27/11/2024
কল্কী অবতার ভগবান সুভাষচন্দ্র সরা সরি এনার আশ্রিত। ইনি কে? ইনি মহাবতার বাবাজী মহারাজ, আমার ধারণা, উনি কপিল মুনীর সমসাময়িক। মহর্ষী কপিল মুক্তি লাভ করেছেন কিন্ত এই যুগান্তর মহর্ষী, স্বেচ্ছায়, পৃথিবীর দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
মহাবতার বাবাজী মহারাজের কোন বংশ পরিচয় বা জন্মবৃত্তান্ত পাওয়া যায় না, উনি আবির্ভূত হন, সময় এর প্রয়োজনে।
ভগবান সুভাষচন্দ্র কে সর্বত ভাবে ইনি সহ, অন্যান্য সব ব্রহ্মজ্ঞানীরা সাহায্য করে চলেছেন।
এবার একটু বলব, কেন অবতার রা আসেন পৃথিবীতে? উত্তর হলো, পৃথিবী হলো কর্ম ভূমি, কুরুক্ষেত্র, অর্থাৎ যুদ্ধ ক্ষেত্র।
কোটি কোটি আত্মা এখানে জন্ম নিচ্ছেন প্রতি নিয়ত, নিজ কর্ম সংস্কার অনুযায়ী, এবং প্রতি নিয়ত সংগ্ৰাম করে চলেছেন শান্তি ও মুক্তিলাভের জন্য, কিন্ত এই মুক্তিলাভের জন্য কর্ম করতে গিয়ে তাঁরা অর্থাৎ আত্মারা, সাত্বিক, অসাত্বিক সর্ব ধরনের কর্ম করার দরুণ, রুচি র তারতম্য অনুযায়ী, সমাজে নানা জটিলতার ও সৃষ্টি করে চলেন।
যখন পৃথিবীতে, তামসিক ভাব, অর্থাৎ জড়ের প্রভাব ও ভাব এর প্রবণতা চরমে পৌঁছয়, ঠিক তখন ই মহাবতার, অবতার পুরুষ দের মরলোকে পাঠান, মানব জাতিকে উদ্ধার করার জন্য।
(পশুপ্রেমীরা হয়ত ভাবতে পারেন, শুধু মানব কেন, পশুরাও ত উদ্ধার হবে। এখানে একটা বোঝার ব্যপার আছে। পশুদের ভেতরেও ঈশ্বর বাস করছেন কিন্ত তাদের বুদ্ধিটা বিকশিত নয়, মানুষের মতন। তাদের মধ্যে রজঃ ও তমঃ গুণের প্রভাব অত্যন্ত বেশী থাকায়, তারা পশু হয়ে জন্মায়, কর্মের ফল ভোগ করতে। তাই তাদের কে ভোগ শরীর বলা হয়।
কর্ম তত্ব বলছেন, পশুদের কোনকালেই মুক্তি হয় না, তাদের সংস্কার দোষে, ঐ রজঃ ও তমোর আধিক্যের জন্য ই। According to কর্মতত্ব ৮৪ লক্ষ যোনী ঘুরে মানব জীবন লাভের তত্বটা, অযৌক্তিক, এ বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে।)
কলি যুগ কে পাপের যুগ আক্ষা দেয়া হলেও, এই যুগেই প্রচুর অবতার ধরাধামে এসেছেন, প্রভূ যিশু থেকে শুরু করে ভগবান সুভাষচন্দ্র পর্য্যন্ত। অগণিত অবতার পুরুষরা জন্মেছেন, তাঁদের মধ্যে এই বঙ্গেঈ জন্মেছেন একের পর এক অবতার পুরুষ— সাধক কমলাকান্ত, সাধক রামপ্রসাদ, সাধক বামদেব, শ্রী রামকৃষ্ণ, স্বামীজী ও এখনো পর্য্যন্ত সর্বশেষ অবতার পুরুষ, ভগবান সুভাষচন্দ্র।
নারীদের মধ্যে, দিব্যজ্ঞান ধারী আত্মারা যেমন মা সারদা, গৌরী মা, দূর্গা মা, আনন্দময়ী মা ও আর ও অনেকেই।
সকল অবতার পুরুষদের মধ্যে, ভগবান সুভাষচন্দ্রকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে, একটি আধ্যাত্মিক গ্ৰন্থে, যার লেখক, মহাযোগী শ্যমাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের শিষ্য ক্রিয়া যোগী দ্বারকানাথ ভট্টাচার্য্য। গ্ৰন্থের নাম হৈরাখান বাবাজীকে যেমন দেখেছি ও অন্যান্য সাধু দর্শণ।
এই গ্ৰন্থেই জানা যায় যে, শ্রীকৃষ্ণের চেয়েও বড়ো যোগী হলেন ভগবান সুভাষচন্দ্র। বলা হয়েছে মহাভারতে র সময় শ্রীকৃষ্ণের কর্ম, ভগবান সুভাষচন্দ্রের কর্মের কাছে তুচ্ছ। স্বয়ং অশ্বথ্থামাও অপেক্ষা রত আছেন আজ ও ভগবান সুভাষচন্দ্রের কর্ম প্রত্যক্ষ করার জন্য।
অবশ্যই সেই বিশেষ লেখাটি আপনাদের সামনে তুলে ধরব, কিছু সময়ের পরে। ততক্ষণ ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী গুলো স্মরণ করুন, স্মরণ করুন স্বামীজীর বাণী গুলো, দুজনেই বলেছেন "জীব ই শিব"। শ্রীরামকৃষ্ণের বাণীর অর্থ না বুঝলে, সুভাষচন্দ্র কে ভগবান রূপে চেনা যাবে না।
জয় ওম্
ওঁ সর্ব ব্রহ্মজ্ঞ গুরভ্য নমঃ
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏