাকলে মানুষ তার পছন্দের দলকে বাইছা নিবে কেমনে? আর পছন্দের পার্টিকে বাইছা নিতে না পারলে সেইটাই তো ফ্যাসিবাদ। যৌক্তিক প্রশ্ন।

কিন্তু ভাইজান- জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য পার্টি জিনিসটা কি আসলেই বাধ্যতামূলক কিছু? ধরেন পার্টি জিনিসটা থাকলো না। পার্টির বদলে ভোট দিয়া আমরা যদি সরাসরি আমাদের পছন্দের “ব্যক্তিকে” নেতা হিসেবে নির্বাচন করি তাতে অসুবিধা কী? রাষ্ট্র চলে নেতা দিয়া, পার্টি দিয়া তো না। দলভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে আমরা চাইলেই ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থায় প্রতিস্থাপন করতে পারি। তারপর ন্যায়কে যিনি ধারণ করবেন তাকে বাছাই করার জন্য শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি। অসুবিধা কী?

ভাবেন, ভাবা প্র্যাকটিস করেন। সব ভাবনা পশ্চিমারা ভেবে ফেলছে এমনটা মনে করার কারণ নাই। ওদের মগজের, চিন্তার ও বিবেকের দৌড় শেষ। এখন যে কোনো সময় দেখবেন একটা মারাত্মক যুদ্ধ লাগাই দিবে, তারপর পরমাণু বোমা মেরে সভ্যতার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করবে। কাজেই এখন ওদের পিছু ছাড়েন। নিজেরা কিছু করার চেষ্টা করেন। আমরা যদি কোনো নতুন সভ্যতা ও নতুন ব্যবস্থা নির্মাণ করতে পারি তাইলে রক্ষা পাবার একটা চান্স থাকবে হয়ত।

11/07/2025

ফ্রি ফ্রি ফ্রি-

গণতন্ত্রের সাথে চাঁদাবাজী, সন্ত্রা’স ও গৃহযু’’দ্ধ ফ্রি।

ইসলামের সাথে শান্তি, নিরাপত্তা ও সুবিচার ফ্রি।

(বাইছা লন ভাই বাইছা লন)

07/07/2025

ধাপ্পাবাজির রাজনীতি আর কামড়াকামড়ির নির্বাচন দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে না। ইসলাম প্রতিষ্ঠার উপায় একটাই- মো’মেনদের গণবিপ্লব।

প্রায় ৮ কোটি মুসলমান বর্তমানে উদ্বাস্তু শিবিরে দিন কাটাচ্ছে। ঘর নেই, বাড়ি নেই, দেশ নেই। একটুখানি আটার জন্য, গমের জন্য, প...
04/07/2025

প্রায় ৮ কোটি মুসলমান বর্তমানে উদ্বাস্তু শিবিরে দিন কাটাচ্ছে। ঘর নেই, বাড়ি নেই, দেশ নেই। একটুখানি আটার জন্য, গমের জন্য, পানির জন্য তারা হাহাকার করছে, ক্ষুধার যন্ত্রণায় অনেকে ঘাস খাচ্ছে, মাটি খাচ্ছে।

তাদের পরিচয় খুঁজলে দেখা যাবে কেউ সিরিয়া থেকে, কেউ ইরাক থেকে, কেউ আফগানিস্তান থেকে, কেউ ফিলিস্তিন থেকে, কেউ মিয়ানমার থেকে, কেউ ইয়েমেন থেকে কিংবা লিবিয়া থেকে উদ্বাস্তু হয়েছে।

একের পর এক মুসলিমপ্রধান দেশ বোমার আঘাতে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর সেই সাথে উদ্বাস্তুদের মিছিলও বড় হচ্ছে। কাল যদি বাংলাদেশেও এমনি একটা যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে এখান থেকেও নিশ্চিতভাবে কোটি কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হবে, আশ্রয়ের জন্য এখানে ওখানে ছোটাছুটি করবে। কিন্তু আশ্রয় কি পাবে কোথাও? তিনদিকে ভারত, এককোণে মিয়ানমার, আরেকদিকে সমুদ্র। কে দিবে আশ্রয়?

না কেউ আশ্রয় দিবে না। সুতরাং আমাদের বাঁচার উপায় কিন্তু একটাই- সবাই মিলে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করা। লড়াই থেকে পালালেন তো নিজেও ধ্বংস হলেন, দেশও ধ্বংস হলো। আপনি কি চান এই সোনার দেশটা ইরাক সিরিয়া না হোক? তাহলে আজ থেকেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করুন। হাতে সময় বেশি নেই, এখনই জাতিটাকে ঢেলে সাজানোর কাজে লেগে পড়তে হবে।

অনৈক্যের বীজগুলো উপড়ে ফেলতে হবে,
হানাহানির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে;
যোগ্য নেতা ও নির্ভুল আদর্শ খুঁজে নিতে হবে।

মনে রাখতে হবে বিশ্বের অপরাপর দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের মুসলমানদের বিশাল এক পার্থক্য আছে। সেটা হলো- হেযবুত তওহীদ। অনেকে অবজ্ঞার সুরে বলতে পারেন হেযবুত তওহীদ আবার কী করবে, অল্পকিছু মানুষ!

ভাই অল্পকিছু মানুষই তো ১৪০০ বছর আগে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল, তাই না? সংখ্যার অহংকার বাদ দিয়ে আসল পয়েন্টে আসেন। শত্রুকে মোকাবেলার জন্য এক নম্বরে লাগবে যোগ্য নেতা, দ্বিতীয়ত লাগবে সঠিক আদর্শ, তৃতীয়ত লাগবে ঐক্যবদ্ধ একটা মো’মেন জাতি, চতুর্থত লাগবে সেই মো’মেন জাতির জান-মালের কুরবানি। এই কুরবানি দিতে এক পাও দ্বিধা করবে না হেযবুত তওহীদ ইনশা’আল্লাহ।

শত্রুর আগ্রাসন মোকাবেলায় মিয়ানমারের মুসলমানদের কাছে প্রকৃত ইসলামের আদর্শ ছিল না, কিন্তু আমাদের আছে।

ইরাক-সিরিয়ার মাটিতে যোগ্য নেতা ছিল না, কিন্তু আমাদের যোগ্য নেতা আছে।

ইয়েমেন ছিল না কোনো মো’মেন জাতি, কিন্তু আমাদের মধ্যে আছে।

তাই ওরা ধ্বংস হয়ে গেলেও আমরা হতে পারি বিজয়ী। অনেকটা মদীনার মতো। রাসূলের হাতে গড়া উম্মতে মোহাম্মদী জাতির মতো। যাদের অভিধানে উদ্বাস্তু নামক কোনো শব্দ ছিল না। যাদের নারী শিশু বৃদ্ধ সবাই ছিল যোদ্ধা। যুদ্ধ করে হাসতে হাসতে শহীদ হতেন, নয়ত বিজয় ছিনিয়ে আনতেন। ফলে পৃথিবীর কোনো পরাশক্তি তাদেরকে পরাজিত করতে পারত না, গোলাম বানাতে পারত না।

ইনশা’আল্লাহ সেই চেতনা থেকেই আমরা হেযবুত তওহীদের সদস্য-সদস্যারাও শপথ নিয়েছি প্রয়োজনে পেটে পাথর বাঁধবো, গাছের লতা-পাতা খাবো, কিন্তু দেশকে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানের মতো ধ্বংস হতে দিব না ইনশা’আল্লাহ। আমরা আল্লাহর মনোনীত ইমামের হাতে বাইয়্যাত নিয়ে, তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, জান-মাল দিয়ে সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকবো। দেশ রক্ষার জন্য, মাটি রক্ষার জন্য, ঈমান রক্ষার জন্য জীবন দিব কিন্তু উদ্বাস্তু শিবিরে যাবো না। রণাঙ্গন থেকে পালাবো না।
[ছবি: নতুনদের নিয়ে আজকের আলোচনা সভা, আইডিইবি মিলনায়তন, ঢাকা]

25/06/2025

ইরানের সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের মারতে ইস/রায়েল বিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেও ধর্মনেতাদের মারতে কোনো আগ্রহ দেখায় নাই। কিন্তু কেন?

25/06/2025

রাসূল (সা.) কেন ওয়াজ মাহফিল করতেন না? | Waz Mahfil Explained

দাজ্জাল (ইহুদি খ্রিস্টান বস্তুবাদী সভ্যতা) এমন একটা জায়গায় চলে গেছে একে আর ইরানও মোকাবেলা করতে পারবে না, সৌদি বাদশাহও মো...
22/06/2025

দাজ্জাল (ইহুদি খ্রিস্টান বস্তুবাদী সভ্যতা) এমন একটা জায়গায় চলে গেছে একে আর ইরানও মোকাবেলা করতে পারবে না, সৌদি বাদশাহও মোকাবেলা করতে পারবে না, সুলতান এরদোগানও মোকাবেলা করতে পারবে না। দাজ্জালকে মোকাবেলার জন্য সর্বপ্রথম একটা মো’মেন জাতি লাগবে, সেই জাতিকে পরিচালনার জন্য আল্লাহর মনোনীত একজন নেতা লাগবে, আর ঐ নেতার নির্দেশে পুরো জাতিকে জীবন-সম্পদ উৎসর্গ করে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকা লাগবে।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোহাম্মদ আসাদ আলী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মোহাম্মদ আসাদ আলী:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share