19/06/2025
Dear, বান্ধবীগন তোরা বলেছিল আমি যেন তোদেরকে না ভুলে যায়। আমি কথা রেখেছি, আজও তোদের সৃতি বহন করে বেড়াচ্ছি।
কিন্তু তোদের তো আমি সেই ২০১৮ সালেই হারিয়ে ফেলেছি। আর কখনো কারোর সাথে দেখা হয়নি শুধু তাসনীম ছাড়া। চিঠিটি মনে হয় নাদিয়া লিখেছিল আমার জন্মদিননের দিন সাথে কিছু গিফট। আমার প্রিয় বেগুনি রঙের নেলপলিশ, তোরা জানতি আমি বেগুনি রং খুব পছন্দ করি। তাই আমাকে এটা বলে ও খেপাইতিস তোকে বেগুনি রং এর বরের সাথে বিয়ে দিব। 😅
নাদিয়ার সাথে কথা হয় ফেসবুকে মাঝে মধ্যে। কিন্তু বাকি সবাই কোথায় তোরা? একবার চাঁদনির সাথে ও কথা হয়েছিল। তিথি আর কানিজ ওদের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। বিশেষ করে কানিজ মেয়েটা একদম উদাহউ হয়ে গেছে, কেউ ওর কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। কানিজ ছিলো একদম ফরেনারদের মতো দেখতে। ওর গায়ের লোম, চুল, ভ্রু চোখের পাপড়ি সবকিছুই ব্রাউন রং ছিলো।
আমার তখন কোনো মোবাইল ফোন ছিলোনা। কোনো ছবি ও নেই তোদের সাথে। বিদায় অনুষ্ঠানের দিন শেষ বারের মতো দেখা হলো সবার সাথে। আমি সবার মোবাইল নাম্বার ও নিয়ে এসেছিলাম। বেশ কিছুদিন পরে যখন সবাইকে কল করি অনেকের নাম্বারই বন্ধ। কানিজ, লাজ, তিথি আরও কয়েক জন ছিলো তাদের সৃতি এখন আস্তে আস্তে আফসা হয়ে গিয়েছে।
এবার ঈদে বাড়িতে যেয়ে আমার পুরানো পড়ার টেবিলের ড্রায়ার খুলে অনেক সৃতি খুঁজে পেলাম। যা আমি স্বযন্তে রেখে দিয়েছিলাম। স্কুল জীবনের কতো ছোট্ট ছোট্ট সৃতি বন্ধুদের দিয়া উপহার এরকম ছোট্ট ছোট্ট চিঠি। যা আমাকে মনে করিয়ে দিলো পুরোনো দিনের সেই ছেলেবেলার কথা।
যাই হোক আমি তোদেরকে অনেক মিস করি রে, তোরা কোথায় আছিস জানিনা। তবে তোদের কথা সবসময়ই মনে পড়ে। 😔 যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস তোদের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা থাকবে সবসময়।
আর যদি আমার এই লেখা কখনো তোদের কাছে পৌঁছায় তাহলে আমাকে নক দিস এনি টাইম। আমি তোদেরকে খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আর যদি ওদের পরিচিত কেউ এই পোস্ট দেখে থাকেন তাহলে প্লিজ মেনশন দিবেন। তাদের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার ভিতরে কিন্তু আমি এলাকার নাম জানিনা।
সবাই "লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের" এর এস এস সি ১৮ ব্যাচের ছাত্রী।
ইতি,তোদেরকে খুজে বেড়ানো বান্ধবী ঐশী! 😔