12/08/2024
১৫ আগস্টে প্রতিবিপ্লবের সমস্ত প্রস্তুতি আওয়ামীলীগ সম্পন্ন করেছে।
সজীব ওয়াজদ জয়, বাহাউদ্দিন নাছিম, সালমান এফ রহমান সহ ৫ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্দিরে মন্দিরে হামলা করার।
ওদিকে আওয়ামীলীগ ২.০ চলে যাবে ধানমন্ডি। আর সংখ্যালঘু "নির্যাতনের" প্রতিবাদে শাহবাগে নেমে আসবে ঢাকা দক্ষিণ এর নেতাকর্মীরা।
সারা দেশে ভালো ধরণের একটা শোডাউন দিতে পারলে শেখ হাসিনা দেশে আসার সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রশাসন তো তার হাতেই আছে। সজীব ওয়াজেদ জয় এইজন্যই বারবার বলতেছেন তার মা এখনও প্রধানমন্ত্রী।
সমস্যা হলো, এই প্রতি বিপ্লব প্রতিরোধে বিরোধী দলগুলোর প্রিপারেশান কী?
আমি জানি না।
সরকারের উপর ভরসা করে লাভ নাই। এনারা কেউই রাজনীতি করা মানুষ না। যেভাবে এসেছেন, সময় পক্ষে না থাকলে সেভাবেই নেমে যাবে।
বাট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন কর্মসৃচী এখনও পাই নাই।
এরা দেখলাম কোথাও গাড়ি মিছিল আর ফুল মিছিল শুরু করেছে, কোথাও আবার কমিটি থেকে পদত্যাগ করতেসে। তাহলে আপনারা কীভাবে সংগঠিত করবেন লোকজনকে?
যেহেতু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের এই বিপ্লবের একমাত্র স্টেক হোল্ডার মনে করে সেহেতু এই সময়ে ছাত্র জনতার করণীয় কী, সেটাও তাদের ঠিক করতে হবে।
ডক্টর ইউনূস কোন পলিটিক্যাল ফিগার না। পলিটিক্স তিনি বুঝেনও না। কাজেই হাসিনা যদি চলে আসে, কী করতে হবে, ঐটা তিনি বুঝবেন না।
১৫ আগস্ট ঘিরে বিএনপি সহ বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কোন প্ল্যান এখনও পাইনি আমরা। ধানমন্ডির দখল কীভাবে নেবেন, শাহবাগে যেন আওয়ামীলীগ নামতে না পারে, এইসব ঠিক না করে যদি এখন নির্বাচনের হালুয়া রুটি খাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকেন, কপালে খারাপি আছে বিশ্বাস করেন।
এইবার হাসিনা আর মিডলক্লাসের গায়ে হাত দেবে না। জাস্ট আপনাদের ধরে ধরে আয়নাঘরে ভরে দেবে।
বাঁচতে চাইলে এই মুহূর্তে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসাথে বসেন। যাদের লোকবল বেশি, হেফাজত, ইসলামি আন্দোলন, এদের কাজে লাগান। ঢাকার প্রতিটা পয়েন্ট এর নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখেন। আওয়ামীলী এক ইঞ্চি জায়গা নিতে আসলে এমন শিক্ষা দিন, আর কোনদিন আসার আগে যাতে তিনদিন ভাবে।
এখন গ্রাফিতি গ্রাফিতি খেলার সময় না। বিপ্লবের পর খুব অল্প সময়েই প্রতি বিপ্লব চলে আসে।
সেইটার সময় চলে অনেক দ্রুত চলে এসেছে। কাদের সাথে খেলতে নামসেন, এখনও যদি না বুঝেন, হাসিনা নিজে এসে আপনাকে এইবার সেটা বোঝাবে।
ভারতে মিটিং এর পর মিটিং চলতেসে। দেশে কোটি কোটি টাকা ঢুকতেসে। মিডিয়া থেকে প্রশাসন সবখানে চলে গেছে একটা মেসেজ, ডেডলাইন ১৫ আগস্ট।
আপনার শত্রুরা এখনও ঘুমায়নি, আর আপনি এখনই ঘুমাইয়া গেলে কেমনে হবে?
স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করে কঠিন, জানেন না?