28/10/2025
সবকিছুর আদব আছে। অতি প্রয়োজনীয় বস্তু মোবাইল ব্যবহারেরও শরিয়ত-সম্মত কিছু আদব আছে।
জেনে নেওয়া যাক —
১. পাবলিক প্লেসে ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে, নিজেদের ছবি তুলতে গিয়ে যেন অন্য কারো প্রাইভেসি নষ্ট না হয়। মনে রাখতে হবে, ছবি তোলা অনেকেই পছন্দ করেন না।
২. ভিডিও কলে কথা বলার সময় অন্য কারো ভিডিও যেন অপরদিকে দেখা না যায় — এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
৩. অনুমতি ছাড়া অন্য কারো ছবি তোলা বা ভিডিও না করা। মোবাইলে ছবি তোলার জন্য জোরাজুরি না করা। ছবি তোলার ব্যাপারে অনেকে ধর্মীয় রেস্ট্রিকশন থাকতে পারে।
৪. মোবাইলে কথা বলার সময় গীবত/পরনিন্দা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা।
৫. মোবাইল রিংটোনে গান/তেলাওয়াত না দেওয়া এবং কোনো বিরক্তিকর রিংটোন না রাখা।
৬. পাবলিক প্লেসে হাই ভলিউমে ভিডিও বা অডিও না শোনা। প্রয়োজনে হেডফোন ব্যবহার করা।
৭. একসাথে বসে পারিবারিক আড্ডার সময় মোবাইল ফোন দূরে রাখা।
৮. লাউড স্পিকার অন করে কথা না বলা, এতে অপর দিকের প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে।
৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কম সময় দেওয়া।
১০. বাচ্চাদের হাতে মোবাইল না দেওয়া।
১১. কথা বলার সময় কল রেকর্ড অপশন চালু না রাখা। অন্য জনের একান্ত কথা রেকর্ড করার কোনো প্রয়োজন নেই। দুই কাঁধের ফেরেশতারা রেকর্ড রাখছেন সবকিছু — মনে রাখতে হবে।
১২. মোবাইলে কল রেকর্ড করে তা অন্য কাউকে না পাঠানো। এটা অনেকটা একজনের কথা অপরকে বলে দেওয়ার মতো এবং আমানতের খিয়ানত করার মতো অপরাধ। এছাড়া এতে পারিবারিক কলহ বা সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। এই একটি কাজের সঙ্গে অনেক ভয়াবহ গুনাহ জড়িয়ে আছে।
১৩. মোবাইলে কথা বলার সময় খুব সাবধানে কথা বলা, যাতে বাকবিতণ্ডা বা ঝগড়া না হয়।
১৪. নন-মাহরাম পুরুষ/নারীর সাথে অপ্রয়োজনীয় আলাপ না করা।
এই ছোট ছোট বিষয়গুলো হয়তো মনে হতে পারে কিছুই না। কিন্তু যদি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করে দেখি, তাহলে একটু এদিক-ওদিক হলেই কিছু মারাত্মক গুনাহের দিকে যাওয়া। মহান আল্লাহ তাআলা হেফাজতে রাখুন। আমীন।
___________________________
|| মোবাইল ব্যবহারে সচেতনতা ||
সালমাতুল ফেরদৌসী সালমু