26/05/2025
----
বিকেলটা যেন হঠাৎ করেই থমকে গিয়েছিল।
আকাশ জুড়ে ঘন মেঘ, বাতাসে কেমন যেন এক অচেনা শীতলতা।
রাস্তার পাশের কাঠের বেঞ্চটায় চুপচাপ বসে ছিল আভাশ আর আভেরী।
কথা বলছিল না কেউ—শুধু তাদের মাঝের নিঃশব্দতা যেন চিৎকার করে কিছু বলতে চাইছিল।
আভাশ নিচু গলায় বলল, "আকাশটা দেখেছো? ঠিক তোর মতোন...
চোখে মেঘ, কিন্তু মুখে হাসি।"
আভেরী হালকা হেসে বলল, "তুই তো জানিস, আমি কাঁদি না।
তবে মেঘের মতো জমে থাকলে একদিন না একদিন ঝরতেই হয়, তাই না?"
সেই কথায় যেন বাতাসের গতি একটু বাড়ল।
পাতারা কাঁপতে লাগল—ঠিক যেমন ভেতরে কাঁপছিল তাদের অজস্র অমীমাংসিত অনুভব।
আভাশ হাত বাড়িয়ে ধরতে চেয়েছিল আভেরীর হাত।
কিন্তু আভেরী নিজের আঁচলটা একটু টেনে নিলো—
যেন এটাই শেষবার কাউকে কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার শক্তি জোগাড় করেছিল সে।
"তুই থাকলে সব সহজ লাগতো, আভাশ।
কিন্তু সবকিছুই শুধু অনুভবের উপর টিকে থাকে না।
বাস্তব বড় নির্মম, আর আমি হয়তো তোর জীবনের গল্পটা নই—শুধু এক পৃষ্ঠা।"
আকাশটা তখন একেবারে অন্ধকার।
প্রথম ফোঁটা বৃষ্টিটা পড়ল তাদের মাঝখানে।
আভেরী উঠে দাঁড়াল। আভাশ কিছু বলল না—শুধু তাকিয়ে রইল,
যেভাবে মানুষ তাকিয়ে থাকে শেষ সূর্যটার দিকে, জেনেও যে আর ফিরে আসবে না।
সেই মুহূর্তে হয়তো আকাশ কেঁদে ফেলেছিল,
কিংবা ওরা—বৃষ্টির ভেতরে লুকিয়ে ছিল ঠিক কোন চোখের জল, সেটা আর কেউ জানে না।
---