Nusrat Tumpa

Nusrat Tumpa রাত্রি :- শান্ত থাকি বলে দূর্বল ভাবেন না। আঘাত করলে আঘাতের বদলা ফিরিয়ে দিতে পারি। সেখানে অপমানিত তো বিলাসিতা।
#দিবারাত্রি

 #দিবারাত্রি  আজকের এমন খুশির দিনেও রাত্রি কোনো ভাবে নিজেকে খুশি রাখতে পারছে না।তবুও একটা চাপা খুশি নিয়ে সবার সাথে কথা ব...
19/08/2025

#দিবারাত্রি



আজকের এমন খুশির দিনেও রাত্রি কোনো ভাবে নিজেকে খুশি রাখতে পারছে না।তবুও একটা চাপা খুশি নিয়ে সবার সাথে কথা বলছে সে। সে বুঝতে পারছে না কীভাবে নিবে তার পরিবার এই সারপ্রাইজটা।সে জানে সবার এই খুশির মূহুর্তটা কিছুক্ষণ পর বিষাদে রূপান্তরিত হবে।

ঠিক তখনই প্রধান ফটক দিয়ে একটি গাড়ি এসে থামলো, রাত্রির বুক কেঁপে উঠল। সে জানত, এই মুহূর্তের জন্যই সে তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু যখন গাড়ি থেকে ড. ফয়েজ এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আনাফকে দেখল, তার চাপা আনন্দ এক নিমেষে বিষাদে পরিণত হলো। আনাফের পাশে দিবানীকে দেখে তার হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভয়টা যেন সত্য হয়ে উঠল।
​আনাফ দিবানীর হাত ধরে ঘরের ভেতর প্রবেশ করল। তার চোখে-মুখে এক অদ্ভুত শান্ত হাসি। যেন তিন বছরের শূন্যতা, কষ্ট বা কোনো স্মৃতিই তাকে স্পর্শ করেনি। সে যেন তার অতীত ভুলে নতুন এক জীবন শুরু করেছে। আনাফ যখন সবার দিকে তাকাল, তার দৃষ্টিতে কোনো পুরোনো সম্পর্কের উষ্ণতা ছিল না, ছিল কেবল এক অপরিচিত নীরবতা। সে তাদের দিকে এগিয়ে এলো, কিন্তু তার চলাফেরা বা দৃষ্টিতে সেই পুরনো আনাফের কোনো চিহ্ন নেই। তার এই নতুন আচরণে রাত্রির মন এক অজানা যন্ত্রণায় কেঁপে উঠল।
​আনাফ তাদের সামনে এসে দাঁড়াল। তার চোখে-মুখে কোনো আবেগ নেই, কেবল এক স্বাভাবিক সৌজন্যতা। সে বলল, "তোমরা সবাই ভালো আছো?" তার কণ্ঠে কোনো আবেগ ছিল না, যেন সে কেবল একটি সৌজন্যমূলক প্রশ্ন করছে। তার দৃষ্টি যখন রাত্রির ওপর পড়ল, তখন রাত্রির মনে হলো সে তার প্রিয় মানুষটিকে দেখছে না, দেখছে এক সম্পূর্ণ অচেনা মানুষকে। তার চোখ জোড়া পরিচিত, কিন্তু সেখানে তার জন্য কোনো চিন্হিত স্থান নেই। যে ভালোবাসাকে সে তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ মনে করত, সেই ভালোবাসার মানুষটি আজ তার চোখের সামনে অন্য কাউকে আপন করে নিয়েছে। এই কষ্টটা হয়তো মৃত্যুর চেয়েও বেশি যন্ত্রণাদায়ক। তার মনে হলো, আনাফের ফিরে আসাটা তার জন্য সুখ নয়, বরং এক নতুন যন্ত্রণার শুরু।

আনাফ ধীরে ধীরে ঘরের মাঝখানে এগিয়ে এলো। তার চোখ সবার দিকে ঘুরছে, মুখে সেই পুরোনো হাসি, কিন্তু চোখে নেই তিন বছরের বিচ্ছেদ ও ফিরে আসার কোনো আবেগ। সে যেন এক অচেনা মানুষ, যে পুরোনো কোনো বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। প্রথমে সে রাত্রির বাবার কাছে গেল, তাকে জড়িয়ে ধরে বলল।

আনাফ :- কেমন আছেন আঙ্কেল??
রাশেদ :- এতক্ষণ যতটুকু ভালো ছিলাম। এখন তোকে দেখে আরো বেশি ভালো আছি....তুই কেমন আছিস??
আনাফ :- আমিও ভালো আছি। আপনাদের সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগতেছে।

তার কথায় কোনো রহস্য বা বেদনা ছিল না, ছিল কেবল স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা। পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথেও সে একইভাবে কথা বলল, যেন তারা কেউ হারিয়ে যায়নি, বরং এইমাত্র দেখা হয়েছে। সবার চোখে-মুখে বিস্ময় ও আনন্দ মিশে এক অদ্ভুত নীরবতা বিরাজ করছিল।
​এরপর আনাফের চোখ পড়ল রাত্রির ওপর। সে রাত্রির দিকে এগিয়ে গেল, তার কাঁধে হাত রাখল এবং এক মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল,

আনাফ :-কিরে, তুই কাঁদছিস কেন? তোকে আমি কোনোদিন একা রেখে যাব, এটা তুই ভাবলি কী করে পাগলি?"

​আনাফের এই কথাগুলো যেন রাত্রির বুকে তীরের মতো বিঁধল। 'তুই এখনো কাঁদছিস?' এই কথাগুলোর মধ্যে সেই তিন বছরের তীব্র অপেক্ষা, কান্না আর কষ্টকে যেন এক মুহূর্তে মুছে দেওয়া হলো। আনাফ তাকে দেখছে, চিনতে পারছে, কিন্তু তার চোখে নেই সেই ভালোবাসার গভীরতা, নেই সেই তীব্র টান যা একসময় তাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি ছিল। সে যেন তাকে ভালোবাসার মানুষ হিসেবে নয়, বরং কেবলই একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দেখছে। রাত্রির চোখে জল জমে এলো, সে কোনো কথা বলতে পারল না। তার ভেতরটা যেন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে।
​এরপরেই আনাফ দিবানীকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল।

আনাফ :- দিবানী, এরাই আমার পরিবার। আর রাত্রির কথা তো জানো সে আমার বেস্টফ্রেন্ড।

​আনাফের এই কথায় যেন সবাই আরও বেশি অবাক হয়ে গেল। তারা একে অপরের দিকে তাকাল। রাত্রির চোখে জমে থাকা নীরব অশ্রু জানান দিচ্ছিল, তাদের দীর্ঘ ভালোবাসার গল্পটা হয়তো এখন কেবলই এক অজানা স্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে।

আনাফের কথায় সবার মধ্যে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে এসেছিল। রাত্রির বাবা, স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আনাফের দিকে তার চোখ, কিন্তু দৃষ্টিতে ছিল এক গভীর শূন্যতা। যে ছেলেকে তিনি নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন, যে তার মেয়ের জীবনের সর্বস্ব ছিল, সেই ছেলেটি আজ এমনভাবে কথা বলছে যেন তাদের সম্পর্কের গভীরতা কেবলই এক বন্ধুত্বের। রাশেদ সাহেবের মুখ থেকে কোনো কথা বের হলো না, কেবল একটি দীর্ঘশ্বাস তার বুক থেকে বেরিয়ে এলো। সোমা, এই দৃশ্য দেখে স্থির থাকতে পারলেন না। তার চোখে জল ভরে এলো। তিনি ধীরে ধীরে আনাফের কাছে এগিয়ে গেলেন। আনাফ তাকে দেখল, হাসিমুখে বলল,

আনাফ :- আন্টি, কেমন আছো? তোমাকে দেখতে কিন্তু আগের মতোই তরুণী লাগছে।

​সোমা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। তিনি আনাফের হাত ধরে বললেন,

সোমা :- আনাফ, বাবা... কী বলছিস এসব? তুই কোথায় ছিলি তিন বছর? আমরা ভেবেছিলাম তোকে হারিয়ে ফেলেছি।

​আনাফ হাসল আর বললো।

আনাফ :- কোথায় আবার? আমি তো এখানেই ছিলাম। তোমরা সবাই কি আমার সাথে মজা করছ?

​আনাফের এই কথায় সোমার বুক ফেটে কান্না আসতে চাইল। তিনি বুঝতে পারছিলেন, তাদের প্রিয় আনাফ ফিরে এসেছে ঠিকই, কিন্তু সে আর আগের মতো নেই। তার স্মৃতি থেকে তাদের সম্পর্কের গভীরতাটুকু মুছে গেছে। তিনি তার ছেলের মতো প্রিয় মানুষটিকে তিন বছর পর ফিরে পেয়েও যেন তাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন।
​রাশেদ সাহেব এবার এগিয়ে এলেন। তিনি সোমার কাঁধে হাত রাখলেন, যেন তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি আনাফের দিকে তাকালেন, তারপর দিবানীর দিকে তাকালেন। তার চোখে একরাশ প্রশ্ন, যা তিনি মুখ ফুটে বলতে পারছিলেন না। এই মুহূর্তে এই পরিবারের কাছে আনন্দ নয়, বরং চাপা কষ্ট আর একরাশ রহস্যের জন্ম হয়েছিল।

এদিকে রাত আনাফকে এতবছর পর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে,, নিজের ভাইয়ের মতো ভাইকে ফিরে পেয়ে অনেকটা আবেগী হয়ে পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে রাত। অনেকক্ষণ আনাফকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে। আনাফ কিছুটা অবাক হলেও তার মুখে ছিল এক অদ্ভুত হাসি। সে তার হাত দুটি রাতের পিঠে রেখে আলতোভাবে চাপড়ে বলল,

আনাফ :- "আরে, কাঁদছিস কেন আপুনি ? আমি তো ফিরে এসেছি। এখন তো তোর খুশি হওয়ার কথা।

তার কণ্ঠস্বর শান্ত, কিন্তু তার কথায় কোনো গভীরতা ছিল না, ছিল কেবল এক অসম্পূর্ণ সান্ত্বনা।
​এই দৃশ্য দেখে রাত্রির বুকের ভেতরের যন্ত্রণা আরও বেড়ে গেল। তার প্রিয় মানুষটি তার বোনকে সান্ত্বনা দিচ্ছে, কিন্তু তার হাসিমুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক বিরাট শূন্যতা। রাত্রি বুঝতে পারছিল, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তার বোনের বিয়ের ছোট আয়োজনটা নষ্ট হয়ে যাবে। সে আর দেরি করল না। নিজের কষ্টকে বুকের গভীরে চেপে রেখে সে দ্রুত পায়ে তাদের কাছে এগিয়ে এলো।

​আনাফের পাশ থেকে রাত্রির উপস্থিতি টের পেয়ে রাত তার দিকে তাকাল। রাত্রির চোখে তখন কোনো জল ছিল না, ছিল এক দৃঢ়তা। সে খুব শান্তভাবে রাতের কাঁধে হাত রেখে বলল,

রাত্রি :-"আপুনি , শান্ত হও। দেখো, সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।"

তার কণ্ঠস্বর কোমল হলেও তাতে ছিল এক ধরনের কর্তৃত্ব, যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

Will Continue.... 🥰🥰

    রাতের আধারে জোনাকি উড়তে যেমন ভালোবাসে,, তেমনই এই আধারে কিছু মানুষ নামে অমানুষের রক্ত নিয়ে খেলাতে পছন্দ করে gangster ...
19/08/2025





রাতের আধারে জোনাকি উড়তে যেমন ভালোবাসে,, তেমনই এই আধারে কিছু মানুষ নামে অমানুষের রক্ত নিয়ে খেলাতে পছন্দ করে gangster Queen NEJ Tumpa Khan.। আজও তার শিকারের ফাঁদে ফেলে ধরে এনেছে এক পিচাশকে।

টুম্পা :- সমাজের হাজারো বিশ্বাসঘাতক মানুষের মাঝেও তুমি আমার একমাত্র বিশ্বস্ত একজন ম্যানেজার । যাকে আমি দুই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারি। কী মনে পড়েছে ,,,,, AK Khan,,,,,এর বাক্যটা।

AK Khan নামটা শুনার সাথে সাথে সারা শরীর জুড়ে অদ্ভুত এক আতংকের কম্পন বয়ে যায় সোহেল শেখ এর। আজ ছয় বছর পরে আবারও এই নাম উচ্চারণ করা ব্যক্তিকে এক নজর দেখার জন্য ভারি মাথা তুলে তাকায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রক্তিম বর্ণ চক্ষুদ্বয় অধিকারী রমণীর দিকে। দেখা মাত্রই অবাক হয় সোহেল। তার মনে একটাই প্রশ্ন,,, কে এই রমণী,,, সে কীভাবে জানলো AK এর কথা। আমি যে তার ম্যানেজার ছিলাম সেটা কী করে জানলো?? কিছুই তার মাথায় ঢুকতেছে না। টুম্পা এতক্ষণ ধরে সোহেলকে লক্ষ্য করছিল তারপর বাঁকা হেসে বলে উঠে।

টুম্পা :- কী ভাবছিস আমি কে,,কীভাবে আমি AK Khan এর কথা জানলাম,,, তুই তার ম্যানেজার ছিলি সেটা কীভাবে জানলাম তাই তো।
সোহেল :- কেককক তুতুতুমি? আর তুমি কীভাবে জানলে AK এর কথা।।
টুম্পা :- হাহাহাহাহাহাহা

ভয়ংকর এই হাসি দেখে সোহেলের কলিজা কেপে উঠে। তার কাছে মনে হচ্ছে মেয়েটা একটা সাইকো। টুম্পা হাসি থামিয়ে ঘাড়টা কাত করে মুচকি হেসে তাকায় সোহেলর দিকে। টুম্পার এই ঘাড় কাত করে মুচকি হাসিটাকে সোহেল খুব ভালো করে চিনে,,, তার এখনো মনে আছে Ak যখন কাউকে ভয়ংকর শাস্তি দেয় ঠিক তার আগে এভাবে ঘাড় কাত করে হাসতো। আর তার এই হাসির উত্তরাধিকার ছিলো তার একমাত্র রাজকন্যা Tumpa Khan। কিন্তু তাঁকে তো তারা ছয়জন মিলে খুন করে ছিল। তাহলে কে রমণী??

টুম্পা :- তুই জানতে চেয়েছিস না আমি কে,,,তাহলে শুনে নেয়,,, আমি হচ্ছি Tumpa Khan... Ak Khan এর একমাত্র রাজকন্যা। যাকে বর্তমানে সবাই NEJ Tumpa Khan হিসেবে চিনে।আমি সেই টুম্পা খান যাকে তোরা ছয় নরপশু মিলে হত্যা করার চেষ্টা করেছিস। আমি সেই টুম্পা খান যার মা'কে তোরা ধর্ষণ করে হত্যা করেছিস যার বাবার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিস,,তাকেও হত্যা করেছিস,,,আমি সেই টুম্পা খান যার থেকে তোরা তার পুরো পরিবারকে ছিনিয়ে নিতে চেয়ে ছিলি। আমি সেই টুম্পা খান যার কলিজার টুকরাদের তোরা এতিম করেছিস,,আমি সেই টুম্পা খান যে শুধু মাত্র তোদের জন্য তার কলিজার এক অংশ হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু দেখ আজ সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে।শুধু বেঁচে গেছি আমি আর বাকী কলিজারা ,,,, শুধু তোদের থেকে প্রতিশোধ নিতে আমি বেঁচে আছি সোহেল শেখ।

সুশান্ত রুমে টুম্পার চিৎকার করে বলা কথা গুলো যেন এক একটা বজ্রপাতের ন্যায় মনে হচ্ছিল।শেষের কথাটা বলেই জোরে একটা লাথি মারে সোহেলের বুক ছিটকে গিয়ে ফ্লোরে পড়ে সে।আগে থেকে আধমরা হয়ে আছে সোহেল।

টুম্পা :- আমি আজও ভুলিনি কতটুকু ঠিক কতটুকু কষ্ট দিয়ে তোরা আমার বাবা আর ছোট আব্বুইকে হত্যা করেছিস।
সোহেল :- আআআআআমাকে ক্ষমা করে দাও টুটুটুটুটুটুটুটুটুম্পা। আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দাও।

ভাঙা কন্ঠে কোনো রকম কষ্ট করে মাফ চেয়ে বলে কথা গুলো। টুম্পা নিরবে হেসে সোহেলের দিকে এগিয়ে এসে তার সমানে বসে। সোহেল কোনোমতে টুম্পার পা ধরে বারবার মাফ চাইতে থাকে।

টুম্পা :- ক্ষমা,,, মাফ তাও আবার তোকে হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা। মনে আছে সেদিন আমিও এভাবে তোদের পায়ে পড়ে আমার বাবা আর ছোট আব্বুইর প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিলাম।কিন্তু তোরা কী করেছিস এত এত আকুতি মিনতি করার পরেও তাদের প্রাণটা কেড়ে নিয়েছিস।সেদিন যদি তোরা আমার বাবা আর ছোট আব্বুইকে না মারতিস তাহলে আজ তোকেও মরতে হতো না।কিন্তু তোরা শুনলি না আমার কথা এখন তো তোদের মরতে হবে হাহাহা হাহাহা।

কথাটা বলে সায়ন থেকে ছুরিটা নিয়ে দু'হাতের শিরা কেটে দেয়। তারপর একটা বড় ড্রামে ফুটন্ত পানিতে ফেলে দেয়। জবাই করা গরুর মতো ছটফট করতে লাগলো সোহেল।তার হাজারো আকুতি মিনতি যেনো টুম্পার মন গলতে সক্ষম হয়নি। সোহেল হয়তো ভুলে গেছে যে এই টুম্পা আর আগের টুম্পা নেই সে এখান অন্ধকার দুনিয়ার রানী। এখন সে কাউকে মারতে হাত কাপে না বরং সারাদিনে যদি একটা পশু শিকার করতে না পারে তাহলে তার অস্থির লাগে।

আস্তে আস্তে ছটফটানি বন্ধ হয়ে যায় সোহেলের।মুখের অংশ ছাড়া বাকী সারা শরীর সিদ্ধ হয়ে গেছে তার সোহলের। টুম্পার কথা অনুযায়ী সোহেলর সিদ্ধ হয়ে যাওয়া বডিটাকে পানি থেকে কোনো রকম তুলে কফিনে ভরে স্পেশাল একজনকে পাঠিয়ে দিতে বলে।

সোহেলকে বিদায় জানানোর পর টুম্পা একা তার রুমে ফিরে আসে। ঘরের নিস্তব্ধতা যেন তার ভেতরের ঝড়কে আরও তীব্র করে তুলছিল। সে তার প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চিপে বলল,,

টুম্পা :- "AK Khan এর আদরের দুলালি ফিরে এসেছে। তাদের সাথে করা জুলুমের প্রতিশোধ নিতে। আমি টুম্পা খান আবারও ফিরে এসেছি। এক এক করে সবাইকে শেষ করে দেব। যতটুকু জুলুম আমার প্রিয়জনদের সাথে করেছিস, ঠিক তার চাইতেও বেশি ফিরিয়ে দেব তোদেরকে, জানোয়ারের দলেরা।"

তার কণ্ঠে ছিল এক অপ্রতিরোধ্য সংকল্প, যা এক নতুন যুদ্ধের সূচনা করবে।

Will Continue..... 🥰🥰🥰

 #দিবারাত্রি  রহস্যময় রাত পেরিয়ে নতুন সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশকে গ্রাস করলো এক ভয়াবহ আতঙ্ক। বিভিন্ন সংবাদ ...
30/07/2025

#দিবারাত্রি



রহস্যময় রাত পেরিয়ে নতুন সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশকে গ্রাস করলো এক ভয়াবহ আতঙ্ক। বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলগুলোর ব্রেকিং নিউজে তখন একটাই খবর - বিজনেসম্যান আনসারের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তার নিজ বাড়িতে পাওয়া গেছে আনসারের নিথর দেহ, আর সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, তার গায়ে চাকু দিয়ে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে 'Lady Killer RK'।
এই একটি নাম, 'Lady Killer RK', যেন সারা দেশে এক অজানা ভয়ের শীতল স্রোত বইয়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে চায়ের দোকান পর্যন্ত, সর্বত্রই এখন এই নাম আর আনসারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা। কে এই 'Lady Killer RK'? কেন সে বিজনেসম্যান আনসারকে হত্যা করলো এবং তার গায়ে এমন রহস্যময় বার্তা লিখলো? এসব প্রশ্নই এখন সারা দেশের মানুষকে অস্থির করে তুলেছে। জনমনে আতঙ্ক এতটাই তীব্র যে, প্রশাসনকেও এর মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, পরবর্তী শিকার কে? আর কবে এই 'Lady Killer RK' ধরা পড়বে?

রাশেদ খানম টিভি নিউজের দিকে তাকিয়ে, হতাশায় মাথা নাড়ছেন।

রাশেদ :- "বিশ্বাস করতে পারছো আম্মু ? 'Lady Killer RK' আবারও আঘাত হেনেছে! আনসারের মতো একজন হাই-প্রোফাইল বিজনেসম্যানকে এভাবে খুন করা হলো, আর খুনিকে ধরার কোনো লক্ষণই নেই। এই মেয়েটা যেন একটা অদৃশ্য শক্তি! পুরো শহর ভয়ে কাঁপছে।"

রাত্রি ঠোঁটের কোণে এক রহস্যময় হাসি, যেন মনের গভীরে এক গোপন সন্তুষ্টি।

রাত্রি :- হ্যাঁ বাবা, আমিও দেখছি। ব্যাপারটা সত্যিই উদ্বেগজনক। কিন্তু একটা কথা ভাবো, যারা মারা যাচ্ছে, তারা কি আসলেই নিরীহ ছিল? আনসার, বা এর আগের যে শিকারগুলো... তারা প্রত্যেকেই তো সমাজের অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি ছিল। হয়তো এই 'Lady Killer RK' তাদেরই শাস্তি দিচ্ছে, যারা আইনের চোখে ধুলো দিয়ে চলতো।"

রাশেদ :- "সেটা আমিও মানছি, আম্মু। আনসারের মতো লোকগুলো সমাজের ক্যান্সারের মতো ছিল। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াটা তো জঙ্গিবাদ! এটা তো সমাজে আরও বড় সমস্যা তৈরি করবে। একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।"

রাত্রি আস্তে করে কফির কাপ নামিয়ে রেখে, বাবার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে।

রাত্রি :- বিশৃঙ্খল? বাবা, যখন নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়, যখন মায়ের খুনিরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়, তখন কি সমাজে কোনো শৃঙ্খলা থাকে? যেখানে আইনের হাত ছোট হয়ে যায়, সেখানে হয়তো এমন কাউকে প্রয়োজন হয়, যে এই কালো শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। এই 'Lady Killer RK' হয়তো সেই সব অন্ধকারের মুখোশ খুলে দিচ্ছে, যারা দিনের আলোয় সাধু সাজার অভিনয় করে। সে হয়তো দেখাচ্ছে, ক্ষমতা যতই থাকুক না কেন, পাপের ফল ভোগ করতেই হবে।"
রাশেদ :- "তুই কি বলতে চাইছিস, এই 'Lady Killer RK' যা করছে, তা ঠিক? এক ধরনের প্রতিশোধমূলক বিচার?"

রাত্রি কণ্ঠস্বরে এক দৃঢ়তা, যা রাশেদ খানমকে ভাবিয়ে তোলে।

রাত্রি :- "ঠিক-বেঠিকের সীমানাটা বাবা অনেক সময় খুব ঝাপসা হয়ে যায়, যখন বিচার পাওয়া যায় না। আমি জানি না কে এই 'RK', তবে যদি সে সত্যিই আমার মায়ের মতো নিরীহ মানুষের খুনিদের শাস্তি দেয়, তাহলে আমি বলব, সে তার মতো করেই সঠিক কাজ করছে। হয়তো এই 'Lady Killer RK' এই সিস্টেমের ব্যর্থতারই একটা প্রতিফলন, যা বলছে, এবার আর কোনো অপরাধী পার পাবে না।"
রাশেদ :- "আমি জানি না এর শেষটা কী হবে, রাত্রি। তবে এটা নিশ্চিত, এই খেলাটা ভয়ঙ্কর।"

রাত্রি মনে মনে ভাবে,,,, কারঙ তার চোখে প্রতিশোধের আগুন ""হ্যাঁ বাবা, ভয়ঙ্কর। কিন্তু এই খেলাটা আমাকেই শেষ করতে হবে। মা-কে যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের শেষ আমি দেখেই ছাড়ব।""" রাত্রি বাবার কাঁধে হাত রেখে, শান্ত স্বরে বলে

রাত্রি :- "বাবা, প্লিজ আর চিন্তা করো না। এই সব নিয়ে পরে ভাবা যাবে। এখন চলো, আপুনির কোর্ট ম্যারেজের পর পার্টির জন্য রেডি হতে হবে। আপুনি আর আরেফিন ভাইয়া অপেক্ষা করছে। তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো, আমি সব দেখছি।"
রাশেদ :- "ঠিক আছে মা। তোর আপুনির খুশির দিনে এসব চিন্তা করে মন খারাপ করতে চাই না। আমি আসছি।" [ গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ]

রাশেদ খানম ধীর পায়ে কক্ষ ত্যাগ করেন। রাত্রি বাবার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ, , এর কিছু মূহুর্তের পর তার চোখে জ্বলে ওঠে প্রতিশোধের আগুন"""তোমরা যারা ভেবেছ পার পেয়ে যাবে, তোমরা যারা মাকে কেড়ে নিয়েছ, তোমাদের প্রত্যেকের দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে। সবে তো শুধু শুরু এরপর তো আরো ভয়ানক হতে চলেছে। তোমরা সবাই হচ্ছো 'Lady Killer RK'-এর হাতের পুতুল। একের পর এক তোমাদের মুখোশ খুলে দেব, তোমাদের সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দেব। তোমাদের প্রত্যেকের চেহারা আমার মনে আছে , আর তোমাদের পরিণতিও লেখা হয়ে গেছে। এবার পালা আমার। এই খেলা আমি শেষ করব।"

সারাদিন বোনের ছোট্ট করে আয়োজন করা বিয়ের পিছনে ছুটতে ছুটতে কখন যে বিকাল হয়ে গেছে বুঝতে পারেনি। তাঁর মনে পড়লো কিছুক্ষণ পরে তো আপুনিকে বিয়ের জন্য কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে। হঠাৎ তার বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠল মনে পড়লো আজকে তো তার আসার কথা।

সন্ধ্যা থেকে শুরু হলো গেস্টদের আনাগোনা। আরেফিন একটা ওফ হোয়াইট কালারের সুট পরেছে,, হাতে ঘড়ি চুলগুলো কোইফ স্টাইলে সেট করা।অন্যদিকে রাতে সাজে ছিল এক স্নিগ্ধ কমনীয়তা। তার পরনে ছিল একটি সিম্পল গাউন, যা কোনো জাঁকজমক ছাড়াই তার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছিল। গাউনের মার্জিত নকশা আর রঙ তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই ছিল।
তার মুখে ছিল সিম্পল মেকআপ, যা কৃত্রিমতা এড়িয়ে তার প্রাকৃতিক লাবণ্যকেই প্রাধান্য দিয়েছিল। হালকা ফাউন্ডেশন, চোখে কাজলের নরম রেখা, আর ঠোঁটে ন্যুড বা সফট পিঙ্ক লিপস্টিক – এই ছিল তার সাজের উপকরণ। এই সাজে রাত আরও বেশি কমনীয় ও আকর্ষণীয় লাগছিল, যা প্রমাণ করে যে, সৌন্দর্য সবসময় সরলতার মাঝেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

Will Continue..... 🥰🥰🥰

 #দিবারাত্রি  রমনী কিছু বলে না শুধু বাঁকা হাসে। আলিফ ছোট খাটো একটা ঢোক গিলে,,, তার যা বুঝার সে বুঝে গেছে।রমণী :- চলো আমা...
24/06/2025

#দিবারাত্রি



রমনী কিছু বলে না শুধু বাঁকা হাসে। আলিফ ছোট খাটো একটা ঢোক গিলে,,, তার যা বুঝার সে বুঝে গেছে।

রমণী :- চলো আমার সাথে...।

আলিফ তার পিছন পিছন যাই। ওর জানা আছে তার বস এখন কোথায় যাবে। তারপর তারা এমন একটা রুমে প্রবেশ করে যেটা দেখতে একদম ওটির (অপারেশন থিয়েটার) মতো। যেখানে একটা অপারেশনে মানুষের বাঁচা মরার চান্স থাকলেও এই রুমের অপারেশনে মানুষটির মৃত্যু নিশ্চিত।

রমণী : এলিসা.....[ বাঁকা হেসে ডাকে ]
এলিসা :- ইয়েস বস।[ মুচকি হেসে জবাব দেয় ]
রমণী :- তোমার কাজ শুরু করে দাও। [ আদেশ সুরে বলে ]

বিদেশি সুন্দরী এলিসা তার কাজ শুরু করে দেয়। কিছুক্ষণ পরে কাজ করে ফেলে।

এলিসা :- বস সবকিছু রেডি।
রমণী :- আলিফ নিয়ে আসো জানোয়ারটাকে।
আলিফ :- ওকে বস।

আঁধারের চাদরে মোড়া ছোট ঘরটায় রাত্রির নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ ছিল না। স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালের কোণে পড়ে যাওয়া একটা ধারালো কেঁচি মৃদু আলোয় চিকচিক করছে। কাঠের টেবিলটার ওপর সারি করে রাখা হয়েছে কয়েকটা ধারালো ছুরি আর বাঁকানো চিমটা, যেন কোনো অজানা উদ্দেশ্যের জন্য নিপুণ হাতে সাজানো হয়েছে। অল্প কিছু লবণ আর মরিচের গুঁড়ো একটা ছোট বাটিতে রাখা, যার উদ্দেশ্য ছিল আঘাতকে আরও তীব্র করে তোলা। তার চোখেমুখে এক অদ্ভুত দৃঢ়তা, এক শীতল প্রতিজ্ঞা, যা ঘরের জমাট বাঁধা বাতাসকে আরও ভারী করে তুলছিল।

আলিফ একটা ৫৫/৫৮ বয়সের লোককে নিয়ে আসা হয় রমনীর কাছে। বয়স বেশি হলেও ফিটনেসের কারণে বোঝার উপায় নেই তার উপর চেহারায় রয়েছে নিষ্পাপ একটা চাহনি কিন্তু এই নিষ্পাপ চাহনির পেছনে লুকিয়ে আছে হিংস্র এক জানোয়ারের প্রতিচ্ছবি। রাত্রি সবাইকে বাইরে চলে যেতে বলে লোকটার মুখোমুখি বসে বলে।

রাত্রি :- ইন্সপেক্টর কারিশমা মোহয়া খানমের কথা মনে আছে আনসার রহমান। যার বিরুদ্ধে তোমরা নোংরা অপবাদ দিয়ে জঘন্য ভাবে হত্যা করেছো। আফিম আহমেদ আর সাফা আহমেদ এবং তাদের একমাত্র রাজকন্যা আফজা যার বয়স মাত্র ১৪ বছর ছিল সেও তোদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। আর আমি ইন্সপেক্টর কারিশমা খানমের ছোট কন্যা রাত্রির খানম।তোরা ভেবেছিস আমার মা সেখানে মরে গেছে কিন্তু না আমি যাওয়া পর্যন্ত তার দেহে প্রাণ ছিল। সে আমাকে তার বেঁচে থাকা সময় টুকুতে বলে গিয়েছিল কীভাবে তোরা আমার মাকে হত্যা করেছিস।তখন থেকে আমি শপথ নিয়েছি আমি তোদের থেকে প্রতিশোধ নিবো।

আস্তে আস্তে রাত্রি সরঞ্জাম রাখা টেবিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে একটা ছুরি আর একটা চিমটা হাতে নেয়। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে আনসারের দিকে হঠাৎ করে রাত্রি ছুরি দিয়ে আনসারের দুই হাতে আঘাত করে। আনসার চিৎকার করে উঠে আর আবার আবার রাত্রির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে থাকে। যা রাত্রিকে আরো ক্ষিপ্ত করে দেয় যার ফলে রাত্রি নিরবে আঘাত করতে থাকে যেন তার কাছে এটা একটা খেলা মনে হচ্ছে। ছুরির আঘাতে একপর্যায়ে বেঁধে রাখা দড়িটা কেটে যায়।

আঘাতের শেষে ছুরি ফেলে দিয়ে চিমটি নিয়ে হাতের একটা একটা করে নখগুলো তুলতে থাকে আধমরা আনসার গগন ফাটানো চিৎকার করতে থাকে কিন্তু রাত্রির মায়া হয় না তার উপর। সবগুলো নখ তুলে ফেলে তার উপর মরিচ গুঁড়ো আর লবণ দিয়ে যে চিৎকার উৎপাদন করেছে তা শুনেও যেন তার শান্তি হচ্ছে না হঠাৎ করে একটা লাথি মেরে আনসারকে নিচে ফেলে দেয় রাত্রি। নিজে কোনো রকম টেনেহিঁচড়ে উঠে পিছনের দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে আনসার। রাত্রি ধীরে পায়ে এগিয়ে আসে আনসারের এদিকে যা দেখে আনসার রাত্রিকে বলে

আনসার :- "রাত্রি, শোনো! আমি তোমাকে সব সত্যি বলে দেব, কারিশমা খানমের মৃত্যুর পেছনের সব রহস্য ফাঁস করে দেব। কারা আমাকে বাধ্য করেছিল, তাদের নাম, তাদের পরিকল্পনা—সবকিছু! আমি জানি তুমি তোমার মায়ের প্রতিশোধ চাও, কিন্তু আমাকে মেরে ফেললে তুমি শুধু একটা শরীরকেই মারবে। আসল অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে। আমাকে বাঁচতে দাও, আমি তোমাকে সাহায্য করব তাদের খুঁজে বের করতে, যারা এর পেছনে ছিল। তোমার মায়ের আসল বিচার তখনই হবে। প্লিজ, আমাকে একটা সুযোগ দাও, আমি তোমাকে এই যুদ্ধে সাহায্য করব। এটা তোমার মায়ের প্রতি আমার প্রায়শ্চিত্ত করার একমাত্র পথ।
রাত্রি :- তুমি আমাকে সত্যি বলবে? সাহায্য করবে? এটা তোমার বাঁচার শেষ চেষ্টা, আনসার, আর আমি যথেষ্ট বুদ্ধিমান যে তোমার এই ছলনাকে বুঝতে পারি। আমার মায়ের মৃত্যুর পেছনে যারা ছিল, তাদের আমি নিজেই খুঁজে বের করব। তোমার কাছ থেকে আমার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন নেই। তোমার শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার মুহূর্তটিই হবে আমার মায়ের প্রতি আমার চূড়ান্ত শ্রদ্ধা। তোমার এই ছটফটানি আমাকে তৃপ্তি দিচ্ছে, আনসার। তোমার আর কোনো কথা শোনার আগ্রহ আমার নেই।

ঘরের আবছা আলোয় কারিশমা খানমের শেষ মুহূর্তগুলো রাত্রির চোখের সামনে ভেসে উঠল, আর সেই স্মৃতির প্রতিটি টুকরো আনসার রহমানের ওপর তার ক্রোধকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। আনসার তখন রুদ্ধ রুমে কাঁপছিল, তার চোখে অবিশ্বাস আর আতঙ্ক মিশে একাকার। রাত্রি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে গেল, তার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না, কিন্তু কারিশমার প্রতিটা আঘাতের প্রতিশোধ নেওয়ার অদম্য আকাঙ্ক্ষা তার প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে উঠছিল। আনসার দেয়ালের সঙ্গে মিশে গেল, সে বুঝতে পারছে তার পালানোর আর কোনো পথ নেই। রাত্রি যখন তার সামনে এসে দাঁড়াল, আনসারের বুক ধুকপুক করছিল। রাত্রি তার হাতটা বাড়িয়ে দিল, আনসার ভাবল আবার আঘাত করবে, কিন্তু রাত্রি তার গলাটা চেপে ধরল – সেই মুহূর্তে যেন তার মায়ের অসহায় আর্তনাদ রাত্রির কানে বাজছিল। ধীরে ধীরে চাপ বাড়তে লাগল, আনসারের হাত-পা ছটফট করতে শুরু করল। বাতাস যেন তার ফুসফুস থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল। শেষবারের মতো সে রাত্রির চোখে তাকাল, সেখানে কোনো মায়া ছিল না, ছিল কেবল এক ভয়ংকর নীরব প্রতিশোধের স্পৃহা, যা কারিশমা খানমের মৃত্যুর প্রতিটা হিসেব নিকেশ পূর্ণ করছিল। ঘরের বদ্ধ বাতাসে আনসারের শেষ নিঃশ্বাসটুকু মিশে গেল, আর রাত্রি স্থির দাঁড়িয়ে রইল, যেন কিছুই হয়নি – কেবল একটা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিচার সম্পন্ন হলো।

Will Continue.. 🥰🥰

বি:দ্রি :- সবাই আমাকে মাফ করবেন আমি অনেক দিন যাবত অসুস্থ থাকায় গল্প দিতে পারি নাই 😔😔

- ফটোগ্রাফার/ছবি তোলা কি?- হারাম কাজ, জাহান্নামি - সাংবাদিকরা  কেমন ?- দুনিয়ার খারাপ - আর পুলিশ ?- ও তো আরো খারাপ- ডাক্ত...
22/05/2025

- ফটোগ্রাফার/ছবি তোলা কি?
- হারাম কাজ, জাহান্নামি

- সাংবাদিকরা কেমন ?
- দুনিয়ার খারাপ

- আর পুলিশ ?
- ও তো আরো খারাপ

- ডাক্তার ?
- ওরে আল্লাহ কসাই

- ইঞ্জিনিয়ার ?
- টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না

- উকিল ?
- ওরা তো শকুন .. একবার ধরলে শেষ

- সরকারী চাকুরিজীবী ?
- ঘুষখোর

-রাজনীতিবিদ ?
- ওরাই তো সব নষ্টের গোড়া

- কর্পোরেট জব?
- নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী

- ব্যবসায়ী ?
- ভেজালের কারবারী

- ব্যাঙ্কার ?
- সুদের কারবারী

- কবি সাহিত্যিক ?
- ধান্দাবাজ

- কণ্ঠশিল্পী -অভিনেতা ?
- নাওজুবিল্লাহ

- তাহলে ভালো কে ?
- ক্যান ! আমি 🙂

- আপনি কি করেন ?
- ফেসবুকে পোস্ট দেই😉

Nusrat Tumpa

18/04/2025

With Ruhi Islam Elee – I'm on a streak! I've been a top fan for 3 months in a row. 🎉

 #দিবারাত্রি  কারো মুখে ভিপি বাবু নামটা চমকায় না দিবা। চমকায় নাম রাখা মানুষকে নিজের রুমে উপস্থিত দেখে। সে তো এই নাম আগেও...
23/03/2025

#দিবারাত্রি



কারো মুখে ভিপি বাবু নামটা চমকায় না দিবা। চমকায় নাম রাখা মানুষকে নিজের রুমে উপস্থিত দেখে। সে তো এই নাম আগেও একবার শুনে ছিলো।

রাত্রি :- কী হয়েছে আপনার ভিপি বাবু আপনাকে এতো হতাশ লাগছে যে। আপনিও ওদের মতো নারাজ হয়ে আছেন আমি ফিরে আসায়।

শান্ত কন্ঠে কথা গুলো বলে কিছুক্ষন চুপ করে থাকে রাত্রি। দিবা পলকহীনভাবে তাকিয়ে আছে রাত্রির দিকে। শুষ্ক ওষ্ঠদ্বয় দুটো ভিজিয়ে আবদারী কন্ঠে বলে ।

রাত্রি :- আমার একটা কথা রাখবে ভিপি বাবু??

দিবা তখনো নিশ্চুপ ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে রাত্রির পানে। রাত্রি আবারও বলে উঠে।

রাত্রি :- আচ্ছা থাক রাখতে হবে না এখন আসি আমি ভালো থেকো।

কথা গুলো বলে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে দিবা রাত্রিকে হেঁচকা টান দিয়ে নিজের সঙ্গে মিশে নেয়। আচমকা এমন হওয়া কিছুটা ঘাবড়ে যায় রাত্রি তবুও নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দিবা কথা শুনে আরো চমকে উঠে রাত্রি।

দিবা :- আমার ভালো,, সুখ,, শান্তি সব কেড়ে নিয়ে বলছো ভালো থাকে। মেয়ে তুমি হয়তো জানোনা আমার ভালো থাকার একমাত্র মেডিসিন যে তুমি।
তুমি ছাড়া হাজারো মানুষের সঙ্গ দিলেও আমার মধ্যে তোমার একাকিত্ব রয়ে যাবে। জীবনটা যে আমার অন্য দিকে মোড় ঘুরে গেছে এখন। তুমিহীন এখন নিজেকে নিঃস্ব মনে হয় এই পৃথিবীতে।

রাত্রি বাড়ি ফিরে আসে কিন্তু চেহারা থেকে এখনো চমকানোর রেশ কেটে উঠতে পারেনি। তখন কথা গুলো বলে দিবা রাত্রিকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে। রাত্রিও বিনাবাক্যে বাধ্য মেয়ের মতো চলে আসে তার বাড়িতে। রুমে এসে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়ে সে। উপরের সাদারঙের ছাদের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।

দুপুরের লাঞ্চ খেতে বসে রাত্রি সবার উদ্দেশ্য একটা কথা বলে।

রাত্রি :- আব্বু মাম্মা আর আপুনি কালকে পার্টিতে তোমাদের জন্য একটা বিশাল সারপ্রাইজ আছে। রেডি থেকো সবাই কারণ সারপ্রাইজ দেখে তোমাদের নিজেরই হুঁশ উড়ে যাবে। এখন আর কোনো প্রশ্ন না কালকে দেখতে পাবে সারপ্রাইজ।

শুরুতে সবাই জানার ইতস্তত করলেও পরে রাত্রি কথা শুনে আর কিছু জিজ্ঞেস করে কেউ। তারা জানে যেখানে সে বলছে কালকে দেখতে পাবে সেখানে জিজ্ঞেস করলেও কিছু জানতে পারবে না।

রাত তখন দুইটা বা আড়াই টা বাজে সব এখন ঘুমে রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে। শহর ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে একটা জনমানবহীন এলাকায় পুরাতন একটা গোডাউন থেকে ভেসে আসছে কয়েকজন মানুষের গগন ফাটানো চিৎকার। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই গোডাউনের সামনে একটা কালো রঙের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে নেমে আসে আজানা এক রমনী।

আলিফ :- বস আপনি না আসলেও পারতেন।আমি নিজ দায়িত্বে ওদের পেট থেকে সব বের করে নিতাম।

আলিফের কথা শুনে রমনীটি বলে।

রমনী :- তুমি তাকে মরতে মরতে আধমরা করে ফেলবে তবুও তারা তোমাকে পুরো কথা ক্লিয়ার করে বলবে না। তাছাড়া তোমাদের মার হবে স্কুলে হোমওয়ার্ক নিয়ে না আসা বাচ্চাদের মতো। যার ফলে তারা অতি সহজে সত্যটা বলতে চাইবে না।
আলিফ :- তাহলে আপনি কী ওদের স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দিতে চাচ্ছেন বস।

রমনী কিছু বলে না শুধু বাঁকা হাসে। আলিফ ছোট খাটো একটা ঢোক গিলে,,, তার যা বুঝার সে বুঝে গেছে।

Will Continue... 🥰🥰

    টুম্পা চুপ করে যায় সামির কথায়। এতে সামির বাঁকা হাসে কিন্তু সেই হাসি বেশিক্ষণ মুখে ধরে রাখতে পারেনি।সামিরকে অবাক করে ...
21/03/2025





টুম্পা চুপ করে যায় সামির কথায়। এতে সামির বাঁকা হাসে কিন্তু সেই হাসি বেশিক্ষণ মুখে ধরে রাখতে পারেনি।সামিরকে অবাক করে দিয়ে চওড়া হাসি টেনে বলে।

টুম্পা :- ব্যবহারে নয়,,, আমি আমার কাজ দিয়ে দেখাই,,,Who I'm?? আর কী যেন বললাম পরিস্থিতি সামাল দেওয়া প্রস্তুতি নিতে,, হাহাহা তাহলে শুনে রাখুন,,,, আমি কখনো সমস্যাকে এড়িয়ে চলি না,,, বরং সমস্যা এলে তার মুখোমুখি দাড়াতে জানি,,, কেননা সমস্যা ছাড়া সাফল্যের মাঝে কোনো আনন্দ নেই,,,, সমস্যা আছে তো সমাধানও আছে।

এর মধ্যে টুম্পার সাইকেলটা নিয়ে ১৫/১৬ বছর বয়সের একটা ছেলে আসে ভার্সিটিতে। টুম্পা ওখান থেকে ছেলেটার কাছে চলে যায়। ব্যাগ থেকে টাকা বের করে ছেলেটা দিতেই সেখানে উপস্থিত হয় অনিত্য।

অনিত্য :- এক মিনিট,, টাকাটা তুমি না আমি দিচ্ছি মিস ধানিলঙ্কা।

কথাটা বলেই ছেলেটাকে পনেরোশত টাকা ধরিয়ে দেয় অনিত্য। ছেলেরা এতগুলো টাকা নিতে না চাইলে বলে।

অনিত্য :- তোমার মালিক কে ন্যায্য দাম দিয়ে যা বাঁচবে সবগুলো তোমার টিপস।
ছেলেটা :- কিন্তু ভাইয়া সাইকেলটা রিপেয়ার করে তো তিনশো টাকা দাম হয়েছে,,সেখানে এতগুলো টাকা তো দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি এই টাকাটা...

বাকী কথাটা বলার আগে টুম্পা শান্ত ভাবে বলে।

টুম্পা :- বাকী টাকাটা তুমি তোমার প্রয়োজনে খরচ করিও। তবে অযথা খরচ করবে না কেমন।

টুম্পার কথা ছেলেটার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আচ্ছা বলে হাসি মুখে চলে যায় নিজের কর্মস্থলে। টুম্পা ছেলেটার থেকে চোখ সরিয়ে অনিত্যর দিকে তাকায়। ছেলেটা তখনও চলে যাওয়া ছেলেটার দিকে এখনো তাকিয়ে আছে।

টুম্পা :- যে টাকা আমার দেওয়ার কথা সেই টাকা আপনি কেন দিয়েছেন?? আর আমাকে মিস ধানিলঙ্কা বলে কেন ডাকলেন??

টুম্পা কথা শুনে তার দিকে তাকায় অনিত্য,, মুচকি হেসে বলে।

অনিত্য :- তোমার সাইকেলটা আমার গাড়ি সাথে ধাক্কা লেগে ক্ষতি হয়েছে তাই তার ক্ষতি পূরণের টাকাটা আমি দিয়েছি,,, আর রইলো মিস ধানিলঙ্কা বলে ডাকার কারণ হচ্ছে কয়েকঘন্টা আগে তোমার যে তেজ দেখালে তাতে আমার মনে হয়েছে এটা ধানিলঙ্কার তেজ ছাড়া কিছুই না।
টুম্পা :- তাই বলে মিস ধানিলঙ্কা।

কথাটা বলেই চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকায় অনিত্যর দিকে। টুম্পার এমন চাহনি দেখে অনিত্য হেসে ফেলে।

অনিত্য :- বাই দ্যা ওয়ে,,, তুমি মনে হয় ভার্সিটিতে নতুন আজকে প্রথম ক্লাস তাই না,,।
টুম্পা :- হুম।
অনিত্য :- আমি অনিত্য,, আর তুমি?? বাকি দুজনকে চিনি আমি,, শুধু তুমি ছাড়া।
টুম্পা :- আমি টুম্পা।

এরমধ্যে বেল বেজে যায় অনিত্য টুম্পাদের বাই বলে ক্লাসে চলে যায়। টুম্পারাও ক্লাসে চলে যায়।

Will Continue... 🥰🥰

 #দিবারাত্রি  সবাই যখন মনখারাপ করে ক্লাসে যেতে নেয় তখনই একটা বাইক খুব স্পিডে এসে ভার্সিটির মাঠে দাঁড়ায়। মূহুর্তে সবাই থম...
09/03/2025

#দিবারাত্রি



সবাই যখন মনখারাপ করে ক্লাসে যেতে নেয় তখনই একটা বাইক খুব স্পিডে এসে ভার্সিটির মাঠে দাঁড়ায়। মূহুর্তে সবাই থমকে যায় আর বাইকে বসে থাকা মানুষটাকে দেখতে চাই কারণ তার মাথায় হেলমেট দেওয়া। বাইকে বসা মানুষটা যখনই তার হেলমেটটা সরায় তখন সবাই অবাক হয়ে যায়।

রিশা বাইক থেকে নেমে দাঁড়াতে আরো দুটো বাইক এসে দাঁড়ায় ভার্সিটিতে দুটো বাইক থেকে নেমে আসে আরো তিনটি মেয়ে। নাহিদা ভ্রু কুঁচকে তাকায় মেয়েগুলোর দিকে। আসলে মেয়েগুলো হচ্ছে ভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্রী।

রিশা :- আরে সবাই দেখি আমাদের আপ্যায়নের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কী ব্যাপার তোমরা কী আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছো নাকী অন্য কেউ আসার জন্য দাঁড়িয়ে আছো?? [ শেষের কথাটা একটু জোরে বলে ]
নাহিদা :- আমরা ছাড়া বাকী গুলো একটা থার্ড ক্লাস মার্কা মেয়ের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। যে আর কখনো এই ভার্সিটিতে পা দিতে পারবে না। এই চলতো,,,, এখানে অযথা দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই।

সবার আবারও মন খারাপ হয়ে যায়। দিবা নাহিদার দিকে বিরক্তিকর চোখে তাকায়। তার মনে হয় মেয়েটা সবসময় অহংকার নিয়ে কথা বলে। তার ভাবনার মাঝে আরো একটা বাইক খুব স্পিডে এসে রিশাদের থেকে একটু এগিয়ে দাঁড়ায়। মাথার হেলমেটটা খুলে ফেললে সবাই অবাক হয়ে যায় যায় বাইকে বসে থাকা মেয়েটা দিকে তাকিয়ে। কে এই মেয়ে এই ভার্সিটির বলেও মনে হচ্ছে না। আসলে মেয়েটা হেলমেটের ভেতরে মাক্স পড়ে ছিল। মেয়েটার পরনে ছিল হোয়াট কালারের একটা টপস তার উপর একটা ব্লাক কালারের জ্যাকেট ব্লাক জিন্স চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া হাতে ব্লু কালারের একটা ঘড়ি পায়ে ব্লাক ক্যাচ। মেয়েটা তার ডান হাত দিয়ে চুল গুলোকে পিছনে ঠেলে দিয়ে নাহিদাদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে চোখ টিপে আবার পিছু হেটে মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে মুখের মাক্সটা খুলে ফেলে। মাক্সের পিছনে থেকে রাত্রি হাসোজ্জল চেহারাটা বেরিয়ে আসে। নাহিদারা সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে রাত্রি দিকে।

এদিকে রাত্রিকে দেখে অন্য সকল স্টুডেন্টস খুশিতে শিস বাজাতে শুরু করে। রাত্রি তাদের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নাহিদার দিকে এগিয়ে যায়। নাহিদার মুখোমুখি দাড়িয়ে মুখে চওড়া একটা হাসি টেনে বলে।

রাত্রি :- কী আমাকে দেখে তোমার মুখটা এমন চুপসে গেল কেন??.. আমাকে দেখে কী ভয় পেয়েছ,, নাকী তোমার কথা খেলাপ করে ভার্সিটিতে এসে বেয়াদবি করে ফেলেছি,,, আসলে আমি মাঝে মাঝে ভাবি যে ভালো হয়ে যাবো। তখনই আবার মনে আসে,, আমি খারাপ ছিলাম কখন। তাই আর ভালো হতে পারিনি।
নাহিদা :- তোকে তো আমি এই ভার্সিটি থেকে ডিসচার্জ করে দিয়েছিলাম। তোর সাহস কী করে হলো এই ভার্সিটতে আসার। [ রাত্রির জ্যাকেটের কলার টেনে ধরে গর্জে উঠে ]
রাত্রি :- সেটা তুমি তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করো,,, ওফস সরি সরি বাবা না প্রিন্সিপাল স্যারকে জিজ্ঞেস করো।

বাঁকা হেসে নাহিদার কাছ থেকে নিজের জ্যাকেটের কলার ছাড়িয়ে নেয়। রাত্রি এবার সবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করে।

রাত্রি :-I was able to keep my word. Are you happy with it ?? ( I was able to keep my word. Are you happy with it ??)
স্টুডেন্টস :- Yes we are very happy. ( হ্যাঁ আমরা অনেক খুশি হয়েছি)
রাত্রি :- Thank you everyone,, Now go to your class..

রাত্রি কথা অনুযায়ী যে যার মতো ক্লাসে চলে যায়। এমনিতেই ক্লাসের অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। এদিকে রাত্রি রিশা আর তার বান্ধবীদের সঙ্গে কিছুক্ষন কথা বলে বিদায় দেয়। আসলে রিশা হচ্ছে রাতে বেস্টফ্রেন্ড। আর রিশা ছাড়া কেউ জানে না রাত্রি হচ্ছে রাত খানমের ছোট বোন এমনকি ওর সাথে আসা বান্ধবীরা পর্যন্ত না। রিশাদের বিদায় দিয়ে সেখান থেকে চলে যায় রাত্রি।

প্রথমে রাত্রিকে আসতে না দেখে বুকের ভেতর কেমন খালি খালি অনুভব হতে লাগলো দিবার। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে ভেতরের অস্থিরতা যেন ততই বেড়েই চলেছে। কিন্তু রাত্রিকে দেখার পর ভেতরের অস্থিরতা যেন নিমেষে শান্তিতে রূপ নিলো। হঠাৎ এমন অনুভূতির কোনো মানে বুঝতে পারেনি দিবা তা-ও আবার রাত্রির জন্য। কী নাম দিবে দিবা এই অনুভূতির,,, ভালোলাগা নাকি ভালোবাসা।

নিজের উপস্থিতিতে সকল স্টুডেন্টকে খুশি করিয়ে খুশি হতে পারলো না রাত্রি। আনাফ আর দিবানির কথা মনে আসতেই বুকের ভেতরটা কেমন একটা ব্যাথা অনুভব করে। আনাফের কথা ভাবতে ভাবতে প্রবেশ করে দিবার কক্ষে।যেই আনাফের কথা ভেবে মনটা অশান্ত অনুভব করছিল,,,দিবাকে দেখা মাত্রই যেন সেই অশান্তিটা প্রশান্তিতে পরিণত হলো। মুচকি হেসে দিবার দিকে এগিয়ে যায় সেই চুপিসারে চেয়ারে বসে তাকে দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে রাত্রি। টেবিলে হাত ঠেকিয়ে চুল খামচে ধরে বসে আছে,, নরম স্বরে ডেকে উঠে।

রাত্রি :- ভিপি বাবু......

কারো মুখে ভিপি বাবু নামটা চমকায় না দিবা। চমকায় নাম রাখা মানুষকে নিজের রুমে উপস্থিত দেখে। সে তো এই নাম আগেও একবার শুনে ছিলো।

Will Continue..... 🥰🥰

    সবাইকে এই ভাবে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে রাগ হয় টুম্পার।টুম্পা :- আশ্চর্য আপনার সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন,, মন...
18/02/2025





সবাইকে এই ভাবে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে রাগ হয় টুম্পার।

টুম্পা :- আশ্চর্য আপনার সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন,, মনে হচ্ছে আমি সালাম করে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। নাকি আপনারা সালামের উত্তর জানেন না। আর কেন ডেকেছেন সেটা বলেন।

টুম্পার এরূপ আচরণ দেখে সামির সহ বাকী বন্ধুরা ক্ষেপে যায় শুধু কায়রা বাদে। তন্নিমা কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলে।

তন্নিমা :- টুম্পা নিজের রাগটাকে একটু কন্ট্রোল কর বইন। রুম্পা আর নিজের মিশনের কথাটা তো অন্তত ভাব।

আর কিছু বলে না টুম্পা চুপ হয়ে যায়। রোহান রাগী কন্ঠে বলে।

রোহান :- তুমি সালাম দিতে জানলে আমরাও উত্তর দিতে জানি। শুধু উচ্চস্বরে সালামের উত্তর দিলে যে সালাম নেওয়া হয়ে যায় এমনটা নয়।সালামের উত্তর মনেমনে নিলেও হয়।

এবার টুম্পা চুপ হয়ে যায়। মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে। এতে রোহান মনে করে তার কথায় হয়তো টুম্পা জব্দ হয়েছে। সামির কী মনে করে জিজ্ঞেস করে উঠে।

সামির :- নাম কী তোমার??
টুম্পা :- টুম্পা।
সামির :- পুরো নাম বলো...
টুম্পা :- নুসরাত ই জাহান টুম্পা...
সামির :- কোন ইয়ারে পড়ো??
টুম্পা :- অনার্স থার্ড ইয়ারে।
সামির :- বাসা কোথায় তোমার??

সামিরের এমন বেরসিক কথায় সবাই অবাক হয়ে যায়। কায়নাত তো রাগে ফায়ার হয়ে আছে। কী দরকার মেয়েটার ডিটেইলস জানার।অন্যদিকে টুম্পা সামিরের এহেন কথায় ক্ষেপে যায়। রাগে ঠেলায় তার কান দিয়ে ধোঁয়া বেরুচ্ছে মনে হয় তার কাছে। হুট করে সামিরের একদম কাছে চলে যায় শান্ত আর শীতল কণ্ঠে মুচকি হেসে বলে।

টুম্পা :- কেন ভাইয়া বাড়িতে কী বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবেন?? ঘটকালি করেন নাকি।

টুম্পার এমন কথা উপস্থিত সবাই না চাইতে হেসে দেয়। হঠাৎ টুম্পাকে নিজের এতো কাছে আসতে দেখে দু কদম পিছিয়ে যায় সামির।

সামির :- মিস. টুম্পা আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন আমি আপনার সিনিয়র হই।আশা করছি বেয়াদবি না করে আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো দিবেন। চাইলে কিন্তু আমি এক মিনিটে আপনার গুষ্টি উদ্ধার করে আনতে পারবো। কিন্তু আপনি তো কোনো স্পেশাল কেউ না যে আপনার গুষ্টির পরিচয় জানার জন্য আলাদা ভাবে লোক লাগাবো। তার চেয়ে আপনি নিজের মুখে বলেন।

টুম্পা নিজের গুষ্টির এমন অপমান শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে।

টুম্পা :- আমার বয়ে গেছে আপনাকে আমার গুষ্ঠির পরিচয় দিতে। আর তাছাড়া আমি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলছি। যেখানে আপনি যদি সম্মানটার যোগ্য না হন সেখানে আমার করার কিছু নেই। তাই বলে আপনি আমাকে বেয়াদব বলতে পারেন না।
সামির :- তো কী বলবো কচি খুকি। একে তো তখন থেকে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছো।এক পা দুপা করে এগিয়ে এসে ঢলাঢলি শুরু করে দিয়েছ।আচ্ছা তুমি কী কোনো ভাবে আমাকে ইভটিজিং করতে চাচ্ছো না তো,,,,আল্লাহ।

শেষের কথাটা বলে ঢং করে হাত দিয়ে নিজের গা ঢাকার চেষ্টা করে। এদিকে সবাই বিস্ময় চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। টুম্পা তো হা হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত কী না তাকে এটা শুনতে হলো সে একটা ছেলেকে ইভটিজিং করতেছে।

সামির :- সুন্দর ছেলে দেখলে খালি গায়ে পড়তে মনে চাই তাই না মিস টুম্পা।
টুম্পা :- দেখুন মিস্টার আপনি কিন্তু আমার সাথে কোনো যুক্তি ছাড়াই কথা বাড়াচ্ছেন।আর আপনি আমাকে বিনা কারণে অপমান করছেন।
সামির :- ভুল বলেছেন আপনি,,, আমি আপনাকে বিনা কারণে অপমান করছি না,,বরং আপনি আমার বন্ধুকে অপমান করেছেন।যেটা আমার গায়ে লেগেছে। সিনিয়র হিসেবে আপনার থেকে সালাম পাওয়াটা আমাদের অধিকার আছে। তাই বলে আপনি সালাম দিয়ে তার উত্তরের জন্য এভাবে আমার বন্ধুকে অপমান করতে পারেন না।
টুম্পা :- আশ্চর্য এখানে অপমানের কী আছে বুঝলাম না। আমার সালাম শুনে আপনার বন্ধুরা আগে কখনো সালাম শুনেনি এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল। এটা একটা মেয়ের কাছে সত্যি বিরক্তিকর বিষয়।
সামির :- তাই নাকী,,! ভেবেছিলাম আপনি মাফ চেয়ে নেবেন। কিন্তু না আপনি তো আমাদের শত্রুতা শুরু করে দিয়েছেন। তাহলে প্রস্তুত হয়ে যান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কী বলেন।

টুম্পা চুপ করে যায় সামির কথায়। এতে সামির বাঁকা হাসে কিন্তু সেই হাসি বেশিক্ষণ মুখে ধরে রাখতে পারেনি।সামিরকে অবাক করে দিয়ে চাও হাসি টেনে বলে।

Will Continue.... 🥰🥰

Address

Mirgong
Feni

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nusrat Tumpa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share