25/07/2025
ভারতের বুকে এক অবিশ্বাস্য গ্রাম, যেখানে ইতিহাস আর অ্যাডভেঞ্চার মিলেমিশে একাকার! 🤩
দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৬ কিমি দূরে শান্ত পাহাড়ি গ্রাম মানেভঞ্জ্যান।
নামের অর্থেই লুকিয়ে আছে এর ইতিহাস।
‘Mane’ মানে বৌদ্ধ স্তূপ, নেপালি ভাষায় ‘Bhanjayang’ মানে জংশন বা সন্ধি। অর্থাৎ, স্তূপের সন্ধি।
🚙 এই গ্রামকে অন্যরকম করে তুলেছে এক অসাধারণ দিক।
অবিশ্বাস্য Vintage Land Rover গাড়ির ফ্লিট।
ব্রিটিশ আমলে ১৯৫৭-৬০ সালের ৪০-৪৫টি ল্যান্ড রোভার সিরিজ গাড়ি আজও এখানে সচল, যা এখনও এখানে জীবিকার একটা অপরিহার্য অঙ্গ।
পৃথিবীর অন্যতম জীবন্ত Land Rover সংগ্রহশালা বলা যায় এই গ্রামটিকে।
এগুলি শুধু গাড়ি নয়, পাহাড়ি রুক্ষ পথে টিকে থাকা একেকটি জীবন্ত কিংবদন্তি, ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অনবদ্য নিদর্শন।
এই ল্যান্ড রোভারগুলো ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহৃত হয় সান্দাকফু, তুমলিং, কালিপোখরির মতো দুর্গম গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য।
ট্রেকিংয়ের শক্তি না থাকলেও, এই ল্যান্ড রোভারে চড়ে সান্দাকফু যাত্রা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা!
পাহাড়, মেঘ আর বরফে মোড়া শিখরের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টার এই রাইড আপনাকে নিয়ে যাবে সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের বন্যপ্রাণ আর রডোডেনড্রন জঙ্গলের পাশ দিয়ে, পরিচয় করাবে নেপালি ও লেপচা সংস্কৃতির মানুষদের সঙ্গে।
কেন মানেভঞ্জ্যান আপনার ট্র্যাভেল বাকেটলিস্টে থাকা উচিত?
* জীবন্ত ঔপনিবেশিক ইতিহাস: এক রোড ট্রিপে ফিরে যান অতীতে।
* প্রকৃতির মাঝে অ্যাডভেঞ্চার: পাহাড়, মেঘ, তুষারাবৃত শিখর আর ল্যান্ড রোভারের এক দুর্দান্ত মেলবন্ধন।
* স্থানীয় সংস্কৃতি ও আতিথেয়তা: নেপালি ও লেপচা সম্প্রদায়ের উষ্ণ আতিথেয়তায় মুগ্ধ হবেন।
* ইতিহাস ও প্রকৃতির রহস্যময় মিশ্রণ: অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী এবং ইতিহাসপ্রেমী—সবার জন্য এটি এক অনন্য গন্তব্য।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সহজেই এখানে পৌঁছানো যায়।
দার্জিলিং থেকেও মাত্র দেড়-দুই ঘণ্টার পথ।
আপনি কবে যাচ্ছেন ভারতের এই একমাত্র 'ল্যান্ড রোভার গ্রাম'-এ?
একাই যাবেন নাকি প্রিয় মানুষটির সঙ্গে, জানাবেন আমাদের! 😆❤️
@ Bagdogra Times