LIVE TV

LIVE TV Welcome to the official home of the LIVE TV on Facebook. Our mission is to enrich your life. To infor LIVE TV - Best Broadcasting Network

দ্রুত নির্বাচন দাবি করা নেতারা গতকাল বড় ধাক্কাখেয়ে চুপ হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে ডক্টর ইউনুস তাদেরগালে সজোরে আঘাত থাপ্পড় মারছে...
18/03/2025

দ্রুত নির্বাচন দাবি করা নেতারা গতকাল বড় ধাক্কা
খেয়ে চুপ হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে ডক্টর ইউনুস তাদের
গালে সজোরে আঘাত থাপ্পড় মারছে....
আওয়ামীলীগের ৫-৭ হাজার লিস্টেড প্রোপাগাণ্ডার চ্যানেল আছে। মাসে পেইড এড রান করে ৩০-৫০ লাখ টাকার। ভারতের তো বিজেপির আইটি সেল নিয়া আর বলতে হবে না। এইযে বিদ্বেষ ছড়ানো মিডিয়ার মাধ্যমে, এটাকে বলে মেগাফোন কূটনীতি।
এই কূটনীতির উপর ভিত্তি করে আমেরিকা কোল্ড ওয়ার জিতসে, পশ্চিমা সফলভাবে ইসলামোফোবিয়া ছড়াতে পারছে, বিজেপি সফলভাবে মুসলিম জেনোসাইডের দিকে আগাচ্ছে।
বাট, ইন্ডিয়া + আওয়ামীলীগ দুইটাই আপ্রাণ চেষ্টা করছে ইউনুসকে খারাপ বানানোর মেগাফোন কূটনীতির মাধ্যমে। অনেক বিনিয়োগ করছে।
ফলাফল?
শূন্য।
কী আজিব অবস্থা।
ইউনুস সাহেব পরিচয় করালো নতুন এক কূটনীতির। যেটার নাম 'ইফতারি কূটনীতি'।
আমিও অবাক হলাম উনার এই এপ্রোচ দেখে। তব্দা খেয়ে ভাবলাম। জাতিসংঘের লিস্টেড দেশ হইছে ১৯৪টা। জাতিসংঘের মহাসচিব যেখানে যাবে, এই ১৯৪ টা দেশ সে নিউজ করতে বাধ্য। খোদ আমিরিকা থেকে দক্ষিণ সুদান পর্যন্ত।
ইউনুস বেচারা গুতেরেসকে পাঞ্জাবি আর টুপি পরিয়ে হাজির করে ১ লাখ রোহিঙ্গার সামনে। নিজেও পরছে টুপি। ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন এক অবস্থান। যেখানে মুসলিমরা উলটা কাজ করে। পশ্চিমা দেখলে দাড়িও ছিড়ে ফেলে। শুধু তাই না। তিনি ঘোষণা দিলেন আঞ্চলিক ভাষায় আগামী ইদ যেন নিজের এলাকায় কাটাতে পারে রোহিঙ্গারা এবং উনাকেও যেন দাওয়াত দেয়। খেয়াল রাখবেন উনার পাশে কিন্তু গুতেরেস এইটা বলার সময়।
এই খবর ১৯৪টা দেশে প্রচারিত হইছে। আমার মনে আছে। ইউনুস সাহেব বলছিলেন এসেই 'আমরা কেন যাব? সবাই আসবে আমাদের কাছে।'
কথাটা যেন সত্যি হচ্ছে। গুতেরেস আসছে, ইলন মাস্ক এ বছর খুব সম্ভাবনা আছে, সৌদি আরবের আরামকো আসতেসে, মালেশিয়া থেকে কোম্পানি আসতেসে।
ইফতারিকে কাজে লাগিয়ে বিশাল এক বার্তা দিলেন। প্লেকার্ড সেট করসে স্ট্র‍্যাটেজিক লোকেশনে। যাতে মিডিয়া যেভাবেই প্রচার করুক প্লেকার্ড চোখে পড়ে।
এইযে মেগাফোন ডিপ্লোমেসিকে উড়িয়ে দিবেন এইভাবে, আমরা ভাবতে পারি নাই। এরকম একজন ক্যারিশমাটিক লিডার আর আসবে কি না সন্দেহ আছে।
আরও বলি, রামাদানে তো সব পণ্যের দাম কমছে। প্রথমবার একচুয়াল ডিফ্লেশন শুরু হইসে ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রমান?
বলছি।
ক্যাপিটাল মার্কেট যেটা রাষ্ট্রের অর্থনীতির মেরুদণ্ড সেটা ঠিক হওয়া শুরু করছে। বন্ডে সুদের হার ১০.৫ এ নামছে ১৫-১৬% থেকে। তারমানে ইনফ্লেশন কমতেসে। যদি ইনফ্লেশন বাড়ে বন্ডে সুদের হার বাড়িয়ে দেয় সরকার। শেয়ার মার্কেট ভালো হয় না। যেমন হাসিনার আমলে গায়ে আগুন ঢেলে অনেকে আত্মহত্যা করছে। তখনই দেশের ইকোনোমির ১২ টা বাজায় দিছে। এখন উলটা চিত্র৷ বন্ডে সুদের হার কমতেসে। কোম্পানি নিজের শেয়ার কেনা শুরু করে। মেবি ১ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ কোম্পানি পাওয়া যাবে যেগুলো মিডেল ক্যাপের মধ্যে। অনেক কোম্পানি ব্লু চিপ হবে।
এটা হচ্ছে একদম আতসকাচের মত ইনফ্লেশন মাপার এক প্রক্রিয়া।
আরেকটা কথা, দেশে কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে যাস্ট ফ্রি তে চায়নাসহ অনেক দেশ কলেজ খুলবে যেগুলোতে পড়ে সরাসরি ছেলে-মেয়েরা বাইরে গিয়ে ভালো ও যোগ্য কাজ করতে পারে।
দেশে এই পর্যন্ত নির্বাচন হইছে ১০ বার। ১০ বার সরকার বদলাইসে। জিয়াউর রহমান ছাড়া কেউ দেশের ভালো চায় নাই, করে নাই। ইউনুস করতেসে। নির্বাচন দরকার। কিন্তু ইউনুস সাহেব দেশটাকে একটা ব্লু প্রিন্ট দিয়ে যাক, যাতে সেটার উপর নির্বাচিত সরকার চলতে বাধ্য।
বিএনপিকে আল্লাহ হেদায়াত দিক।
আর সবাই ইউনুস সাহেবের জন্য দোয়া করেন। আল্লাহ যাতে উনাকে সুস্থ রাখেন। স্বাভাবিক রাখেন। এমন একটা লোক আমাদের অনেক দরকার। যে মুখে না, মাথায় খেলে।
তথ্য সংগৃহীত:

'হায়দারাবাদের পথে বাংলাদেশ' নব্বই দশকের শেষের দিকে একটা বই লিখেছিলাম, বইটির নাম ছিল ‘হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদে...
09/07/2024

'হায়দারাবাদের পথে বাংলাদেশ'
নব্বই দশকের শেষের দিকে একটা বই লিখেছিলাম, বইটির নাম ছিল ‘হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদেশ’। আমার জানা মতে ভারতের হায়দারাবাদ দখল নিয়ে বাংলাভাষায় লেখা সেটাই ছিল প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ। সেখানে ভারত কিভাবে হায়দারাবাদ দখল করেছিল সেই ইতিহাস তুলে ধরে আশংকা প্রকাশ করেছিলাম, বাংলাদেশের পরিণতিও কি হায়দারাবাদের পথ ধরে এগোবে!
বইটি প্রকাশ করেছিল, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লি:। বইটা এখন আর বাজারে নেই, প্রিন্ট ও পাওয়া যায়না। হয়ত দরকার নেই! কারন হিসাবে পুস্তক ব্যবসায়ীরা হয়তো ভাবেন ভারত তো হায়দারাবাদ দখল করে ‘হায়দারাবাদ’ নামটাকেই আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে! কে এসব বই পড়বে!
তবে আমার বিশ্বাস ইতিহাস বিলুপ্ত করা যায়না। শীঘ্রই হায়দারাবাদের ইতিহাস হয়ত বাংলাদেশ হয়ে ফিরে আসতে যাচ্ছে। তাই হায়দারাবাদ দখলের ব্লু প্রিন্ট ইতিহাস প্রত্যেকটি বাংলাদেশীর জানা অত্যন্ত জরুরী এবং প্রয়োজনীয় ছিল। হায়দারাবাদের করুন ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষকে অনেককিছু বলতে চায়, জানাতে চায়, সতর্ক করতে চায়! ইতিহাস কোনদিন বিলুপ্ত হয়না!
কি ছিল হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদেশ বইটিতে
পৃথিবীর বিস্ময়, জ্যোতির পাহাড়, ‘কোহিনুর’ হীরার জন্মদাত্রী, হীরক-আকর সমৃদ্ধ গোলকুন্ডার কন্যা হায়দারাবাদ। গোদাবরী, কৃষ্ণা, তুঙ্গভদ্রা, পূর্ণা, ভীমা, পেনগঙ্গা, ওয়ার্ধা, মুসী, প্রানহিটা নদী বিধৌত সুজলা সুফলা দেশ হায়দারাবাদ।
ইতিহাস খ্যাত অজন্তা-ইলোরা গুহা। আওরঙ্গাবাদ, ওসমানাবাদ শহর। গোলকুণ্ডা, গুলবার্গ, ওয়ারাংগাল, রাইচুর, পারেন্দা, নলদূর্গ প্রভৃতি ঐতিহাসিক দূর্গের ঐতিহ্যমণ্ডিত হায়দারাবাদ। হীরক, স্বর্ণ, লৌহ, কয়লা, অভ্র প্রভৃতি মূল্যবান আকরিক সম্পদে সমৃদ্ধ হায়দারাবাদ। মক্কা মসজিদ, চার-মিনার সৌধ মসজিদ সহ পাঁচশ বছরের মুসলিম শাসনের আভিজাত্য সম্বলিত হায়দারাবাদ ,আজ নিঝুম গোরস্থানে নিভে যাওয়া এক প্রদীপের মত, নাম নিশানাহীন, ভারতশাষিত তেলেঙ্গানা অঙ্গ-রাজ্য মাত্র!
বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় বড় (৮২,৬৯৬ বর্গ মাইল) বিস্তৃত দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সুবিশাল রাজ্য ছিল হায়দারাবাদ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনেও একধরণের স্বাধীন রাজ্য হিসেবে বিবেচিত হত দেশটি। হায়দারাবাদের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ছিল। নিজস্ব মুদ্রা ছিল, সেনাবাহিনী ছিল, আইন আদালত ছিল, বিচার ব্যবস্থা ছিল, হাইকোর্ট ছিল, শুল্ক বিভাগ ছিল।
নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, ভাষা ছিল। নিজস্ব স্বাধীন পতাকা ছিল, জাতীয় সঙ্গীত ছিল, দেশে দেশে নিজস্ব রাষ্ট্রদূত ছিল, এমনকি জাতিসংঘে নিজস্ব প্রতিনিধি ও ছিল। অর্থাৎ একটা স্বাধীন দেশের যা যা পদমর্যাদা থাকে, সবই হায়দারাবাদের ছিল। তাছাড়াও ১৯৩৫ সালের গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া এ্যাক্টে হায়দারাবাদকে স্বাধীন মর্যাদা দান করে বলা হয়েছিল, দেশীয় রাজ্যগুলির পদমর্যাদা এবং স্বাভাবিক কার্যাবলী, স্বাধীন ভারতের কাছে রাজ্যগুলির অনুমতি ব্যতিরেকে হস্তান্তর করা যাবেনা। তারপরও নাজী হিন্দুত্ববাদী ভারত, আন্তর্জাতিক সকল আইন-কানুন নর্ম উপেক্ষা করে, হায়দারাবাদে সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে দেশটি দখল করে নেয়, কিন্তু আজও তা স্বীকার করেনা । ওরা বলে জনগনের অনুরোধে পুলিশি এ্যাকশানকরে দেশটিতে শান্তি শৃঙ্খলা সংহত করা হয়েছে!
ভারত কি ভাবে হায়দারাবাদ দখল করলো:
নাজী হিন্দুত্ববাদী ভারতের আশপাশের রাজ্যগুলি দখল করার ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে যে ,প্রথমে তারা কিছু এজেন্টের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বিরোধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারপর সেই সুযোগে দূর্বল দেশটির উপর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দেশটি দখল করে নেয়। ৪৭সালের পার্টিশনের সময় যেমনটা আমরা দেখেছি, ত্রিবাঙ্কুরে, যোধপুরে, ভূপালে, জুনাগড়ে এবং হায়দারাবাদে। পরে সিকিমে।
ফিরে আসি হায়দারাবাদের কথায়। মুসলিম শাসিত হায়দারাবাদের জন্মলগ্ন থেকে দেশটির জনগন কোনদিন সাম্প্রদায়িকতা কাকে বলে জানতোনা। সেই হায়দারাবাদে হিন্দু মহাসভা, আর্য্য সমাজ প্রভৃতির শাখা সৃষ্টি করে ভারত সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা শুরু করলো।
বংশ পরম্পরায় প্রচলিত জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে, গান্ধীজীর নির্দেশে, তার শিষ্য রামানন্দ তীর্থ, নরসীমা রাও (ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী), ওয়াই বি চ্যবন প্রমুখ, ‘বন্দেমাতরম’ কে জাতীয় সঙ্গীত করার আন্দোলন শুরু করে দিল।
মোগল আমল থেকে প্রচলিত হায়দারাবাদের নিজস্ব জাতীয় ভাষা, উর্দুভাষার পরিবর্তে হিন্দুস্থানি ভাষা প্রচলন করার দাবিতে ভাষা আন্দোলন শুরু করা হল। ষ্টেট কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রামানন্দ তীর্থর মাধ্যমে বর্ডার এলাকা গুলোতে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের জড় করে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে, হায়দারাবাদের সীমান্ত অঞ্চলকে ফ্রীজোন ঘোষণা করলো।
তারপর, শ্রেণী সংগ্রামী নামধারী কমিউনিস্টদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ সৃষ্টি করে হায়দারাবাদ দখলের প্রস্তুতিমূলক ড্রেস রিহার্স্যাল শেষ করলো! এবার দেশটি দখলের ফাইনাল মঞ্চায়নের পালা।
প্রথম ভাগে, বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে হায়দারাবাদ কে ভিতর থেকে অস্থিতিশীল এবং জনগনকে বিভক্ত ও দূর্বল করে ফেলা হল, যাতে করে সেনাবাহিনীর সামান্য আঘাতেই হায়দারাবাদের পতন ঘটে।
প্রিয় পাঠক! আগ্রাসী ভারতের হায়দারাবাদ দখলের নক্সা বা ব্লু-প্রিন্ট পর্যালোচনা করলে, বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রাজনীতির বেশ কিছু সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেননা কি?
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট স্বাধীন পাকিস্তানের ঘোষণা দেয়া হল।ঐ একইদিনে হায়দারাবাদও স্বাধীনতা ঘোষণা করলো। বর্ণবাদী হিন্দু নেতারা হায়দারাবাদের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারলনা! জওহরলাল নেহেরু হুঙ্কার দিয়ে বললেন ‘ যদি এবং যখন প্রয়োজন মনে করবো, হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করা হবে।’
নেহেরুর এই দাম্ভিক উক্তি সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ৩০ জুলাই তৎকালীন বৃটিশ বিরোধীদলীয় নেতা উইনস্টন চার্চিল কমন্স সভায় বলেছিলেন,
“Nehru’s threat to the language, which Hi**er might have used the devouring of Austria” (B K Bawa. The last Nizam).
দেশের ভিতরে নানান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর ভারত ফাইনালি হায়দারাবাদ দখলে সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করলো। লেঃ জেঃ ই এম গোর্দাদ , জিএসও সাউর্দান কমান্ড-এর উপর আক্রমণের প্ল্যান তৈরির ভার দেয়া হল। তাকে দেয়া হল —
১) একটি আর্মাড বিগ্রেড।
২) ১৭ ডোগরা রেজিমেন্টের থার্ড ক্যাভালরি ও নবম ব্যাটালিয়ন।
৩) নবম ইনফ্যান্ট্রি ব্যটালিয়ন সহ আরও ৩ টি ইনফ্যান্ট্রি ব্যটালিয়ন।
৪) ৪টি অতিরিক্ত ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন।
৫) ৩রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ও একটি এ্যান্টি ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট।
৬) ১৮ ক্যাভালরি সার্ভিস মেইনটেইনেন্স ট্রুপস।
৭) বিপুল সংখ্যক ফোরম্যান ও ষ্টুয়ার্ট ট্যাংক।
৮) রয়্যাল ইন্ডিয়ান বিমান বাহিনী!
অপর পক্ষে হায়দারাবাদের ছিল মাত্র-
১) ১২ হাজার সেনা।
২) ৮ টি ২৫ পাউন্ডের কামান।
৩) ৩ রেজিমেন্ট সেনা যানবাহন।
৪) ১০ হাজার পুলিশ ও কাস্টম বাহিনী, ও কিছু জানবাজ বেসরকারি রেজাকার বাহিনী।
১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যেদিন পাকিস্তানের প্রাণপ্রিয় নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ইন্তেকাল করলেন, সমস্ত মুসলমান জাতি তখন শোকে মুহ্যমান, ঠিক সেই সময়টিকে হায়দারাবাদ আক্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিলেন ভারতীয় খলনায়করা।
১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বাহিনী, মে: জেঃ জে এন চৌধুরির নেতৃত্বে হায়দারাবাদ অভিমুখে ত্রিমুখী অভিযান শুরু করলো। অভিযানের নাম দেয়া হল ‘অপারেশন পোলো’। ১৯৪৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাত্র ৫ দিনের যুদ্ধে, হায়দারাবাদ বাহিনীর সেনাপতি মেজর জেনারেল আল ইদরুস (নিজাম কে না জানিয়ে) বেইমানী করে ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলো ।
এভাবেই চিরতরে নিভে গেল স্বাধীন হায়দারাবাদের স্বাধীনতার প্রদীপ! আজ হায়দারাবাদ নামটির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে হিন্দুত্ববাদীরা নাম দিয়েছ তেলেঙ্গানা। শকুনের দল স্বাধীন দেশটিকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যের মধ্যে বিলিবন্টন করে দিয়েছে। হায়দারাবাদের নামনিশানা পর্যন্ত পৃথিবীর মানচিত্রে আর অবশিষ্ট নেই!
ভারতীয় সাংবাদিক ভি টি রাজশেখর এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মুসলমানদের বড় অক্ষমতা তারা নাজী হিন্দুদের মনের কথা বুঝতে সক্ষম হয়নি’। কথাটির সত্যতা বাংলাদেশের মুসলমানরা আজ হাড়েহাড়ে উপলব্ধি করার কথা থাকলেও,তারা সাপেরচাইতেও খল ভারতকে মিত্র ভেবে হাত বাড়িয়ে বসে আছে! প্রাণের কানুকে ভালবেসে আজ তারা গভীর খাদের শেষ কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে তবুও বেহুঁশ। এবার সামান্য আঘাতেই হায়দারাবাদের মত বাংলাদেশেরও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার পালা!
বাংলাদেশের মানুষ কি করে বিশ্বাস করে যে ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্র !
ভারত কোনদিনই বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ছিলনা। তার বহু প্রমান আমার বিভিন্ন লেখায় তুলে ধরেছি। এখানে স্থানাভাবে তার পুনঃরাবৃত্তি সম্ভব নয়। স্মৃতি তাজা করার জন্য মাত্র দু একটা উপমা তুলে ধরতে চাই।
১৯৪৭ থকে ৫০ সাল পর্যন্ত জওহরলাল নেহেরু ৩বার পুলিশ এ্যাকশন করে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান (আজকের বাংলাদেশ) দখল করার পরিকল্পনা করেছিল। এ তথ্য ফাঁস করেছেন মিঃ নিরোদ সি চৌধুরী তাঁর এক প্রবন্ধে। জয়প্রকাশ নারায়ন সৈন্য ঢুকিয়ে পূর্ব পাকিস্তান গ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু কি নেহেরু- জয়প্রকাশ! প্যাটেল বলেছিলেন ‘পূর্ববাংলাকে ৬মাসের মধ্যেই আমাদের পা’য়ে এসে পড়তে হবে ‘। ‘৪৭ থেকে বর্তমান মোদির জমানা পর্যন্ত ভারত প্রতিটি পদক্ষেপে নিজেকে পররাজ্য লোভী, চরম হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দেশ বলে প্রমান রেখেছে! তারপরও ৯০%মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ বলে ভারত নাকি তার ‘নাড়ীর বন্ধু ‘!
বাংলাদেশের (ভারত নিয়োজিত) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে"। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মত’!
অতএব স্ত্রীর সম্পত্তিতে তো স্বামীর অধিকার থাকা বাঞ্ছনীয়। সেজন্যই আজ বাংলাদেশের সবকটা নদী ভারতের অধিকারে! বাংলাদেশের রাস্তাগুলোতে চলছে ভারতীয় ট্রাক বহর! রেলপথ ভারতের জন্য উন্মুক্ত! সমুদ্রবন্দরে ভারতের অবাধ অধিকার প্রতিষ্ঠিত! বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল ভারতের নজরদারিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান থেকে মন্ত্রনালয়ের সচিব বেশিরভাগ পদ ভারতীয় র’অপারেটরদের হাতে! পুলিশ প্রশাসনে গ্রাম পর্য্যায় পর্যন্ত ভারতীয় ক্যাডারদের দৌরাত্ম। তাদের অস্ত্র মুসলমানদের ক্রশফায়ারে হত্যা করার জন্য উন্মুক্ত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে !
দেশের মুসলমান যুবকরা বেকার, অথচ লক্ষ লক্ষ ভারতীয়রা এদেশে চাকরীকরে, ব্যবসা করে ভারতে টাকা পাচার করছে। ভারত এখন বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক রেমিটেন্স অর্জনকারী দেশে।
দেশের প্রায় সবকটা সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন ভারতের নিয়ন্ত্রনে।
দেশের ভিতরে ‘ইসকন’, ‘হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য' ইত্যাদি নামের বেশ কিছু সংগঠন এবং এনজিও মুসলমানদের বাড়ীঘর দখল, অত্যাচার, হত্যা প্রভৃতির মাধ্যমে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ভিতর ত্রাস সঞ্চার করে রেখেছে। ৯৮% মুসলমান দেশে ইউনিভার্সিটি হলে গরুর গোস্ত খাওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে! মেয়েদের হিজাব নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসবই নিত্যদিনের খবর। তারপরও বলা হচ্ছে বংলাদেশ নাকি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র!
বিজেপির গুরু ভিডি সাভারকর ১৯২৩ সালে হিন্দুর সংজ্ঞা দিয়ে বলেছিলেন, “হিন্দু এমন এক মানুষ যিনি সিন্ধু থেকে সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতবর্ষকে নিজের পিতৃভূমি, পূণ্যভূমি এবং তার ধর্মের জন্মস্থান বলে মনে করে।" ভারত তোষনকারী আওয়ামীলীগ নেতানেত্রীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য সেই হিন্দুত্ববাদী ভারতের যতই দালালি করুক,যতইগুনগান করুক, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বলে যতই প্রচার করুক না কেন, ভারত বন্ধুত্বের একটা নজীরও স্থাপন করতে পারেনি।
ভারতীয় দালালরা ‘৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপমা টেনে জনগনের মগজ ধোলাই করতে চায়, তাদের জানিয়ে দেবার সময় এসে গেছে যে , ভারত আমাদের স্বাধীনতার জন্য ৭১ সালে সেনা অভিযান করেনি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল, শক্তিশালি পাকিস্তান ভেঙ্গে দূর্বল করে ফেলা, এবং বাংলাদেশ নামক পূর্ববাংলাকে ১৯৪৭ এর আগের হিন্টারল্যান্ড বা ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করা, যা আজকের বাস্তবতা।
১৭কোটি মুসলমানের দেশটাকে ভারত জল, স্থল আকাশ সমুদ্র চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। আজ প্রয়োজন নবজাগরণের, সৎ বন্ধু অন্বেষণের, এবং প্রয়োজন আত্মবাদে বলীয়ান হয়ে ওঠার। বাংলাদেশের শোষিত মানুষকে আহ্বান জানাই! বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে আত্মবলে বলীয়ান হয়ে জেগে উঠুন! আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) আমাদের শিখিয়েছেন “ক্ষমতা মদমত্ত জালেমের জুলুমবাজির প্রতিবাদে সত্য কথা বলা, ও সত্য মতের প্রচারই সর্বোৎকৃষ্ট জেহাদ।" আসুন এই রমযানে আমরা সকলে একহয়ে সেই জেহাদে প্রবৃত্ত হই। প্রিয় দেশটাকে ঘৃন্য দূর্বৃত্তের হাত থেকে রক্ষা করি! হায়দারাবাদের মত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে আমাদের আড়াই লক্ষ মসজিদের পূন্য দেশ কে ,আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে, হায়দারাবাদ বা তার পূণ্য চারমিনার মসজিদের মত অপরিচ্ছন্ন দূর্বিত্তের নাপাক পদস্পর্শ থেকে হেফাজত করি! ১৮ কোটি মুসলমানের ঈমানি শক্তি এক হলে আল্লাহর রহমতে যেকোন বৃহত শক্তির বিরূদ্ধে বিজয় গৌরব অর্জন কঠিন নয়।
লেখক : আরিফুল হক
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বহু গ্রন্থের লেখক
আমার দেশ, ১৩ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করে ভারত তার দেশে পণ্য পরিবহন করছে। কিন্তু নেপাল-ভুটানে সরাসরি পণ্য পাঠাতে...
02/06/2024

বাংলাদেশের ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করে ভারত তার দেশে পণ্য পরিবহন করছে। কিন্তু নেপাল-ভুটানে সরাসরি পণ্য পাঠাতে ভারতের মাত্র ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করার বাংলাদেশের অনুরোধ ঝুলিয়ে রেখেছে নরেন্দ্র মোদি।
(তথ্যসুত্র : সময় টিভি / ১০ আগস্ট ২০২২)

🔴কিন্তু
পশ্চিমবঙ্গের গেদে স্টেশন থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার স্টেশন পর্যন্ত যেই ট্রেন চলে, সেটার দূরত্ব কমানোর জন্য ওদের ট্রেন চালাতে চায় বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে। মানে ওদের ট্রেন যাত্রাপথে বাংলাদেশের দর্শনা দিয়ে প্রবেশ করে নীলফামারীর চিলাহাটি বন্দর হয়ে বের হয়ে আলিপুরদুয়ার পৌঁছানোর সুযোগ তারা চায় বলে প্রস্তাব দিয়েছে। ( সূত্র: যমুনা টিভি)

আমাদের দেশের সমুদ্র বন্দরে ২০২২ সাল থেকেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নেওয়া শুরু করেছে ভারত। এবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্ধর মোংলার শুধু ট্রান্সশিপমেন্ট না, পুরো বন্ধরই তারা পরিচালনা করতে চায়। এমন প্রস্তাব তাদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
(সূত্র: The Financial Express)

এমনিতেই চড়া মূল্যে এবং উচ্চ ক্যাপাসিটি চার্জের বিনিময়ে আ- দা- নি — র কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতেছে বাংলাদেশ। ২৫ বছরের চুক্তিতে বিদ্যুৎ এর চার্জ ছাড়াই স্রেফ কেন্দ্র ভাড়া ববাদই (ক্যাপাসিটি চার্জ) ওরা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাবে ৯৬ হাজার কোটি টাকা, মানে পদ্মা সেতুর তিনগুণ টাকা। তাছাড়া ওদের বিদ্যুৎ এর দাম তুলনামূলক অনেকটা বেশি। এসব নিয়েই চরম সমালোচনা আছে। এর ভেতরেই নতুনকরে আ- দা - নি র পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে। তারা বাংলাদেশের কাছে এখন সৌর বিদ্যুৎ-ও বেচতে চায়! (সূত্র: প্রথম আলো)

বাংলাদেশর পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র রিভার সিস্টেমে মোট ৫২ টা বাঁধ দিয়ে রাখছে ভারত, সেইসব বাঁধ শুখনা মৌশুমে পানি আটকে রেখে, বর্ষাকালে খুলে দেয় ।
(তথ্যসুত্র: indepthbd)

— আব্দুল্লাহ সাইয়েদ
(কিঞ্চিৎ সংযোজন)

যতটা পারেন বাজারের মশলা, প্যাকেটজাত খাদ্য এড়িয়ে চলুন। ওরিজিনাল কিনে গুড়া করে নিন। প্যাকেট মশলার থেকে নিজেদের তৈরি করা মশ...
29/05/2024

যতটা পারেন বাজারের মশলা, প্যাকেটজাত খাদ্য এড়িয়ে চলুন। ওরিজিনাল কিনে গুড়া করে নিন। প্যাকেট মশলার থেকে নিজেদের তৈরি করা মশলা হাজার গুণ মানসম্মত।

14/05/2024

one day👉👈

06/05/2024

যখন কেউ জিজ্ঞেস করে দিনকাল কেমন যাচ্ছে

তখন আমি! 🙂

আমাদের উপর আল্লাহর গজব পড়বে না তো কার উপর পড়বে? ৮ বছরের বাচ্চাটাও রেহাই পেলো না তোদের হাত থেকে!যাদের সন্তান হয় না, শুধুম...
02/05/2024

আমাদের উপর আল্লাহর গজব পড়বে না তো কার উপর পড়বে? ৮ বছরের বাচ্চাটাও রেহাই পেলো না তোদের হাত থেকে!

যাদের সন্তান হয় না, শুধুমাত্র তারাই বুঝেন একজন সন্তানের আক্ষেপ? যতটুকু শুনেছি, ১০ বছর পর বাবা-মা প্রথম সন্তানের মুখ দেখসে। সুন্দর ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান আসলো বাবা-মা'র কোলে। বর্তমানে বয়স হয়েছিলো ৮ বছর। আফসোস, এই ৮ বছরের সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চাটাও রেহাই পেলো না মানুষরূপী হিংস্র প্রাণীর কাছ থেকে।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণের খেয়াইশ এলাকায়, ৮ বছর বয়সের ৩য় শ্রেণী শিক্ষার্থী, তানজীম সুলতানা ঝুমু কে স্কুল থেকে ফেরার পথে, ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। আহা জীবন!

প্রবাসী বাবাকে, এই শোক সইবার শক্তি দিক! সেই সাথে কঠিন বিচার হোক ধর্ষকের!

(দেশের উন্নয়ন এর ঠেলায় ধর্ষণ এবং হ*ত্যা খুবই নিচক জিনিস হয়ে গেছে)

সবাই শেয়ার করুণ, পোস্ট করুণ। মানুষকে সচেতন করুণ।ভিডিও কমেন্টে-
28/04/2024

সবাই শেয়ার করুণ, পোস্ট করুণ। মানুষকে সচেতন করুণ।
ভিডিও কমেন্টে-

mood 😊
27/04/2024

mood 😊

26/04/2024

ছাত্রজীবনেই ৪টি কাজ করুন➤

✪ পাসপোর্ট যাদের নেই তারা ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করে ফেলুন।

✪ একটা ব্যাংক আ্যকাউন্ট খুলে প্রতি মাসে অল্প অল্প করে সেভিংস করুন। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের স্টুডেন্ট আ্যকাউন্ট ভালো।

✪ একটা ইনকাম সোর্স তৈরি করুন বা এমন একটা দক্ষতা অর্জন করুন যা দিয়ে ইনকাম করা যায়।

✪ ম্যাথ এবং ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে উঠুন।

সবাই সবার প্রিয় মানুষকে মেনশন করে গুরুত্বপূর্ণ এই ৪ টি কাজ করার কথা মনে করিয়ে দেন 🌼

#সংগৃহীত

প্লাস্টিকমুক্ত দেশ চাই
26/04/2024

প্লাস্টিকমুক্ত দেশ চাই

সম্প্রতি দেশের গরম বেড়ে যাওয়াই ভোদাই ফেসবুকারদের দল ছুটছে গাছ লাগানোর পিছে। ভাবখানা এখন, গাছ লাগিয়েই দেশের টেম্পারেচার ক...
26/04/2024

সম্প্রতি দেশের গরম বেড়ে যাওয়াই ভোদাই ফেসবুকারদের দল ছুটছে গাছ লাগানোর পিছে।

ভাবখানা এখন, গাছ লাগিয়েই দেশের টেম্পারেচার কমিয়ে ফেলবে। কিন্তু ভোদাই দল্কে বুঝানো ভার, গাছ লাগিয়ে না, দেশ বাচাতে ও দুনিয়া বাচাতে হবে, গাছ বাচাতে হবে।

হ্যালো আবুল/আবুলিনী, আবারো বলি-

" দেশ ও দুনিয়া বাচাতে হলে গাছ বাচাতে হবে, গাছ লাগানো সেকেন্ডারি প্রায়োরিটি"

এই যেমন ধরা যাক, আমাদের দেশের এক্মাত্র লাইফ্লাইন হিল ট্রাকস রে কাইটা কুইটা ছাড়খার করে ফেলা!

প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেড ও রহমান কেমিক্যাল লিমিটেডের তথ্য বলছে, খাগড়াছড়িতে তাদের সম্মিলিতভাবে ৬ হাজার ৬০০ একর কাসাভা বাগান রয়েছে।

এই কর্পোরেশনগুলোর লক্ষ্য ২০২৬ অর্থবছরের মধ্যে কাসাভা চাষ ১৫ হাজার একর পর্যন্ত প্রসারিত করা।

এই কাসাভা শাউয়া টা কি জিনিষ? বাংলাদেশে কাসাভার স্টার্চ পাউডার টেক্সটাইল ও ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো শিল্পের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় এর বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়। স্থানীয় সংস্থাগুলো এজন্য চাহিদা মেটাতে আরও কাসাভা চাষ করতে চায়।

তবে বর্তমানে প্রতি বছর ৫০ হাজার টনেরও বেশি কাসাভা দেশে চাষ করা হয় যা চাহিদার মাত্র ২%।

তাইলে আবুল/আবুলের বউ, তুমি এবার বুঝতে পারতাছো, মাত্র ২% লোকাল প্রোডাকশান মেটানোর জন্য হাজার হাজার একর প্রাচীন বন ও পাহাড় কাইটা সাফ করা হইতাছে!

এখন আমাগো জমিখেকো আর ইকোলজি খেকো কর্পোরেশানদের বাকি ৯৮% এর চাহিদা লোকাল মার্কেট থেকে মেটানোর খায়েস হইলে কি হবে? তোমার দেশের বাকি পাহাড় পর্বত ও কাইটা কাসাভা খামার বানানো হবে!

তুমি আবুল/আবুলের বউ এসি রুমের ভেতর বইসা চিক্কুর পারবা-

গাছ লাগাও, পরিবেশ বাঁচাও!

না আবুল/আবুলের বউ, শ্লোগান অইলো, গাছ বাচাও, পরিবেশ বাঁচাও

সিগারেট কোম্পানি গুলা যেমন সিগারেট খেলে ক্যান্সার হয় এই সাইনবোর্ড টানাইয়া নিজেদের কে গিল্ট ফ্রি করতাছে, তুমি চাইলেই এমন গিল্ট ফ্রি হইতে পারবানা।

পেট্রো কোম্পানি গুলা তাদের করা কার্বন এমিশানের দায় তোমার ঘাড়ে দেয়ার জন্যই গাছ লাগানোর কথা কইতাছে। আসলে লাগানো দরকার তাদের কেই দেশ ও দুনিয়া ধংসের জন্য।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট বনভূমির প্রায় ৩১ শতাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত, যার ৮৪% প্রাকৃতিক এবং ১৬% আবাদি।

আমাদের ন্যাচারাল ফরেস্ট এর এই এক্মাত্র ভান্ডার নস্ট কইরা ফালাইতেছে এই প্রান আর রহমান গ্রুপ গুলা।

ডিয়ার আবুল/আবুলের বউ, গাছ না লাগাইয়া, দল বল নিয়া বাড্ডাতে প্রাণ আর এফ এলের হেড অফিসের সামনে আমরন অনশন করো তারা যাতে হিল ট্র্যাক্স এ কাসাভা প্রোডাকশান বাদ দেয়!

ট্রাস্ট মি, তুমি ১ কোটি গাছের চারা লাগাইলেও দল বল মিল্যা এক প্রাণ আর এফ এলের ধ্বংস করা বনের সমান হইতে পারবানা!

এখনো সময় আছে, সঠিক কাজ করো!

বিঃদ্রঃ যারা কইতাছেন গাছ না লাগানোর জন্য গরম, গতকাল মায়ানমারের টেম্পারেচার ছিলো ৪১% , অথচ তাদের ৪২.১৯% বনভূমি আছে যা প্রায় ২৮.৫ মিলিয়ন হেক্টর সমমান!

সো নো, আবুল/আবুলের বউ- গাছ কম থাকা দেশের টেম্পারেচার বাড়ার এক্মাত্র কারন না, এক্মাত্র কারন তোমার কার্বন এমিশান কমানো!

আর তুমি যদি কিছু করতেই চাও, ফেসবুকে গাছ লাগান এই শ্লোগান না দিয়ে, তোমার বাড়ির পাশের রাস্তা হবার জন্য বড় বড় গাছ কাটা পড়তাছে, সেগুলা রক্ষা করার উপায় বাইর করো!

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when LIVE TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share